জাতীয়
পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার পরামর্শ

বিগত সরকারের সময়গুলোতে পুলিশ রাজনৈতিক ছাত্রছায়ায় কাজ করেছে। রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে অনেক আইনবিরোধী কাজেও লিপ্ত হয়েছে পুলিশের অনেক সদস্য। জনগণ বাংলাদেশ পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, জনতার পুলিশ হিসেবে দেখতে চায়। পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য উঠে এসেছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ড. সলিমুল্লাহ খান।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমাদের বুকে হাত দিয়ে স্বীকার করতে হবে পুলিশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। যেটুকু থাকার কথা ছিল, তা নেই। ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন ও পুলিশ বিধি সেগুলোর পদে পদে সমস্যা আছে। সর্বশেষ পুলিশ সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট একনজর দেখলাম। তারাও উপলব্ধি করতে পারেনি। এসব বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, পুলিশ শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ নয় সমাজের অংশ। পুলিশের সঙ্গে জনতার বিভক্তির মূলে যেতে হবে, এটা হচ্ছে জনতার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিভক্তি। আর এই সমস্যা সমাধান হচ্ছে গণতন্ত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, আমরা পুলিশকে যেভাবে মিসইউজ করি, বিরোধীদল দমনের প্রেক্ষিতে অ্যাওয়ার্ড দেওয়াসহ সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে যদি পুলিশকে সংস্কার না করতে পারি তাহলে এই পুলিশকে কেবল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতেই সক্ষম হবো, রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করাতে সক্ষম হবো না। পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন মনে হয়েছে এটি একটি ত্রুটিযুক্ত কমিশন। কারণ পুলিশের ইমেজকে পুনরুদ্ধারের জন্য তেমন কিছু দেখিনি। একজন কনস্টেবলকে আপনি ১২-১৪ ঘণ্টা ডিউটি দিচ্ছেন, তার পরিবার, ব্যক্তিজীবন ও উৎকর্ষতা আসবে না। নন-ক্যাডার পুলিশ সদস্যরাই পুলিশের ইমেজ ফিরিয়ে আনতে পারবে।
নিজের একটি লেখার উদাহরণ দিয়ে ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন কেন করে? পুলিশ কি স্ব-প্রণোদিত হয়ে নির্যাতন করে? আমার বিশ্বাস না। এর পেছনে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং নোংরামি কাজ করে। বিরোধীদল দমনে পুলিশ মনে করে, সিম্বলি গুটিকয়েক ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারি তাহলে বিরোধী দল-মত স্তব্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করবে সেটিই দেখতে চাই। জবাবদিহিতার জায়গা ইফেক্টিভ করতে পারলে পুলিশ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবে।
রাজনৈতিক প্রভাব থেকে দূরে থেকে পুলিশ সদস্যদের কাজ করার আহবান জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, জনগণের পাশে থাকার জন্য আপনারা (পুলিশ) নিজেদের লড়াই চালাবেন। শাসকের পক্ষে অন্ধভাবে গেলে কী হয়, ৫ আগস্টের পর হয়তো সবাই সেটা বুঝতে পেরেছে।
৩২ বছর পুলিশে কাজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সবাই তেলবাজি করি। মন্ত্রী-এমপিদের বাসায় যাই। ব্যক্তিগত লাভ ও পদোন্নতির জন্য নানান রকম অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে যাই। এটি দ্বিচারিতা, এর অবসান হওয়া উচিত।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন পুলিশের বিষয়ে বলছে অনেক বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষারই যদি দরকার তাহলে এই সংস্কার কমিশনের কী দরকার? এই পুলিশ কমিশন ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন নিয়ে কিছু বলেনি; গণ্ডগোল কিন্তু ওইখানেই। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা যদি না থাকে তাহলে পুলিশ কীভাবে কাজ করবে? যাদের সুবাদে আমরা আজ কথা বলতে পারছি, সেটা কতদিন বলতে পারব সেটার কোনো গ্যারান্টি নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর যদি স্বদিচ্ছা না থাকে তাহলে সম্ভব না। সমাজে বিষাক্ত বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। এটি আমাদের বুঝতে হবে। এতদিন যাদের প্রমোশন হয়নি এবং তাদের মধ্যে যাদের চাকরি আছে, তাদের দুই র্যাংক করে প্রমোশন দেওয়া উচিত। তারা অবসরে যাওয়ার আগে তাদের যেটা পাওনা সেটা দেওয়া উচিত। পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এই সম্পর্ক বদলাতে হবে। এটি অবশ্য পুলিশের হাতে নেই।
পুলিশে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে সাবেক এই আইজিপি বলেন, যেভাবে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে অফিসাররা এটা চিন্তার বাইরে। আমি এক সময় পুলিশের চাকরি জীবনে শ্বশুরবাড়ি ছিলাম। কারণ আমাদের যে বাড়ি সেখানে থাকার জায়গা ছিল না। তখনকার আইজিপি আমাকে ডেকে বলেছিলেন, ঘুস খাওয়ার চেয়ে শ্বশুরবাড়ি থাকা ভালো, তুমি একদিন আইজিপি হবা।
তিনি আরও বলেন, আগে পুলিশে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। এখনো যে দুর্নীতি হচ্ছে না এই গ্যারান্টি নেই। আমি খোলাখুলি বলতে চাই না। দুর্নীতি থেকে পুলিশকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি তখনই ইতিবাচক হয়, যখন তারা দেখে এই বাহিনীটি কেবল আইন প্রয়োগ করছে না, বরং জনগণের অধিকার রক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করছে। জনতার পুলিশ মানে শুধু একটি পরিচয় নয়। এটি একটি দর্শন, যা নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে জনমনে আস্থা, শ্রদ্ধা ও সম্মান গড়ে তোলে।
তিনি বলেন, ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, অস্ত্র নয়; জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের প্রকৃত শক্তি। পুলিশ যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের পাশে থাকে, তবে তারা ভয়ের প্রতীক নয় বরং হয়ে ওঠে ভরসার আশ্রয়। তাই পুলিশ হতে হবে এমন, যারা থাকবে জনগণের পাশে, জনগণের হয়ে, জনগণের জন্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ৬৯৪ হজযাত্রী

