ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শহীদ জিয়াউর রহমানকে স্বৈরশাসক বলা সাংবাদিকের পক্ষে ছাত্রদলের বিবৃতি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বৈরশাসক বলা সাংবাদিকের পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল বিবৃতি জানিয়েছে। বিবৃতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরারকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানান সংগঠনটি।
বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ও ইবি ছাত্রদল জানায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ইবি প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরাররের উপর ইবি শাখা ছাত্রশিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঘটনাটি ছাত্রশিবির এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসে এবং আবাসিক হলে ছাত্রশিবিরের দখলদারিত্বের মুখোশ উন্মোচন করেছে। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দাবি করেন। নেতৃদ্বয় বলেন, বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছাত্রশিবির এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা হামলা, আক্রমণ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়। ছাত্রজনতাকে এই অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন ওয়াসিফ আল আবরারকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানান।
এ বিষয়ে জানার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদকে একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের কাছে বক্তব্য নেন।
যেহেতু এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেহেতু আপনার বক্তব্য এখানে প্রযোজ্য বললে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, লিখিতভাবে প্রশ্ন করেন। পরে লিখিত প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর দেননি নাছির উদ্দীন নাছির।
এর আগে, জুলাই আন্দোলনকারীদের দুর্বৃত্ত আখ্যা, অবৈধভাবে হলে অবস্থান এবং বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাস সাংবাদিক ওয়াসিফ আল আবরারকে মারধর করা হয়েছে। আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ফেসবুকে নিষিদ্ধ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হাফিজ, শাহিন আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন খানসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার পক্ষ হয়ে সমালোচনা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি ইবি ছাত্রদল। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও মাসুদ রুম মিথুন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলের সিটে থাকাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ইবি প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরাররের ওপর হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাখা সমন্বয়কদের একটি অংশ। এ ঘটনায় আবরারকে রক্ষা করতে গিয়ে লাঞ্ছিত ও আহত হয়েছেন সমন্বয়কদের অপর অংশের সদস্য, দুই সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তারা আরো বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত এ. শাহ আজিজুর রহমান হলের ৪০৫ নম্বর কক্ষে অতিথি হিসেবে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক আবরার। এ সময় ৮-১০ জন শিবিরের কর্মী তার কক্ষে যেয়ে সে কেন ওই কক্ষে অবস্থান করছে তা জেরা করতে শুরু করে। কথাবার্তার একপর্যায়ে আবরার ছাত্রলীগ করে এমন অভিযোগ তুলে তাকে হল থেকে নেমে যেতে বলে তারা। সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহারের সময় আবরার ফোন বের করে তাদের ভিডিও ধারণ করে। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ভিডিও চলাকালেই তারা রুমে ঢুকে লাইট বন্ধ করে ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং মারধর করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমন্বয়কদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় এবং দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন তারা। দিবাগত রাতে দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইবি শাখা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম ফেসবুক স্টাটাসে লিখেন, ‘‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যরাতে সাংবাদিকের উপর হামলা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন এবং শিবির একসাথে। রিপোর্টার্স ইউনিটের ছোট ভাই আববার লাল স্বাধীনতার পক্ষের সমর্থন করে আসছিলো কিন্তু মিছিল হলো ছাত্রলীগের নামে এবং তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুশি, লাথি মেরে মেডিক্যালে পাঠাইলো। আবার রিপোর্টার্স ইউনিটে নিউজ করলো দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করছে। রিপোর্টাস ইউনিট সরাসরি নাম দিয়ে নিউজ করার সাহস কি পাই নাই? যাইহোক আবরার মব জাস্টিসে মারা যায় নাই শুকরিয়া। ছোট ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করি।”
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ইবি শাখা) মেজবাহ উদ্দিন ফেসবুকে লিখেন, “মধ্যরাতে ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিনিধির সাংবাদিক আবরারের ওপর হা’ম’লা, গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি! এইতো ক্যাম্পাসে থাকতেই আবরার ছেলেটার মা মারা গেল! মা হারা এতিম ছেলেটাকে মারতে তোদের মায়া করলো না? শিবিরের আবার দয়া মায়া! জীবিত রাখছে এটাই অনেক। আবরারকে কখনো ছাত্রলীগের সাথে দেখি নাই! অন্য সাংবাদিকরা আমাদের কাছ থেকে কিছু খেলেও আবরারকে কখনো সেধেও কিছু খাওয়াতে পারি নাই। সেই আবরারকে দিচ্ছে ছাত্রলীগের ট্যাগ! আর প্রকৃত যারা আমাদের লুঙ্গির নিচেই থাকতো শিবির সন্ত্রাসীরা, আগে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম চালাতো আর এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ভাঙিয়ে এইরকম সব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ইবির সাংবাদিকরা যদি এবারও চুপ থাকে তাহলে আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের বোঝার কিছু বাকি থাকবে না। তীব্র নিন্দা জানায় এই সকল সাংবাদিকদের উপর! যারা আজকের ঘটনার পরও চুপ থাকবে।”
