আন্তর্জাতিক
ওপাশ থেকে গুলি চললে, এপাশ থেকে গোলা চলবে: মোদি

দুই দেশের টানা ১৯ দিন উত্তেজনা, সংঘাত ও সহিংসতা চলার পর অবশেষে গত শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। কিন্তু, চিরবৈরী দেশ দুটির ‘ডগফাইট’ এখনও চলছেই। হামলার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তো আছেই; চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিও।
সবশেষ পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ যেকোনো হামলার ব্যাপারে নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া আরও জোরালোভাবে দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।
রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা। অর্থাৎ, ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।
মোদির এ নির্দেশনাকে একটি মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সূত্রগুলো, বিশেষ করে ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।
এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, গত কয়েকদিনে রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করে যা।
এমন পরিস্থিতিতে চিরবৈরী দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা থামাতে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। টানা ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর গত শনিবার (১০ মে) দুদেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে সক্ষম হয় দেশটি। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম এ যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, দুপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমি খুব উৎফুল্লতার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
একই বার্তা আসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর পক্ষ থেকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্ততাকারী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বার্তা আসার কিছুক্ষণ পরই এ বিষয়ে বক্তব্য দেয় ভারত ও পাকিস্তান। বিস্তারিত আলোচনায় বসার ব্যাপারে আশ্বাস দেয় দুপক্ষই।
তবে ভারতের সরকারি সূত্র এখন বলছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনো শেষ হয়নি এবং ‘সন্ত্রাসবাদের’ মোকাবিলায় ভারতের প্রতিক্রিয়া এখন থেকে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়বে।
এছাড়া কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে কোনও মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না। এই বিষয়ে একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরি এলাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে।
ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয়—শুধু দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে যোগাযোগ চলবে। তাদের ভাষায়, এই মুহূর্তে আলোচনার আর কোনও বিষয় নেই।

আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা আসছেন বৃহস্পতিবার

চার দিনের সফরে আগামী বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। তার সফরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গতিশীল করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, গত জুনে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। নানা কারণে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন উনি আসছেন। চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় আসবেন।
ঢাকা সফরকালে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর মূল বৈঠকটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও সরকারের আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বসবেন কামাল খান।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় সফরে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। সেসময় এ সমঝোতা স্মারকটি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আন্তর্জাতিক
বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে অধ্যয়নরত ৬ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থী ভিসা ইস্যুতে কড়াকড়ি আরোপ করার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফক্স ডিজিটাল।
ভিসা বাতিলের পেছনে প্রধান অভিযোগগুলো হলো আইন ভঙ্গ, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ভিসা আইন ভঙ্গের কারণে বাতিল হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনের ৩বি ধারা অনুযায়ী ২০০ থেকে ৩০০ ভিসা বাতিল হয়েছে। যেখানে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে মানবজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া চলতি বছর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিভিন্ন দেশের দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনকারীদের বিস্তারিতভাবে যাচাই করার জন্য। বিশেষত যাদের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ইতিহাস রয়েছে। তাদের আবেদন আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মে মাসে কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে যেসব বিদেশি অতিথি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তাদের ভিসা আমরা বাতিল করতে থাকব।
তবে ডেমোক্র্যাটরা এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও আইনি অধিকার হরণের শামিল।
আন্তর্জাতিক
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: রুবিও

ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের দিকে প্রতিদিনই নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন এবং তা যেকোনো ভেঙেও যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রবিবার (১৭ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দুই পক্ষ সমানভাবে থামতে রাজি না হলে কোনো যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী হয় না। সেই সঙ্গে তিনি ভারত–পাকিস্তান প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
মার্কো রুবিও বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন এবং তা যেকোনো ভেঙেও যেতে পারে। রুবিও বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। এ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একাধিকবার দাবি করেছেন, তার মধ্যস্থতায় দিল্লি ও ইসলামাবাদ গত মে মাসে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ট্রাম্প বলেন, ‘সেটি হয়তো পারমাণবিক সংঘাতে গড়াতো, আমি সেটি ঠেকিয়েছি।’
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর থামানোর জন্য কেউ চাপ দেয়নি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও জানান, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি আসেনি।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ২২ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ২২ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৭ থেকে ১৩ আগস্ট জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে রোববার খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৯৯৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৪৩৪ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৬৯৭ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ৮৬৬ জন রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন এক হাজার ৭৮৭ জন। তাদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৫ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬৪ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ১ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ২৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৮ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫ হাজার ৪৩৯ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ হাজার ৮৩৭ জন পুরুষ এবং দুই হাজার ৬০২ জন নারী।
গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ২ হাজার ৯৭৩ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১২ হাজার ৮৬১ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে। সূত্র: গালফ নিউজ।
আন্তর্জাতিক
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে দেশটির সুলাওয়েসিতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, রোববার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনবিপি) জানিয়েছে।
ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২১ মাইল) গভীরে আঘাত হানে। এর প্রভাবে পসো অঞ্চলে প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয় এবং আশপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এতে ২৯ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিএনবিপি।
উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।
২০০৯ সালে দেশটির পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়।
তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।
মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে।
অবশ্য শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে আছে।