আন্তর্জাতিক
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে চিরবৈরী দুই পক্ষই। কিন্তু, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার এক রাত পার না হতেই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে ভারত ও পাকিস্তান।
রোববার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পাল্টা হামলার কথা জানায় ভারত।
এছাড়া, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এবং জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী দায়িত্বশীল ও সংযমীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতির সফল বাস্তবায়নে যেকোনও জটিলতা সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। একইসঙ্গে সীমান্তে অবস্থানরত সৈন্যদেরও সংযম প্রদর্শন করা জরুরি।
এর আগে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ভারত।
গভীর রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান ফের গোলাগুলি শুরু করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তান দায়ী।
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় সেনারাও এর সমুচিত জবাব দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভারত আশা রাখে, পাকিস্তান পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে অবিলম্বে এই চুক্তিভঙ্গ বন্ধ করবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনও ধরনের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূলত, শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর, বারামুল্লা ও জম্মু। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরগুলোতে।
কাফি

আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তানে ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষ, নিহত ৭১

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হেরাতে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাক এবং মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বাসযাত্রীসহ মোট ৭১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে হেরাতের গুজারা শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন হেরাত প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ মুত্তাকি।
হেরাত প্রাদেশিক পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ সাইদি জানিয়েছেন, বাসটি ইরান থেকে কাবুলের দিকে আসছিল; যাত্রীরা সবাই আফগান নাগরিক। বাসটির বেপরোয়া গতি এবং চালকের অসতর্কতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সাইদি।
গত শতকের আশির দশকে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত বাহিনীর সামরিক অভিযানের সময় হাজার হাজার আফগান ইরানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সরকার এসব শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে জানুয়ারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি আফগান।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনার শিকার বাসটির যাত্রীরাও শরণার্থী হিসেবে ইরানে বসবাস করছিলেন। সরকারি আদেশের পর তারা আফগানিস্তানে ফিরে আসছিলেন।
ইউসুফ সাঈদি জানান, বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকা বাসটির সঙ্গে প্রথমে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষ হয় এবং তার কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি জ্বালানিবাহী ট্রাককে আঘাত করে বাসটি। এতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং নিহতদের অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক, তার সহকারী এবং মোটর সাইকেলের চালক এবং যাত্রী— এই চার জন ব্যাতীত বাকি ৬৭ জনই বাসযাত্রী ছিলেন।
সাঈদি জানিয়েছেন, বাসটির মাত্র তিনজন যাত্রী বেঁচে আছেন।
আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনা বিরল নয়। দুর্বল সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, পাহাড়ি পথ এবং চালকদের অসতর্কতার জন্য প্রায়েই বড় দুর্ঘটনা ঘটে দেশটিতে। গত ডিসেম্বরে একটি জ্বালানি ট্যাংকার ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ৫২ জন নিহত হয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা আসছেন বৃহস্পতিবার

চার দিনের সফরে আগামী বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। তার সফরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গতিশীল করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, গত জুনে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। নানা কারণে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন উনি আসছেন। চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় আসবেন।
ঢাকা সফরকালে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর মূল বৈঠকটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও সরকারের আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বসবেন কামাল খান।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় সফরে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। সেসময় এ সমঝোতা স্মারকটি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আন্তর্জাতিক
বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে অধ্যয়নরত ৬ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থী ভিসা ইস্যুতে কড়াকড়ি আরোপ করার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফক্স ডিজিটাল।
ভিসা বাতিলের পেছনে প্রধান অভিযোগগুলো হলো আইন ভঙ্গ, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ভিসা আইন ভঙ্গের কারণে বাতিল হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনের ৩বি ধারা অনুযায়ী ২০০ থেকে ৩০০ ভিসা বাতিল হয়েছে। যেখানে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে মানবজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া চলতি বছর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিভিন্ন দেশের দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনকারীদের বিস্তারিতভাবে যাচাই করার জন্য। বিশেষত যাদের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ইতিহাস রয়েছে। তাদের আবেদন আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মে মাসে কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে যেসব বিদেশি অতিথি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তাদের ভিসা আমরা বাতিল করতে থাকব।
তবে ডেমোক্র্যাটরা এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও আইনি অধিকার হরণের শামিল।
আন্তর্জাতিক
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: রুবিও

ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের দিকে প্রতিদিনই নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন এবং তা যেকোনো ভেঙেও যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রবিবার (১৭ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দুই পক্ষ সমানভাবে থামতে রাজি না হলে কোনো যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী হয় না। সেই সঙ্গে তিনি ভারত–পাকিস্তান প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
মার্কো রুবিও বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন এবং তা যেকোনো ভেঙেও যেতে পারে। রুবিও বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। এ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একাধিকবার দাবি করেছেন, তার মধ্যস্থতায় দিল্লি ও ইসলামাবাদ গত মে মাসে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ট্রাম্প বলেন, ‘সেটি হয়তো পারমাণবিক সংঘাতে গড়াতো, আমি সেটি ঠেকিয়েছি।’
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর থামানোর জন্য কেউ চাপ দেয়নি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও জানান, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি আসেনি।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ২২ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ২২ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৭ থেকে ১৩ আগস্ট জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে রোববার খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৯৯৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৪৩৪ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৬৯৭ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ৮৬৬ জন রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন এক হাজার ৭৮৭ জন। তাদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৫ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬৪ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ১ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ২৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৮ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫ হাজার ৪৩৯ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ হাজার ৮৩৭ জন পুরুষ এবং দুই হাজার ৬০২ জন নারী।
গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ২ হাজার ৯৭৩ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১২ হাজার ৮৬১ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে। সূত্র: গালফ নিউজ।