অর্থনীতি
সোনার দাম আরও কমল ৩ হাজার ৫৭০ টাকা

স্বর্ণালঙ্কার কিনতে আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য ফের সুখবর! বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দেশের বাজারে সোনার দাম আরেক দফায় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বাজুস এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা। এই নতুন মূল্য রবিবার (৪ মে) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোনার এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৩ এপ্রিল বাজুস সোনার দাম ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়েছিল। সেই সময় ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।
সোনার দামের এই ধারাবাহিক পতনে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
মে ও জুনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলামের তারিখ নির্ধারণ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মে ও জুন মাসের জন্য ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম আগামী ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ মে এবং ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাজারে অতিরিক্ত তারল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ মে এবং ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ জুন ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ নিলামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশে নিবাসী সকল ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী দশ লাখ টাকা বা দশ লাখ টাকার গুণিতক অঙ্কের অভিহিত মূল্যে বিড দাখিল করতে পারবেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চলতি হিসাব পরিচালনাকারী যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব বা তাদের ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের পক্ষে বিড দাখিল করতে পারবেন। প্রতি ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের জন্য ডিস্কাউন্টে বিলের প্রস্তাবিত ক্রয়মূল্য উল্লেখসহ মোট অভিহিত মূল্য উদ্ধৃত করে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় নিলামের তারিখ সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এমআই মডিউলের মাধ্যমে বিড দাখিল করতে হবে।
একই দিনে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ও নিলাম ফলাফল দুপুর আড়াইর মধ্যে ঘোষিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের সেটেলমেন্ট টি+০ ভিত্তিতে হবে এবং মেয়াদান্তে বিলের মেয়াদপূর্তিকৃত মূল্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব আকলন করে পরিশোধ করা হবে।
এদিকে নিলামে অংশগ্রহণের বিস্তারিত নির্দেশনা এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন যারা জমা দেননি তারা নজরদারিতে: এনবিআর

কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলেও প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ রিটার্ন জমা দেন না। সে কারণে নিয়মিত করদাতাদের ওপর চাপ পরছে বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। যাতে করে করের আওতা বাড়াতে চান তিনি। একই সঙ্গে যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না কিংবা নানাভাবে কর ফাঁকি দেন বা কর অব্যাহতি নেন, তাঁদের কাছ থেকেও কর আদায় বাড়াতে চান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নন-ফাইলার্সদের (যারা রিটার্ন জমা দেন না) থেকে কী পরিমাণ কর সংগ্রহ করতে পারল, রিবেটার্সদের (ছাড় পাওয়া) থেকে কত কর সংগ্রহ করতে পারল, তার হিসেব দিবেন কর্মকর্তারা। অর্থাৎ তাঁদের নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হবে। কমিশনারেটে নির্দেশনা দেওয়া হবে, টার্গেট দেওয়া হবে, এ বছর ও পরবর্তী বছরের জন্য।
রোববার (৪ মে) সকালে রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে আসন্ন বাজেটে রাজস্ব খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, এনবিআরের ৯২ শতাংশ রাজস্ব টিডিএসসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে। কর কর্মকর্তারা মাত্র ৮ শতাংশ রাজস্ব সরাসরি সংগ্রহ করেন। এই ব্যবস্থায় এখন থেকে কর কর্মকর্তাদের দক্ষতারও প্রমাণ পাওয়া যাবে। যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়, সমপরিমাণ অর্থ করছাড়ের কারণে হারাতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ ঋণের বড় চাপ/বোঝা (বার্ডেন) আছে। এ অবস্থায় এভাবে কর অব্যাহতি দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ নিয়ম মেনে এসব ছাড় দেওয়া হয়নি। নতুন করছাড় নীতিতে এই সক্ষমতা সংসদের হাতে থাকবে।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) ও জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই)।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী বাজেটে ব্যবসা সহজীকরণের নানা উদ্যোগ থাকবে। তবে রাজস্ব আহরণও কমবে না, সেদিকে নজর থাকবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়াও সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ফরেন চেম্বারের সভাপতি জাবেদ আখতার, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের (সিইও) মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, বাংলাদেশে মারুবেনি করপোরেশনের কান্ট্রি হেড মানাবু সুগাওয়ারা, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বারের যুগ্ম মহাসচিব ইউজি আন্দো, এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান শিকদার ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আফজাল হোসেন, আইসিএবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, আইসিএবির সভাপতি মারিয়া হাওলাদার, জেবিসিসিআই সভাপতি তারেক রফি ভুঁইয়াসহ অনেকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এডিবির ৩০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন ঘোষণা, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা এডিবি সদস্যভুক্ত দেশগুলো পাবে। ফলে বাংলাদেশও সুবিধা পাবে। নানান প্রকল্পে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এডিবি অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে।
রোববার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহায়তা ২৬ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এডিবি। ফলে ২০২২-২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা উদ্যোগের জন্য মোট তহবিল ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
এ সহায়তা কৃষিকাজ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে বিতরণ ও ব্যবহার পর্যন্ত সমগ্র খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াজুড়ে একটি বিস্তৃত কর্মসূচির তহবিল সরবরাহ করবে।
মিলানে এডিবির ৫৯তম বার্ষিক সভায় এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা বলেন, খরা, বন্যা, চরম তাপ এবং অবক্ষয়িত প্রাকৃতিক সম্পদ কৃষিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ জীবিকাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। এ সম্প্রসারিত সহায়তা দেশগুলোকে ক্ষুধা দূরীকরণ, খাদ্যাভ্যাস উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে কৃষক ও কৃষি ব্যবসার জন্য সুযোগ তৈরি করবে। এটি খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে বিতরণ ও গ্রহণের পদ্ধতি পর্যন্ত সমগ্র খাদ্যমূল্য শৃঙ্খলে পরিবর্তন আনবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলে দেশে রেমিট্যান্স এলো ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা

