পুঁজিবাজার
যুদ্ধের প্রভাব নয়, রাশেদ মাকসুদের প্রতি আস্থাহীনতায় ভয়াবহ পতন শেয়ারবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বড় ধরনের পতন হয়েছে। একদিনে ডিএসই প্রধান সূচক কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট। অনেকেই এটি ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধের প্রভাব মনে করলেও বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছে এটি যুদ্ধের প্রভাব নয়, রাশেদ মাকসুদ কমিশনে আস্থাহীনতায় পুঁজিবাজারে বড় পতন হয়েছে। যুদ্ধের উত্তাপের মধ্যেও ভারতের পুঁজিবাজার ইতিবাচক রয়েছে, অথচ দেশের পুঁজিবাজারে ভিন্ন চিত্র। এর একমাত্র কারণ রাশেদ মাকসুদের প্রতি আস্থাহীনতা আর একারণে ধারাবাহিক পতনের বৃত্তে আটকে আছে পুঁজিবাজার।
বুধবার (৭ মে) লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৮৫টির শেয়ারদর কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৪৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮০২ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৪১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ১০৪৭ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪০ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১৭৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৫১৬ কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৫৪৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৯টি কোম্পানির, বিপরীতে ৩৮৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এসএম

পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট আর সপ্তাহ শেষে তা ৯ দশমিক ৩০` পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও .১৪ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ বেড়েছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে ফারইস্ট ফাইন্যান্স

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩.৪০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২ দশমিক ৯০ টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২ দশমিক ৮০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বেক্সিমকো সুকুকের ৮ শতাংশ, আইবিবিএল বন্ডের ৭ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে ব্যাংক এশিয়া ফার্স্ট পারপেচুয়াল বন্ড

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংক এশিয়া ফার্স্ট পারপেচুয়াল বন্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে বন্ডটির দর বেড়েছে ৮৬ দশমিক ০২ শতাংশ। বন্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৮,৬৫০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্দো-বাংলা ফার্মার শেয়ার দর বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১২.৪০ টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রহিমা ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৯০.৮০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ইয়াকিন পলিমারের ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ, নিউলাইন ক্লথিংয়ের ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৬ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ন্যাশনাল টিউবসের ১৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে তাওফিকা ফুডস্ এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯.৩৫ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৫২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৫৪ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- সী পার্ল রিসোর্টের ৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারির ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা,ফাইন ফুডের ৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, অগ্নি সিস্টেমসের ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোর ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার।
কাফি
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২২ জুন থেকে ২৬ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সবকয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬৮টি কোম্পানির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম