রাজনীতি
দেশে আসছেন জোবাইদা রহমান, নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। দেশে ফেরার পর তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর গত ৩০ এপ্রিল চার স্তরের নিরাপত্তা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে ডা. জোবায়দা রহমানের জীবনে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে ধানমন্ডিস্থ তার পৈত্রিক বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ থাকবেন।
চিঠিতে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারটি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একজন সশস্ত্র গানম্যান নিয়োগের সঙ্গে গাড়িসহ পুলিশ প্রটেকশন চেয়েছে বিএনপি। এছাড়াও বাসায় পুলিশ প্রহরা এবং বাসার প্রবেশপথে আর্চওয়ে স্থাপনের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।
আগামী সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন ডা. জুবাইদা। তিনি ছাড়াও লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী থাকবেন আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান ও দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।
উল্লেখ্য, এক-এগারো সরকারের সময় ডা. জুবাইদা স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে চলে যান এবং এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন।

রাজনীতি
যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে: সালাহউদ্দিন

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, কারা নির্বাচনকে বিলম্বিত-অনিশ্চিত করতে চায়, তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। যারা নির্বাচনকে বয়কট করার চেষ্টা করবে তারা জাতীয় রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে যাবে।
নির্বাচনের আগে নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে কড়াকড়ি অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অবৈধ অস্ত্র মাঠে থাকলে ফ্যাসিস্ট শক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে।
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সংশয় দূর করার জবাব অবশ্যই সরকারের কাছে আছে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
এছাড়া গুলশানের চাঁদাবাজির ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, তা স্পষ্ট করে জনগণের সামনে তুলে ধরা দরকার বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, গুলশানকাণ্ডে উপদেষ্টাদের কেউ জড়িত কিনা, তা স্পষ্ট করা দরকার। জনগণের সামনে তুলে ধরা দরকার। যদি এই ঘটনার তদন্ত না হয়, উপদেষ্টাদের বিষয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে। এই বিষয়ের বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত।
রাজনীতি
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে বিলীন হতে দেব না: ড. হেলাল উদ্দিন

শহীদের রক্তে গড়া চব্বিশের বিপ্লবকে সহজেই কোন চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের হাতে বিলীন হতে দেবো না বলে মন্তব্য করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যার পর রাজধানীর মতিঝিল দক্ষিন জামায়াতের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের যে অবসান ঘটেছে তার লক্ষ্যই ছিল গনতন্ত্র ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। সুতরাং অসংখ্য শিশু-কিশোর, ছাত্র-জনতার জীবন ও পঙ্গুত্বের বিনিময়ে অর্জিত এই বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানকে কোন চাঁদাবাজ দুর্নিতিবাজদের হাতে বিলীন হতে দেওয়া হবেনা।
তিনি বলেন, ২৪ এর বিপ্লবীরা মনে করেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার গণহত্যাকারীদের বিচার এবং সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামির পক্ষ থেকে কথা দিচ্ছি জনগণ যদি বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেয় তাহলে বাংলাদেশ জামাত ইসলামী চাঁদাবাজি দখল বাজি ও দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য সর্বপ্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এর বিনিময়ে হয়তো আমাদের আবারও মাঠে নামতে হতে পারে। সেই প্রস্তুতি নেওয়ারও আহবান জানাচ্ছি।
মতিঝিল দক্ষিন থানা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের সহকারী সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ শামছুর রহমান।
কর্মী সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা জামায়াতের মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।
রাজনীতি
সাধারণ মানুষ আর চাঁদাবাজদের ভোট দেবে না: ড. হেলাল উদ্দিন

জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, এখন বিএনপির চেয়ে জামায়াতের সমর্থন অনেক বেশি। জনগণ চায় একটা পরিবর্তন। সাধারণ মানুষ আর চাঁদাবাজদের ভোট দেবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানী মতিঝিলের একটি হোটেলে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি মতিঝিল পূর্ব থানা আয়োজিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গদের সন্মানে সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিঝিল পূর্ব থানা থানার আমীর মো. নুরুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন থানা সেক্রেটারি মো. খলিলুর রহমান।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমায়াতের আমির একজন জনপ্রিয় নেতা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন জনপ্রিয় নেতা বার বার আসেনা। তাই ডা শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি সুন্দর সমাজ বিনির্মান করবে ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে শিশু বাচ্চারাও দেখলে চেনেন। নারায়েতকবির বলে স্লোগান দেয়। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে শিশু থেকে শুরু করে যুবক, বয়োবৃদ্ধ ও নারীদের মাঝে একটি আসন তৈরি করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির হাবিবুর ও ফজলুর মত নেতা জামায়াতের মত দলের বিরুদ্ধে চিল্ল্যাইয়া কোন কাজ হবে না। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সময় এসেছে। জনগণের মধ্যে পরিবর্তনের একটি চেতনা তৈরি হয়ে গেছে। এই চাঁদা বাজদের আর দেখতে চাইনা। স্বৈরাচার পতনে ছাত্র আন্দোলনের শুরুর দিকে এই আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেননি বিএনপি নেতারা। মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই। এখন তারা ক্রেডিট নিচ্ছে। এই আন্দোলনের রুপকার নাকি তারা! লজ্জা লাগে ভেলকি দেখে।এই ভেলকিবাজি জনগণ এখন বুঝে গেছে। এজন্য আমাদের জীবন বাজি রেখে হলেও ভোটের মাঠে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতে হবে। কোন দলকে ভোট চুরি করতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মা বোনদের আস্বস্ত করতে চাই আমরা তাদের যথার্থ সম্মান দেব। মা বোনরা ভোটের মাঠে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। ভোট আমাদের আমানত এই আমানত রক্ষার্থে সবাইকে মাঠে থেকে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত মজলুম দল হিসেবে আমাদের জান এবং মালের কোরবানি দেওয়ার প্রস্তুতিও নিতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মোস্তফা খান, জামায়াত মনোনীত ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী জাসিমুল হক পাটোয়ারী প্রমুখ।
কাফি
রাজনীতি
মঙ্গলবার রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক জামায়াতের