হল সূত্রে জানা গেছে, আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলে অবৈধভাবে দীর্ঘদীন ধরে অবস্থান করছিলেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রভোস্টকে দেখিয়ে তাকে নামানোর দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রভোস্ট তাকে হল থেকে নামিয়ে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে আবারও ওই হলে অবস্থান করতে শুরু করলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে নেননি। পরে রাত ১২ টা ২০ মিনিট নাগাদ তাকে হল থেকে নেমে যেতে বলা হলে এক পক্ষ প্রতিরোধ করায় শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষের মধ্যে ঠেলাঠেলি সহ শুরু হয় গণ্ডগোল।
ঘটনাস্থলে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রভোস্ট হল থেকে বের হয়ে যেতে বললেও আবরার হল থেকে বের হননি। কতিপয় সমন্বয়ক ও নেতা তাকে শেল্টার দেয়ায় প্রভোস্ট স্যারও অসহায় হয়ে গিয়েছিলো। তাই আমরা তাকে বলতে গেছিলাম যে, সে যেন হল ছেড়ে দেয়।’
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘ওয়াসিফ আল আবরার কলেজে থাকা অবস্থায় পাবনার বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। জুলাই আন্দোলনেও তার ভূমিকা বেশ বিতর্কিত ছিল। তার প্রোফাইলে জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক উল্লেখযোগ্য কোনো নিউজও শেয়ার করতে দেখা যায়নি। চারদিকে যখন আন্দোলনকারীরা একে একে শহিদ হচ্ছিল তখন সে হাসিমাখা ছবি পোস্ট আপলোড দেয়।’
এদিকে গত ৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা শাখা ছাত্রলীগের অফিস ভাংচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। এতে একটি সংবাদে আন্দোলনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ বলে আখ্যা দেন তিনি। এছাড়াও ৫ আগস্টের পরেও বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রমে তাকে দেখা যায়। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জমানো জামাকাপড় ‘হরিলুট’ বলে প্রচার করছে বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার ওয়াসিফ আল আবরার বলেন, “আমাকে ৭/৮ জন লোক গিয়ে বলে ‘২ মিনিট সময় হল থেকে বের হবি।’ আমি তখন জিনিসপত্র নিচ্ছিলাম। আমি বের হয়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে তারা বলে ‘আপনি হলুদ সাংবাদিক পরে আবার ঝামেলা করবেন’ বলে আমার ফোন নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে ৮/৯ জন মিলে রুমের লাইট বন্ধ করে আমাকে মারধর করে।”
ইবি মেডিকেল (উপপ্রধান মেডিকেল অফিসার) ডাক্তার মো. পারভেজ হাসান জানান, আশা করা যায় তেমন গুরতর কিছু হয়নি। মেডিকেলে নিয়ে আসার পর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে ১ ঘণ্টার মত নেবুলাইজার দিয়ে রাখা হয়। অতপর অবস্থা আগের থেকে উন্নত হলে রাত ২ টার দিকে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে মেডিকেলে রোগীর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক সাকিব আসলামকে বাধা দেয় এবং হেনস্তার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কতিপয় সমন্বয়কের বিরুদ্ধে।
পরে রাত দেড়টার দিকে শাখা সহ-সমন্বয়ক সহ শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপ উপাচার্যের সামনে স্লোগান দিতে দেখা যায়। মারমুখী অবস্থান সৃষ্টি হলে প্রক্টরিয়াল বডি ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হন। দুই পক্ষকে নিয়ে রাতভর আলোচনায় বসেন প্রক্টরিয়াল বডি।
শাহ আজিজুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান জানান, ‘ওই ছেলেটা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ে হলে ছিল। হলে বৈধ সিট ছিল না৷ তাই লিগালি সময় নিয়ে বের করে দেয়া হয়েছিল। আবারও কেন হলে অবস্থান করলো এটা তদন্ত করে দেখা যাবে। এর আগেও আমি তার রুমমেটকে কল দিয়ে রিকুয়েস্ট করেছিলাম যে, সে যেন হলে অবস্থান না নেন।’
সবার বক্তব্য শুনে সকাল ৮ টায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান বলেন, ‘দুই পক্ষের কথা শুনেছি। সমন্বয়কদের মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে- একটা হল কর্তৃপক্ষ এবং আরেকটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ২৩ আগস্টের মধ্যে এ মাসের বিল অনলাইনে সাবমিট করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। একই সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য দেয়ার কারণে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো না হলে তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের ওপর বর্তাবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর অর্থ ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্যই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতি মাসে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান অনলাইনে বিল সাবমিট না করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো হবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সাবমিট করা বিলের কপি ডাউনলোড করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির স্বাক্ষরসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অধিদফতরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটিতে দেয়া হচ্ছে এবং জুলাই মাস পর্যন্ত সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হয়েছে।
আগস্ট মাস থেকে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে মাসভিত্তিক এমপিওভুক্ত জনবলের বিল সাবমিট করার ব্যবস্থা অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠান প্রধান তার প্রতিষ্ঠানের এমপিও সংক্রান্ত কাজের জন্য ব্যবহৃত আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইএমআইএস সিস্টেমের এমপিও-ইএফটি মডিউলে লগ-ইন করে বিল দিতে হবে। এক্ষেত্রে, সংযুক্ত নির্দেশিকা অনুসারে তার প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য আলাদা আলাদাভাবে বিধি মোতাবেক প্রাপ্য এমপিও এর টাকা সঠিকভাবে নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