পবিত্র হজ পালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ৬৯৪ জন হজযাত্রী। মোট ৪৩টি ফ্লাইটে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন তারা।
আজ শনিবার (৩ মে) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরবের সূত্রে হজ বুলেটিনের আইটি হেল্প ডেস্ক জানিয়েছে, শুক্রবার (০২ মে) রাত ২টা ৫৯ মিনিট নাগাদ সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ৬৯৪ হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৩ হাজার ১৩০ হজযাত্রী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৭২ হাজার ৯৫২টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, ৪৩টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৩৯৮ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্য দিয়েই এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যাত্রা শেষ হবে ৩১ মে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজে যাবেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদি আরবে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ৭০টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল। শেষ হজ ফ্লাইট ৩১ মে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুন, আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার আরও ১২৫৫

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ৭৩৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন আরও ৫১৬ জন।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৭৩৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৫১৬ জন গ্রেফতার হয়। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১২৫৫ জনকে।
অভিযানে চার রাউন্ড গুলি, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, একটি চাইনিজ কুড়াল, পাঁচটি ধারালো ক্রিস, চারটি ছোরা এবং দুটি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার (২ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি লেখেন, যদি কিন্তু অথবা ছাড়া গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আজ বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিতব্য বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিন।
আজকের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, চিন্ময়ের জামিনকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। চিন্ময়ের ঘটনার শুরু থেকেই ভারতীয় আধিপত্যবাদ এ দেশের ওপর অন্যায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, চিন্ময়ের জামিনও কি সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই দেওয়া হলো?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাবধান করে হাসনাত বলেন, ইন্টেরিম সাবধান! আলিফের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের রাস্তা উন্মুক্ত করলে পরিণতি ভালো হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সবজি-মাছে স্বস্তি ফেরেনি, বেড়েছে মুরগির দাম

গ্রীষ্মকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে বিভিন্ন সবজির দাম। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে মুরগির বাজারের ঊর্ধ্বগতি। যা ভোক্তাদের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজিই এখন ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০ টাকার নিচে পছন্দের কোনো সবজি মিলছে না। হাতে গোনা কয়েকটি সবজি এর ব্যতিক্রম।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৭০-১০০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৭০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা এবং টমেটো ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে পেঁপে ৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৫০-৬৫ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা এবং সজনে ডাটা ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিটি চালকুমড়া ৪০ টাকা এবং লাউ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার এবং সবজির মান-আকারভেদে দাম কমবেশি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনো পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। তাছাড়া শীতকালীন সবজির সরবরাহও প্রায় শেষের দিকে।
আজমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, শীতের অধিকাংশ সবজিই এখন শেষ। আর গ্রীষ্মের কিছু সবজি বাজারে আসা শুরু করেছে মাত্র। পুরোপুরি সরবরাহ শুরু হলে দাম এমনিতেই কমে যাবে। আর যদি টানা বৃষ্টি হয় তাহলে দাম আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খিলক্ষেত নামা পাড়া এলাকার সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, এই সময়ে সব ধরনের সবজির দামই একটু বেড়ে যায়। ভালো পছন্দের সবজি নিতে হলে ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহে মুরগির দাম কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা বেশি। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেড়ে ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দাম জাতভেদে প্রতি পিস ৬০০-৭০০ টাকা।
তবে, গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, আদা ১২০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুন ১৮০-২২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার এখনো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০-৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০-৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দামের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা গরমের সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়াচ্ছেন। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের পকেটে।
রেজাউল করিম নামের এক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজে গিয়ে এক বাংলাদেশির মৃত্যু

চলতি বছর হজে গিয়ে খলিলুর রহমান (৭০) নামে এক বাংলাদেশি হাজীর মৃত্যু হয়েছে। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মদিনার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।
এর আগে, ২০২৫ সালের (হিজরি ১৪৪৬) পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেন এক হাজার ২২৪ জন হজযাত্রী। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছরের হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর রাত ২টা ১৫ মিনিটে সাউদিয়ার প্রথম ফ্লাইট (এসভি ৩৮০৩) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে, যাতে ছিলেন ৩৯৮ জন হজযাত্রী।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর তিনটি এয়ারলাইনস ২৩২টি প্রাক্-হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে এ দেশের হজযাত্রী পরিবহন করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৮টি প্রাক্-হজ ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন ও ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। ৩১ মে প্রাক্-হজ ফ্লাইট শেষ হবে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে যাবেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন।
আগামী ৩১ মে পর্যন্ত চলবে হজ ফ্লাইট। আর ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।