Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

অর্থনীতি

এডিবির ৩০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন ঘোষণা, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

Published

on

লেনদেন

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা এডিবি সদস্যভুক্ত দেশগুলো পাবে। ফলে বাংলাদেশও সুবিধা পাবে। নানান প্রকল্পে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এডিবি অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

রোববার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহায়তা ২৬ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এডিবি। ফলে ২০২২-২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা উদ্যোগের জন্য মোট তহবিল ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ সহায়তা কৃষিকাজ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে বিতরণ ও ব্যবহার পর্যন্ত সমগ্র খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াজুড়ে একটি বিস্তৃত কর্মসূচির তহবিল সরবরাহ করবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মিলানে এডিবির ৫৯তম বার্ষিক সভায় এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা বলেন, খরা, বন্যা, চরম তাপ এবং অবক্ষয়িত প্রাকৃতিক সম্পদ কৃষিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ জীবিকাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। এ সম্প্রসারিত সহায়তা দেশগুলোকে ক্ষুধা দূরীকরণ, খাদ্যাভ্যাস উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে কৃষক ও কৃষি ব্যবসার জন্য সুযোগ তৈরি করবে। এটি খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে বিতরণ ও গ্রহণের পদ্ধতি পর্যন্ত সমগ্র খাদ্যমূল্য শৃঙ্খলে পরিবর্তন আনবে।

শেয়ার করুন:-

অর্থনীতি

চালের বাজারে অস্থিরতা, বেড়েছে সবজির দামও

Published

on

লেনদেন

ভরা মৌসুমেও খুচরা বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে কয়েক পদের সবজির দাম। তবে দাম কমেছে মুরগির।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (২৭ জুন) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

চলছে বোরো ধানের ভরা মৌসুম। অধিকাংশ জমি থেকে ধান কাটা শেষে সরবরাহ করা হয়েছে মিলে। এরই মধ্যে নতুন চাল ঢুকছে বাজারে। তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাজার ঘুরে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে প্রতিকেজি মোটা চালে ২-৩ টাকা, আর সরু চালে ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে দাম। বিক্রেতাদের দাবি, ঈদের পর মানভেদে প্রতি বস্তায় অন্তত ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বেশি দামে কিনে, কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তাই বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

চাল ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, বিক্রেতারাই বলছেন, বাজারে চালের কোনো সরবরাহ সংকট নেই। বাড়েনি চাহিদাও। পরিবহন ব্যয় বা শ্রমিকের মজুরি বাড়ার তথ্যও নেই তাদের কাছে। তবুও ঈদের পরে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম।

আরেক ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন, চালের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। এতে ক্রেতারা পরিমাণে কম কিনছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮০-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পাইজাম ৬২ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৪ টাকা ও আটাইশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, সব ধরনের চালের দামই ঊর্ধ্বমুখী। এতে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মূলত জবাবদিহিতার অভাবেই বাজারে এই অবস্থা। মোকছেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, চালের বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয় না। অথচ চালই আমাদের সবচেয়ে বেশি কেনা হয়। কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু থাকলে বাজার অস্থির হওয়ার সুযোগ পেতেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এদিকে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী কয়েক পদের সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বাড়ায়, প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারে সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, বর্ষা শুরু হয়ে গেছে। একে বৃষ্টিপাত বাড়ায় দেশের অনেক এলাকায় সবজি ক্ষেতে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হচ্ছে। ফলে সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে কোনো কোনো সবজির। দাম সামনে আরও বাড়তে পারে।

বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

চাল ও সবজির দাম বাড়লেও বাজারে কমেছে মুরগির দাম। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়।

বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দামও। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকায় ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম এখনো স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। তবে এক সপ্তাহ আগের তুলনায় আদা ও রসুনের দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে, যেখানে এক সপ্তাহ আগে এই দাম ছিল ৯০ থেকে ১৭০ টাকা। অন্যদিকে দেশি রসুনের কেজি এখন ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ১৪০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং চাহিদা কিছুটা বাড়ায় আদা ও রসুনের দামে এই ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। তবে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে বাজারে সরবরাহ ও মজুত তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকায় দামে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নতুন চেয়ারম্যান ও এমডি পেলো ‘নগদ’

