আইন-আদালত
সামিট গ্রুপের ৫৬ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ অবরুদ্ধ

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান ও পরিবারের সদস্যদের নামে লুক্সেমবার্গে করা বিনিয়োগ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। বিনিয়োগ করা সম্পদের মূল্য ৪১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৪ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
সামিট গ্রুপ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে একটি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে আবেদন করে বলেন, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আজিজ খান ও তার সহযোগীদের (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) নামে লুক্সেমবার্গে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে।
সূত্রের বরাতে আবেদনে বলা হয়, লুক্সেমবার্গের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ইতোমধ্যে তিন মাসের জন্য আজিজ খানের ওই বিনিয়োগ সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করেছে। তবে এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অনুরোধ (লেটার রগেটরি বা মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স) পাঠানো না হলে অবরুদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হয়ে যেতে পারে।
লুক্সেমবার্গ আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পেশাজীবী চাইলে ডিস্ট্রিক্ট আদালতের চেম্বারে অবরুদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন।
আজিজ খানের মালিকানাধীন সিঙ্গাপুরভিত্তিক সেরিন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ওই অর্থ ডিএলই ল্যান্ডব্যাংকিং ফান্ড, এস.এ. সিকাভরাইফ, বার্লিনে স্থানান্তর করা হয়, যার উৎস ছিল ভিপি ফান্ড সলিউশনস, লুক্সেমবার্গ।
আদালত অবরুদ্ধের আদেশের একটি অনুলিপি লুক্সেমবার্গের স্টেট প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিসে পাঠানোর নির্দেশ দেন, যেন তারা অবিলম্বে সেখানে আজিজ খানের অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়।
এর আগে গত ৯ মার্চ একই আদালত আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১৯১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।

আইন-আদালত
সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল ৩ দিনের রিমান্ডে

রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রহসনের নির্বাচন করার ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড মঞ্জুর চেয়ে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে গত ২২ জুন একটি মামলা করে বিএনপি। সংগঠনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, তৎকালীন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সাবেক ডিজি র্যাব ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম অজ্ঞাত), সাবেক এনএসআই প্রধান ও সাবেক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন, আনিছুর রহমান ও তৎকালীন নির্বাচন সচিব (নাম অজ্ঞাত)।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে গায়েবি মামলা, গণগ্রেফতার, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতন চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পন্ন করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করেন নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য আসামিরা।
এ ঘটনার সাক্ষী সকল ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরও অনেকে ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১ জুলাই

জুলাই অভ্যুত্থান দমন করতে গিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ১ জুলাই নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম।
এর আগে ১৬ জুন ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়। ১৭ জুন দেওয়া হয় আত্মসমর্পণের নির্দেশ।
বিগত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলাটি গঠিত হয়। মামলায় অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা ছিলেন এ সব ঘটনার ‘পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা’।
২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য দুই মাস সময় নির্ধারণ করে আদালত। পরে ২০২৫ সালের ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ওই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ‘জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১ জুন ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয়। ওইদিন নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে। আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম।
কাফি
আইন-আদালত
বিদেশে এস আলমের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের নির্দেশ

আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে বিদেশে থাকা স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুদকের পৃথক তিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এসব সম্পত্তির মধ্যে সাইপ্রাসে সাইফুল আলমের নামে থাকা দোতলা একটি আবাসিক ভবন রয়েছে। এ ছাড়া ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ১৮টি কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব কোম্পানির মধ্যে হাজেল ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লি. ও পিকক প্রপার্টি হোল্ডিংস লি. সম্পূর্ণ এস আলম পরিবারের মালিকানাধীন। বাকি ১৬ কোম্পানির শেয়ার শুধুমাত্র সাইফুল আলমের নামে।
এর বাইরে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অধীন দ্বীপ অঞ্চল জার্সিতে সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন প্রতিষ্ঠিত ছয়টি ট্রাস্টের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই ট্রাস্টগুলো জার্সি ভিত্তিক একটি ট্রাস্ট কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, এই ছয়টি ট্রাস্টের মধ্যে ‘ম্যাপল ট্রাস্ট’-এ মালয়েশিয়ার রেনেসাঁ হোটেল এবং ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটনে ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। অন্য ট্রাস্টগুলোর সম্পদের পরিমাণ এখনো অজ্ঞাত।
আইন-আদালত
সাবেক সিইসি নুরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে

‘প্রহসনের নির্বাচনের’ অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে তাকে আদালতে আনা হয়। এসময় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত নূরুল হুদাকে আটক করে জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এর আগে, রোববার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।
আইন-আদালত
শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোক, ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নিজ নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার ২টি প্লট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান, ছেলে ইমতিনান ওসমান, মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, পুত্রবধূ ইরফানা আহমেদ রাশমী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা রয়েছে।
রোববার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল করিম এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পলাতক অবস্থায় স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত বিধিমালা ২০১৯) এর বিধি- ১৮ এবং মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ধারা-১৪ অনুযায়ী ক্রোক এবং ফ্রিজ করা প্রয়োজন।
কাফি