সারাদেশ
আমতলী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের নজিরবিহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা

আমতলী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহা. বায়েজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপ, চাঁদাবাজি ও ঘুষ বাণিজ্যের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তার নজিরবিহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি চরম অস্তিত্বের সংকটে পড়ছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের গ্রুপিং, পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শিক্ষক, স্টাফদেরকে দমন-পীড়নসহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সুন্দরবন অধ্যুষিত দক্ষিণ বাংলার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় আমতলীতে মরহুম পীর সাহেব আল্লামা আব্দুল লতীফ (রাহি.) ১৯২৩ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।২০২১ সালে করোনাকালীন সময়ে আমতলী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পছন্দের প্রতিনিধি নিয়ে নিয়োগ, বোর্ড ম্যানেজ করে অধ্যক্ষ নিয়োগের পথ সুগম করেন। অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই তিনি মাদরাসার নামে সঞ্চিত সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। একটি নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ট অডিট হলে তার আর্থিক লেনদেনের অস্বচ্ছতা প্রকাশ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। নিয়োগের কিছুসময় পরেই তিনি মাদরাসার জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ এবং জমি থেকে আয়ের টাকায় নিজের জন্য কোয়ার্টার নির্মাণ করেন। নির্মাণ ব্যয়ে আর্থিক অস্বচ্ছতার অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে। মাদরাসা গভর্নিং বডির নির্দেশনা অনুসারে কোয়ার্টার নির্মাণের পরে অধ্যক্ষের নিয়মিত মাদরাসায় অবস্থান করার কথা থাকলেও তিনি সপ্তাহের ২ থেকে ৩ দিন নড়াইলে নিজের বাড়িতে অবস্থান করেন। ফলে মাদরাসা অধিকাংশ সময় অভিভাবক শূন্য হয়ে থাকে।
জানা গেছে, মুহা. বায়েজিদ হোসেন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে আমতলী মাদরাসার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী লিল্লাহ বোর্ডিং আানুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেন। বর্তমানে আমতলী মাদরাসায় অসহায়, দরিদ্র শিক্ষার্থীর ফ্রি খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই। এই অধ্যক্ষ, তার স্ত্রী, তার কন্যা এবং তার শ্যালিকার পুত্র নিয়মিতভাবে লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের জন্য বরাদ্দের খাবার খাচ্ছেন। সরকারীভাবে বেতনের সঙ্গে বাসা ভাড়া পেলেও তিনি মাদরাসার অর্থে অধ্যক্ষের জন্য নির্মিত ভিলার কোন ভাড়া পরিশোধ করেন না। বিদ্যুৎ বিল, এমনকি ইন্টারনেট বিলও তিনি পরিশোধ করেন না। তার কন্যা চলতি বছর অন্য মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা অংশগ্রহন করলেও নিয়মিত আমতলী মাদরাসায় ক্লাস করেছেন এবং নানান সুবিধা গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদরাসার শতবর্ষ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মাদরাসার ফান্ড থেকে টাকা তছরুপের অভিযোগ এসেছে। মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন এবং সভাপতির অনুমোদন ছাড়াহ অধ্যক্ষের নিজস্ব পকেট কমিটির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক শরণখোলা শাখায় একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলেন। অ্যাকাউন্টের নাম শতবর্ষ উদযাপন কমিটি। অ্যাকাউন্টে নম্বার: ২০৫০৩৭৪০২০১৬৯৮৯১৬। উক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মাদরাসার শতবর্ষ উৎসব পালনের জন্য চাঁদা আদায় করেন। অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েই সন্ন্যাসী বাজার শাখা অগ্রণী ব্যাংকে আমতলী মাদরাসার একটি ব্যাংক একাউন্ট (হিসাব নং ২২০০) থেকে গভর্নিং বডির অনুমোদন ছাড়াই লেনদেন করেন। বিধি অনুসারে অধ্যক্ষ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। কিন্তু সুচতুর অধ্যক্ষ মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা বোরহান উদ্দীনকে নিয়ে উক্ত ব্যাংক থেকে যখন তখন টাকা তুলে খরচ করছেন।