Published

on

লেনদেন

মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে সরকার। একই সঙ্গে নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুতাসিম বিল্লাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ। এছাড়া বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক, ব্যাংকিং রেগুলেটরি অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক, এআইইউবি-এর পরিচালক খন্দকার সাব্বির মোহাম্মদ কবির, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম বাররু সানি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সরকার পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট নগদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। পরে তদন্তে উঠে আসে, ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে অর্থ জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করায় নগদের হিসাবের ঘাটতি দাঁড়ায় ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এসব অনিয়ম হয় এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি ভাতা বিতরণ ও গ্রাহক তৈরি করা হয়।

এ ঘটনায় ডাক বিভাগের আটজন সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক, নগদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিইওসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে, নগদে প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে করা একটি রিট হাইকোর্ট খারিজ করলেও পরে সেই আদেশ স্থগিত হয়। গত ৭ মে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর নগদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে বাধা দেন এবং নিজেরাই মামলার আসামি মো. সাফায়েত আলমকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দেন।

পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ২১ আগস্টের প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ আংশিক প্রত্যাহারের আবেদন করে, যা আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। গত ২ জুন আপিল বিভাগ নগদে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ স্থগিত করে রায় দেন, ফলে নতুন এ বোর্ড গঠন এবং সিইও নিয়োগের পথ সুগম হয়।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

মোট রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

Published

on

লেনদেন

তিনটি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার অর্থ পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের এই অংক গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ঋণ সহায়তার অর্থ যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ বেড়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি জানান, আইএমএফের দুই কিস্তি ১৩০ কোটি ডলার, এডিবির ৯০ কোটি ডলারসহ জাইকার ঋণ সহায়তার অর্থ রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হ‌লো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ক‌রে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসেবে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসীরা বৈধ পথে আরও বেশি অর্থ পাঠাতে শুরু করেছেন। এতে দেশে প্রবাসী আয় বেড়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে রিজার্ভের ওপর চাপ কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১০ মাস ধরে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না। একই সময়ে ব্যাংক ও রাজস্ব খাত সংস্কার, বাজেট সহায়তা ও ঋণ হিসেবে ৫০০ কোটির বেশি ডলার এসেছে দেশে। এসব কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন বাড়তির দিকে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে এই রিজার্ভ বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নজিরবিহীন অর্থপাচার ও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের চাপের মুখে পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ে ক্রমাগত চলতি হিসাবের ঘাটতিও বেড়েছিল বাংলাদেশের। ডলারের বিপরীতে টাকা দর অবনমন হতে থাকলে প্রভাব পড়ে জ্বালানির দর ও আমদানিতে। সংকটে মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। ফলে আস্তে আস্তে তলানিতে নামে রিজার্ভ। ওই সময় রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা নিতে আইএমএফের কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে ২০২২ সালের জুলাইতে আবেদন করে বাংলাদেশ।

মূলত চলতি হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি, টাকার অবমূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আইএমএফের কাছে এই ঋণ সহায়তা চায়।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

Published

on

লেনদেন

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার রুটি ও বিস্কুটের ওপর উচ্চ ভ্যাট অব্যাহত রাখায় দরিদ্র মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীদের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি এবং এই বৈষম্যমূলক করনীতির পুনর্বিবেচনার দাবিতে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক (ওয়াইপিএন) আয়োজিত ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও ভ্যাট’ শীর্ষক এই সেমিনারে বক্তারা সরকারের বর্তমান করনীতি দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলছে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্কের হেড অব রিসার্চ কে এম ইমরুল হাসান। আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক প্রথম আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক পার্থ সংকর সাহা, ওয়াইপিএন-এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. আকবর হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী রাবেয়া এবং বাংলাদেশ ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। সেমিনারটি সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্কের হেড অব রিসার্চ কে এম ইমরুল হাসান বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, দেশে ৯ শতাংশেরও বেশি মূল্যস্ফীতি, যুব বেকারত্ব এবং আয় বৈষম্য বিদ্যমান। তিনি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনার মাধ্যমে দেখান যে, পূর্ববর্তী বাজেট থেকে বিস্কুট ও পাউরুটির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা বর্তমান বাজেটেও অব্যাহত আছে।

