রাজনীতি
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে লাখো মানুষের ঢল

চট্টগ্রামে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১০ মে) নগরজুড়ে তীব্র গরমে কার্যত হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। এমন গরমের মধ্যেও নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
বিকেল ৩টায় সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আয়োজন শুরু হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী বলেন, তরুণদের সামনে রেখে আমাদের মূল লক্ষ্য এক কোটি তরুণ ভোটারকে উদ্বুদ্ধ করা। একইসঙ্গে রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে তরুণ সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও আমাদের উদ্দেশ্য।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল শহরের প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছে। তরুণ-যুবকদের কাছ থেকে আমরা ভালোই সাড়া পেয়েছি। পলোগ্রাউন্ড ময়দান থেকে লাখো তরুণ বিএনপির প্রতি তাদের সমর্থন জানাবে।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন তীব্র গরমের মধ্যেও সমাবেশে অংশ নিয়েছে কয়েক লাখ নেতাকর্মী। একদিকে গরম, অন্যদিকে মানুষের ঠাসাঠাসি; ফলে শঙ্কা রয়েছে হিট স্ট্রোকের। ঝুঁকি এড়াতে নেতাকর্মীদের জন্য প্রায় ৭২ হাজার লিটার পানির ব্যবস্থা করেছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এ ছাড়া করা হয়েছে শরবতের ব্যবস্থাও।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেছেন, সমাবেশে আসা প্রত্যেক নেতাকর্মী যেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকেন, এ কারণেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ কালবেলাকে বলেন, দাবদাহের মধ্যেও এই তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে এবং আগত নেতাকর্মীদের জন্য আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা করেছি। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের জন্য আমরা দুই হাজার কেইস পানির ব্যবস্থা করেছি। যুবদল এবং ছাত্রদলও আমাদের মতো একইভাবে পানির ব্যবস্থা রেখেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
বর্তমান সরকারকে সফল দেখতে চাই: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অতীতে সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বর্তমান সরকারকে তারা সফল হিসেবে দেখতে চান।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গৌতম বুদ্ধ তার অনুসারীদের জন্য পঞ্চশীল বা ৫টি মৌলিক শিক্ষা ঘোষণা করেছিলেন। প্রতিটি ধর্মেরই কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা ও মৌলিক শিক্ষা রয়েছে। বিশ্বে সত্য, ন্যায় ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই প্রতিটি ধর্মের মূল লক্ষ্য। বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সমাজ বাস্তবায়নের জন্য ভূমিকা রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। দল-মত নির্বিশেষে সবার নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হলে নিরাপদ ও মানবিক রাষ্ট্র এবং সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ কায়েম করেছিল, জনগণ তাদের অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ১৯৭১, ৭৫, ৯০ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষ দুটি বিষয়ে একমত: বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আর কেউ তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না এবং গণতন্ত্রবিরোধী পলাতক তাঁবেদার অপশক্তি আর মাথাচাড়া দিতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, যারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণ আয়না ঘর স্থাপনকারী, গুম-খুন-অপহরণ ও দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের পুনর্বাসন চায় না। বিএনপি এই সরকারকে সফল দেখতে চায়। এজন্য সরকারের কাছে একটি স্বচ্ছ পথনকশা ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের ফ্যাসিবাদ পতনের পর গত ১৫ বছরের দুর্নীতি ও কুকর্ম আলোচনায় রাখা দরকার। ফ্যাসিবাদী শাসনের দীর্ঘ দেড় দশকে জঙ্গি নাটক ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা আড়াল করা হয়েছিল। কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনার বিচার হলে ভবিষ্যতে কেউ এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, যে রাষ্ট্রে নারী, শিশু ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠী নিরাপদ বোধ করে না, সেই রাষ্ট্র ভালো রাষ্ট্র হতে পারে না। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতিটি অধিকার সমানভাবে ভোগ করবে। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে এমন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যারা জবাবদিহিতা করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি-সমৃদ্ধিতে শামিল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়ার আছে। সবাই মিলে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবিধানিকভাবে সবাই নাগরিক এবং বাংলাদেশি। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। সবাই মিলে সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার কামনা করেন তিনি।
বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সুভাষ চন্দ্রা চাকমার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকারসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ মানবিক করিডোরের জন্য উপযুক্ত নয়: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাখাইন রাজ্যসহ পুরো মায়ানমারে এখন চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। আরকান আর্মি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে অমানবিক আচরণ করছে এবং লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে ঘরছাড়া করেছে। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যে কোনো কার্যকর কর্তৃপক্ষ নেই। এই নাজুক পরিস্থিতিতে মানবিক করিডোর স্থাপন করা হলে পুরো এলাকা আরও অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ শনিবার গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত “মানবিক করিডোর: সমস্যা বা সম্ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনাব মান্না আরও বলেন, তাড়াহুড়ো করে করিডোর দেওয়া উচিত হবে না। মানবিক করিডোর সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। সরকারের উচিত হবে এই স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করা।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ডঃ মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, মানবিক করিডোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্যায়। তিনি সরকারের প্রতি অবিলম্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।