এ ব্যাপারটি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এডিসি জেনারেল অবগত হয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বেপরোয়া অধ্যক্ষ উক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থোত্তলন করে নিজের মর্জি মতো খরচ করে চলছেন। মাদরাসার মুহাদ্দিস নিয়োগের জন্য একজন প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়োগ বোর্ডের খরচের নামে টাকা নিয়েছেন অধ্যক্ষ বায়েজিদ হোসেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ নিয়োগ বোর্ডের অর্থ ভিন্ন খাত থেকে এসেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ল্যাসপেন্সার মাওলানা মুহা: বায়েজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে নড়াইলসহ দেশের বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে পুলিশের সঙ্গে মারামারিসহ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে অনেকবার জেল খেটেছেন বলে নড়াইলের স্থানীয় মানুষেরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়াইলে ওলামালীগের সক্রিয় নেতা মুহা: বায়েজিদ হোসেন বিগত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সময়ে স্থানীয় এমপি এডভোকেট আমিরুল আলম মিলনের ডান হাত হিসেবে চলতেন। মিলনের পরে তিনি এএইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নির্বাচনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি নড়াইলের বিনাভোটের এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং তার পিতা গোলাম মর্তুজার লোক হিসেবে সব জায়গায় পরিচয় দিয়ে সুবিধা আদায় করে নিতেন। মাশরাফির বাবাকে দিয়ে বিভিন্ন যায়গায় ফোন দিয়ে তদ্বিরও করতেন। তিনি মাদরাসা ক্যাম্পাসে সরকার দলীয় লোক ছাড়া কাউকে সহ্য করতেন না। আমতলী মাদরাসায় বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করে দেন। উপরন্তু আমতলী মাদরাসাকে আওয়ামীকরণের অংশ হিসেবে বিগত গভর্নিং বডিতে মাদরাসা পাশ্ববর্তী দুই আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন খান জাকির এবং মাস্টার সাঈদুর রহমানকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য হিসেবে সম্পৃক্ত করেন। ঐতিহ্যময় আমতলী মাদরাসায় এমন আওয়ামীকরণ এর আগে কখনও হয়নি।
সূত্র মতে, আমতলী মাদরাসার অধ্যক্ষ পুরো মাদরাসাকে কুক্ষীগত করার জন্য তিনি মাদরাসার হিফজখানা, লিল্লাহ বোডিং, এতিমখানা সহ মাদরাসা ক্যাম্পাসে অবিস্থত বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করেন। কোথাও নিজের পছ্ন্দমতো লোকদের বসান। এসব প্রতিষ্ঠানকে তিনি শতভাগ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেন। শতবছর ধরে চলে আসা আমতলী লিল্লাহ বোর্ডিং বন্ধ করে দেন। কিন্ত লিল্লাহ বোডিংয়ের জন্য বাজারের দোকান ভাড়া, ছ’মিল, চাষযোগ্য বিলান জমির ফসল এবং মানুষের দান-খয়রাত ও যাকাতের টাকার আয়-ব্যায়ের কোন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা কোথায় যায় অধ্যক্ষ এবং তার পোষ্য লোকজন ছাড়া আর কেউ জানে না।
সম্প্রতি আমতলী তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা তথা হিফজখানার নজিরবিহীন স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন সোচ্চার হলে প্রতিষ্ঠাতার নামে গঠিত আল্লামা আব্দুল লতীফ (রাহি.) ট্রাস্টের উদ্যোগে একটি সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সাধারণ সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে হিফজখানার জন্য একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটি গত ২৮ এপ্রিল সকালে হিফজখানা পরিদর্শনে গেলে অধ্যক্ষ পুরো ভবনটিতে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহন করছিলো।
সূত্র জানায়, স্থানীয় জনতার চাপের মুখে অধ্যক্ষ মুহা বায়েজিদ হোসেন তালা খুলে দিলেও আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা তার গুন্ডা বাহিনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়দের উপর হামলা চালায়। ঘটনার এক পর্যায়ে আলীয়া শাখার তৃতীয় পিরিয়ড চলাকালে অধ্যক্ষের নির্দেশে ডাবল ঘন্টা পিটিয়ে নিরীহ ছাত্রদেরকে মাঠে জড়ো করা হয়। অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ মাদরাসার শিক্ষক মো. জাকারিয়া হোসাইন, মো. রিয়াজ, সেলিম মোড়ল ক্লাসরুম থেকে ছাত্রদেরকে এনে নানান ধরণের উস্কানী দিতে থাকে। এতে যুক্ত হয় অধ্যক্ষের লাঠিয়াল বাহিনীর অন্যতম হোতা ফাজিল শ্রেণীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান দোহা, দাখির পরীক্ষার্থী মো. জাকারিয়া হোসাইন, অধ্যক্ষের শালিকাপুত্র দশম শ্রেণীর ছাত্র মো. গালিবসহ কয়েকজন। তারা উত্তেজক স্লোগান দিয়ে মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের সদস্যদের ওপর মব লিংঞ্চিং তথা উচ্ছৃঙ্খল ছাত্ররা যেন হামলা করে তার জন্য উস্কানী দিতে থাকে। অধ্যক্ষের নির্দেশে ছাত্ররা হিফজখানা ভবনে হামলার জন্য ধাওয়া করলে এসময় কিছু বিবেকবান শিক্ষক, স্থানীয় জনগন এবং পুলিশের হস্তক্ষেপের কারণে বড় ধরণের সহিংসতা এবং রক্তপাত এড়ানো সম্ভব হয়।