দাখিল করা বিলের একটি কপি ডাউনলোড করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স্বাক্ষর করে নিজ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্য অনুসারে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হবে।
প্রতিষ্ঠানের এমপিও তালিকায় বিদ্যমান শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ বা পদত্যাগ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট মাসে বিধিমোতাবেক তার প্রাপ্যতা নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
এছাড়া, সাময়িক বরখাস্ত, অনুমোদনহীন অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে বিধিমোতাবেক কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর আংশিক বা সম্পূর্ণ বেতন কর্তন বা বন্ধ করার প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিল সাবমিট অপশনে তা উল্লেখ করবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পিএসসিতে নতুন তিন সদস্য নিয়োগ

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) আরও ৩ জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বুধবার (২০ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
পিএসসির নতুন তিন সদস্য হলেন—ড. মো. মহিউদ্দিন, ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) ও ড. এম আমজাদ হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি এই তিন কর্মকর্তাকে সদস্য পদে নিয়োগ করেছেন।
সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তারা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তাদের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে সেই সময় পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৫। এই নিয়োগের ফলে এই সংখ্যা ১৮ তে দাঁড়াল।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) দেশের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যার কাজ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা। এটি একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা।
দেশের সংবিধানের ১৩৭ থেকে ১৪১ পর্যন্ত অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশন গঠনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বর্ণিত আছে। একজন চেয়ারপারসন এবং কয়েকজন সদস্য সমবায়ে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য কমিশন গঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারপারসন এবং সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা: ভিপিপ্রার্থী আবিদুল, জিএস হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটি ভিপি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম খান এবং জিএস পদে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শেখ তানভীর বারী হামিমকে মনোনয়ন দিয়েছে।
এছাড়া এজিএস পদে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপারেজয় বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশে এই প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্যানেলে দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে।
‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে লড়বে ৭ বাম সংগঠন
ডাকসু নির্বাচনে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে প্যানেলে ঘোষণা করেছে বাম ধারার সাত ছাত্র সংগঠন। এ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি আগের সংসদে শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদে লড়বেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। এজিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. জাবির আহমেদ জুবেল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৬৫৮টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি হল সংসদের জন্য ১৮টি হলে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র।
তফসিল অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবে ছাত্রদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তার অবসান হতে যাচ্ছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঘোষণা করা হবে ছাত্রদলের ডাকসু ও হল সংসদগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্যানেল ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদল দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্যানেল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার, অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, একদিন বাড়ানো পর মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময়সীমা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এখনও চূড়ান্ত কোনো প্যানেল প্রকাশ করেনি। যদিও ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা ও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শূন্যপদে প্রবেশ পর্যায়ে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম এ ফল তুলে দেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) জানিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর অনুকূলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়োগপত্র দেবে। সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগপত্র পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদের চাহিদার বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় ৪১ হাজার প্রভাষক/শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক চাহিদা প্রদান এবং নির্ধারিত যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ সুপারিশ এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি অধিক স্বচ্ছতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে।