রাজনীতি
হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার উদ্দেশ্যে যুক্ত যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তারেক রহমান নিজ বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে তাকে নিয়ে বের হন।
হিথ্রো বিমানবন্দরে কাতার আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেলে এটি খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকার পথে রওয়ানা করবে। তবে মাঝে কাতারে যাত্রাবিরতি করবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। আগামীকাল সকাল ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
এদিকে হিথ্রো বিমানবন্দরে আগে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করেছেন তাদের প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানাতে। ঢাকায়ও খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চার মাস পরে আবার সেই বাহনেই দেশে ফিরছেন তিনি।
এদিকে তার আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। দলীয় নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে বিএনপি নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো’ বলে লন্ডন ছাড়লেন খালেদা জিয়া

উন্নত চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার (০৫ মে) হিথ্রো বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান এবং তাঁদের স্বজন ও দলের নেতারা। এ সময় বিদায় নিতে গিয়ে সবার উদ্দেশে প্রিয় পুত্র তারেক রহমানের দিকে খেয়াল রাখার জন্য বলেন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার লন্ডন সময় বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিট) কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন বেগম খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে বিদায়বেলার আবেগঘন মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ বিএনপি মিডিয়া সেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়া হুইল চেয়ারে বসে আছেন। তাঁর পাশেই রয়েছেন ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান। এর পেছনেই আছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, বিমানবন্দরে বিদায়বেলায় তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার এক প্রশ্নের (কতদিন তাহলে তুমি থাকতেছো) জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি? তুমি ওঠে গেলে জাইমা চলে এলে আমি চলে যাব, বাপ-বেটি।’ এরপর খালেদা জিয়া সবাইকে আল্লাহ হাফেজ বলেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভালো থাকবে তোমরা। ভাইয়ার খেয়াল রেখো।’ পরে তিনি আবারও বলেন, ‘ভাইয়ার খেয়াল রেখো।’
এরপর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন তারেক রহমানের সঙ্গে আলিঙ্গন করে বিদায় নেন এবং বেগম খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া

চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।
সোমবার (৫ মে) যুক্তরাজ্য স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৯টা ১০ মিনিট) খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করে।
কাতারে অল্প সময়ের যাত্রাবিরতি শেষে মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল দশটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় উঠবেন তিনি।
এর আগে, সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তারেক রহমান নিজ বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে মা খালেদা জিয়াকে নিয়ে বের হন। যুক্তরাজ্য সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসহ ৯ জন।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চার মাস পরে আবার সেই বাহনেই দেশে ফিরছেন তিনি।
এদিকে তার আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। দলীয় নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে বিএনপি নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার পেছনে কে এই নাসির মোড়ল!

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল। আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নাসির মোড়লের নাম সামনে আসে।
নাসির মোড়ল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি শ্রীপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাস, ভাঙচুর ও অস্ত্র ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগে তার নামে শ্রীপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট শ্রীপুর উপজেলার প্রশিকা মোড়ে এক যুবলীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও ফাঁকা গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নাসির মোড়লসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলারও তিনি আসামি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে তিনি পলাতক বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন।
নাসির মোড়লের বাবা শফিক মোড়ল। তার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি মোড়ল পাড়া এলাকায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সম্প্রতি শফিক মোড়লকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার পর তাকে উদ্দেশ্য করে নাসির মোড়ল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘মবমারানীর থ্রেট দিছিলা মনে আছে? এখন কী হইলো। থ্রেট লাইক করি না মাইন্ড ইট।’
অন্যদিকে রাত ১০টা ৪১ মিনিটে ফেসবুকে এক পোস্টে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের প্রশ্ন করেন, ‘হাসনাতের উপর হামলাকারী কি এই নাসির মোড়ল?’ ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে নাসির মোড়লের বিভিন্ন পোস্টের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করেন তিনি।
এদিকে নাসির মোড়লের ওই পোস্টের পর ছাত্র জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার পর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা নাসির মোড়লের পোস্টে প্রমাণিত হয় এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ জড়িত। এবং পরিকল্পিতভাবে তারা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় ফেরার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এরপরই অপরাধীদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (০৫ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রবিউল হাসান। তিনি জানান, রবিবার সন্ধ্যায় এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার পরপরই দোষীদের শনাক্ত ও আটকে পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। অভিযানের ধারাবাহিকতায় রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান এনসিপির আরেক নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ।
হান্নান মাসউদ তার পোস্টে জানান, গাজীপুরের চান্দনায় হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন দ্রুত এগিয়ে আসেন, প্লিজ। একই তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন, হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা করেছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশেপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত আসা উচিত: নাহিদ ইসলাম

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক ইতিবাচক হবে প্রত্যাশা করে জাতীয় নগারিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতি আমরা সবাই দিচ্ছি, সেটি আরও কীভাবে কার্যকর করা যায়, সেই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করে রূপরেখা তৈরি করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত আসা উচিত।
রবিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি মনে করি, সেই সংস্কারের রূপরেখাগুলো এলে এবং বাস্তবায়ন হওয়া শুরু করলে আমরা বলতে পারবো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গণমাধ্যমের পরিবর্তনটা দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষে বিশ্বাস করে। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র চর্চার জন্য, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য, মুক্ত গণমাধ্যম অতি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। ফলে মত প্রকাশের অধিকার হরণ থেকেই আমাদের আন্দোলনের যাত্রা শুরু। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বলতে চাই— ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে গণমাধ্যমে দলীয়করণ, সরকারের হস্তক্ষেপ, সামাজিক চাপ থেকে বের হয়ে গণমাধ্যম কাজ করতে পারবে এবং সাংবাতিকরা তাদের নিরাপত্তা ও পেশাদারত্ব বজায় রেখে মানুষের পক্ষে কাজ করতে পারবে।
তিনি বলেন, মুক্ত গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো লড়াই করেছে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি, বাংলাদেশ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে৷ এটি আমাদের দেশের জন্য একটি সুখবর হলেও আমাদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা ছিল— আমাদের দেশের গণমাধ্যম পরিস্থিতি আরও ভালো থাকবে। সেই সূচককে একটি মানদণ্ড ধরলে আমরা এখনও অনেক নিচের দিকে আছি। বিগত ১৬ বছর একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের মধ্য দিয়ে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো গণমাধ্যমও দলীয়করণ এবং ফ্যাসিজমের দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়া এবং ফ্যাসিজমের সম্পর্ক বিগত সময়গুলোতে কী ছিল এবং মিডিয়ার ভেতরে যে ফ্যাসিজম প্রবেশ করেছে, সেখান থেকে মিডিয়াকে আমরা কীভাবে বের করতে পারবো, সেই বিষয়ে স্পষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ আমরা দেখছি, মিডিয়া এবং ফ্যাসিজমের যে সম্পর্ক বিগত সময়ে ছিল, সেই সম্পর্ক থেকে এবং আদর্শিক আধিপত্যের জায়গা থেকে যদি মিডিয়া বের না হয়, তাহলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে আমরা যে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রত্যাশা করি এবং জনগণের মিডিয়ার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হবে না। মিডিয়ার সুশাসনের বিষয়টি মিডিয়ার ভেতর থেকেই নিশ্চিত করা উচিত। সেই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনে প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।