অর্থনীতি
২০ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড গড়েছে গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২০.২ শতাংশ। একই সময়ে ব্যাংক খাতের ঋণস্থিতি ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, খেলাপি ঋণ ব্যাপক পরিমাণে বাড়ায় এক তৃতীয়াংশ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ২০ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ডিসেম্বর প্রান্তিকে এ চিত্র উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি ছিল ৫৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে মোট ২০ ব্যাংকের সার্বিক ঘাটতি বেড়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ১০ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকখাতের সম্মিলিত মূলধন ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। যা তার আগের প্রান্তিক সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম মাত্রায় মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংককে তাদের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ বা ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি সে পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই শর্ত কোন ব্যাংক মানতে ব্যর্থ হলে, সেটি মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে বলে গণ্য হয়। আর মূলধনের এ অর্থ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগ এবং মুনাফা থেকে সংরক্ষিত হয়। মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক তাদের শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বিনিয়োগকারীরা চার ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন: বিডা

জ্বালানির মূল্যনীতি, আমেরিকা আরোপিত নতুন শুল্কনীতি ও তার প্রভাব, তৃণমূল পর্যায়ে পুরোনো অনুশীলন এবং প্রকল্প সম্পাদন ও বাস্তবায়নের গতিকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরিতে চ্যালেঞ্জের বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ বিষয়ে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বিডা চেয়ারম্যান।
বিডার আয়োজনে ‘স্টেট অব ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট’ ওয়েবিনার সিরিজের তৃতীয় সেশনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
ওয়েবিনারে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ব্যসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এখন চারটি চ্যালেঞ্জের বিষয় জানা গেছে।
এসময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন। আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে গ্যাস বিতরণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এলএনজির পুরো অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং অন্যান্য প্রস্তুতি শেষে আগামী ২ বছরের মধ্যে বর্তমানের চেয়েও কম মূল্যে শিল্পগুলো গুনগত মানসম্পন্ন জ্বালানি পাবেন।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সক্ষমতা বাড়াতে, দক্ষতার সঙ্গে পণ্য পরিবহন ও সেবা নিশ্চিতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করা হচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হবে এ বছরের মধ্যে। সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্বিতীয় বিমানবন্দর হিসেবে সিলেট থেকে মালবাহী বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। পোর্ট-এর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একদিনের ব্যবধানে আবারও বাড়লো সোনার দাম

