অর্থনীতি
সরকারি অর্থ ব্যয়ে অপচয় কমাতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান

সরকারি অর্থ ব্যয়ে অপচয় কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট এন্ড রুলস বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে গজারিয়া মুন্সীগঞ্জের, ইঞ্জিনিয়ারিং ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (ইএসসিবি) মেইন ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি উদ্বোধন করা হয়। এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মরত তিরিশ জন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক এর মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) আব্দুল্লাহ আল জাহিদ, ইএসসিবি রেক্টর প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম এবং আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ও সদস্য বিওজি (ইএসসিবি) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন।
অনুষ্ঠানে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) আব্দুল্লাহ আল জাহিদ। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসতে বলেন আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ও সদস্য বিওজি (ইএসসিবি) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন। প্রকুরমেন্টের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন রেক্টর, প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশের (ইএসসিবি) প্রকিউরমেন্ট ইউনিটের প্রধান ও ফ্যাকাল্টি ট্রেইনার ড. তাওহীদ হাসান। সারাদেশ থেকে আগত এসিসি কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন, ইএসসিবিতে আয়োজিত এসিসির এই প্রশিক্ষণ সকল কর্মকর্তাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ। কর্মকর্তাদের এই আইন জেনে তা বাস্তবায়ন করার কোনো বিকল্প নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা

চলতি মে মাসের প্রথম ১১ দিনে ৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মকরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ১৯৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬ হাজার ৬২২ টাকা। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর একই সময়ে ১০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২৪ সালে মে মাসের প্রথম ১১ দিনে পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময় এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এদিকে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে ২.৭৫ বিলিয়ন (২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে গড়ে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এসেছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন (৫৪২ কোটি ডলার) ডলার বেশি এসেছে। আর সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়া যাবে ১৫ হাজার ডলার

বিদেশে চিকিৎসা খরচ নেওয়ার সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া চিকিৎসা খরচ ১০ হাজার ডলার নেওয়া গেলেও এখন থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পাঠানো যাবে।
সোমবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসা খরচ নেওয়া যাবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরও বেশি ডলারের নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন হবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া ১০ হাজার মার্কিন ডলার নেওয়া যেতো। নতুন নির্দেশনার ফলে সে সীমা আরও পাঁচ হাজার ডলার বাড়লো।
হাসপাতালের নামে বা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে এসব বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে। আর সীমার মধ্যে গ্রাহক চাইলে ৫ হাজার ডলার নগদ ছাড় করা যাবে বলেও জানানো হয় নির্দেশনায়।
বর্তমানে চিকিৎসাপ্রত্যাশীদের অনেকেই ভারতের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য দেশ বেছে নিচ্ছেন। সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে- থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব দেশে চিকিৎসা খরচ কিছুটা বেশি হওয়ায় বেশি ডলারের প্রয়োজন পড়ছে। এ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসা খরচে সীমা বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদে প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড অবৈধ: চেম্বার আদালত

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ প্রশাসক ও নতুন বোর্ড নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। গত বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত শুনানিতে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।
চেম্বার আদালতের আদেশে বলা হয়, প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড বসিয়ে নগদের ওপর সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা আইনসঙ্গত নয়। এর ফলে ডাক বিভাগের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে মূল মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারবে—এ নিয়ে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।
নগদ মালিকপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার রায়ের পর বলেন, এই রায় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করেছে, জোর করে প্রশাসক বসিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখল করা যায় না। সুপ্রিমকোর্ট একটি সাহসী ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সুশাসনের প্রতিফলন।
এবিষয়ে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, গত আট মাস আমি জার্মানিতে একটি রেগটেক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যেটি খুব শিগগির আরেকটি ইউনিকর্ন হতে চলেছে। তাই আমি নগদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ফিরছি না, এটি আমি বোর্ডকেও জানিয়ে দিয়েছি। তবে নগদ আমার সন্তানের মতো, তাই নতুন বোর্ড বা সিইও যদি কখনো আমার পরামর্শ চান, আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও এ বিষয়ে করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং স্পষ্ট করে দেন যে, প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
জানা গেছে, নগদের মালিকপক্ষ প্রথম থেকেই প্রশাসক নিয়োগকে অবৈধ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে এখন তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা যেমন অবৈধ, তেমনি তা দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ পরিবেশের জন্যও হুমকি।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই রায় শুধুমাত্র নগদের জন্য নয় বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং বেসরকারি খাতের স্বাধীনতা ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯ হাজার কোটি টাকা

দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্স আসায় একের পর এক রেকর্ড হয়েছে। সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে মার্চ ও এপ্রিলে। রেমিট্যান্স আসার সেই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। চলমি মাস মে’র প্রথম সাত দিনেই ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি (৮ হাজার ৯৬৭ কোটি) টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৮১ কোটি টাকা। এভাবে রেমিট্যান্স এলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড হতে যাচ্ছে অর্থাৎ তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা তার আগের বছরের একই সময়ে (মে, ২০২৪) সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে মে মাসের সাতদিন পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের সাতদিন পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৯৭২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ২৮.২ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যাত্রায় অংশীদার হতে বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১১ মে) জাপানের ওসাকার কানসাই এ ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫’ এর ‘বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহ্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সমাজের সেতুবন্ধের প্রতীক হিসেবে প্যাভিলিয়ন কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা শূন্য কার্বন ও টেকসই অনুশীলনের উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ। আর্থ-সামাজিক ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশটি এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছে। ক্রমবর্ধমান তরুণ জনসংখ্যা এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেশের মানুষকে সমৃদ্ধির স্তরে উন্নীত করেছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি, আসিয়ান দেশগুলোর কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে বিশ্বের উন্নত দেশসমূহ তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল, আইটি, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ। প্রতিনিয়ত এ সম্পর্ক গতিশীল হচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ায়ও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।