বিদায়ী এপ্রিল মাসের পুরো সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২.৭৫ বিলিয়ন (২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় আসছে প্রায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১১১৯ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এপ্রিল মাসের পুরো সময়ে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে দেশে। যা গত বছরের একই মাসের (এপ্রিল, ২০২৪) চেয়ে ৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের এপ্রিলে এসেছিল ২০৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৯৯২ কোটি ডলার। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এসেছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন (৫৪২ কোটি ডলার) ডলার বেশি এসেছে। আর সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের আগেই বাজারে আসছে নতুন নোট

ঈদুল আজহার আগেই বাজারে আসছে নতুন নকশার নোট। তবে এবারের নতুন নোটগুলোতে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। থাকবে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি’ ছাড়াও দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। দুই টাকা থেকে এক হাজার টাকার নোটা বাজারে ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন নোটের ডিজাইন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে এবং ছাপার কাজ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের মতো আমিও ধারণা করছি—নতুন নোটে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির পাশাপাশি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিদর্শন থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘মে মাসের শেষের দিকে এই নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে। নতুন ৯ ধরনের নোট ছাপানো হলেও সব এখনই পাওয়া যাবে না।’
তবে বাজারে নতুন নোটের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ভল্টে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত বিপুল পরিমাণ নোট মজুদ থাকলেও সরকারের নির্দেশনায় তা বাজারে ছাড়া বন্ধ রয়েছে। ফলে খোলাবাজারে ছেঁড়াফাটা নোটের পরিমাণ বেড়েছে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে সাধারণ মানুষ। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকগুলোও গ্রাহককে শেখ মুজিবের ছবিসংবলিত নোট দিতে পারছে না।
ব্যাংকগুলোর ভল্টে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুদ থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় সেগুলো বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
ব্যাংক ও এটিএম বুথে নতুন নোট সরবরাহ বন্ধ থাকায় নগদ লেনদেনে দেখা দিয়েছে সংকট। পুরনো ও ছেঁড়াফাটা নোট দিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন গ্রাহকরা। গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় অনেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নোট পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এমন সংকট শুধু ভোক্তাদের জন্য নয়, অর্থনীতির জন্যও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ইঙ্গিত। তারা বাজারে মজুদ নোটগুলো দ্রুত ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
টাঁকশালের সক্ষমতা অনুযায়ী, বছরে সর্বোচ্চ ১২০ কোটি পিস নতুন নোট ছাপানো সম্ভব, যেখানে চাহিদা প্রায় ১৫০ কোটি পিস। এ প্রেক্ষাপটে প্রাথমিকভাবে চার ধরনের নোটের ডিজাইন পরিবর্তনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সব নোটই নতুন রূপে আনা হবে।
সরকার পরিবর্তনের পর গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় নতুন নোট ছাপানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। এর ভিত্তিতে সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং চিত্রশিল্পীদের সমন্বয়ে তৈরি কমিটি ডিজাইন চূড়ান্ত করে।
কাফি