জাতীয়
তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং সমাজে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে তরুণদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৬ মে) নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একদল তরুণ রাজনৈতিক কর্মী রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছি, না হলে তারা নীতিনির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে না।
সফররত নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ লীগের উপ-নেতা নাজমা আহমেদ, ওয়ার্কার্স ইয়ুথ লীগের আন্তর্জাতিক নেতা এবং কেন্দ্রীয় বোর্ডের সদস্য ফাওজি ওয়ারসাম, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কোফটারড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা সভেনেবি, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটস দলের সদস্য হ্যাডল রাসমাস বুল্যান্ড, গ্রিন পার্টির সহযোগী গ্রুপ গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টোকল্যান্ড ও ইয়ং লিবারেলসের সাবেক নেতা থাইরা হাকনসলোক্কেন।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি নরওয়েতে মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের শতাংশ সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, অনেক বাংলাদেশি তরুণই তাদের জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি। তারা জানতে চান, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারই হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। টানা তিন মেয়াদে একটি ভুয়া ভোট ব্যবস্থা চালু ছিল। কর্তৃপক্ষ একে বিশাল সাফল্য বললেও বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যাবশ্যক।
দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ‘পুরনো যুগের’ আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে প্রধান চ্যালেঞ্জটির মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো ‘জঙ্গল পরিষ্কার করা’ যা এটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে টুকরোগুলো তুলে নিয়ে নতুন সূচনার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। এটি আমাদের জন্য একটি পরিবর্তনশীল সময়। আমি শুধু আশা করি এই রূপান্তর সংক্ষিপ্ত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রাখাইনের প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব চায় বাংলাদেশ: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

বাংলাদেশ চায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে গঠিত আরাকান আর্মির প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হোক, এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
মঙ্গলবার (৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাখাইনের নতুন বাস্তবতায়, আমরা চাই সেখানে রোহিঙ্গারা প্রশাসনের সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্ব করুক। জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে আমাদের এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে উপদেষ্টা জানান, তাদের জন্য ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির আলোকে নেওয়া হবে।
সীমান্ত নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে যেই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করবে। এতে কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। বর্তমানে সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদারের প্রয়োজন নেই।”
রাখাইনে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত মানবিক করিডোর বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, “সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবাই একমত হলেও, করিডোর বাস্তবায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ। জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, বাংলাদেশ কখনো তা সমর্থন করে না।”
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসে রাখাইনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানোর জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা চান এবং একটি ‘মানবিক প্যাসেজ’ তৈরির প্রস্তাব দেন। এরপর ২৭ এপ্রিল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, এ প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাপানি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা

জাপানের বিখ্যাত নিপ্পন কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এনএসিএসবিডিডট লিমিটেডের সঙ্গে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে মামলায় ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে এখন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মামলার কাগজপত্র ঘেটে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। কোম্পানির বাংলাদেশ অংশের জন্য খোরশেদ আলম (মাইকেল) নামের এক ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করে। খোরশেদ আলমের পাসপোর্ট নম্বর বিআর ০৩২৪২৬১।
কোম্পানির এমডি হয়েও খোদ এই খোরশেদ আলম জাপানি এই কোম্পানির সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কোম্পানির নামে ক্রয় করা ফ্ল্যাট ও গাড়ী নিজের নামে লিখে নেওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। শুধু তাই নয় আড়াই হাজার ইকনোমিক জোনে কোম্পানির একটি নিজস্ব কারখানা স্থাপনের জন্য জমি ক্রয়ের কথা বলে জাপানি এই কোম্পানির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব ঘটনা টের পেয়ে নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড খোরশেদ আলমকে বরাখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে ঢাকার নিম্ন আদালতে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করে। মামলা নম্বর- ৬১৩/২০২২। যা পরবর্তীতে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবিআই তদন্তের পর খোরশেদ আলমকে প্রতারক ও জালিয়াত চিহ্নিত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এই মামলা মোকাবেলার জন্য কোর্টে হাজিরা দিতে একধিকবার ঢাকা সফর করেছেন নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক কায়োরি ফানহাসি। তিনি কয়েকবার ঢাকা সফর করে কোর্টে হাজিরা দিয়ে এ সমস্যার কোন সমাধান পাননি। ব্যর্থ হয়ে সবশেষ তিনি গত ২০ এপ্রিল জাপানে ফিরে যান।
খোরশেদ আলমের জালিয়াতির কথা জানতে পেরে এই কোম্পানির বাংলাদেশ অংশের জন্য খোরশেদ আমলমের স্থলে আরিফ হোসেন ভুইয়া নামের এক ব্যক্তিকে ব্যবস্থপনা পরিচালক নিয়োগ করে। যিনি অতীতে দেড় দশকের বেশি সময় জাপানে লেখাপড়া ও ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা মোকদ্দমা ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে কোম্পানি এখন বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সর্বশেষ গত মাসে ঢাকা সফরের সময় হতাশা ব্যক্ত করে এ ঘটনার দ্রুত সমাধান না হলে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক কায়োরি ফানহাসি।
এ বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নিপ্পন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোন সমাধান পাননি। আমিন ল্যান্ডস্কেপ নামের একটি কোম্পানির কাছ থেকে অফিস স্পেস কেনার জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ পরিশোধ করেছেন। কিন্তু সেই কোম্পানিও ফ্ল্যাট বুঝে দেয়নি গত ৫ বছরেও।
বরখাস্ত হওয়া সাবেক এমডি খোরশেদ আলম, আমি ল্যান্ডস্কেপের মালিক মো. হেলালউদ্দিন ও একেএম সামসুদ্দিনের সঙ্গে যোগাসাজশ করে ফ্ল্যাটের টাকা মেরে দেওয়ার পায়তারা করছে বলে জানান আরিফ হোসেন ভুইয়া।
এই আমি ল্যান্ডস্কেপের নামেও জালিয়াতির মামলা করেছে নিপ্পন কর্তৃপক্ষ। মামলা নম্বর সি আর ১০৪/২০২৫। বিদেশী বিনিয়োগ কথা বিবেচনা নিয়ে মামলাটি সরাসরি আমলে নেয় আদালত। আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। অবশ্য তারা স্বেচ্ছায় আত্ম সমপর্নের কথা জানিয়ে হাজিরা দেওয়ার কথা বললেও এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার খোরশেদ আলম মাইকেল বলেন, এ বিষয়ে আমি আদালতে বক্তব্য দেব।
জানা গেছে, এই কোম্পানীটি জাপানের বিখ্যাত নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টির অধিক দেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে। প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করে। সে সময় খোরশেদ আলম (মাইকেল) নামের এক ব্যক্তিকে এনএসিএসবিডিডট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করে। কোম্পানি দুই/তিন বছরের মধ্যে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক একটি স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন, এবং আড়াইহাজার ইকনোমিক জোনে একটি নিজস্ব কারখানা স্থাপনের জন্য সিদ্ধন্ত গ্রহন করে। সে অনুযায়ী এনএসিএসবিডিডট লিমিটেডের অনুকুলে খোরশেদ আলমকে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য টাকাও দেয় নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড। খোরশেদ আলম আড়াইহাজারে জমি না কিনে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিপ্পন থেকে মোটা অঙ্কের টাকার ছাড়িয়ে নেয়। একইভাবে স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য রাজধানীর ভাটারা এলাকায় একটি অফিস স্পেস কেনার জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা প্রদান করেন কোম্পানির পক্ষে। পরে তিনি ঐ ফ্লাটটি নিজের নামে লিখে নিতে কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। অথচ এটি হওয়ার কথা কোম্পানির নামে শুধু তাই নয়-কোম্পানির ব্যবহারের জন্য একাধিক গাড়ী ক্রয় কথা থাকলেও সেটাও তিনি নিজ নামে নিবন্ধন করে নেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এপ্রিলে ৫৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৩ জন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সারাদেশে ৫৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত এবং ১২০২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার (৬ মে) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পেয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, এই মাসে রেলপথে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৮টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৬১০টি দুর্ঘটনায় ৬২৮ জন নিহত এবং ১২০৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছেন।
এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে, সেখানে ১৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত ও ৩৭৭ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে, সেখানে ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৫১ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালকের অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।
দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসবিহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ করলো সরকার

অনলাইনে সকল ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা আইনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এ সপ্তাহে আইনটি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব বলেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি জানান, আগের সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৯টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগের সরকারের মনগড়া ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক মামলা বাতিল হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। যা আগের আইনে ছিল না।
তিনি জানান, বিগত সরকারের আমলে জাতির পিতা এবং জাতীয় পতাকা অবমাননা নিয়ে যেসব মামলা হতো সেগুলোসহ ৯টি ধারা বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া ৯টি ধারায় ৯৫ শতাংশ মামলা হতো, যা এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, তিনটা আইনের অনুমোদন হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। সীমানা পুনঃনির্ধারণ’ আইনের খসড়া অনুমোদন। সিভিল প্রসিডিউর কোর্ট-সিপিসি আইনের অনুমোদন। এর ফলে সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
উপদেষ্টা জানান, আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন এই ১০ দিন ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কাজের ব্যাঘাত যাতে না হয় তাই এর আগে ১৭ এবং ২৪ মে শনিবার অফিস খোলা থাকবে।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি থাকবে। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও এই দুইদিন অফিস খোলা থাকবে।
এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা ছিল।