পুঁজিবাজার
মাকসুদ বিহীন পুঁজিবাজারে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৫৮৪ কোটি টাকা। যা ৪১ কার্যদিবস ও চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। জানা গেছে, সরকার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদকে সরিয়ে এ পদে পরিবর্তন আনছে। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হিসেবে কয়েকটি নামও বাতাসে ভাসতে থাকে। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। যার ফলে আজ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (০৫ মে) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৮ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে ১০৯৮ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১০ দশমিক ০২ পয়েন্ট বেড়ে ১৮৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৫৮৪ কোটি ০২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিলো ৬০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৬৯ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এসএম

পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা, ১১ ফেসবুক পেইজ-গ্রুপ নিয়ে সর্তকবার্তা

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির আকর্ষণীয় দর বৃদ্ধি-হ্রাসের লোভ দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে প্রতারক চক্র। এসব প্রতারণা থেকে সচেতন থাকতে বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে ১১টি ফেসবুক পেজ, আইডি ও গ্রুপের লিংক প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারকচক্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য লোভনীয় প্রস্তাব করে বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রাথমিক অনুসন্ধানে কিছু ফেসবুক পেজ, আইডি ও গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ফেসবুক পেজ বা আইডি বা গ্রুপের নাম ও লিংক নিম্নে প্রদান করা হলো:
ক্রম | আইডি/গ্রুপের নাম | লিংক |
১ | শখের শেয়ার বাজার | https://www.facebook.com/ profile.php?id=61579790072044 |
২ | BD STOCK EXCHANGE (DSE & CSE) | https://www.facebook.com/ groups/391580888653809/ |
৩ | Momin Dse | https://www.facebook.com/ groups/391580888653809/user/ 100016058347627/ |
৪ | Ashakaa Rasul Noomani | https://www.facebook.com/groups/391580888653809/user/100008105401350/ |
৫ | শেয়ার মার্কেট সাকসেস স্ট্রাটেজিস | https://www.facebook.com/ groups/391580888653809/ user/61 574056896483/ |
৬ | বাজার বিশ্লেষণ | https://www.facebook.com/profile.php?id=61579257136367 |
৭ | আশিকুর রহমান আশিক | https://www.facebook.com/asikura.rahamana.asika.371807 |
৮ | Anika Sarah (Consultancy Assetmanagement) | https://www.facebook.com/anika.sarah.142 |
৯ | PUBLIC BUSINESS CLUB | https://www.facebook.com/groups/1421914744614689/ |
১০ | Planned Investment | https://www.facebook.com/groups/1768873286596084/ |
১১ | Caleb Wright | https://www.facebook.com/profile.php?id=61579983105760 |
জানা গেছে, এসকল ফেসবুক পেজ বা আইডি বা গ্রুপের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সিকিউরিটিজের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা বেআইনি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (রিসার্চ এনালিস্ট) রুলস, ২০১৩ অনুযায়ী শুধুমাত্র, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স, স্টক-ডিলার বা স্টক-ব্রোকার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ, ইনভেস্টমেন্ট ডভিশেরস এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিসার্চ ফার্মস প্রতিষ্ঠানসমূহ রিসার্চ এনালিস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে রিসার্চ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে এবং উক্ত রিসার্চ রিপোর্টের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সিকিউরিটিজের মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি সম্পর্কে মতামত-পরামর্শ প্রদান করতে পারে। এক্ষেত্রে উল্লিখিত গ্রুপ-আইডি সমূহ এই আইনের আওতায় নিবন্ধিত নয়।
এমতাবস্থায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের বিনিয়োগ পরামর্শ গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
বিএসইসি জানায়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিও আইডি থাকা (বিও আইডি) আবশ্যক, যা নিবন্ধিত স্টক ব্রোকার বা ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্ট এর মাধ্যমে খোলা হয়। নিজ নামে বিও হিসাব (বিও আইডি) ব্যতিরেকে এবং নিবন্ধিত স্টক ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকার বা পোর্টফোলিও ম্যানেজারের মাধ্যম ছাড়া পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় বা আর্থিক লেনদেন না করার জন্যও অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য, সিকিউরিটিজ বা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত লেনদেন বিনিয়োগকারীর নিজ নামে পরিচালতি বিও হিসাব (বিও আইডি)-এ সঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। বিনিয়োগকারীর নিজ স্বার্থেই এ বিষয়গুলোতে বিনিয়োগকারীদের বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ করা হলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারক চক্রের বিষয়ে বা পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যে কোন অনিয়মের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে তা কমিশনের মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের ই-মেইলে (intel@sec.gov.bd) প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
পুঁজিবাজার
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বোর্ড অব ডিরেক্টরসের এক সভায় গুরুত্বপূর্ণ এই আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সভায় কোম্পানির পরিচালনা বোর্ড চলতি অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করার পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
এছাড়াও, কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ৮৯.৯৯ টাকা (২০২৪-২০২৫ অর্থবছর), যেখানে আগের বছর ছিল ৮৩.৬২ টাকা। প্রতি শেয়ার আয় (ইপিএস) ৮.২৭ টাকা (২০২৪-২০২৫), যা আগের বছর ছিল ৬.০৪ টাকা। প্রতি শেয়ার নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ২.৯০ টাকা, যেখানে গত বছর ছিল বিগত অর্থবছরে ১০.৪২ টাকা।
এছাড়াও, কোম্পানি শেয়ার হোল্ডারদের জন্য বুক ক্লোজের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেছে, যা শিগগিরই জানানো হবে। পাশাপাশি, আগামী ৩০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায় ৬১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
কাফি
পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ২২ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৩২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ২২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, আজ ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসির। এদিন কোম্পানিটির ৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা এটিকে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ম্যারিকো বাংলাদেশ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার।
২ কোটি ৬৬ লক্ষ ০৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান।
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন করা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফাইন ফুডসের ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, এবং লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির ১ কোটি ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজার
মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করলো মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ

দীর্ঘ সময় ধরে লোকসানে জর্জরিত পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে এবার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানিটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) সঙ্গে ডিপিএমের মাধ্যমে ডব্লিউপিপি ও পিই ব্যাগ সরবরাহের লক্ষ্যে চুক্তি করেছে। বিসিআইসি এখন থেকে তাদের প্রয়োজনীয় ওভেন পলিপ্রোপিলিন ও পলিথিন ব্যাগের ৫০ শতাংশ সরাসরি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে কিনবে।তবে নতুন এই চুক্তি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের কাছে গোপন করেছে কোম্পানিটি। অর্থাৎ মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই প্রকাশ করা হয়নি, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
এর আগেও, বিসিআইসি থেকে বড় অংকের ক্রয়াদেশ পায় লোকসানি এই কোম্পানিটি। তবে সেই তথ্যও গোপন করা হয়। পিএসআই প্রকাশ না করে আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের তথ্য পিএসআই আকারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
সূত্র মতে, সম্প্রতি সরকারি মালিকানাধীন বিসিআইসির কাছ থেকে কোম্পানিটি বড় অংকের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের এ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি। যা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, এরআগে বিসিআইসি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে সরাসরি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩ লাখ পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগ কিনতে চুক্তি করে। প্রতিটি ব্যাগের দাম ধরা হয়েছে ৩৭ টাকা ৪৪ পয়সা। এই ব্যাগগুলো ব্যবহার হবে ইউরিয়া সার বস্তাবন্দী করতে। তবে সেই তথ্যও বিনিয়োগকারীদের কাছে গোপন করে কোম্পানিটি।
আইন অনুযায়ী, ইনসাইডার ট্রেডিং প্রভিশন বিধিমালা-২০২২ (যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ২০২২ নামে পরিচিত) অনুযায়ী, যদি কোনো তথ্য ‘প্রাইস সেনসেটিভ’ হয়, অর্থাৎ যা প্রকাশিত হলে স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো সিকিউরিটির বাজার মূল্য বা কোনো কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে, তবে সেই তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করে আইন লঙ্ঘন করেছে তালিকাভুক্ত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন, বিসিআইসির সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে কোম্পানি থেকে কোনো তথ্য ডিএসইকে জানানো হয়নি। তবে সম্প্রতি দরবৃদ্ধির কারণ জানতে কোম্পানিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানিটি পিএসআই প্রকাশ করেনি, তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রমাণ ও সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব ওমর ফারুকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র মতে, গত ০১ সেপ্টেম্বর মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের নিকট হতে ডিপিএমের মাধ্যমে মোট ক্রয়ের ৫০ শতাংশ ডব্লিউপিপি ও পিহ ব্যাগ ক্রয়ের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মানিক উদ্দিন সই করা এ সংক্রান্ত এক চিঠি বিসিআইসির চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বিসিআইসির যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাগ সরবরাহে ব্যর্থ হলে বিসিআইসি বিকল্প উৎস হতে ব্যাগ ক্রয়ের নিশ্চয়তা সাপেক্ষে এবং বিসিআইসি পরিচালনা পর্ষদের ২১০৬তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের নিকট থেকে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা ও বিসিআইসির প্রকৃত চাহিদার নিরিখে মোট ক্রয়ের ৫০ শতাংশ ডব্লিউপিপি, পিই ব্যাগ ক্রয়ের প্রক্রিয়াটি পিপিআর-২০০৮, পিপিএ-২০০৬ ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ (অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন)-২০১৫ অনুসরণপূর্বক বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯৭ সালে বিসিআইসির প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উদ্যোগে। শুরুর দিকে সরকার সরাসরি ব্যাগ কিনত (ডিপিএম) প্রতিষ্ঠানটি থেকে, ফলে লাভজনক ও স্থিতিশীল ছিল ব্যবসা। কিন্তু ২০০৭ সালে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কোম্পানিটি থেকে সরকারের সরাসরি ব্যাগ কেনা বন্ধ হয়ে যায়, শুরু হয় টেন্ডার প্রক্রিয়া। এর ফলে প্রতিযোগিতা বাড়লে বাজার হারাতে থাকে মিরাকল, মালিকানা বদলায়, কোম্পানি জর্জরিত হয় লোকসান ও ঋণে। বর্তমানে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৩০.২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক ৪.৮৯ শতাংশ, বিদেশীদের ০.২০ শতাংশ আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৬৪.৬৫ শতাংশ।
এসএম
পুঁজিবাজার
শেয়ার হস্তান্তর করবেন পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের এক পরিচালক শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির পরিচালক আলমগীর শামসুল আলামিন তার কাছে থাকা ১৯ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার তার ভাই জাহাঙ্গীর আলামিনের (কোম্পানির একজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) কাছে হস্তান্তর করবেন।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমসের বাইরে শেয়ারগুলো উপহার হিসেবে হস্তান্তর করবেন এই পরিচালক। যা ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
এসএম