জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ২২ হাজার ২০৩ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু

বাংলাদেশ থেকে শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২২ হাজার ২০৩ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মোট ৫৪টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ৫৩৯ হজযাত্রী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৫৮০টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক।
হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, ৫৪টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২২টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
চলতি বছর হজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ ২ মে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ফরিদুজ্জামান (৫৭) নামে একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) বলে জানিয়েছে হজ সংশ্লিষ্ট হেল্প ডেস্ক। এর আগে ২৯ এপ্রিল মদিনার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় খলিলুর রহমান (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৩৯৮ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্য দিয়েই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ৩১ মে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ৭০টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল। শেষ হজ ফ্লাইট ৩১ মে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুন, আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রিগোরিভিচ খোজিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৪ মে) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
এর আগে, ঢাকায় সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করে বিএনপি। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি শেষ হয় রাত ৭টা ২০ মিনিটে।
চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব ও সাবেক সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা একদিন পেছালো

কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ৬ মে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শনিবার (৩ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (৫ মে) লন্ডন থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রওনা দেবে এবং মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সময় চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ম্যাডামের ফেরার বিষয়টি আমাদের জন্য আবেগের। আমরা আশা করছি, তাকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় ফিরে পাবো।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোমবার (৫ মে) যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। তার দেশে ফেরার আগেই ওই ফ্লাইট থেকে দুজন কেবিন ক্রুকে সরিয়ে দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। ওই দুই কেবিন ক্রু হলেন আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম।
বিমানের প্রশাসন বিভাগ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কেবিন ক্রু আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আছে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মির্জা ফখরুল এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন। একহাতে দলীয় পতাকা, অন্যহাতে ফুল নিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, অভ্যর্থনার জন্য মূল দায়িত্বে থাকবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। পাশাপাশি যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও সংবাদমাধ্যমের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান এমসিএফের

গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমসিএফ)।
আজ, শনিবার (৩ মে), বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থাটি এই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছে।
এই বিশেষ দিনে, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো তাদের সমর্থন জানিয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহের মৌলিক নীতির প্রতি তাদের অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছে, মানবাধিকারের সুরক্ষা, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম পেশাদারদের অবশ্যই কোনো প্রকার সেন্সরশিপ, ভয়ভীতি বা সহিংসতার হুমকি ছাড়াই নিরাপদে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকতে হবে।
এমসিএফ বিবৃতিতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতি তাদের গভীর সংহতি জানিয়েছে। যারা একটি জ্ঞানভিত্তিক, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। জোটটি এমন একটি পরিবেশের জন্য তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে, যেখানে প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা যাবে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারকে সম্মান করা হবে।
তবে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাক্ষর না থাকা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একটি নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিবৃতি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে এইবার রাজি করাতে সক্ষম হয়নি, যদিও পূর্বে দেশটির সমর্থন ছিল।
উল্লেখ্য, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন একটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বমূলক প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছয়টি মহাদেশের ৫০টিরও বেশি দেশ এই জোটে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম থেকে মদিনার পথে উড়াল দিল প্রথম হজ ফ্লাইট

পুণ্যভূমির পথে যাত্রা শুরু। শনিবার (৩ মে) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে মদিনার উদ্দেশে উড়াল দিল বাংলাদেশ বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট, যার নম্বর বিজি-১৩৭ এবং উড়োজাহাজটি বোয়িং-৭৭৭।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে এবার মোট ১৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৬ হাজার ৬১৮ জন হজযাত্রীকে পবিত্র ভূমিতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১৪টি ফ্লাইট জেদ্দা এবং ৩টি ফ্লাইট মদিনা রুটে চলাচল করবে।
এই বিশেষ হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার দুপুর আড়াইটায় শাহ আমানত বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর। বিমান চট্টগ্রাম জেলা ব্যবস্থাপক আল মামুন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হাব চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান শরীয়ত উল্ল্যাহ শহীদ, আটাব চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর, হাব চট্টগ্রামের সেক্রেটারি মো. আব্দুল মালেক, আটাব চট্টগ্রাম জোনের সেক্রেটারি মো. ইদ্রিস মিয়াসহ হাব ও আটাবের কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দ।
চট্টগ্রাম থেকে হজযাত্রীদের এই প্রথম ফ্লাইট মদিনার পথে যাত্রা করার মধ্য দিয়ে শুরু হলো পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নভোএয়ারের ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার তাদের সকল উড্ডয়ন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে এই স্থগিতাদেশ কতদিন চলবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। ফলে, নতুন টিকিট বুকিং অথবা কেনা— দুটোই এখন অনিশ্চিত।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে নভোএয়ারের রিজার্ভেশন বিভাগে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার কর্মকর্তারা জানান, গতকাল (২ মে) থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। যেসব যাত্রী সরাসরি নভোএয়ারের কাছ থেকে টিকিট ক্রয় করেছিলেন, তাদের টিকিটের অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য নভোএয়ারের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আর যারা কোনো এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কেটেছিলেন, তাদের সেই এজেন্সির সঙ্গেই যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ কেন এই অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্লাইট স্থগিতের সিদ্ধান্ত? নভোএয়ারের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে সংস্থাটি। এই পরিস্থিতিতে, একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে নভোএয়ার বিক্রির বিষয়ে আলোচনা চলছে। সেই বিক্রয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বর্তমানে কোম্পানির আর্থিক নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই নিরীক্ষার কারণেই বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, নভোএয়ার বিক্রির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আর যদি এই বিক্রয় প্রক্রিয়া সফল না হয়, তবে কবে নাগাদ পুনরায় ফ্লাইট শুরু হবে, সে বিষয়েও কোনো স্পষ্ট বার্তা মেলেনি। ফলে, নভোএয়ারের ভবিষ্যৎ এবং যাত্রীদের আকাশ পথের যাত্রা— দুটোই এখন এক অনিশ্চিত দিগন্তে দাঁড়িয়ে।