জাতীয়
হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক ২

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
রবিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে তার গাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন খান জানান, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে ওই দুজনকে আটক করা হয়। জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এক পর্যায়ে তার গাড়িটি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে হামলা চালায়। এতে তার গাড়ির গ্লাস ভেঙে তিনি আহত হন। পরে তিনি দ্রুত গাড়ি নিয়ে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে চলে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-ক্রাইম/উত্তর) মো. রবিউল হাসান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে হামলা চালায়। এতে তিনি আহত হন। তবে কে বা কারা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
স্বাস্থ্যখাতে নতুন ৭ আইন প্রণয়নের প্রস্তাব

রোগীর সুরক্ষা, আর্থিক বরাদ্দ ও ধারাবাহিকতা, জবাবদিহিতা ও জরুরি প্রস্তুতি নিশ্চিত করাসহ পুরোনো আইন পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি ৭টি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
প্রস্তাবিত আইনগুলো হলো, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন, বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও প্রবেশাধিকার আইন, অ্যাপলায়েড হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল আইন ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল আইন।
সোমবার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এসব তথ্য জানান।
এর আগে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর জাতীয় অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠিত হয়। কমিটিতে দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাবেক আমলাসহ একজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২০ শতাংশ দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার সুপারিশ

দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত মোট রোগীর মধ্যে অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে সম্পূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন।
২০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ সরকারিতে আর বাকি ১০ শতাংশ রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশন সদস্যরা এ সব কথা বলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলো স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন। সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে এই প্রতিবেদন জমা দেন তারা।
এরপর দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর জাতীয় অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠিত হয়। কমিটিতে দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাবেক আমলা এবং একজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা, আটক ৭০

এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর গাজীপুরে হামলার ঘটনায় অন্তত ৭০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) দিবাগত রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় এখনও অভিযান চলছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (৪ মে) সালনার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে জ্যামে আটকে থাকা অবস্থায় ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল যোগে হামলা করা হয় তার গাড়িতে। এতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আহত হন হাসনাত। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনেক জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এনসিপির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুবাইদার নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। সব ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার সকালে শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। দেশে ফিরে ধানমন্ডিতে নিজের বাবার বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ উঠবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
জানানো হয়েছে, জুবাইদা রহমানের আগমনকে ঘিরে ওই বাসায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ঘরের ভেতরে-বাইরে করা হচ্ছে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা, বসানো হয়েছে সিসিটিভি, নিশ্চিত করা হচ্ছে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, এমনকি বিকল্প বিদ্যুৎ-সরবরাহের জন্য জেনারেটরও।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির চারপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন সিএসএফ সদস্যরা, সঙ্গে থাকবেন পুলিশ সদস্যরাও।
তিনি আরও জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে যেন এলাকাবাসীর কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তার কথায়, নিরাপত্তার নামে মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না—এটা স্পষ্ট নির্দেশ।
জুবাইদা রহমানের যাতায়াত ও নিরাপত্তার জন্য পৃথক যানবাহনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার গত ৩০ মে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি দিয়ে জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। সেই চিঠিতে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় আর্চওয়ে ও পুলিশ পাহারার দাবি জানানো হয়। এর পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা মাহবুব ভবন পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থার খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করেন।
এখন ওই ভবনে বসবাস করছেন জুবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান ও তার পরিবার। জানা গেছে, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাফরুল থানায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সেই সাজা স্থগিত করা হয়।