রাজনীতি
আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ

শাহবাগে ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছিল, আর শাহবাগেই তার পতন হলো। শনিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সরকারি কার্যদিবসে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
রাতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের ‘উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি’ পড়ে শোনান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। এই সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল যেকোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
এছাড়াও, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, শাহবাগের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন করে সরকার পক্ষের আপিল করার বিধান যুক্ত করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
তিন দফার, এক দফা বাকি থাকতেও রাস্তা ছাড়বো না: হাসনাত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ ছাত্র-জনতা ঘোষিত তিন দফার একটি দফা বাকি থাকা পর্যন্তও ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত সংগঠকদের অন্যতম নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (১০ মে) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “তিন দফার একটি দফাও বাস্তবায়ন না হলে আমরা এই রাজপথ ছাড়বো না। আমরা পাঁচ আগস্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এসেছি।”
ছাত্র-জনতা ঘোষিত তিন দফা দাবিগুলো হলো:
১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. ‘জুলাই বিপ্লব’-এর ঘোষণাপত্র অবিলম্বে জারি করতে হবে।
হাসনাত বলেন, “এই দাবিগুলো আমাদের সংগ্রামের মূলমন্ত্র। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ছক নয়, এটি শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত দাবি।” তিনি আরও বলেন, “প্রিয় সংগ্রামী সহযোদ্ধারা, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।”
শাহবাগে উপস্থিত ছাত্র-জনতা জানান, তারা বর্তমানে যে চেতনার ওপর দাঁড়িয়ে লড়ছেন, তা ‘পাঁচ আগস্টের অসমাপ্ত বিপ্লবের ধারাবাহিকতা।’ বক্তারা জানান, নানা বাহানা ও ধূর্ত কৌশলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি উপেক্ষা করা হলে, রাজপথ আরও উত্তপ্ত হবে।
আন্দোলনকারীরা আশাবাদী, এই তিন দফা আদায়ে জনগণ তাদের পাশে থাকবে এবং রাজপথই হয়ে উঠবে ন্যায়বিচারের প্রধান মঞ্চ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বর্তমান সরকারকে সফল দেখতে চাই: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অতীতে সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বর্তমান সরকারকে তারা সফল হিসেবে দেখতে চান।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গৌতম বুদ্ধ তার অনুসারীদের জন্য পঞ্চশীল বা ৫টি মৌলিক শিক্ষা ঘোষণা করেছিলেন। প্রতিটি ধর্মেরই কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা ও মৌলিক শিক্ষা রয়েছে। বিশ্বে সত্য, ন্যায় ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই প্রতিটি ধর্মের মূল লক্ষ্য। বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সমাজ বাস্তবায়নের জন্য ভূমিকা রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। দল-মত নির্বিশেষে সবার নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হলে নিরাপদ ও মানবিক রাষ্ট্র এবং সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ কায়েম করেছিল, জনগণ তাদের অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ১৯৭১, ৭৫, ৯০ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষ দুটি বিষয়ে একমত: বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আর কেউ তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না এবং গণতন্ত্রবিরোধী পলাতক তাঁবেদার অপশক্তি আর মাথাচাড়া দিতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, যারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণ আয়না ঘর স্থাপনকারী, গুম-খুন-অপহরণ ও দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের পুনর্বাসন চায় না। বিএনপি এই সরকারকে সফল দেখতে চায়। এজন্য সরকারের কাছে একটি স্বচ্ছ পথনকশা ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের ফ্যাসিবাদ পতনের পর গত ১৫ বছরের দুর্নীতি ও কুকর্ম আলোচনায় রাখা দরকার। ফ্যাসিবাদী শাসনের দীর্ঘ দেড় দশকে জঙ্গি নাটক ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা আড়াল করা হয়েছিল। কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনার বিচার হলে ভবিষ্যতে কেউ এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, যে রাষ্ট্রে নারী, শিশু ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠী নিরাপদ বোধ করে না, সেই রাষ্ট্র ভালো রাষ্ট্র হতে পারে না। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতিটি অধিকার সমানভাবে ভোগ করবে। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে এমন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যারা জবাবদিহিতা করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি-সমৃদ্ধিতে শামিল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়ার আছে। সবাই মিলে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবিধানিকভাবে সবাই নাগরিক এবং বাংলাদেশি। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। সবাই মিলে সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার কামনা করেন তিনি।
বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সুভাষ চন্দ্রা চাকমার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকারসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ মানবিক করিডোরের জন্য উপযুক্ত নয়: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাখাইন রাজ্যসহ পুরো মায়ানমারে এখন চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। আরকান আর্মি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে অমানবিক আচরণ করছে এবং লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে ঘরছাড়া করেছে। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যে কোনো কার্যকর কর্তৃপক্ষ নেই। এই নাজুক পরিস্থিতিতে মানবিক করিডোর স্থাপন করা হলে পুরো এলাকা আরও অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ শনিবার গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত “মানবিক করিডোর: সমস্যা বা সম্ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনাব মান্না আরও বলেন, তাড়াহুড়ো করে করিডোর দেওয়া উচিত হবে না। মানবিক করিডোর সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। সরকারের উচিত হবে এই স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করা।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ডঃ মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, মানবিক করিডোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্যায়। তিনি সরকারের প্রতি অবিলম্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।
কর্নেল হাসিনুর রহমান (অব.) বীর প্রতীক বলেন, আরাকান আর্মি একটি অমানবিক ও বর্বর বাহিনী এবং তাদেরকে বিশ্বাস করা মারাত্মক ভুল হবে। যারা মানবিক করিডোরের কথা বলছেন, তাদের রাখাইন, আরকান আর্মি ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া। সভা সঞ্চালনা করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে আইয়ুব ভুঁইয়া বলেন, এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সকল গুরুত্বপূর্ণ পক্ষের সাথে আলোচনা না করে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এডভোকেট আকবর হোসেন, মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন, নাগরিক নারী ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, এডভোকেট শেখ ওমর, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মো: হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ইমরান চৌধুরী, নতুন ধারা জনতার পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নূর, অধ্যাপক মেহেদী হাসান, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, ভাসানী ম্যাপের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রুহুল আমিন প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে লাখো মানুষের ঢল

চট্টগ্রামে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১০ মে) নগরজুড়ে তীব্র গরমে কার্যত হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। এমন গরমের মধ্যেও নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
বিকেল ৩টায় সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আয়োজন শুরু হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী বলেন, তরুণদের সামনে রেখে আমাদের মূল লক্ষ্য এক কোটি তরুণ ভোটারকে উদ্বুদ্ধ করা। একইসঙ্গে রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে তরুণ সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও আমাদের উদ্দেশ্য।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল শহরের প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছে। তরুণ-যুবকদের কাছ থেকে আমরা ভালোই সাড়া পেয়েছি। পলোগ্রাউন্ড ময়দান থেকে লাখো তরুণ বিএনপির প্রতি তাদের সমর্থন জানাবে।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন তীব্র গরমের মধ্যেও সমাবেশে অংশ নিয়েছে কয়েক লাখ নেতাকর্মী। একদিকে গরম, অন্যদিকে মানুষের ঠাসাঠাসি; ফলে শঙ্কা রয়েছে হিট স্ট্রোকের। ঝুঁকি এড়াতে নেতাকর্মীদের জন্য প্রায় ৭২ হাজার লিটার পানির ব্যবস্থা করেছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এ ছাড়া করা হয়েছে শরবতের ব্যবস্থাও।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেছেন, সমাবেশে আসা প্রত্যেক নেতাকর্মী যেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকেন, এ কারণেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ কালবেলাকে বলেন, দাবদাহের মধ্যেও এই তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে এবং আগত নেতাকর্মীদের জন্য আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা করেছি। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের জন্য আমরা দুই হাজার কেইস পানির ব্যবস্থা করেছি। যুবদল এবং ছাত্রদলও আমাদের মতো একইভাবে পানির ব্যবস্থা রেখেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে চলছে গণজমায়েত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত শুরু হয়েছে। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগে থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে থাকেন।
ইতোমধ্যে গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ (আপ বাংলাদেশ) বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আরও বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের এ জমায়েতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সিবগাতুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন।
এদিকে, গণজমায়েতে যোগ দিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গণমিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ ইউনুছ আহমদ।
অন্যদিকে, ছাত্র-জনতার অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ের প্রতিটি সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। গতকালের (শুক্রবার) মতো আজও শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় শাহবাগে আন্দোলন শুরু হয়। এর আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের পাশের মঞ্চ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শাহবাগে এসে অবরোধ শুরু করেন। সারারাত সেখানে অবস্থান করেন তারা।
রাত ১১টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় শাহবাগে গণজমায়েতের আহ্বান জানান এবং অবস্থান কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণা দেন।