এ ঘটনায় মাদরাসার শুভাকাঙ্খী ও স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়ে। শান্তিপ্রিয় প্রত্যন্ত গ্রামবাসী এরকম সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসের আগে কখনো দেখেনি। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদরাসার দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অবিলম্বে মুহা. বায়েজিদ হোসেনের অপসারন চায়।
দুর্নীতি অনিয়মের কথা অস্বীকার করে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহা. বায়েজিদ হোসেন বলেন, ‘‘সঠিক নিয়মের মাধ্যমে আমি মাদরাসা পরিচালনা করছি’’।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক একাউন্ট ১৯৯৬ সাল থেকে যেভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল সেভাবে চালানো হচ্ছে’’।
কাফি

সারাদেশ
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, ঝুঁকিতে ৩৫ হাজার পরিবার

খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোর থেকে নিম্নচাপের প্রভাবে জেলায় টানা বৃষ্টি শুরু হয়। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার দুর্গম আলুটিলা এলাকায় একটি ছোট পাহাড় ধসে পড়ে। যদিও এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার। এর মধ্যে শুধু পৌর এলাকার ৩০টি স্থানে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার। বেআইনিভাবে পাহাড় কেটে কিংবা পাদদেশে ঘর তুলে এভাবে মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষজন বসবাস করছেন। বর্ষা এলেই বাড়ে তাঁদের আতঙ্ক।
পৌরসভার শালবন, কদমতলী, কুমিল্লাটিলা, মোল্লাপাড়া, কলাবাগান, নেন্সিবাজার, কৈবল্যপিঠ ও সবুজবাগ এলাকায় বহু পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানেও পাহাড়ের পাদদেশে মানুষজন বসবাস করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীরা বলছেন, বিকল্প জায়গার অভাবে তারা বাধ্য হয়ে এসব স্থানে বসবাস করছেন। তাদের দাবি, সরকারিভাবে পাকা সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণ কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হলে তাঁরা নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, “বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। ধস হলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে। তাই আমরা মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করছি।”
খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রশাসক ও জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, “সতর্কতার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন, যাতে সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে থাকতে পারেন।”
কাফি
সারাদেশ
সকাল থেকে ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জরুরি পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ১২ ঘণ্টা সাভারের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বুধবার (২৮ মে) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত সাভার ক্যান্টনমেন্ট এবং নবীনগর থেকে চক্রবর্তী মোড় পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার পূর্ব পাশে এবং নবীনগর হতে বংশী নদী পর্যন্ত এলাকায় পিএসআইজি বিতরণ লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত সব শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সাভার এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
সারাদেশ
তিন দাবিতে আব্বাস আলী সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি

সারাদেশের ন্যায় শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৮৭নং আব্বাস আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন।
আজ বুধবার (২৮ মে) বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা পুর্ন দিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো দীর্ঘদিনের হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষক সমাজে। শিক্ষক সমাজের প্রধান তিনটি দাবি হলো- এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেড প্রদান, উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
দাবিগুলোর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতির সময় ৮৭নং আব্বাস আলী সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন এবং শিক্ষক সমাজের প্রতি সংহতি জানান।
