জাতীয়
এমআরএ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবন উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় এ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।
জানা গেছে, ভবনটির নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। আর কাজটি সর্ম্পূণ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ২৬ জুন। ভবনটি ১৬ তলা ভিত্তির ওপর নির্মিত একটি বহুতল অফিস ভবন, যার মধ্যে বাউন্ডারি ওয়াল, গেট, গার্ডরুম, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, সেপটিক ট্যাংক, সোক ওয়েল, সাইনেজ, ম্যুরাল এবং ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক।
এর আগে, বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রামের কালুরঘাটে বহুল প্রত্যাশিত কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
নিয়ম মেনে অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবৈধভাবে যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছেন তাদের ভারতের মতো পুশব্যাক করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অবৈধ ভারতীয়দের প্রোপার চ্যানেলে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৭ মে) সুন্দরবনে বিজিবির ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সুন্দরবনের জল সীমানায় বিজিবির যশোর রিজিয়নের আওতাধীন রিভারাইন বর্ডার গার্ড (আরবিজি) কোম্পানির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জলসীমান্ত রক্ষায় কাজ করবে বিজিবির ভাসমান বিওপি।
ভারত সুন্দরবনের জলসীমাসহ বিভিন্ন সীমান্তে পুশইন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত মান্দারবারি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশইন করেছিল, সেখানে আমি পরিদর্শন করেছি। ভারতকে আমরা জানিয়েছি- আমাদের কোনো বাংলাদেশি যদি তাদের (ভারতে) ওখানে থেকে থাকে তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠান। যেমন ভারতের যারা বাংলাদেশে আছে তাদের আমরাও প্রোপার চ্যানেলে পাঠাই। আমরা কাউকে পুশইন করি না।
তিনি বলেন, গতকাল আপনারা দেখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পুশইনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে আনসার এবং স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধে ভারত পুশইন করতে পারেনি। আপনারা সবাই যদি সহযোগিতা করেন তাহলে ভারত পুশইন করতে পারবে না। বিজিবির সঙ্গে জনগণ এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতা দরকার।
পুশইন ঠেকাতে প্রতিবাদমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডিপ্লোমেটিক সল্যুশনের (কূটনৈতিক সমাধান) জন্য এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের জন্য এ বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমার কাছে এটা (পুশইন) ওরকম উসকানি মনে হচ্ছে না। যেহেতু এর আগেও উনারা (ভারত) পুশইন করেছিল অনেক আগে; যে সময় পুশইন করেছিল সে সময় আমি বিজিবির ডিজি ছিলাম।
হঠাৎ এই সময় আবার কেন ভারত পুশইন করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিন আগে শুনেছেন গুজরাটে বাঙালি কলোনির মতো ছিল (বাঙালি বস্তি)। গুজরাটে সেটা ভেঙে দেওয়ার পরেই এটা (পুশইন) শুরু হয়েছে।
ইউএনএসিআরের কার্ড হোল্ডারদেও পুশইন করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এটা আমরা অলরেডি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। এর ভেতর কিছু রোহিঙ্গা চলে আসে। যেসব রোহিঙ্গা আমাদের দেশে ছিল তাদেরও পাঠিয়েছে, আবার ভারতীয় রোহিঙ্গাদেরও পাঠিয়ে দিচ্ছে। এজন্য আমরা এটার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় আছে কি না, যাদের পুশব্যাক করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় একেবারেই নাই আমি বলবো না। আপনাদের অনুরোধ করবো যদি থাকে জানান, আমরাও যেন প্রোপার ওয়েতে (নিয়ম মাফিক) পাঠাতে পারি।
ভারত যেহেতু পুশইন করছে বাংলাদেশও ভবিষ্যতে পুশব্যাক করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার দেশের নাগরিক হলে পুশব্যাক করার কোনো অধিকার নেই। অবৈধভাবে ভারতীয় যারা বাংলাদেশে আছে তাদেরকে ভারতের মতো পুশব্যাক করবো না, তাদের প্রোপার চ্যানেলে পাঠাবো। অবৈধভাবে পাঠানো আইনসিদ্ধ নয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, আরবিজি কোম্পানির অধিনায়ক, বিজিবির অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা ও সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজ পালনে সৌদি পৌঁছেছেন ৪৮ হাজার ৬৬১ জন

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত ১২৩টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৪৮ হাজার ৬৬১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। শনিবার (১৭ মে) আশকোনার হজ অফিসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইন্সের ১২৪টি ফ্লাইটে ৪৮ হাজার ৬৬১ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৬২টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৪১টি, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় ২৯ এপ্রিল। সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শেষ হবে ৩১ মে।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজ পালন করবেন।
হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন। হজযাত্রীদের দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুলাই।
এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে সর্বমোট ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এখনো ৩৩৩ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু বাকি আছে।
অন্যদিকে এবার হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সাতজন হজযাত্রী সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করেছেন। সর্বশেষ ১৪ মে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হজযাত্রী মো. অহিদুর রহমান (৭২) মদিনায় মারা গেছেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট, মৎস্য অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তাকে নোটিশ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নিয়ে করা পোস্টে ‘লাইক-কমেন্ট’ করে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন মৎস্য অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তা। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৪ মে ওই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট করার অভিযোগে নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তারা সাময়িক বরখাস্ত বা বদলির মতো শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তা হচ্ছেন- অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ এস এম সানোয়ার রাসেল, সহকারী প্রধান আবু মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. ফরিদ হোসেন, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. সালমুন হাসান বিপ্লব এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান।
জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এই তোফাজ্জল (পোস্টে লেখা বানান) যিনি দুই দফায়, দু’জন আওয়ামী মন্ত্রীর পিএস ছিলেন (৬ বছর) তাকেই সচিব পদে পদোন্নতি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বানানোর জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি আরো অনুরোধ করছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় লাগলে অন্য কাউকে পদায়ন না করে এই তোফাজ্জলকেই এ পদে রাখার জন্যে।’
সায়েরের পোস্টে আরও লেখা হয়, তোফাজ্জেল হোসেন ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পানিসম্পদমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন। পোস্টে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার স্বাক্ষরিত একটি ডিও লেটারও যুক্ত করে দেওয়া হয়।
সাংবাদিক জুলকারনাইনের এই পোস্টে চার মৎস্য কর্মকর্তা লাইক দিয়েছেন। আরেক কর্মকর্তা কমেন্ট করে লিখেছেন, ‘…উনাকে সরাতে হবে মেসেজ ক্লিয়ার’। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নোটিশ পাওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান সচিব আওয়ামী লীগ সরকারের খুবই অনুগত লোক। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সরকার বদল হলো, তারপরও তিনি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন। উনাকে নিয়ে করা পোস্টে শুধু লাইক দিয়েছি, তাতেই চাকরি যায় যায় অবস্থা। আন্দোলন করে স্বৈরাচার হটিয়ে আমরা এমন লাল স্বাধীনতা পেলাম।’
পাঁচ কর্মকর্তাকে দেওয়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশে বলা হয়েছে, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা রয়েছে। আপনি ওই নির্দেশনা অমান্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত কর্মকর্তা সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯-এর পরিপন্থী।’
কারণ দর্শানো নোটিশে আরও লেখা হয়েছে, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ২৭ এপ্রিল তারিখের মাসিক সমন্বয় সভার কার্যপত্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে এমন কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

রাজধানীর বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দ নগরের আনসার ক্যাম্পের পাশে একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন- তোফাজ্জল মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে তানিশা (৪), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (১১)। দগ্ধ তোফাজ্জল ঠাকুরগাঁও সদরের চিলা রং গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. শরীফ বলেন, আমার প্রতিবেশী তোফাজ্জল মিয়া একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে লেবার হিসেবে কাজ করেন। রাতে রান্না করার সময় চুলায় দেয়াশলাই জ্বালানো মাত্রই ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এতে সে, তার স্ত্রী এবং তাদের তিন মেয়ে দগ্ধ হয়। পরে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে দ্রুত তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে বাড্ডা এলাকা থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেন শরীর ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম ৬৭ শতাংশ, তানজিলা ৬৬ শতাংশ, মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১ হাজার ৬৬২ জন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৬০৪ জন।
শুক্রবার (১৬ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৬০৪ জন। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬৬২ জনকে।
অভিযানে একটি ওয়ান শুটারগানও (এলজি) উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।