তিনি ওয়াইপিএনের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে বলেন, তাদের জরিপে নিম্ন আয়ের (১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মাসিক আয়) মানুষের মধ্যে ৬০ শতাংশ সকালের খাবার বাদ দেন এবং ৩.৫ শতাংশ দুপুর বা বিকালের খাবারও বাদ দিতে বাধ্য হন। ৮৮ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ প্রতিদিন কোনো না কোনোভাবে রুটি-বিস্কুট গ্রহণ করেন, যা তাদের জন্য ভাতের সস্তা বিকল্প। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ১৫ শতাংশ মনে করেন, এই ভ্যাট আসলে অনেক অতিরিক্ত।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ভ্যাটের কারণে হয় বিস্কুট ও পাউরুটির আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে অথবা দাম বেড়ে যাচ্ছে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, ৭০ শতাংশ মানুষের প্রত্যাশা ছিল আসন্ন বাজেটে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইতিবাচক কিছু থাকবে, কিন্তু এই ভ্যাট আরোপে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তিনি অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান।

ওয়াইপিএন-এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. আকবর হোসেন তার ফলোআপ গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থী, রিকশাচালক, দিনমজুর, পোশাক শ্রমিক এবং ডেলিভারি ম্যানদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, বিস্কুট ও ব্রেড এখন আর নাস্তার খাবার নয়, বরং দরিদ্র মানুষের একবেলার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার হয়ে উঠেছে।

তার গবেষণা অনুযায়ী, ৬৮ শতাংশ মানুষ প্যাকেটজাত বিস্কুট খায় এবং ৬৫ শতাংশ মানুষ প্যাকেটজাত বিস্কুট ক্রয়ে প্রতিদিন ন্যূনতম ৩০ টাকা খরচ করে। ৭০ শতাংশ খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছেন যে, ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে তাদের দোকানে প্যাকেটজাত বিস্কুট ও ব্রেডের বিক্রি কমে গেছে।

তিনি বলেন, সরকার রুটি ও বিস্কুট থেকে বছরে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করে, অথচ এই করের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তায় মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

আকবর হোসেন শ্রীলঙ্কা, ভারত ও নেপালের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেসব দেশে রুটি ও বিস্কুটে কোনো ভ্যাট নেই অথবা থাকলেও তা ২-৩ শতাংশের বেশি নয়। তিনি অবিলম্বে রুটি ও বিস্কুটের ওপর থেকে ভ্যাট কমানোর বা শূন্য করার দাবি জানান এবং এনবিআরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পুষ্টিকর পণ্যের একটি তালিকা তৈরি করে সেগুলোকে ভ্যাটমুক্ত রাখার পরামর্শ দেন।

তিনি বিলাসী পণ্য যেমন আইসক্রিম, চকলেট, স্যালমন ফিশ ও পাস্তায় ভ্যাট কমানোর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “আপনি চকলেট খান ট্যাক্স ফ্রিতে, কিন্তু যখন ব্রেড কিনবেন তখন তাকে ট্যাক্স দিতে হবে।”

দৈনিক প্রথম আলোর সহকারী বার্তা সম্পাদক পার্থ সংকর সাহা ওয়াইপিএন-এর গবেষণার প্রশংসা করে বলেন, সাধারণ মানুষ যদিও অনেক জটিল রিপোর্ট পড়েন না, তবে এই ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাটের বিষয়টি তাদের কাছে অত্যন্ত আগ্রহের, বিশেষত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কাছে।

