অর্থনীতি
মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: গভর্নর

মূল্যস্ফীতির হার ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব। টাকা ছাপালে অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যাবে। কিন্তু তাতে মূল্যস্ফীতি কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ব্যাংকার-এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, সংবিধান নারীকে সমান অধিকার দিলেও বাস্তবে তা নেই। কাগুজে স্বাধীনতা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। এজন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দরকার। এ সময় নারীদের ঋণ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নারীদের ভিন্ন ভাবে দেখলে হবে না। পিছিয়ে পড়া থেকে তাদের রক্ষা করার উপায় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। প্রত্যেকেরই হাইস্কুল পর্যন্ত পড়ালেখা করা উচিত। এ সময় মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার থেকে নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ, পণ্য প্রদর্শনী ও মেলা শুরু হলো। যা চলবে আগামী রোববার (১১ মে) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
মধ্যরাতে বিলুপ্ত এনবিআর, জন্ম নিল দুই বিভাগ

মধ্য রাতে বিলুপ্ত করা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই সঙ্গে জন্ম নিয়েছে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ। সোমবার মধ্যরাতের পর অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে।
বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করেই বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারি করেছে সরকার।
সোমবার (১২ মে) রাতে জারি করা অধ্যাদেশে শুধু রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলো প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টানা তৃতীয় দফায় কমলো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনায় ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৩ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১২ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ৯ ও ১১ মে দুই দফা সোনার দাম কমানো হয়। তার আগে ৬ ও ৭ মে দুই দফা বাড়ানো বাড়ানো হয়। এই দাম বাড়ানোর আগে ৪ মে ও ২৩ এপ্রিল দুই দফা সোনার দাম কমানো হয়।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৩ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬৫৯ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ১৯৩ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৯ টাকা।
এর আগে ১১ মে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯৯২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৮৬৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৭৩৫ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা

চলতি মে মাসের প্রথম ১১ দিনে ৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মকরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ১৯৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬ হাজার ৬২২ টাকা। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর একই সময়ে ১০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২৪ সালে মে মাসের প্রথম ১১ দিনে পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময় এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এদিকে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে ২.৭৫ বিলিয়ন (২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে গড়ে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এসেছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন (৫৪২ কোটি ডলার) ডলার বেশি এসেছে। আর সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়া যাবে ১৫ হাজার ডলার

বিদেশে চিকিৎসা খরচ নেওয়ার সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া চিকিৎসা খরচ ১০ হাজার ডলার নেওয়া গেলেও এখন থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পাঠানো যাবে।
সোমবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসা খরচ নেওয়া যাবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরও বেশি ডলারের নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন হবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া ১০ হাজার মার্কিন ডলার নেওয়া যেতো। নতুন নির্দেশনার ফলে সে সীমা আরও পাঁচ হাজার ডলার বাড়লো।
হাসপাতালের নামে বা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে এসব বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা যাবে। আর সীমার মধ্যে গ্রাহক চাইলে ৫ হাজার ডলার নগদ ছাড় করা যাবে বলেও জানানো হয় নির্দেশনায়।
বর্তমানে চিকিৎসাপ্রত্যাশীদের অনেকেই ভারতের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য দেশ বেছে নিচ্ছেন। সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে- থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব দেশে চিকিৎসা খরচ কিছুটা বেশি হওয়ায় বেশি ডলারের প্রয়োজন পড়ছে। এ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসা খরচে সীমা বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদে প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড অবৈধ: চেম্বার আদালত

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ প্রশাসক ও নতুন বোর্ড নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। গত বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত শুনানিতে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।
চেম্বার আদালতের আদেশে বলা হয়, প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড বসিয়ে নগদের ওপর সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা আইনসঙ্গত নয়। এর ফলে ডাক বিভাগের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে মূল মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারবে—এ নিয়ে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।
নগদ মালিকপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার রায়ের পর বলেন, এই রায় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করেছে, জোর করে প্রশাসক বসিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখল করা যায় না। সুপ্রিমকোর্ট একটি সাহসী ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সুশাসনের প্রতিফলন।
এবিষয়ে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, গত আট মাস আমি জার্মানিতে একটি রেগটেক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যেটি খুব শিগগির আরেকটি ইউনিকর্ন হতে চলেছে। তাই আমি নগদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ফিরছি না, এটি আমি বোর্ডকেও জানিয়ে দিয়েছি। তবে নগদ আমার সন্তানের মতো, তাই নতুন বোর্ড বা সিইও যদি কখনো আমার পরামর্শ চান, আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও এ বিষয়ে করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং স্পষ্ট করে দেন যে, প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
জানা গেছে, নগদের মালিকপক্ষ প্রথম থেকেই প্রশাসক নিয়োগকে অবৈধ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে এখন তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা যেমন অবৈধ, তেমনি তা দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ পরিবেশের জন্যও হুমকি।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই রায় শুধুমাত্র নগদের জন্য নয় বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং বেসরকারি খাতের স্বাধীনতা ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করবে।