জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ৪৭ হাজার ৪২০ হজযাত্রী

বাংলাদেশ থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৪২০ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মোট ১১৯টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৮৩ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২ হাজার ৮৩৭ হজযাত্রী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৮৬ হাজার ৬৭৮টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক।
হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, ১১৯টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫৯টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৪০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
চলতি বছর হজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী। এরা হলেন— জামালপুর বকশীগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), রাজবাড়ীর খলিলুর রহমান, কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান, পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু, ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবীর, নীলফামারির ফয়েজ উদ্দীন (৭২) ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার অহিদুর রহমান (৭২)।
গত ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৩৯৮ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্য দিয়েই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ৩১ মে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ৭০টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল। শেষ হজ ফ্লাইট ৩১ মে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুন, আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
উড্ডয়নকালে খুলে গেলো বিমানের চাকা, ঢাকায় অবতরণ

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর চাকা খুলে নিচে পড়ে যায় বিমানের। এসময় বিমানটিতে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল। পরে তা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা বিমান থেকে নিরাপদে নেমে এসেছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে ওড়ার পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। পরে দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। চাকার বিষয়টি কী হয়েছিল সেটি বিমানের ইঞ্জিনিয়াররা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন।
যাত্রীরা নিরাপদে নেমে এসেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এসময় বিমানটিতে পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন বিল্লাল।
এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) ফ্লাইটটি।
উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান, তিনি জরুরি অবতরণ করতে চাচ্ছেন। পাইলটের বার্তা পাওয়ার পরপরই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিষিদ্ধ সংগঠনে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এজাজ

হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে নিষিদ্ধ এই সংগঠনে জড়িতের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজেরর বিরুদ্ধে। সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
ফেসবুকে পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরে যেন আরেকটি ছায়া সরকার পরিচালিত হচ্ছে, যার অগ্রভাগে রয়েছে অন্তত ৬ জন ব্যক্তি, বেশ সুকৌশলে এরা সরকারের ভেতর প্রবেশ করেছে। যেসব উপদেষ্টা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে আপনারা হরহামেশাই মুখরোচক গল্প শুনে অভ্যস্ত তারা কেউই এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট নেই। বরং আপনাদের কাছে ওইসব ছাইপাঁশ গল্প প্রচারই করা হয় সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব ব্যক্তিদের সামনে এনে বিতর্কিত করে আপনাদের ব্যস্ত রাখার জন্যে। উদ্দেশ্য ১৪ জনের বিশেষ দলটি বা ছোটন গ্যাং যেন নিভৃতে তাদের কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল করতে পারে।
আজকে উন্মোচন করা হবে ছোটন গ্যাং এর অন্যতম সদস্য এবং সরকারের ভেতর চতুরতার সাথে স্থান করে নেয়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. এজাজের পরিচয়।
মো. এজাজ, নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতাদের একজন। তিনি ছাত্র জীবনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, ২০০২ সাল থেকে হিজবুত তাহরীরের সাথে জড়িত হন। এই সংগঠনের কাজ করতে গিয়ে কমপক্ষে দু’বার গ্রেফতার হন তিনি।
২০১৪ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ইস্যু করা সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি স্মারক পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ নামক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের তালিকায় এই মো. এজাজের অবস্থান ছিলো পঞ্চম। একই বছর নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে মো. এজাজ সহ আরো আটজ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১)(ক)(৩)/২৫/ঘ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় কিছুদিন আটক থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও একই নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে তৎপর থাকে এজাজ।
৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১০ নভেম্বর ২০২৪ এজাজ সহ তার অন্য সহযোগীদের মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়। মো. এজাজ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে বের করতে বিভিন্নভাবে দেনদরবার করা শুরু করেন।
ছোটন গ্যাং এর সাথে আগে থেকেই পরিচয় থাকার সুবাদে এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সরাসরি সুপারিশে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আবির্ভূত হন মো. এজাজ। জানা যায় এই পদের জন্যে পর্দার আড়ালে থেকে তদবির করেন একজন নারী উপদেষ্টা।
বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সাথে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে সরকার পক্ষ থেকে মো. এজাজকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আগে কোন রকমের নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অর্থসংবাদকে বলেন, আমার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা বিত্তিহীন। যেই ডকুমেন্টস গুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে এগুলো আমি বিশ্বাস করিনা। আমার ফেসবুকে দেখেন আমি এ বিষয়ে লিখেছি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমানবাহিনী প্রধান

ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
শুক্রবার (১৬ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ইতালি বিমানবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল লুকা গোরেট্টির আমন্ত্রণে ৮-৯ মে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান অ্যারোস্পেস পাওয়ার কনফারেন্স (এএসপিসি) ২০২৫-এ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা অংশগ্র নেন।
এছাড়া বিমানবাহিনী প্রধান ইতালির সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘লিওনার্দো এস.পি.এ.’র আমন্ত্রণে লিওনার্দো ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শন করেন।
বিমানবাহিনী প্রধানের এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, যা পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারিত করবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিমানবাহিনী প্রধান সরকারি সফরে ইতালির উদ্দেশ্যে গত ৭ মে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সোনালী ব্যাংকে নতুন পাঁচ বিভাগ

রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আরও পাঁচটি নতুন বিভাগ চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে নতুন এ পাঁচটি বিভাগ উদ্বোধন করেন ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. শওকত আলী খান। এসময় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকটির নতুন বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে- কর্পোরেট সার্ভিসেস ডিভিশন, ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন (মিড অফিস), ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশন, অফশোর ব্যাংকিং ডিভিশন ও এস্টেট ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন।
নতুন কর্পোরেট গ্রাহক ও বৃহদাংক ঋণগ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি, সেবার মান উন্নতকরণ, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি রোধকল্পে সময়োপযোগী ঋণ নীতিমালা ও নিয়মাচার পর্যালোচনাপূর্বক ক্রেডিট পলিসি প্রণয়ন, অফশোর ব্যাংকিং যুগোপযোগী করা ও সম্পদের উত্তম ব্যবস্থাপনা করা ইত্যাদি কার্যক্রম সফলভাবে পরিচানার জন্য এসব বিভাগ চালু করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘের

বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) দ্বিবার্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
বৈঠকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামোর (ইউএনএসডিসিএফ) বাস্তবায়ন মূল্যায়ন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জাতিসংঘ কান্ট্রি রেজাল্ট রিপোর্ট প্রকাশ এবং আগামী বছরের জন্য কৌশলগত অগ্রাধিকার অনুমোদন করা হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিস গোয়েন লুইসের যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর সিনিয়র প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এক বছরের জন্য বর্ধিতকরণ, এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য জেএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএনএসডিসিএফ (২০২২-২০২৬) এক বছরের সম্প্রসারণের অনুমোদন দেয়।
জেএসসি রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, জলবায়ুকেন্দ্রিক দুর্যোগ এবং সংস্কার প্রক্রিয়া গতিশীলতা বিবেচনায় রেখে অভিযোজন ক্ষমতা এবং শাসনব্যবস্থা সংস্কার, মানবাধিকার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের সহায়তার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।
জাতিসংঘ ২০২৪ সালে উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে। উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য মসৃণ উত্তরণ কৌশল তৈরিতে সহায়তা, বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারত্বে চার হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ১১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার উন্নত করতে সহায়তা প্রদান এবং ১১ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীকে ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
জাতিসংঘের সহযোগিতার ফলে চার কোটি মানুষ সামাজিক সুরক্ষাসেবায় প্রবেশাধিকার পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার শিশু সুরক্ষা কর্মসূচি থেকে উপকৃত হয়েছে। সারাদেশে ৫৬ লাখ কিশোরীকে জরায়ুমুখের ক্যানসার থেকে রক্ষার জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের ৯৩ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সভায় মিস গোয়েন লুইস বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য বিগত বছরটি চ্যালেঞ্জিং ছিল, যদিও এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদাবোধ ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে। বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আমরা স্থায়ীভাবে সংস্কার, জলবায়ু অভিঘাত সহিষ্ণুতা, অর্থনৈতিক রূপান্তর, জেন্ডার সমতা এবং সমাজের কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী জাতিসংঘের অব্যাহত অংশীদারত্বের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, সম্প্রসারিত ইউএনএসডিসিএফ এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় করতে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
সহযোগিতা কাঠামোটি বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জাতিসংঘের পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকারের নির্ধারণ করে: এর মধ্যে রয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমতার ভিত্তিতে মানবউন্নয়ন ও কল্যাণ, টেকসই, সহনশীল ও উপযোগী পরিবেশ, রূপান্তরমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সুশাসন এবং জেন্ডার সমতা ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নির্মূল অন্যতম।