তিনি বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও এই ধরনের করনীতির কারণে দেশে আরও ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে অতি দরিদ্র হতে পারে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ৭০ শতাংশ মানুষের আশা ছিল যে এই বাজেটে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে, কিন্তু সম্ভবত তা হয়নি। তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি সহনশীল হওয়ার জন্য কর ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী রাবেয়া সাংবিধানিক ও মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে এই করনীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য একটি শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা কায়েম করা। অথচ, এখনো দেশের ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ওপর ভ্যাট তাদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, রুটি-বিস্কুট দরিদ্র মানুষের জন্য ন্যূনতম খাবার, এর চেয়ে নিচে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তাপসী রাবেয়া বলেন, এই ভ্যাট শুধু ‘খাদ্য অধিকার’ নয়, ‘স্বাস্থ্য অধিকার’ও লঙ্ঘন করছে। তিনি জুলহাস উদ্দিন মামলার উদাহরণ টেনে বলেন, যেখানে চিকিৎসা সেবার ওপর ভ্যাট আরোপকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছিল, কারণ এটি জীবন ধারণের অধিকার লঙ্ঘন করে।

তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদগুলির কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সেগুলোর পক্ষভুক্ত, যেখানে খাদ্য একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তিনি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দরিদ্রবান্ধব করনীতি প্রণয়নের আহ্বান জানান, যা দরিদ্র মানুষের ওপর করের বোঝা চাপাবে না এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যে নামমাত্র বা শূন্য ভ্যাট রাখবে।

বাংলাদেশ ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া ওয়াইপিএন-এর গবেষণার ফলাফলের সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, পূর্বে যখন রুটি-বিস্কুটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল, তখন অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলন করেছিল এবং এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে দুবার বৈঠক করে ভ্যাট ৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি বলেন, তারা সরকারের কাছে সবসময় রুটি-বিস্কুটকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য হিসেবে গণ্য করে শূন্য ভ্যাট রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন। শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, যদি শূন্য ভ্যাট সম্ভব না হয়, তবে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ ভ্যাট রাখা উচিত, যা এফবিসিসিআইও সুপারিশ করেছিল। তিনি এনবিআর চেয়ারম্যানের প্রতি এই দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি আবদুর রহমান খান, এনবিআর চেয়ারম্যান, ওয়াইপিএন-এর গবেষণা ফলাফলকে ‘সম্পূর্ণ সঠিক’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে রুটি ও কলা খেয়ে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়ার কথা জানান, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরে।

তিনি স্বীকার করেন যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করা উচিত কিনা, তা নিয়ে একটি মৌলিক বিতর্ক সবসময়ই থাকবে। এনবিআর চেয়ারম্যান করনীতি প্রণয়নের জটিলতা ব্যাখ্যা করে বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার শর্ত, বিশেষ করে ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি, তাদের মাথায় রাখতে হয়। তিনি স্বীকার করেন যে, সহজে রাজস্ব আদায়ের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর কর আরোপ একটি ‘বদভ্যাস’ হতে পারে। তবে তিনি দেশের জন্য রাজস্ব সংগ্রহের গুরুত্ব এবং ঋণনির্ভরতা কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে একটি। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, রুটি-বিস্কুটের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছিল, যখন সরকার বুঝতে পেরেছিল যে এটি দরিদ্র মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি মেনে নেন যে, আদর্শ ভ্যাট ব্যবস্থায় (যেখানে ইনপুট ক্রেডিট সুবিধা থাকে) ৭.৫ শতাংশ ভ্যাটও অযৌক্তিক, এবং সিস্টেমের প্রক্রিয়াগত ও ডিজিটাইজেশনের ত্রুটির কারণে এমনটা হচ্ছে।

সেমিনারে সব বক্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করেন। একটি জনবান্ধব ও ন্যায়ভিত্তিক করনীতি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য বলে মত দেন তারা।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