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৬৬২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৮ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার (৭ মে) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার (৬ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়ে আজ মঙ্গলবার সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩১০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে দুদিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ৫ হাজার ৯৭২ টাকা। এই দাম বাড়ানোর আগে ৪ মে ও ২৩ মে দুই দফা কমানো হয় সোনার দাম। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম দুই দফায় কমানো হয় ৮ হাজার ৯১২ টাকা।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৬২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৫১১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৬৭ হাজার ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯৯৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৪৩ হাজার ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৫৫৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।
এর আগে গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়ে আজ মঙ্গলবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৭১ হাজার ২৮৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৯৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৯০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৪০ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬০৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১৫ হাজার ৯০৫ টাকা। আজ মঙ্গলবার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খাদ্য সম্পর্কিত জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাদ্য সম্পর্কিত সব ইস্যুতে সামগ্রিকভাবে জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (৫ মে) বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত ‘কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তা ও প্রাণ-প্রকৃতি সম্মেলন ২০২৫’ এর তৃতীয় অধিবেশন ‘খাদ্যের বাজার, সরবরাহ ও দেশজ সক্ষমতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমাদের ইনফ্লেশন বাস্কেট ওয়াইড। আমি মনে করি এসেনশিয়াল প্রোডাক্ট রেফারেন্সে আমাদের একটি ইনফ্লেশন ইনডেক্স থাকা উচিত। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং ও রেগুলেট করতে এটা আমাদের সাহায্য করবে।
উপদেষ্টা বলেন, ১৭টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট আছে। আমরা যদি নিত্য প্রয়োজনীয় ১৭টি পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমাদের যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আছে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারব।
তিনি বলেন, কৃষি মানেই শুধু মানুষের খাদ্য নয়- এখানে পশু খাদ্যও জরুরি বিষয়। পশু যে খাবারটা খায় সেটাও কৃষি থেকে আসে।আবার পশুকে আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। পশু খাদ্যের মূল্যের সাথে আমাদের খাদ্যের মূল্যের একটা সম্পর্ক রয়েছে এটা আমাদের ক্রিটিকালি অ্যানালাইসিস করতে হবে।
বিগত সময়ে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। একজনের কাছ থেকে শুনে কোয়াসিজুডিসিয়াল নয় জুডিশিয়াল কিলিং থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু হয়েছে, এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। এখান থেকে যে উত্তরণ ঘটাবো এটার জন্য আমাদের সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং সরকারের যে অঙ্গগুলো আছে এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে উল্লেখ করেন শেখ বশিরউদ্দীন।
অতিরঞ্জিত তথ্য উপাত্ত মারাত্মক ফ্যাসাদ তৈরি উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে পরিসংখ্যানগত নিয়ামকগুলোকে আমরা গ্রহণ করি অধিকাংশ সময় খুবই কনফিউজিং। এটা রিপেয়ার দরকার। বড় বড় অর্থনীতিবিদরাই এই পরিসংখ্যান তৈরি করছেন এবং এই পরিসংখ্যান একমাত্র ফ্যাসাদ তৈরি ছাড়া কোনো কিছুই করে না।
গতবছর দেখেছি আলুর উৎপাদন হয়েছে এক কোটি তিন মেট্রিক টন। কনজাম্পশন হয়েছে ৮০ লাখ মেট্রিক টন। তারপর আলুর দাম হয়ে গেছে ৯০ টাকা কেজি। লক্ষ্য করে দেখলাম কোনোভাবেই এটা কোলাবরেট করছে না। কেননা পরিসংখ্যান ছিল ভুল। পরিসংখ্যানের শুদ্ধি অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রয়োজন বলে যোগ করেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের খাদ্যের যে বাজার এই বাজারের আর্থিক মূল্য ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। আমরা এর বিপণন আরো ভালোভাবে করতে চাই। কৃষির যে অর্থনীতিকীকরণ এখানে সিন্ডিকেশন অফ ফেয়ার মাইন্ড এবং সিন্ডিকেশন অফ ফেয়ার পলিসিস দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উদাহরণ টেনে উপদেষ্টা বলেন, রমজানের আগে ডিমের দাম ১৮০ টাকা ছিল। আমরা দেখেছি যে ডিমকে মজুদ করে রাখা হয়েছিল কোল্ড স্টোরেজে। মজুদ করে বাজারকে আর্টিফিসিয়ালি বাড়ানো হয়েছিল।
বিগত সরকার ব্যয়ের মহোৎসব করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নাগরিকদের ওপর চূড়ান্ত দায় তৈরি করেছে। বিভিন্ন সময়ে মিটিংয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যে ব্যয়ের ফিরিস্তি দেখি খরচ করতে পারাটাই যেন কৃতিত্বের ব্যাপার ছিল। কোনো একটা খাত সৃষ্টি করে অর্থব্যয় করাটাকেই কৃতিত্ব মনে করা হতো। একসময় এটাই যোগ্যতার নিয়ামক ছিল যে, কে কতটা খরচ করতে পারে এবং কতভাবে দায় তৈরি করা যায় নাগরিকের ওপর। আমরা এখান থেকে ফেরত এসে একটি কাঠামো তৈরি করতে চাই।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, কাজী ফার্মস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, কোয়ালিটি ফিডসের পরিচালক এম সাফির রহমান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাব্বির হাসান নাসির এবং স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.১৭ শতাংশ

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯.১৭ শতাংশে। যা মার্চ মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
পাশাপাশি খাদ্য খাতেও স্বস্তি দিয়েছে দেশবাসীকে। এপ্রিল মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা মার্চ মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলেছে।
সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া এপ্রিল মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সিপিআই তথ্যমতে, খাদ্য বহির্ভূত খাতেও এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, এপ্রিল মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে আলু, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি ও মসলার দাম কমেছে। বিবিএস এর হিসাবে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হারও কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুই দফা কমার পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

দুই দফা কমার পর দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা দুই হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭১ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা এতদিন এক লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা নির্ধারণ করা ছিল।
সোমবার (৫ মে) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিববার প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।