পুঁজিবাজার
রাশেদ মাকসুদের ব্যর্থতায় সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন, প্রশ্ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তবুও সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। বর্তমান চেয়ারম্যানকে সরিয়ে এ পদে যোগ্য লোক নিয়োগ দিলে বিনিয়োগকারীরা বাঁচবে বলে মনে করেন তারা।
সোমবার (৫ মে) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বর্তমান চেয়ারম্যান শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, তবু সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এছাড়া একই পোস্টের ছবিতে লিখেছেন, শেয়ারবাজার যোগ্য লোকদের হাতে দিন বিনিয়োগ কারীদের বাঁচান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘরে প্রায় সবাই শেয়ারবাজারের মন্দার জন্য খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অযোগ্যতা দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সমাধানে তার অপসারন চেয়েছেন।
এর আগে ১ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, দ্রুত যোগ্য ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব দিন—বর্তমান চেয়ারম্যানকে ঐ পদে রেখে শেয়ারবাজার আর ধ্বংস হতে দেওয়া উচিত নয়, এবং এ দেশে কোনো স্বজনপ্রীতি চলবে না।
জানা গেছে, পুঁজিবাজার বিষয়ে অদক্ষ ও অযোগ্য খন্দকার রাশেদ মাকসুদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই বাজারে মন্দাভাব কাটছে না। তার এই আট মাসে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে অর্ধ লাখ কোটি টাকার বেশি পুঁজি। তবে চলমান এই সমস্যা একমাত্র খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগের মাধ্যমে সমাধান বলে একমত পোষন করেছে শেয়ারবাজারের সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা। তারপরেও এই অযোগ্য কমিশন বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোকে পাত্তা না দিয়ে নির্লজ্জতার সঙ্গে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রেখেছে। এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। বাজারের এমন অবস্থায়ও সরকারের চুপ থাকায় প্রশ্ন তুলেছে তারা। সেই সঙ্গে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেছে তারা।
বাবুল আহমেদ নামের একজন শেয়ারবাজারের চলমান শোচণীয় অবস্থার জন্য স্বৈরাচারের দোসর ব্যাংক লুঠেরা বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আইসিবি চেয়ারম্যান আবু আহমেদকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে অর্থ উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তাই কোন আন্দোলন করে ওনাকে নামানো যাচ্ছে না। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদেরকে দয়া করে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে সঠিক বিষয়টি জানাতে অনুরোধ করেছেন। তিনি ছাত্রদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর পাশে দাড়াতে এবং অথর্ব ও অপদার্থ অযোগ্য চেয়ারম্যানকে সরিয়ে যোগ্য আশিক চৌধুরীর মতো মেধাবী সৎ ও যোগ্য লোকের মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে বাঁচানোর আকুতি করেছেন।
বাবুলের মতো অন্যান্যরাও মাকসুদ কমিশনের অপসারন চেয়েছেন। তাদের দাবি, রাশেদ মাকসুদ কমিশন অথর্ব ও অযোগ্য। তাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোন জ্ঞান নেই।
আজ সোমবার এই কমিশনের পদত্যাগের গুঞ্জনে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে দেখা গেছে। রোববার দুপুরে খবর আসে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে সরকারের পক্ষ থেকে পদত্যাগে চাঁপ দেওয়া হয়েছে। যে কারনে তিনি বিএসইসি থেকে বেরিয়েও গেছেন। এমন খবরে শেয়ারবাজার ঋণাত্মক থেকে ইতবাচকতার দিকে ধাবিত হয়।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
শেয়ার ব্যবসায় জড়িত বিএসইসির কমিশনার মোহসিন

দেশের শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। আইন লংঘন করে নিজ নামে শেয়ার ব্যবসা করছেন নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর দায়িত্বে আছেন। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আওতাধীন ‘জিরো ওয়ান লিমিটেড’ নামে একটি ব্রোকারেজ হাউসে তার সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য মিলেছে। ওই বিও অ্যাকাউন্ট নম্বর ১২০৪১৫০০৭৪৫১৮৭৩৪। ট্রেডিং কোড (ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেনের সংক্ষিপ্ত নম্বর) ৪৬৩। এতদিন বিএসইসির জুনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শেয়ার লেনদেন নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু কমিশনার পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার নিজ নামে সরাসরি শেয়ার লেনদেন করেছেন, এ ধরণের তথ্য এটিই প্রথম।
বর্তমানে তার ওই অ্যাকাউন্টে বাজারে সবচেয়ে বিতর্কিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার আছে। এক্ষেত্রে বাজারে তালিকাভুক্ত সবগুলোর কোম্পানির শেয়ার থেকে ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার নিন্ম সীমা) প্রত্যাহার করা হলেও বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে তা বহাল আছে। অর্থাৎ বেক্সিমকোর শেয়ারের দাম কমতে পারবে না। বেক্সিমকো ছাড়াও আরও ৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন তিনি। আর তিনি যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন সবগুলোই ছিল বিতর্কিত গেম্বলারদের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনাধীন। দীর্ঘ অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরণের কাজ আইন, বিধিমালা এবং নৈতিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এদিকে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বিএসইসির কর্মকর্তারা শেয়ার লেনদেন করতে পারেন না। ঘটনা সত্য হলে তা গর্হিত কাজ। বিষয়টি তদন্ত করে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতি পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলের তথ্য অনুসারে মোহসিন চৌধুরীর বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে সিএসইর ব্রোকারেজ হাউস ‘জিরো ওয়ান লিমিটেডে’। রহিমস প্লাজা, স্মার্ট হাব ষষ্ঠ তলা, জাকির হোসেন রোড, খুলশি চট্টগ্রাম। ব্রোকারেজ হাউসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৩.