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়া এবং এর আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে দলটি।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৫টায় রাজধানীর বিজয়নগরের পানির ট্যাংক এলাকায় এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনগত স্বীকৃতি প্রদান এবং এ সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় সে লক্ষ্যে এ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও মহানগরবাসীর প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনীতি
আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পরে বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমি বসেছিলাম। তখন আপনাদেরকে বলেছিলাম, আমাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই ভাবছে একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, আগামী নির্বাচন কি আর কঠিন হবে। আমি তখন বলেছিলাম আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে। এক বছর আগে আমি বলেছিলাম অদৃশ্য শক্তি বিভিন্নভাবে কাজ করছে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আজকে কি আমার কথার অর্থ বুঝতে পারছেন আপনারা? আমার কথার অর্থ অনুধাবন করতে পারছেন? কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন আগামী দিনে আমরা ইনশাআল্লাহ সফল হবো। যদি বিএনপি নামক পরিবারটির সকল সদস্য ঐক্যবদ্ধ থাকে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, পত্রিকা খুললেই আপনারা একটি বিষয় দেখেন, সারা দেশের সংস্কার নিয়ে আলোচনা। কি কি সংস্কার করলে দেশের ভালো হয়। নেতৃবৃন্দ, আপনাদের খুব ভালো করেই জানা আছে, যে সংস্কারগুলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আপনার দল বিএনপি আজ থেকে আড়াই বছর আগে যখন স্বৈরাচার এ দেশের মানুষের টুটি চেপে ধরেছিল, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে পাচার করে দিয়েছিল। সেই সময় আমাদের দল বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিল। এই ৩১ দফার মধ্যে রাষ্ট্রকে জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সবকিছুই রয়েছে।
তিনি বলেন, ৩১ দফা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে সংস্কার কমিশন রয়েছে তাদের বিষয়গুলো দেখবেন প্রায় অধিকাংশ বিষয়ে মিল খুঁজে পাবেন। আমরা কাউকে ছোট করে কথা বলতে চাই না, আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। কিন্তু গত ছয় মাস বা এক বছর ধরে যারা সংস্কারের কথা বলছেন তাদের বহু আগে আপনি সংস্কারের কথা বলেছেন। আজকে অনেক দল বলছে এই সংস্কার নাহলে নির্বাচন করবো না ওই সংস্কার না হলে নির্বাচন করবো না। তারা বলতেই পারে। সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির দেশ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিএনপির অভিজ্ঞতা আছে এ দেশের খাদ্য উৎপাদন কিভাবে দ্বিগুণ করতে হয়, নারী সমাজকে কিভাবে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হয়, কিভাবে লক্ষ্য কোটি শ্রমিককে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হয়। বিএনপির অভিজ্ঞতা রয়েছে কিভাবে এ দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হয়। আমরা এই দেশের মানুষের কল্যাণ চিন্তা করি বলেই আজ থেকে আড়াই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা দিয়েছি। স্বৈরাচারের সময় দেখেছি রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে কিভাবে ধ্বংস করে দিতে হয়। কিন্তু বিএনপির অভিজ্ঞতা রয়েছে কিভাবে রাষ্ট্র মেরামত করতে হয়। আমার ঘরই যদি না থাকে তাহলে আমি কোথায় আশ্রয় নেব। কাজেই বাংলাদেশ যদি ঠিক না থাকে এই কোটি কোটি মানুষ কোথায় যাবে। ১৮ কোটি মানুষের প্রথম এবং শেষ আশ্রয়স্থল এই ৫৫ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলের পুঁজি হচ্ছে জনগণ, রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য উদ্দেশে হচ্ছে জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করা। এখানে আপনারা যতজন আছেন সবারই একটি পরিচয় শহীদ জিয়ার সৈনিক। প্রত্যেককেই সতর্ক থাকতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না, যাতে আমাদের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়। একজন আরেকজনের প্রতি নজর রাখবেন, যাতে আপনার সহকর্মিটির কাজের দ্বারা দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
নওগাঁ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম বাদশাসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।