রাজনীতি
আলোচনা করে আ.লীগ নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির

সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জামায়াতে ইসলামী তাকে সাধুবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো।
রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স আয়োজিত নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ক ৪র্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, জুলাই সনদের বিষয়ে বলেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই সনদটি দেয়া সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
একাত্তরের গণহত্যায় অভিযুক্তদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান এনসিপির

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে, তাদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (১২ মে) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়—১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪—কে যথাযথ স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া রাজনীতির পূর্বশর্ত।
এনসিপি জানায়, একাত্তরে যারা জনগণের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহায়তার অভিযোগ রয়েছে, তারা যেন নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেন। এ পদক্ষেপ জাতীয় ঐক্য দৃঢ় করতে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জনচেতনার বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে দলীয়ভাবে বিচার অন্তর্ভুক্ত করা, এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে চলমান ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন দল, মত ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু একটি পক্ষ আন্দোলনে দলীয় ও ইতিহাসবিরোধী স্লোগান তুলে জাতীয় ঐক্য পুনর্গঠনের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
এনসিপি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তাদের কোনও সদস্য সাম্প্রতিক আন্দোলনে দলীয় বা ইতিহাসবিরোধী স্লোগান দেয়নি। যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নিতে হবে। এনসিপিকে এতে যুক্ত করা অনভিপ্রেত।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, আন্দোলনকারীরা যখন জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন, তখন এক পক্ষ আপত্তি জানালেও তারা তা দৃঢ়ভাবে পরিবেশন করে।
এনসিপি মনে করে, যারা চব্বিশের অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়েছেন, তাদের অবশ্যই ‘বাংলাদেশপন্থি’ ভূমিকা ধরে রাখতে হবে।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, অতীতের রাজনৈতিক অবস্থান বা আদর্শগত পার্থক্য যদি বিভাজন ও অনৈক্যের জন্ম দিয়ে থাকে, তবে সংশ্লিষ্টদেরই উচিত জনগণের সামনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পথে অগ্রসর হওয়া। কেবল এই ঐক্যের মাধ্যমেই ‘মুজিববাদ’কে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করা সম্ভব বলে মনে করে এনসিপি।
এমএস
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল চায় এনসিপি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পরদিন রোববার (১১ মে) সকালে ফেসবুকে এনসিপির অফিসিয়াল পেজে তিনি দাবি জানান।
নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন। সরকারকেও সাধুবাদ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই। তবে জুলাই ঘোষণাপত্র ও বিচার প্রশ্নে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে। সারাদেশের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তিন দফার, এক দফা বাকি থাকতেও রাস্তা ছাড়বো না: হাসনাত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ ছাত্র-জনতা ঘোষিত তিন দফার একটি দফা বাকি থাকা পর্যন্তও ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত সংগঠকদের অন্যতম নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (১০ মে) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “তিন দফার একটি দফাও বাস্তবায়ন না হলে আমরা এই রাজপথ ছাড়বো না। আমরা পাঁচ আগস্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এসেছি।”
ছাত্র-জনতা ঘোষিত তিন দফা দাবিগুলো হলো:
১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. ‘জুলাই বিপ্লব’-এর ঘোষণাপত্র অবিলম্বে জারি করতে হবে।
হাসনাত বলেন, “এই দাবিগুলো আমাদের সংগ্রামের মূলমন্ত্র। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ছক নয়, এটি শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত দাবি।” তিনি আরও বলেন, “প্রিয় সংগ্রামী সহযোদ্ধারা, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।”
শাহবাগে উপস্থিত ছাত্র-জনতা জানান, তারা বর্তমানে যে চেতনার ওপর দাঁড়িয়ে লড়ছেন, তা ‘পাঁচ আগস্টের অসমাপ্ত বিপ্লবের ধারাবাহিকতা।’ বক্তারা জানান, নানা বাহানা ও ধূর্ত কৌশলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি উপেক্ষা করা হলে, রাজপথ আরও উত্তপ্ত হবে।
আন্দোলনকারীরা আশাবাদী, এই তিন দফা আদায়ে জনগণ তাদের পাশে থাকবে এবং রাজপথই হয়ে উঠবে ন্যায়বিচারের প্রধান মঞ্চ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ

শাহবাগে ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছিল, আর শাহবাগেই তার পতন হলো। শনিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সরকারি কার্যদিবসে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
রাতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের ‘উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি’ পড়ে শোনান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। এই সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল যেকোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
এছাড়াও, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, শাহবাগের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন করে সরকার পক্ষের আপিল করার বিধান যুক্ত করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বর্তমান সরকারকে সফল দেখতে চাই: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অতীতে সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বর্তমান সরকারকে তারা সফল হিসেবে দেখতে চান।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গৌতম বুদ্ধ তার অনুসারীদের জন্য পঞ্চশীল বা ৫টি মৌলিক শিক্ষা ঘোষণা করেছিলেন। প্রতিটি ধর্মেরই কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা ও মৌলিক শিক্ষা রয়েছে। বিশ্বে সত্য, ন্যায় ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই প্রতিটি ধর্মের মূল লক্ষ্য। বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সমাজ বাস্তবায়নের জন্য ভূমিকা রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। দল-মত নির্বিশেষে সবার নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হলে নিরাপদ ও মানবিক রাষ্ট্র এবং সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ কায়েম করেছিল, জনগণ তাদের অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ১৯৭১, ৭৫, ৯০ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষ দুটি বিষয়ে একমত: বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আর কেউ তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না এবং গণতন্ত্রবিরোধী পলাতক তাঁবেদার অপশক্তি আর মাথাচাড়া দিতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, যারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণ আয়না ঘর স্থাপনকারী, গুম-খুন-অপহরণ ও দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের পুনর্বাসন চায় না। বিএনপি এই সরকারকে সফল দেখতে চায়। এজন্য সরকারের কাছে একটি স্বচ্ছ পথনকশা ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের ফ্যাসিবাদ পতনের পর গত ১৫ বছরের দুর্নীতি ও কুকর্ম আলোচনায় রাখা দরকার। ফ্যাসিবাদী শাসনের দীর্ঘ দেড় দশকে জঙ্গি নাটক ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা আড়াল করা হয়েছিল। কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনার বিচার হলে ভবিষ্যতে কেউ এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, যে রাষ্ট্রে নারী, শিশু ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠী নিরাপদ বোধ করে না, সেই রাষ্ট্র ভালো রাষ্ট্র হতে পারে না। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতিটি অধিকার সমানভাবে ভোগ করবে। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে এমন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যারা জবাবদিহিতা করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি-সমৃদ্ধিতে শামিল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়ার আছে। সবাই মিলে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবিধানিকভাবে সবাই নাগরিক এবং বাংলাদেশি। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। সবাই মিলে সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার কামনা করেন তিনি।
বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সুভাষ চন্দ্রা চাকমার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকারসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা।