রাজনীতি
ইনসাফ ভিত্তিক কল্যান রাষ্ট্রই শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করবে: মাওলানা ইসহাক

ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেই কেবল সকল বৈষম্য ও শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শূরা সদস্য ও মুগদা থানা পূর্বের আমীর মাওলানা ইসহাক।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) বিশ্ব শ্রম দিবস উপলক্ষ্যে ৭২নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীতে আয়োজিত এক রালী ও পথসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক হবে ভ্রাতৃত্বের, শক্রর নয়। এটাই ইসলামের নির্দেশনা। শ্রমিক তার ন্যায্য অধিকার না পেলে শিল্প এগিয়ে যাবে না। বরং শ্রমিকরা কাজ না করলে শিল্প পিছিয়ে পড়বে। শ্রমিকরা বাঁচলে শিল্প বাঁচবে আর শিল্প বাঁচলে শ্রমিকেরা বাঁচবে- এ কথা মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষকে অনুধাবন করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় থানার কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ ও ওয়ার্ড সভাপতি এবং সেক্রেটারিসহ সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলগন।
অনুষ্ঠানে থানার অর্থ সম্পাদক নেছার উদ্দীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আরমান, মোহাম্মাদ ইউনুস, সোলাইমান, জোনায়েদ, শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচিত জাতীয় সংসদ থেকে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে বিদেশিদের স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে সবার আগে দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজনবোধ করেনি। দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিনা, কিংবা নেওয়া উচিত কিনা— এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক আমি তুলতে চাই না।
তিনি বলেন, তবে দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে করিডোর দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে, নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, বিদেশিদের স্বার্থ রক্ষা নয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান কিংবা অন্য কোনো দেশ নয়, সবার আগে বাংলাদেশ। এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি বিশ্বাস করে তৃণমূলের জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া, শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের অধিকার উপেক্ষা করে কোনো রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না। শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের শ্রম, ঘাম, মেধার ওপর নির্ভর করে একটি দেশের উন্নয়ন এবং অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তি রচিত হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শ্রমিকদের রক্ত আর ঘামে শিল্প গড়ে ওঠে: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শ্রমিকদের রক্ত আর ঘামে শিল্প গড়ে ওঠে। শ্রমিকদের বলবো, আপনাদের গায়ের ঘাম আমার কাছে আতরের মতো লাগে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোথাও গেলে অনেক শ্রমিক গায়ে ঘামের কারণে আমাদের সঙ্গে হাত মেলাতে লজ্জাবোধ করেন। আমি তাদের বুকে টেনে বুক মেলাই। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম আতর, সুগন্ধি, সৌরভের কারণ।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা আসলে মানুষের মাঝে বৈষম্য দেখতে চাই না। সব পেশার মানুষকে আমরা এক চোখে দেখি। মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব আর চাই না। শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে, ব্যবসা বাঁচবে। আবার শ্রমিককে বুঝতে হবে, শিল্প বা মালিক ধ্বংস হয়ে গেলে শ্রমিকদের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই মালিক-শ্রমিক উভয়ের দায়িত্ব অনেক।
তিনি বলেন, যেদিন মালিক তার শ্রমিককে দরদ-ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নেবে, সেই শ্রমিক জীবন দিয়ে হলেও তার শ্রমের শতভাগ দেবে। মালিক-শ্রমিকের সমন্বয়ে একটা কর্মউপযোগী সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এটা নিয়েই কাজ করছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য নামাজের জায়গা রাখার দাবি জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পুরুষের জন্য মিল-ফ্যাক্টরি বা ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট্ট হলেও নামাজের জায়গা রাখা হয়। কিন্তু আমাদের নারীদের জন্য নামাজের জায়গা রাখা হয় না। আমি কারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলবো, নারীদের জন্য নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করুন। তাদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল গড়ে তুলুন।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, ১৭ বছর শ্রমিক সমাবেশ করতে পারিনি। আমাদের শ্রমিকরা নির্মম বঞ্চনা, হত্যার শিকার হয়েছেন। আজ সেই সুযোগ হয়েছে। তাই এখনি সময় শ্রমিকদের অধিকার সুসংগঠিত করার। আমরা এমন এক শ্রমনীতি কায়েম করতে চাই, যা চলবে ইসলামের আইন অনুযায়ী। যেখানে মালিক-শ্রমিক কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, যে আইনে কোনো শ্রমিক না খেয়ে থাকবে না। তাই কোরআনের বিধান অনুযায়ী ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ. লীগের নামে কোনো দল রাজনীতি করতে পারবে না: নুর

আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনৈতিক দল গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
শরীয়তপুরের সখিপুরে তারাবুনিয়ার ঐতিহাসিক মাটিতে প্রথমবারের মতো এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে তিনি বলেন, “দেশে এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ভোটাধিকার শুধু কাগজে-কলমে। জনগণের অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ আজ ফ্যাসিবাদী একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তবে সেই অবৈধ দুঃশাসনের অবসান হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন যুবলীগও নিষিদ্ধ হবে। গণঅধিকার পরিষদ জনগণের নেতৃত্বে এই দানবীয় দখলদারদের উৎখাত করবে।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝি। একই মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা দেন, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “আমরা একদলীয় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে আছি। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের মুখপাত্র ফারুক হাসান, ডা. শাহজালাল সাজু, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সি, হাসান আল মামুন, বীন ইয়ামিন মোল্লা, মাহমুদ পারভেজ, নাজমুল হাসান, ওবায়দুল হোসেন শুভ এবং শাকিল সিকদার।
সমাবেশ শেষে নেতারা সখিপুর বাজার, উত্তর তারাবুনিয়া ও আশপাশের জনবহুল এলাকায় গণসংযোগ করেন। পথচলতি মানুষজনের হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং তুলে ধরেন সংগঠনের লক্ষ্য ও কর্মসূচির কথা।
এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো এলাকা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বক্তারা বলেন, “সরকারের দমন-পীড়ন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলবে জনগণের শক্তিকে ভিত্তি করে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিগত নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি: নূরুল ইসলাম বুলবুল

অতীতে নির্বাচনের মাধ্যমে কেবল ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বারবার অসৎ নেতৃত্বের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাওয়ার কারণে দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। বরং যখন যেই দল ক্ষমতায় বসে তখন সেই দলের সবোর্চ্চ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত সবাই দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসীতে লিপ্ত হয়েছে। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি বলে তাদের কোন দায়বদ্ধ ছিল বলে তারা মনে করেনি। নিজের খেয়াল খুশি মত রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শাহজাহানপুর পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণের অধিকারের দাবিতে রাজপথে আসলেই রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে দমন-নিপীড় চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর চেয়ে বড় কোন মজলুম দল বাংলাদেশে নাই। জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সেক্রেটারী জেনারেল সহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বাচাঁই করে করে হত্যা করেছে। দলের নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছে, প্রতিক কেড়ে নিয়েছে, সবশেষ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধও করেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী তার সাংগঠনিক কর্মকান্ডে এদেশের জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। জনগণের হৃদয় থেকে জামায়াতে ইসলামীকে মুছে ফেলা যায়নি, যাবে না। সেজন্য যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে, জনগণ তাদেরকেই দেশ ছাড়া করেছে। আগামীতেও যারাই গণমানুষের সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে জনগণই তাদের উপযুক্ত সময়ে, উপযুক্ত জবাব দিবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন গণমানুষের সংগঠন হলো?- কারণ জামায়াতে ইসলামী কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না গিয়েও দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরবে-নিবিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির অন্যতম একটি সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা। সমাজ সেবার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সমাজের শোষিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিল এবং আছে। দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামী মানবিক প্রয়োজনে সমানভাবে সমাজ সেবা করে আসছে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। এটাই ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ হলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জান ও মালের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রই পালন করবে। সকল ধর্মের মানুষ সমাজে সমান মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। রাষ্ট্রের কাছে ধর্মের কোন বিভেদ থাকবে না। সকলেই নাগরিক হিসেবে সমান। তাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে হচ্ছে, সম্পদ পাহারা দিতে হচ্ছে কেন প্রশ্ন রেখে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কারণ মানুষের তৈরি আইনে মানুষে-মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে, ধর্মের বিভেদ সৃষ্টি করে। যার কারণে সমাজে অশান্তি বিদ্যামান। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ হলে সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।
জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণ ও নিরাপদ বাসযোগ্য বাংলাদেশ জাতিকে উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রতিটি নাগরিককে অংশগ্রহন করেত হবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে তিনি দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী মানবিক সেবা করে এবং করবে। জনগণ সুযোগ দিলে সম্প্রীতির বান্ধনে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জামায়াতে ইসলামী গঠন করবে। যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ থাকবে না। মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-যুবক সকলে নিরাপদে নিবিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবে। মানুষ মৌলিক স্বাধীনতার নিশ্চিতা পাবে। মানুষ হিসেবে প্রতিটি মানুষ সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি আরো বলেন, ঢাকা-৮ আসনের জনগণ তাকে সুযোগ দিলে তিনি এই আসনকে সম্প্রীতির নতুন বাংলাদেশের অনুসরণীয় একটি এলাকায় রূপ দিবেন। ঢাকা-৮ আসনের প্রতিটি মানুষ নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার লাভ করতে পারবে। মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্রের ভিত্তি ঢাকা-৮ আসন থেকেই স্থাপিত হবে।
থানা সেক্রেটারী মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ওয়ার্ড সভাপতি মোশাররফ হোসেন চঞ্চল, থানা অফিস সম্পাদক নাহিদ জামাল, থানা প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. আবদুল খালেক, থানা সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস.এম আজীম উদ্দিন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালী পদ চন্দ্রশীল, লতিফ চন্দ্রশীল, লোকনাথ সরকার ও স্বপন চন্দ্রশীল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে থানা দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সহ শাহজানপুর থানা এলাকার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সঠিক বিচার হলে আ.লীগ করার কেউ থাকবে না: মামুনুল হক

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে অতীতের গণহত্যা ও গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের বিচার করতে হবে। বিচার শেষে যদি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বেঁচে থাকে, তবেই তাদের রাজনীতির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তবে বিশ্বাস করি, সঠিক বিচার হলে আওয়ামী লীগ পরিচালনার মতো কেউ অবশিষ্ট থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর খেলার মাঠ চত্বরে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, ১৯৭২ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ মুজিব দেশের জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারকে পদদলিত করেছিলেন। তার আমলে ভারতীয় ধর্মীয় মতবাদ আমদানি করে বাংলাদেশকে ভারতের শৃঙ্খলে বন্দি করা হয়। কিন্তু চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না।
এ সময় তিনি নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসলাম পরিপন্থী এসব সুপারিশ দ্রুত বাতিল করতে হবে। দেশের ৯০ শতাংশ নারী এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসা ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ও সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি আব্দুর রউফসহ অনেকে।