ব্যাংক
এবি ব্যাংকের এমডি ও সিইও হলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান

বেসরকারি খাতের অন্যতম পুরোনো ব্যাংক এবি ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সৈয়দ মিজানুর রহমান। এবি ব্যাংকের পক্ষ থেকে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সৈয়দ মিজানুর রহমান ২০১১ সালের মার্চ মাসে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবি ব্যাংকে যোগদান করেন। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে, যা তিনি ২০২৪ সালের ১৩ আগস্টে গ্রহণ করেছিলেন, তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যাংকিং সেক্টরে দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে সৈয়দ মিজানুর রহমানের। এবি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি ঢাকা ব্যাংক, আইপিডিসি, ব্যাংক আলফালাহ এবং ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। এই দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং, রিটেইল, প্রসেস ট্রান্সফরমেশন, বিজনেস ডেভলপমেন্ট এবং কর্পোরেট কমিউনিকেশনসহ ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দক্ষতা ও জ্ঞানের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেনকে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে এই ছুটি কার্যকর হয়েছে এবং আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কিছু অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমডি ছুটিতে থাকাকালীন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) আবিদুর রহিম চৌধুরী ৪ আগস্ট পর্যন্ত এমডি বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, দেশের আরও সাতটি ব্যাংকের এমডিকেও বিভিন্ন কারণে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে, আবার কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মূলত অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছিল।
সাউথইস্ট ব্যাংকের অভ্যন্তরে কেনাকাটা, সংস্কার ও প্রচারের নামে বড় অঙ্কের অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, ব্যাংকটিতে নিয়োগ, তহবিল ব্যবহার এবং ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে এই অনিয়মগুলো ধরা পড়ে।
এইসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন ওয়ারেস উল মতিন (সাতটি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন), মোহাম্মদ তানভীর রহমান (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বিভাগের প্রধান) এবং এ কে এম নাজমুল হায়দার (কোম্পানি সচিব)। নিরীক্ষায় জানা গেছে, এই কর্মকর্তারা তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সহায়তায় ব্যাংকে একটি অনিয়মের চক্র তৈরি করেছিলেন।
উল্লিখিত সময়ে আলমগীর কবির ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বড় অঙ্কের জরিমানা সত্ত্বেও তিনি বহাল ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেও পরিচালক হিসেবে রয়ে গেছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বর মাসে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসে এবং ২০ বছর পর এম এ কাশেম পুনরায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে, ২০০৪ সাল থেকে টানা ২০ বছর আলমগীর কবির এই পদে ছিলেন।
এছাড়াও, সাউথইস্ট ব্যাংক ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী (সাবের হোসেন চৌধুরী, মোরশেদ আলম ও মামুনুর রশিদ কিরণ) এবং বেঙ্গল ব্যাংকের পরিচালক প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিদর্শনে এসব ভয়াবহ অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণ নিয়মিত দেখানোর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে। পরিদর্শনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার ঋণে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্যও উঠে এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বিদেশে শিক্ষা-চিকিৎসা ফি পাঠানো সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দেশের ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক কার্ড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বিদেশে পড়াশোনা, চিকিৎসা, ভিসা ফিসহ নির্দিষ্ট কিছু খাতে টাকা পাঠানো এখন আরো সহজ হবে।
আজ রোববার (৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে।
এর আগে শুধুমাত্র নিজস্ব নামে ইস্যুকৃত আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকগুলো এ ধরনের রেমিট্যান্স পাঠাতে পারত। নতুন নির্দেশনায় এই সুযোগকে আরো সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক কার্ড নেটওয়ার্ক-যেমন ভিসা, মাস্টারকার্ড বা ইউনিয়নপের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহকদের নির্ধারিত খাতে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সদস্যপদ ফি, তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত ব্যয়, বিদেশে শিক্ষার খরচ, ভিসা ফি, প্রশিক্ষণের নিবন্ধন ফি, চিকিৎসা খরচসহ কিছু নির্দিষ্ট খাতে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে।
ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করে জানান, এতে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ ও কম খরচে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এটি একটি বিকল্প চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার সঙ্গে সহজ ও দ্রুত হবে, যা ব্যাংকিং খাতকে আরও গতিশীল এবং আধুনিক করে তুলবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশী রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
দেশের সব অফিস আদালত ও প্রতিষ্ঠানে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপর রাখতে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে পরিপত্র জারি করে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এই পরিপত্র পরিপালন করে ১৩ এপ্রিল এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অভীষ্ট তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নির্ধারণের পরামর্শ পাওয়া গেছে।
রমজান, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুম একই সময়ে শুরু হবে। সেজন্য এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। শীতাতপ থার্মোস্ট্যাট নির্ধারিত তাপমাত্রায় ব্যবহারের মাধ্যমে এ চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার উপরে নির্ধারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
জব্দ হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন, প্রিমিয়ার ব্যাংককে জরিমানা

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নির্দেশনা দেওয়ার পরও, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবালের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেয় প্রিমিয়ার ব্যাংক। এর জন্য ব্যাংকটিকে জরিমানা করা হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ডলারের সমমূল্য, যা প্রায় ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বুধবার বিএফআইইউ ব্যাংককে এই জরিমানা সম্পর্কিত চিঠি পাঠিয়েছে, যা প্রিমিয়ার ব্যাংকের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফরকে বারবার কল করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি, এবং তার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মেসেজেরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে, ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের (স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী এবং তিন সন্তান) ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ। তাদের মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সে হিসাবও জব্দ করতে বলা হয়েছিল।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইকবালের জব্দ অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে, যার জন্য ব্যাংককে জরিমানা করা হয়।
এদিকে, ইকবাল ফেব্রুয়ারিতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেও, তার ছেলে ইমরান ইকবাল নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, ফলে ব্যাংকটি ইকবাল পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে। ইকবাল বর্তমানে প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান, যা একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে, যার মধ্যে পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট উৎপাদন এবং মেডিকেল সেন্টার অন্তর্ভুক্ত।
ইকবালের বিরুদ্ধে গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ, হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং রয়াল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, এবং সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয়েছে, ইকবাল একাধিক কোম্পানির মালিক হয়ে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা এবং সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয়ে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ হচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

তিন মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
নতুন সার্কুলার অনুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়া (রিপোর্টিং) ক্ষেত্রে তিন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের সিআইবি ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রম পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া তিন মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের যাবতীয় দলিলপত্রও দিতে হবে। তৃতীয়ত, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিষয়ে ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস-এসব তথ্য দিতে হবে।
তিন মাস পর পর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণসংক্রান্ত তথ্য কীভাবে দিতে হবে, এর নমুনা ফরম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি হলে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে-এসব তথ্য দিতে হবে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে, এসব তথ্য দিতে হবে।
২০২৪ সালের ১২ মার্চ এই ধরনের আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এসব তথ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও অধিকতর সংশোধন করা হয়েছে।