চলমান আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

Published

on

লেনদেন

কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও ভ্যাট’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে গত ২২ জুন থেকে আন্দোলন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে; এটা নিয়ে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে অনেক দ্বিমত এসেছে। সেগুলো অ্যাড্রেস করে জুলাই মাসের মধ্যে একটা এমান্ডেন্ট করার ঘোষণা আমাদের অর্থ উপদেষ্টা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। এই আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্ত আমরা পাবো বলে আশা করছি। এরপর এটা নিয়ে অনেক… যাচ্ছে।

আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়ে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে মো. আবদুর রহমান খান বলেন, জুন মাসের আর দুদিন আছে। প্রতিমুহূর্তে আমি কর আদায়ের পরিস্থিতি দেখি। গতকাল পর্যন্ত তিন লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। এবার আমাদের জিডিপির গ্রোথটা কম। গতবারের চেয়ে সিগনিফিকেন্ট গ্রোথ হবে আশা করছি। আন্দোলনের কারণে কিছুটা তো হ্যাম্পার হচ্ছেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই দেশের স্বার্থে কাজ করি। আমাদের দেশের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। সংস্কার, যে কোনো আইন করি, আন্দোলন করি, যা কিছু করি প্রত্যেকটাই আমাদের নিজেদের জন্য না হয়ে যদি দেশের জন্য হয়। ছোট ভাইবোনেরা যারা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে সে স্পিরিট আমাদের মধ্যে এনেছে তা ধরে রেখে সবাই মিলে কাজ করলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ট্যারিফ কমাতে হবে। এবার বাজেট প্রায় আট লাখ কোটি টাকার। এর ফলে তিন লাখ কোটি টাকা ঋণ যোগ হবে। দেনা আরও বাড়লো। পরবর্তী প্রজন্মকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আমাদের ট্যাক্স জিডিপি কম। আমরা অটোমেশন করছি।

তিনি বলেন, গরিব মানুষের ওপর চাপ বাড়ায় বিস্কুটে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় দিয়েছি।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার কমেছে। যাতে মানুষের ওপর চাপ না পড়ে। বাজেটের সাইজ যতটা ছোট করেছে ধরে নিতে হবে রাষ্ট্র ততটা সঞ্চয় করেছে, ততটা ঋণের চাপ থেকে কমেছে।

তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত অনলাইন রিটার্ন ১৭ লাখ পার হয়েছে। গত বছর এটা ৫ লাখ ছিল। জুলাই থেকে আগামী অর্থবছরের অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া যাবে। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো ও বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আধুনিক করা হয়েছে। কর যেখান থেকে নেওয়ার কথা সেখান থেকে নিতে পারলে এসব ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া যায়। ভোক্তারা সবসময় করছাড়ের সুবিধা পায় না।

অনুষ্ঠানে ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক জানায়, পাউরুটি, বিস্কুটে যাতে ভ্যাট না থাকে আমরা সেটি চাই। তরুণ প্রজন্ম তথা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পাউরুটি খেয়ে থাকে। তাই পাউরুটি ও বিস্কুট থেকে ভ্যাট উঠিয়ে দিতে হবে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

লেনদেন লেনদেন
পুঁজিবাজার1 day ago

ব্লকে ৩৪ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৪০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৮৮ লাখ ৩৯...

লেনদেন লেনদেন
পুঁজিবাজার1 day ago

ব্যাংক এশিয়ার উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া পিএলসির এক উদ্যোক্তা ৭০ লাখ শেয়ার হস্তান্তর করবেন। এই উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তরের জন্য...

লেনদেন লেনদেন
পুঁজিবাজার1 day ago

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কিনবে এইচআর লাইনস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে এইচআর লাইনস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ...

লেনদেন লেনদেন
পুঁজিবাজার1 day ago

এফএএস ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে...

লেনদেন লেনদেন
পুঁজিবাজার1 day ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে ড্রাগন সোয়েটার

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯৮টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর...

লেনদেন লেনদেন
পুঁজিবাজার1 day ago

লেনদেনের শীর্ষে সি পার্ল বিচ

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে...

লেনদেন লেনদেন
পুঁজিবাজার1 day ago

লেনদেনের সঙ্গে প্রধান সূচক বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০