পুঁজিবাজার
সায়হাম কটনের ইপিএস কমেছে ১৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩৫ পয়সা।
অপরদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৭৪ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৩৮ টাকা ৮১ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৫টি কোম্পানির মোট ৩৯৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সিটি ব্যাংক পিএলসির।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (০৪ মে) আজ কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বীচ হ্যাচারি। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ০২ লাখ ৯৩ হাজার টাকার। আর ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিডল্যান্ড ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, লাভেলো আইসক্রিম, বিএসসি, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, ইর্স্টার্ণ লুব্রিকেন্টস এবং শাইনপুকুর সিরামিক লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের গুঞ্জনে ফের ঘুরে দাঁড়ালো পুঁজিবাজার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টানা পতনে দেশের পুঁজিবাজার। এতে পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তার পদত্যাগেই পুঁজিবাজার চলমান সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে আবারও তার পদত্যাগের গুঞ্জন উঠে। রাশেদ মাকসুদ আমেরিকা গেছেন, সে আর ফিরছেন না এবং শিগগরই তিনি পদত্যাগ করছেন- গুঞ্জন হলেও এমন তথ্যে স্বস্তি ফিরেছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। যার ইতিবাচক প্রভাবে আবারও ঘুরে দাঁড়ালো পুঁজিবাজার। আজ প্রথম কার্যদিবসে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির সঙ্গে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই সূত্র মতে, আজ রবিবার (০৪ মে) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩৮ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক বেড়েছে ১১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট।
আজ ডিএসইতে ৩৯৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৩২৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯০টি কোম্পানির, বিপরীতে ৬৭ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ খুলে ফেলবে খুলনা পাওয়ার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠান খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দীর্ঘদিনেও সরকার বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি কার্যকর করেনি। এ অবস্থায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিপি) নির্দেশনা অনুসারে কোম্পানিটি জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন (ন্যাশনাল গ্রিড) থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, খুলনায় অবস্থিত ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেপিসি-২ এবং যশোরের নোয়াপাড়ায় অবস্থিত ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র কেপিসি ৪০ মেওয়াওয়াট নোয়াপাড়া প্ল্যান্ট থেকে বিপিডিপির বিদ্যুৎ কেনা সংক্রান্ত চুক্তি কয়েক বছর আগেই শেষ হয়ে যায়। কোম্পানিটির নানামুখী তদবিরে খুলনা পাওয়ারের কাছ আবার বিদ্যুৎ কিনতে রাজি হয় সরকার। অনুমতি দেওয়া হয় কেন্দ্র দুটির প্ল্যান্ট সচল করার। তবে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয় আগের ক্যাপাসিটি চার্জের শর্ত, যার আওতায় সরকার বিদ্যুৎ না কিনলেও ন্যুনতম একটা অর্থ কোম্পানিকে পরিশোধ করতে হোত। এর পরিবর্তে চুক্তিতে শর্ত রাখা হয়, সরকারের প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎ কিনবে এবং তখন ওই বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করা হবে। এর আলোকে কোম্পানিটি ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে তার প্ল্যান্ট পরিচালনা করতে পারবে।
তবে দীর্ঘ সময়েও সরকার কোম্পানিটিকে কোনো বিদ্যুতের চাহিদা জানায়নি। তাই কোম্পানি কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিক্রি করতে পারেনি। গত বছরের ২৪ মার্চ ওই চুক্তিও শেষ হয়ে যায়। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওই চুক্তিও নবায়ন করেনি সরকার।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এপ্রিলে পুঁজি উধাও ১৭ হাজার কোটি টাকা, সূচক কমেছে ৩শ পয়েন্ট

দেশের শেয়ারবাজারে চলছে টানা দরপতন। কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। তারল্য সংকট, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষ্ক্রিয়তায় ধুঁকছে পুঁজিবাজার। বিদায়ী এপ্রিল মাসজুড়ে অস্বস্তিতে কেটেছে বিনিয়োগকারীদের। ঈদের ছুটি কাটিয়ে শুরু হওয়া লেনদেনে লাগাতার পতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৩০২ পয়েন্ট এবং বাজার পুঁজি হারিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরো মাসের লেনদেন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার ২১৯ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন মাস শেষে এসে ঠেকেছে ৪ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে। শুধু প্রধান সূচক নয়, মাসিক লেনদেনে বেহাল দশা শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএসেও। পুরো মাসে এ খাতের সূচক কমেছে ৭৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে, বাছাই করা ভালো কোম্পানির শেয়ারেও হয়েছে বড় পতন। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯২ পয়েন্ট।
ঈদের পর প্রথম লেনদেন শুরু হয় গত ৬ এপ্রিল। এদিন লেনদেনের শুরুতে বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আর এপ্রিলের শেষ কার্যদিবস ৩০ এপ্রিলের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
ডিএসই সূত্রে, বিদায়ী মাসে মোট ১৮ কার্যদিবস বাজারে লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ কার্যদিবসেই হয়েছে পতন। পতনের ধাক্কায় বাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, হয়নি নতুন করে অর্থলগ্নি। এতে করে বাজার হারিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকার পুঁজি।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিসংখ্যান বলছে, এক মাসে ১১ হাজার ৪২৯ জন বিনিয়োগকারী নিজেদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন। বাজারে জিরো ব্যালেন্সের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চালু থাকা বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এক মাসে ১০ হাজারের ওপরে কমেছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এভাবে বাজারে পতন হতে থাকলে দেশের পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। যারা বুকে আশা বেঁধে এখনও বাজারে আছেন, প্রতিদিনই আশাভঙ্গ হচ্ছে তাদের। বাজারের ওপর থেকে আস্থা উঠে যাওয়ায় কোনোভাবেই বাজার ঠিক করা যাচ্ছে না।
কমিশনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাজারে বড় কোনো আইপিও আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে করে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশু কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
তার ওপর সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভ্যন্তরীণ গোলোযোগ এবং পরে ২১ কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের মতো ঘটনা বাজারে ভালো কোনো বার্তা বয়ে আনেনি বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জিকিউ বলপেনের লোকসান বেড়েছে ৩৯ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৩ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৪ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ৩ টাকা ২৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৩৬ টাকা ৯০ পয়সা।
এসএম