কর্নেল হাসিনুর রহমান (অব.) বীর প্রতীক বলেন, আরাকান আর্মি একটি অমানবিক ও বর্বর বাহিনী এবং তাদেরকে বিশ্বাস করা মারাত্মক ভুল হবে। যারা মানবিক করিডোরের কথা বলছেন, তাদের রাখাইন, আরকান আর্মি ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া। সভা সঞ্চালনা করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে আইয়ুব ভুঁইয়া বলেন, এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সকল গুরুত্বপূর্ণ পক্ষের সাথে আলোচনা না করে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এডভোকেট আকবর হোসেন, মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন, নাগরিক নারী ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, এডভোকেট শেখ ওমর, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মো: হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ইমরান চৌধুরী, নতুন ধারা জনতার পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নূর, অধ্যাপক মেহেদী হাসান, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, ভাসানী ম্যাপের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রুহুল আমিন প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে চলছে গণজমায়েত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত শুরু হয়েছে। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগে থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে থাকেন।
ইতোমধ্যে গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ (আপ বাংলাদেশ) বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আরও বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের এ জমায়েতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সিবগাতুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন।
এদিকে, গণজমায়েতে যোগ দিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গণমিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ ইউনুছ আহমদ।
অন্যদিকে, ছাত্র-জনতার অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ের প্রতিটি সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। গতকালের (শুক্রবার) মতো আজও শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় শাহবাগে আন্দোলন শুরু হয়। এর আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের পাশের মঞ্চ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শাহবাগে এসে অবরোধ শুরু করেন। সারারাত সেখানে অবস্থান করেন তারা।
রাত ১১টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় শাহবাগে গণজমায়েতের আহ্বান জানান এবং অবস্থান কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণা দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ. লীগ নিষিদ্ধ না হলে স্বাধীনতা সংকটে পড়বে: নুর

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে এ দেশে আবার স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সংকট তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শনিবার (১০ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলের আগে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি— বড় বড় রাজনৈতিক দল অতীতে যেভাবে সমঝোতা করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়েছে, রাজনীতি করেছে তাদের আগে আঘাত পড়বে আমাদের বুকে। কাজেই এটা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আর কোনো আপস করা হবে না এবং সরকারকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
নুরুল হক নুর বলেন, এ আন্দোলনে আমাদের কিছু ছাত্রনেতা সামনে ছিল। আমরা নাহিদকে জিজ্ঞেস করতে চাই, সাত মাস সরকারে থেকে কেন এই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিল না। নাহিদ, আসিফ, মাহফুজ সরকারের বিশেষ সহকারী ছিল। সেখান থেকে প্রমোশন পেয়ে তারা উপদেষ্টা হয়েছেন। তারা যদি উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে বলতেন যে, মাননীয় উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা আমাদের ভাইয়েরা রক্ত দিয়ে আন্দোলন সফল করেছে। তাদের ত্যাগ ছাড়া আমাদের এখানে আসার কোরো সুযোগ ছিল না। তাদের কৃপায় আমরা এখানে এসেছি।
তাদের দাবি হচ্ছে ফ্যাসিবাদকে চিরতরে নির্মূল করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা। আপনি প্রধান উপদেষ্টা, আপনার প্রথম সিদ্ধান্ত ফ্যাসিবাদকে এ দেশ থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা। তারা কি বলেছেন, বলেন নাই। তারা আন্দোলনের মাধ্যমে নেতা হয়ে পুরানো বন্দোবস্তের মাধ্যমেই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং নিজেরা দল গঠনের মধ্যে ব্যস্ত থেকেছে।
তিনি আরও বলেন, যমুনা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন। এটি একটি স্পর্শকাতর জায়গা। একটা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল যাদের সমর্থনে এই সরকার আছে, সেই জায়গা থেকে কী আমরা যমুনার সামনে ঘেরাও করতে পারি? আমরা তো যমুনার সামনে যেতে পারি না। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ আলোচনার অনেক রাস্তা আছে। এতদিন খবর নেই, হঠাৎ করে তারা রাতের মধ্যে বিভিন্ন জনকে ডেকে লোকজনকে জড়ো করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আজকে অনুরোধ করা হয়েছে আমরা যেন নিরাপত্তার কারণে ওই এলাকাটি এড়িয়ে চলে। আমরা সরকারের প্রতি সহনশীল, আমরা যমুনার দিকে যাব না। আমরা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে এসেছি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, জাতীয় সংলাপ করেন আর নাই করেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় আজকে আমরা যমুনা ঘেরাও না করে আপনাদের ছাড় দিচ্ছি। পরবর্তীতে কোনো রাজপথের কর্মসূচিতে ছাড় দেওয়া হবে না।
উপদেষ্টা পরিষদকে দুর্বল ও ভঙ্গুর মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে বিপ্লব পরবর্তী সরকার চলছে না। তথাকথিত সুশীল কিংবা এনজিও ব্যক্তিত্ব দিয়ে এই সরকার চলবে না। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হবে না। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের অনুভূতি ও ন্যূনতম সেন্টিমেন্ট বোঝার চেষ্টা করছে না। সরকার যদি বুঝতে পারত তাহলে চেয়ারে বসার পরপরই তারা আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করত। এখন পর্যন্ত সরকারের নয় মাস অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু তারা টেস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
মিছিলের আগে বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তব্য শেষে তারা পল্টন এলাকায় মিছিল করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় স্মারকলিপি দিতে যান তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ব্লকেড নয়: হাসনাত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে আজ গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। সেইসাথে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতেও এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে রাজধানীর অন্যান্য পয়েন্ট যেমন মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্সল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না, ব্লকেড খুলে দিন।
এর আগে, শুক্রবার রাতে (৯ মে) শাহবাগ থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী নেতাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার নিশ্চিত ও জুলাই ঘোষণাপত্রের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া রাতে এক ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা লিখেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, জুলাই বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, ইসলাম বিরোধী, নারী বিরোধী, মানবতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থী সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।
কাফি