সারাদেশ
একদিনে বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১০

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে ৫ জন, কিশোরগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন, শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধান কাটতে গিয়ে এক কৃষক, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান কাটার সময় এক শ্রমিক এবং ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নাসিরনগর ও আখাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় তিনজন ও আখাউড়া উপজেলায় দুজন রয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বজ্রপাতের সময় কৃষিকাজ ও মাঠে অবস্থানের সময়ই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নাসিরনগরে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন হামিদা বেগম (৪০) নামের এক নারী। তার কণ্ঠনালি ঝলসে গেছে এবং তিনি বর্তমানে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নাসিরনগরের হতাহতরা হলেন, চাঁনপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), গোকর্ণ গ্রামের বাসিন্দা মো. শামসুল হুদা (৬৫), কচুয়া গ্রামের শিশু জাকিয়া (৭), ভলাকুট ইউনিয়ন দুর্গাপুর গ্রামের হামিদা বেগম (৪০),
আখাউড়ায় নিহতরা হলেন, রুটি গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের যুবক জাকির খাঁ (২২)।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া হঠাৎ রূপ পরিবর্তন এবং বজ্রপাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে দুটি গরুও মারা গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক দিন। বজ্রপাতের সময় নিরাপদে থাকার বিষয়ে সচেতনতা আরও বাড়ানো জরুরি। নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, নিহতদের পরিবারকে প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ওসি মো. ছমিউদ্দিন বলেন, বজ্রপাতের সময়ে খোলা মাঠে অবস্থান করায় এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। সচেতনতার অভাবকেও কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ: ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় বজ্রপাতে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৬০), শ্রীনগর ইউনিয়নের ইউনুস মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২৮) ও কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের হাজারী নগর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী সফু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (১৭)। তিনি ভৈরবের হাজী আসমত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ফারুক মিয়া বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাওরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন এ ছাড়া ফয়সাল মিয়া বাড়ির পাশের জমিতে ধানের খড় আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। অপরদিকে কবির হোসেন জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা জুই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বজ্রপাতে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
অপরদিকে হোসেনপুর উপজেলার কুড়িঘাটে এলাকায় বজ্রপাতে আহত হন আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকো।
শেরপুর: জেলার নালিতাবাড়ীতে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন খবির উদ্দিন (৪৫) নামে এক কৃষিশ্রমিক। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক শ্রমিক সকুল (২০)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত খবির উদ্দিন ও আহত সকুল দুজনেই একই উপজেলার উত্তর কাপাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খবির উদ্দিন, সজমুল মিয়া এবং আরও কয়েকজন শ্রমিক মজুরির বিনিময়ে আন্ধারুপাড়ার কৃষক সারোয়ার হোসেনের বোরো ধান কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে খোলা মাঠেই বজ্রপাতে খবির উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সকুল আহত হন। পরে তাদের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খবির উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সকুল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাহাদ রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা। তিনি বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ফোর্স পাঠিয়েছি। বজ্রপাতের সময় ৮-৯ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর মধ্যে একজন নিহত হন ও ৩-৪ জন আহত হন। তবে আহতদের অবস্থা এখন ভালো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা-বুলপুরে বজ্রপাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫৫) নামে একজন ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কাইয়ুম নয়াগোলা-সাতনইল মহল্লার মৃত্যু সাইফুউদ্দিনের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, বিকেলে সদর উপজেলার বুলনপুর এলাকায় ধান কাটছিলেন আব্দুল কাইয়ুম। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে পরিবারে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে নিহত বেড়ে ২ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১১ মে) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মরাকুড়ি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, স্থানীয় ছনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মজি মিয়ার ছেলে মো. সজীব (২৩) এবং পার্শ্ববর্তী চর ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আফছর আলীর ছেলে মো. সুরুজ মিয়া (৬০)।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান শফিক খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নিহত সজীবের প্রতিবেশী চাচা মো. আজাদ জানান, ঘটনার সময় নিহত সজীব গরুর খাবারের জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিড়য়েছিল। এ সময় হঠাৎ ঝড় শুরু হলে সে একটি কড়ই গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ঝড়ের কবলে গাছটি উপড়ে গিয়ে সজীবের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুম মিয়া খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে সজীব নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে, ঝড়ের সময় বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুরুজ আলী নামে এক ব্যক্তি। এ সময় হঠাৎ ঝড়ের কবলে একটি গাছের ডাল ভেঙে তার মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই সেও মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোবারক হোসেন।

সারাদেশ
কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন

বিনা পারিশ্রমিকে ৩ হাজারের বেশি কবর খনন করা সেই মনু মিয়া মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মনু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়সিদ্দি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
কবর খুঁড়ে তিনি পার করে দিয়েছেন তার ৬৭ বছরের জীবনের সুদীর্ঘ ৪৯টি বছর। কোনো ধরনের পারিশ্রমিক কিংবা বখশিস না নিয়ে এ পর্যন্ত খনন করেছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর।
দূরের যাত্রায় দ্রুত পৌঁছাতে নিজের ধানী জমি বিক্রি করে বেশ কয়েক বছর আগে কিনেছেন একটি ঘোড়া। এই ঘোড়ার পিঠে তিনি তুলে নেন তার যাবতীয় হাতিয়ার-যন্ত্র। সেই ঘোড়ায় সওয়ার হয়েই শেষ ঠিকানা সাজাতে মনু মিয়া ছুটে চলতেন গ্রাম থেকে গ্রামে। তবে সে ঘোড়াটিও মারা যায় এ বছর ১৬ মে।
সারাদেশ
পশুর নদীতে ডুবে গেলো কার্গো জাহাজ

