রাজনীতি
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার পেছনে কে এই নাসির মোড়ল!

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল। আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নাসির মোড়লের নাম সামনে আসে।
নাসির মোড়ল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি শ্রীপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাস, ভাঙচুর ও অস্ত্র ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগে তার নামে শ্রীপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট শ্রীপুর উপজেলার প্রশিকা মোড়ে এক যুবলীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও ফাঁকা গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নাসির মোড়লসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলারও তিনি আসামি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে তিনি পলাতক বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন।
নাসির মোড়লের বাবা শফিক মোড়ল। তার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি মোড়ল পাড়া এলাকায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সম্প্রতি শফিক মোড়লকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার পর তাকে উদ্দেশ্য করে নাসির মোড়ল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘মবমারানীর থ্রেট দিছিলা মনে আছে? এখন কী হইলো। থ্রেট লাইক করি না মাইন্ড ইট।’
অন্যদিকে রাত ১০টা ৪১ মিনিটে ফেসবুকে এক পোস্টে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের প্রশ্ন করেন, ‘হাসনাতের উপর হামলাকারী কি এই নাসির মোড়ল?’ ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে নাসির মোড়লের বিভিন্ন পোস্টের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করেন তিনি।
এদিকে নাসির মোড়লের ওই পোস্টের পর ছাত্র জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার পর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা নাসির মোড়লের পোস্টে প্রমাণিত হয় এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ জড়িত। এবং পরিকল্পিতভাবে তারা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় ফেরার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এরপরই অপরাধীদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (০৫ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রবিউল হাসান। তিনি জানান, রবিবার সন্ধ্যায় এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার পরপরই দোষীদের শনাক্ত ও আটকে পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। অভিযানের ধারাবাহিকতায় রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
কাফি

রাজনীতি
হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমির, বাইপাস সার্জারির পরামর্শ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে তার ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়।
চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে ‘রিং পরানো’র (স্টেন্টিং) ব্যবস্থার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে এ পর্যন্ত বাইপাস সার্জারি নাকি রিং পরানো হবে কিংবা দেশেই চিকিৎসা নেবেন, নাকি বিদেশে যাবেন— এসব বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের পক্ষ থেকে শিগগির বিস্তারিত জানানো হবে। জামায়াত আমির দেশে চিকিৎসা নেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। মনোবলের কারণে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন। এমনকি গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সভায়ও যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমিরকে বাইপাস সার্জারির পরামর্শজামায়াতের জাতীয় সমাবেশে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াত আমির-ফাইল ছবি
গত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে জামায়াত আমিরকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল ত্যাগ করলেও ফলোআপে থাকেন। এনজিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার হার্টে গুরুতর ব্লক ধরা পড়ে।
আমিরের সুস্থতা কামনায় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল। রীতিমতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইবনে সিনা ট্রাস্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) জাহিদুর রহমান বলেন, বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন এমনটা জানা নেই। গতকালও তো তিনি একটি সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
রাজনীতি
মানুষের নিরাপত্তা ছাড়া সংস্কার কোনো কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।
মঙ্গলবার সকালে আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাকের যৌথ আয়োজনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ভালো ভালো জায়গা দখল করেছেন। অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন। আবার কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য দখলে নিয়েছেন। কিন্তু যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের দিকে কেউ তাকায়নি।
তিনি বলেন, গুমের শিকারদের ফিরিয়ে দিতে না পারলেও সবাইকে তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হবে। গুম কমিশনের আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে গুম পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে।
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাক’-এর উদ্যোগে ‘যৌথ গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতি
এক বছরে বিএনপির আয় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ২০২৪ সালে দলটির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে দলটির ফান্ডে জমা আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ তথ্য বলেন।
রিজভী বলেন, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।
তিনি বলেন, পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হারিয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল, ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল। এছাড়া মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন করা হয়েছিল।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা, তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে নির্বাচন কমিশন, বিএনপি এটি প্রত্যাশা করে।
কাফি
রাজনীতি
পুরোনো সিস্টেমে দেশকে আর চলতে দেব না: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুরোনো সিস্টেমে পুরোনো আইনে এই বাংলাদেশকে আর চলতে দেব না। অভ্যুত্থানের পরে নানা শক্তি চেষ্টা করছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বেরিরপাড়ে দেশে গড়তে জুলাই পথযাত্রা শেষে পথসভায় এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, পুলিশ হত্যাকে ডমিনেট করে এর দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্ট এক দফায় স্পষ্ট করেছি আমাদের লড়াই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরক্ত পরিণত হয়েছে। আমাদের যে দমনপীড়ন করা হয়েছে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। আমাদের লড়াই ছিলো ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী।
এর আগে শহরের শহীদ মিনার থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা বের হয়। শহরের কোর্ট রোড ও শাহ মোস্তফা সড়কে পথযাত্রা হয়। এতে যোগ দেন সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ।
পথসভায় মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমন।
রাজনীতি
গণতন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। জবাবদিহিতা না থাকায় লুটপাট হয়েছে চরমভাবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে চলতে দিতে হবে, পাশাপাশি সবক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিলম্ব না করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে যেতে হবে। বিএনপি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে বলেই যৌক্তিকভাবে নির্বাচন চায়।
বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো এবং অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তবে সেটি একদিনে সম্ভব নয়, এর জন্য সময় দরকার।
এ সময় পিআর পদ্ধতি নিয়েও কথা বলেন এ বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ পিআর কী, তা জানে না। এ দেশের মানুষ চায় তাদের একজন নেতা হবে, যাকে তারা কাছে পাবে। পিআর পদ্ধতিতে সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
ট্রাম্পের ট্যারিফের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি আমাদের বিপদে ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিশেষভাবে আলোচনা করা জরুরি।
কাফি