২ সিএসই-১০৪/২০২০/৩৩২। এই হাউসে মোহসিন চৌধুরীর বিও অ্যাকাউন্ট নম্বর ১২০৪১৫০০৭৪৫১৮৭৩৪। ট্রেডিং কোড ৪৬৩। বিও অ্যাকাউন্টে মোহসিন চৌধুরীর তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, জন্ম তারিখ ৬ জুলাই ১৯৬৪, পেশা: সার্ভিস, পিতা: নুরুল আলম চৌধুরী, মাতা খালেদা বেগম ঠিকানা ১০৭, গরিবুল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটি, খুলশি চট্টগ্রাম। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭৭৭১৫১৫৩৫৫। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ডাচবাংলা ব্যাংক, শান্তিনগর শাখা, অ্যাকাউন্ট নম্বর ১০৮১৫১০০২৬২৯৯। তবে টিআইএনের (করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর) জায়গা ফাকা রাখা হয়েছে। মোহসিন চৌধুরীর শেয়ার লেনদেনের ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান করেছে অর্থসংবাদ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে তার অ্যাকাউন্টে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে। অপরদিকে ৫ আগষ্টের সবগুলো কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলেও বেক্সিমকো এখনো আছে ফ্লোর প্রাইস। বেক্সিমকো ছাড়াও তার এই অ্যাকাউন্টে তিনি আরও ৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে তিনি যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন সবই বিতর্কিত গেম্বলারদের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। কোম্পানিগুলো হলো: নাভানা ফার্মা, জেএমআই হাসপাতাল অ্যান্ড মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিকদার ইন্স্যুরেন্স এবং ট্রাস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন করেছেন। তবে বর্তমানে এসব শেয়ার তার একাউন্টে নেই।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও ৩জন কমিশনারের মধ্যে মোহসিন চৌধুরী বিএসইসির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো তার আওতায়। ২০২৪ সালের ৮ মে মোহসিন চৌধুরীকে ৪ বছরের জন্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয় তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার। হিসেবে ২০২৮ সালের ৭ মে পর্যন্ত তার মেয়াদ। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি কর্মচারি কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাবেক কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মুসলিম চৌধুরীর আপন ছোট ভাই। ৫ আগষ্টের পর অন্যান্য কমিশনারদের বিদায় নিতে হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে স্বপদে বহাল আছেন মোহসিন চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১১ আগষ্ট বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করলে ১৭ আগষ্ট পর্যন্ত মোহসিন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল, বিএসইসি থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কমিশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি নিজ বা স্বামী/স্ত্রী, পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে ও পোষ্যদের নামে প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি মার্কেটে সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে কিংবা উক্ত প্রকার লেনদেনে কোনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। পরবর্তীতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশে ১৯৯৩’ (সংশোধিত) ইনসাইডার ট্রেডিং আওতায় আনা হয়। কিন্তু কোনো কিছুই আমলে নেননি তিনি।
এবিষয়ে জানতে বিএসইসির কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরীকে একাধিকবার মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক: ৫ আগষ্টের পর অর্থনীতির অন্যান্যখাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও ব্যাতিক্রম শেয়ারবাজার। এখানে টানা দরপতন চলছে। গত সাড়ে ৮ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজারমূলধন প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীরা কাফনের কাপড় নিয়ে মিছিল করেছে। ফলে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার দুপুর ১২টায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক এবং বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তবে বর্তমান রাশেদ মাকসুদ কমিশনের ব্যর্থতার কারণে দেশের শেয়ারবাজার তলানিতে রয়েছে। দীর্ঘদিন বিনিয়োগকারীরা রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করলেও এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কাজের ব্যাখা দেন, অন্যথায় এখনই অপসারণ চাইবো: রাশেদ মাকসুদকে এনসিপি নেতা

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, আপনি শেয়ারবাজারের জন্য কি কাজ করছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায়, আপনার অপসারণ এখনই চাইব। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিএসইসির চেয়ারম্যান হয়েছেন, অথচ আপনার উপরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই।
আজ শনিবার (১০ মে) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কাউকে পাত্তা দেবেন না, তা হবে না।”