কর্মবিরতি পালন করেন- সহকারি শিক্ষক ওয়ালীউল্যাহ, সহকারি শিক্ষক শাহীন আহম্মেদ, সহকারি শিক্ষক রাবেয়া খাতুন, সহকারি শিক্ষক মো. ইদ্রিস আলী, সহকারি শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম জাকির, সহকারি শিক্ষক আসমা খাতুন, সহকারি শিক্ষক বিপ্লব বাকচী, সহকারি শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, সহকারি শিক্ষক মনির হোসেন।
উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, আমরা আমাদের মর্যাদা, অধিকার এবং ন্যায্য দাবিগুলোর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছি। দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সারাদেশ
রায়পুরায় কৃষকদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী পার্টনার কংগ্রেস

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা কৃষকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনব্যাপী পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে “প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন” ও এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মাসুদ রানা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ আব্দুল হাই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জামাল হোসেন, উপজেলা কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো:সোহেল রানা,উপজেলা সমবায় অফিসার রৌশনারা বেগম, সমাজ সেবা অফিসার খলিলুর রহমানসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।
এতে উপজেলা ২৪টি ইউনিয়ন ও১টি পৌরসভা হতে পিএফএস ও নন-পিএফএস সদস্য, জনপ্রতিনিধি,গনমাধ্যমকর্মী, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ মোট ১০০জন কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রানা জানান, উপজেলার কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদের উদ্বুদ্ধ করতে ইতোমধ্যে ৩৫টি কৃষক পার্টনার স্কুল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে রয়েছে ২৫জন করে কৃষক সদস্য। এসব স্কুলে কৃষকদের মাঝে উত্তর কৃষি চর্চা, ফল, ফল ও সবজি উৎপাদনে মানদণ্ড নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন,উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উন্নয়ন এবং কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির বিষয়ে প্রশুক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কাফি
সারাদেশ
ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেপ্তার ১

ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদা দাবির অভিযোগে সৌরভ মাহামুদুল (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (২১ মে) বিকালে চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানাধীন ফ্যালকন ফ্যাশন জোন বিজনেস পার্ক মকিমউদ্দিন শপিং সেন্টার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. সৌরভ মাহামুদুল চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জের পাতানিশের আব্দুল গণির ছেলে।
জানা গেছে, মো. সোহাগ হোসেন বিপ্লবের স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের বউ ও শালির পর্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। ছবি ও ভিডিও অজ্ঞাতনামা কেউ গোপনে সুকৌশলে সংগ্রহ করে এডিটের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ও তার আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়ে স্ত্রীর মানহানীসহ সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে। ওই আইডির ম্যাসেঞ্জার থেকে ম্যাসেজ দিয়ে ব্লাকমেইল করে ভুক্তভোগী কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা ভুক্তভোগীর স্ত্রীসহ অন্যান্যদের পর্নোগ্রাফি ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পুনরায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এজাহারের প্রেক্ষিতে যশোর জেলার পুলিশ সুপার রওনক জাহান রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) যশোরকে নির্দেশ প্রদান করেন। এক পর্যায়ে অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, যশোরের নেতৃত্বে এসআই দেবব্রত ঘোষ, এসআই শিবু মন্ডল সহ অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফেসবুক আইডির মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ছড়ানো সহ ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি ও ব্লাকমেইল করে টাকা দাবির ঘটনা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তিতে নগ্ন ছবি প্রস্তুত ও সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। সবশেষে আসমিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কাফি