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই কার্গো জাহাজ। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদীর ত্রিমোহনা সংলগ্ন চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ এমভি মিজান-০১ এর ড্রাইভার শওকত শেখ জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এমভি কে আলম গুলশান-০২ নামক লাইটার কার্গো জাহাজ অ্যাংকর করে থাকা এমভি মিজান-০১ কার্গো জাহাজের ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। এতে ৯১৪ মেট্টিক টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে এ ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ড্রাইভার শওকত আরও বলেন, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় তাদের কার্গো জাহাজের পাশ ও তলা ফেটে নদীতে ডুবে গেছে। ওই জাহাজে থাকা ১০জন স্টাফই সাঁতরিয়ে কুলে উঠে এখন নিরাপদ রয়েছেন।
এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছ বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, কার্গো জাহাজ এমভি মিজান-১ অপর একটি লাইটার জাহাজ এমভি কে আলম গুলশান-০২ এর ধাক্কায় পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে। তবে বন্দর চ্যানেল সুরক্ষিত রয়েছে। বন্দর চ্যানেল দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ধর্ম ও জীবন
সৌদি আরবে কক্সবাজারের ওয়াহিদুর রহমানের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

কক্সবাজারের কৃতী সন্তান আ.ফ.ম.ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন, গর্জনীয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হেড মাওলানা। তার দাদা মাওলানা ওবায়দুল হক চট্টগ্রামের বিখ্যাত দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
অ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমান বর্তমানে পবিত্র হারামাইন শরীফাইন সৌদি আরবের অনুবাদ প্রকল্পে বাংলা বিভাগে অনুবাদক, ভাষ্যকার ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।
তিনি সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। তার গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল- ‘ইমাম আল-বায়হাকী আস-সুনান আল-কুবরায় যা বর্ণনা করেছেন তার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ডাকার আইনশাস্ত্র’।
তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা-ই- আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল তাফসির বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের রঙ্গিখালী দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের উম্মুল মাদারিস খ্যাত চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হন।
তিনি ১৯৯৯-২০০৪ ইংরেজি সাল পর্যন্ত ঢাকা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আ.ফ.ম.ওয়াহীদুর রহমান মাক্কী সৌদি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ পৃথিবীর ২০টি ভাষায় খুতবাতুল আরাফার তথা হজের খুতবাহ সম্প্রচার প্রকল্পে বাংলা ভাষ্যকার হিসেবে ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ও তিনি মক্কায় ইসলামিক সেন্টার এর একজন দায়ী হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে দাওয়াতী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
কাফি
সারাদেশ
পাবনায় ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুট

পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুটি কম্পিউটার ভাঙচুর ও হার্ডডিস্ক লুট করা হয়। প্রমাণ ধ্বংস করতে এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
বুধবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার টেবুনিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ব্যাংক খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয়, পুলিশ ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শেষে ব্যাংক বন্ধ করে চলে যান শাখা সংশ্লিষ্টরা। পরদিন ব্যাংকের অফিস সহকারী (মেসেঞ্জার) রাসেল এসে ব্যাংক খুলে দেখেন জানালার গ্রিল কাটা এবং পুরো ব্যাংক তছনছ অবস্থায় রয়েছে। পরে সংশ্লিষ্টদের খবর দিলে দেখা যায়, ভল্টে থাকা টাকা, কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে ব্যাংকের অফিস সহকারী রাসেল প্রামাণিক বলেন, রাতের কোনো একটি সময় এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। সকালে অফিসে ঢুকে দেখি জানালার গ্রিল কাটা, কম্পিউটার ভাঙা ও চেয়ার ছড়ানো। এরপর আমি স্যারদের জানাই।
এজেন্ট শাখার ইনচার্জ নাঈম হাসান বলেন, খবর পেয়ে অফিসে এসে দেখি ভল্ট ভাঙা ও তাতে থাকা ১২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেই। অফিসের দুটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এবং সিসিটিভি সিস্টেমও ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় চেয়ারে ঘটনায় জড়িতদের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভল্ট ভেঙে টাকা ও কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে দাবি শাখা সংশ্লিষ্টদের। তবে ভল্ট ভাঙা হয়েছে বলে মনে হয়নি। ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের দ্বন্দ্বেও এমনটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
সারাদেশ
২৪ ঘণ্টায় সিলেটে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে নতুন করে আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে সিলেটে ছয়জন করোনা আক্রান্ত হলেন। বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জন। তাদের মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে তিনজন, নর্থইস্ট হাসপাতালে একজন, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও সীমান্তিকে একজন।
এদিকে নতুন করে সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু হওয়ায় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে করোনার পরীক্ষার কিটসহ সব সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনিসুর রহমান জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার চাহিদা কম থাকায় শুধুমাত্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চলবে পরীক্ষা। রোগী বাড়লে বাকি দুটি ল্যাবও ব্যবহার করা হবে।