এনসিপির যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যানের যোগাযোগ দক্ষতা (কমিউনিকেশন স্কিল) খুবই বাজে। তাকে এই বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ও বিডার নির্বাহি চেয়ারম্যান নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং আপডেট জানাচ্ছেন। তারা দেশের উন্নয়নে সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন। অথচ বিএসইসির চেয়ারম্যান কোন আপডেট দেন না। তিনি কি কাজ করছেন এবং তার প্রতিফলন কি, সেগুলো বিনিয়োগকারীদেরকে জানাতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে, রপ্তানি আয়ের ধারা আবার গতি পাচ্ছে এবং বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি কমে এসে মাত্র ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া জ্বালানির অপরিশোধিত অর্থ পরিশোধ করার পর রিজার্ভ এখনও ২০ বিলিয়নের বেশি, মুদ্রার মান তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল, আমদানি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার ফলে উৎপাদন ও বাণিজ্যে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বাহ্যিক খাতে আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে একটি নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করছে।”
এদিকে, শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে ফয়সাল বলেন, “বর্তমানে ডিএসই সূচক ৪,৯০০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এই পতনের পেছনে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, চলমান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং পাঁচ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ডে ১২.৩৯% সুদের হার। যা বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার থেকে সরকারি বন্ডে টেনে নিচ্ছে।” তবে, তিনি বলেন, “তবুও, শেয়ারবাজার এখন ঐতিহাসিকভাবে সস্তা। পিই রেশিও মাত্র ৯.৪১, যা ইঙ্গিত দেয়—এটা ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ।”
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, “বিএসইসি’র উদ্যোগ প্রশংসনীয় কিন্তু অসম্পূর্ণ। আমরা স্বীকার করি, গত ৮ মাসে বিএসইসি কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে, ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।”
এনসিপি নেতা বলেন, “আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান সংকটময় সময়ে পুঁজিবাজারে আস্থ্য ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারকে নিম্নোক্ত বাস্তবমুখী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিভিডেন্ডের কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরি পৃথিবীর কোথাও হয় না: এনসিপির যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেছেন, ডিভিডেন্ডের কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরি পৃথিবীর কোথাও হয় না।
শনিবার (১০ মে) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকেই রাশেদ মাকসুদের অপসারণ চান বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারের সঠিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং উন্নয়নে করণীয় নিয়ে আগামীকাল রোববার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন অযোগ্য কমিশনের অপসারণ চেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও এই বৈঠকে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার (১০ মে) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি তুলেন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেয়ারবাজার বুঝে এবং উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন কাউকে রাখা হয়নি। যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ব্রোকার, সম্পদ ব্যবস্থাপক, বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিসহ এসব স্টেকহোল্ডারদের কেউ থাকবে না। অথচ এরাই শেয়ারবাজারের বিদ্যমান সমস্যার কারন বুঝে। বিপরীতে যাদের নিয়ে অভিযোগ, তাদেরকেই রাখা হয়েছে বৈঠকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরবেন না প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
তাদের দাবি, বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত পতন। এর কারন হিসেবে মাকসুদ কমিশনের অযোগ্যতাকে দায়ী করেন বিনিয়োগকারীরা। তাই এই কমিশনের অপসারন চানা তারা। তবে নিজের আত্মীয় হওয়ায় অর্থ উপদেষ্টা তাকে অপসারণ করছেন না বলে অভিযোগ করেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীও রাশেদ মাকসুদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদেরকে নিয়েই শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও শক্তিশালী করার জন্য বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে অন্যসব স্টেকহোল্ডারদের কেউ থাকবে না। এতে করে ওই বৈঠকে প্রকৃতপক্ষে কোন ভালোকিছু হবে না বলে বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস।
বিনিয়োগকারীদের এ সংগঠনটির নেতারা জানান, মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।
মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে খুলনা পাওয়ার

বিদায়ী সপ্তাহে (৪ মে-৮মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে খুলনা পাওয়ারের শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এইচ আর টেক্সটাইলের শেয়ারদর কমেছে ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর হলো- মিথুন নিটিং এন্ড ডাইং, বসুন্ধরা পেপার মিলস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস এবং এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।