জাতীয়
হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা, আটক ৭০

এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর গাজীপুরে হামলার ঘটনায় অন্তত ৭০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) দিবাগত রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় এখনও অভিযান চলছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (৪ মে) সালনার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে জ্যামে আটকে থাকা অবস্থায় ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল যোগে হামলা করা হয় তার গাড়িতে। এতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আহত হন হাসনাত। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনেক জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এনসিপির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৫৭০ হজযাত্রী

চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৫৭০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১১ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, মোট ৯৬টি ফ্লাইটে এ পর্যন্ত সৌদি আরব গেছেন হজযাত্রীরা। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪৭টি ফ্লাইটে গেছেন ১৮ হাজার ৮৫০ জন। সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩৩টি ফ্লাইটে গেছেন ১২ হাজার ৯৬২ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ১৬টি ফ্লাইটে গেছেন ৬ হাজার ৭৫৮ জন।
এছাড়া, এখন পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪ হাজার ৫৬৪ জন হজযাত্রী এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৩৪ হাজার ৬ জন।
চলতি বছর হজ পালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং একজন নারী।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৩৯৮ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর মধ্য দিয়ে এ বছরের হজ কার্যক্রম শুরু হয়, যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী রয়েছেন।
পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে।
এমএস
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকালে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, আজ সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থার কোর্ডিনেটর, তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিন জন। তদন্তে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যায় নির্দেশ দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থা।
এটিই জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন। একইসঙ্গে জুলাই গণহত্যায় তার জড়িত থাকারও প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন এটি। সোমবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করবে প্রসিকিউশন।
এর আগে রোববার (১১ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র তথ্য জানায়, আজ (১২ মে) তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার (১২ মে) চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, অর্থাৎ ফরমাল চার্জ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত এমন আদেশ দেন। সেদিন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন আজ, থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশের স্বাস্থ্য খাত ঢেলে সাজাতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে সিভিল সার্জন সম্মেলনের। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সম্মেলনের কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে। কার্য অধিবেশনগুলো স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা দিকনির্দেশনা দেবেন।
জানা গেছে, সম্মেলনে ১৩টি মন্ত্রণালয়ের ১১টি কার্য অধিবেশন হবে। অধিবেশনগুলোতে খোলামেলা আলোচনা হবে স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা ও উন্নয়ন নিয়ে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতি বছর ৬৪ জেলা প্রশাসকদের নিয়ে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলার নানা বিষয় উঠে আসে। এবার সেই আদলে ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসকদের নিয়ে প্রথমবার সিভিল সার্জন সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনের আগে সেবার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিভিল সার্জনরা তাদের মতামত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সামনে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে দু’জন সিভিল সার্জন বক্তব্য রাখবেন। সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে করতে একটি কোর কমিটি এবং সাতটি উপকমিটি করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এটি ছোট পরিসরে হলেও মূলত ডিসি সম্মেলনের থিম থেকে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এটি করার জন্য বলেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে মানুষের অসন্তোষ ও নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। এতে স্বাস্থ্য খাত ঢেলে সাজানোর নানা কৌশল নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে জেলার স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার পথ সুগম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, টিকা কার্যক্রম, জনবল সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা, বাজেট বরাদ্দের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে সিভিল সার্জনদের মতামত উত্থাপন হবে। একাধিক সিভিল সার্জন উপজেলার স্বাস্থ্য সংস্কার, চিকিৎসক সংকট, পরিবহন তথা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও উঠবে সম্মেলনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।
রোববার (১১ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানায়।
জানা গেছে, প্রথমে শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও পরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর চিফ প্রসিকিউটর সেই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার (১২ মে) চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, অর্থাৎ ফরমাল চার্জ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলা ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম ও খুনের ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুইবারের রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের গোপনে দেশত্যাগের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (১১ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের নেতৃত্বে এ কমিটিতে আছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এই কমিটি গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন; এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না; এক্ষেত্রে কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করবে।
এই কমিটি প্রয়োজনীয় সব দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি, স্বাক্ষ্য-প্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সকল সংস্থা কমিটি প্রদত্ত নির্দেশাবলী পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত এক পোস্টে জানান, সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই কমিটিকে। এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনবে সরকার।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন। আহত হন হাজার হাজার মানুষ। যাদের মধ্যে কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, কেউ হারিয়েছেন চোখের আলো।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের লোকজন গোপনে দেশ ছেড়ে পালালে ক্ষোভ ঝাড়তে থাকে ছাত্র-জনতা। এর মধ্যে গত ৭ মে গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করেন। এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় হয়।
পরে এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া আরও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।