ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই আন্দোলনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যা, ইবিতে সাংবাদিককে মারধর

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙ্গার পর জুলাই আন্দোনকারীদের ‘দুবৃত্ত’ আখ্যা দেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাস সাংবাদিক ওয়াসিফ আল আবরারকে মারধর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কলেজে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও তোলা হয়।
আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান আবাসিক হলে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
হল সূত্রে জানা গেছে, আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলে অবৈধভাবে দীর্ঘদীন ধরে অবস্থান করছিলেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রভোস্টকে দেখিয়ে তাকে নামানোর দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রভোস্ট তাকে হল থেকে নামিয়ে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে আবারও ওই হলে অবস্থান করতে শুরু করলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে নেননি। পরে রাত ১২ টা ২০ মিনিট নাগাদ তাকে হল থেকে নেমে যেতে বলা হলে এক পক্ষ প্রতিরোধ করায় শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষের মধ্যে ঠেলাঠেলি সহ শুরু হয় গণ্ডগোল।
ঘটনাস্থলে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রভোস্ট হল থেকে বের হয়ে যেতে বললেও আবরার হল থেকে বের হননি। কতিপয় সমন্বয়ক ও নেতা তাকে শেল্টার দেয়ায় প্রভোস্ট স্যারও অসহায় হয়ে গিয়েছিলো। তাই আমরা তাকে বলতে গেছিলাম যে, সে যেন হল ছেড়ে দেয়।’
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘ওয়াসিফ আল আবরার কলেজে থাকা অবস্থায় পাবনার বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। জুলাই আন্দোলনেও তার ভূমিকা বেশ বিতর্কিত ছিল। তার প্রোফাইলে জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক উল্লেখযোগ্য কোনো নিউজও শেয়ার করতে দেখা যায়নি। চারদিকে যখন আন্দোলনকারীরা একে একে শহিদ হচ্ছিল তখন সে হাসিমাখা ছবি পোস্ট আপলোড দেয়।’
এদিকে গত ৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা শাখা ছাত্রলীগের অফিস ভাংচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। এতে একটি সংবাদে আন্দোলনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ বলে আখ্যা দেন তিনি। এছাড়াও ৫ আগস্টের পরেও বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রমে তাকে দেখা যায়। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জমানো জামাকাপড় ‘হরিলুট’ বলে প্রচার করছে বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার ওয়াসিফ আল আবরার বলেন, “আমাকে ৭/৮ জন লোক গিয়ে বলে ‘২ মিনিট সময় হল থেকে বের হবি।’ আমি তখন জিনিসপত্র নিচ্ছিলাম। আমি বের হয়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে তারা বলে ‘আপনি হলুদ সাংবাদিক পরে আবার ঝামেলা করবেন’ বলে আমার ফোন নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে ৮/৯ জন মিলে রুমের লাইট বন্ধ করে আমাকে মারধর করে।”
ইবি মেডিকেল (উপপ্রধান মেডিকেল অফিসার) ডাক্তার মো. পারভেজ হাসান জানান, আশা করা যায় তেমন গুরতর কিছু হয়নি। মেডিকেলে নিয়ে আসার পর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে ১ ঘণ্টার মত নেবুলাইজার দিয়ে রাখা হয়। অতপর অবস্থা আগের থেকে উন্নত হলে রাত ২ টার দিকে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে মেডিকেলে রোগীর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক সাকিব আসলামকে বাধা দেয় এবং হেনস্তার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কতিপয় সমন্বয়কের বিরুদ্ধে।
পরে রাত দেড়টার দিকে শাখা সহ-সমন্বয়ক সহ শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপ উপাচার্যের সামনে স্লোগান দিতে দেখা যায়। মারমুখী অবস্থান সৃষ্টি হলে প্রক্টরিয়াল বডি ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হন। দুই পক্ষকে নিয়ে রাতভর আলোচনায় বসেন প্রক্টরিয়াল বডি।
শাহ আজিজুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান জানান, ‘ওই ছেলেটা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ে হলে ছিল। হলে বৈধ সিট ছিল না৷ তাই লিগালি সময় নিয়ে বের করে দেয়া হয়েছিল। আবারও কেন হলে অবস্থান করলো এটা তদন্ত করে দেখা যাবে। এর আগেও আমি তার রুমমেটকে কল দিয়ে রিকুয়েস্ট করেছিলাম যে, সে যেন হলে অবস্থান না নেন।’
সবার বক্তব্য শুনে সকাল ৮ টায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান বলেন, ‘দুই পক্ষের কথা শুনেছি। সমন্বয়কদের মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে- একটা হল কর্তৃপক্ষ এবং আরেকটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্র হবে কাকরাইল মোড়: রইছ উদ্দিন

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে কাকরাইল মোড় জনদাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন।
শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।
তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন এক স্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি ধামকি দেয়, আমরা সেটাকে রুখে দেব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নগদ অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীরা

২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীদের জন্য নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (পিবিজিএসআই) স্কিমের আওতায় ‘উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার’ ও ‘উচ্চ মাধ্যমিক সমাপনী পুরস্কার’ হিসেবে নির্বাচিতদের মধ্যে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। এই টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের নিজ নামে খোলা অগ্রণী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিম পরিচালক প্রফেসর মো. তোফাজ্জল হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বোর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদের তালিকা ১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তালিকা উপজেলাভিত্তিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে।
তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ২৫ মে’র মধ্যে নিজ উপজেলা বা আশপাশের যেকোনো অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়ে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে। তবে যাদের ইতোমধ্যে অগ্রণী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাদের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে পুরোনো অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারে আপডেট করতে হবে, পিবিজিএসআই স্কিমের আওতায়।
পুরস্কারের টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা নম্বরপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। যারা পূর্ববর্তী অর্থবছরে অ্যাকাউন্ট না খোলার কারণে পুরস্কার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের জন্যও এবারের সুযোগ প্রযোজ্য।
স্কিম নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খোলার পর শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ হার্ডকপি ২৯ মে’র মধ্যে শিক্ষা ভবনের ৭০৮ নম্বর কক্ষে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে সফট কপি পাঠাতে হবে ই-মেইলে—pbgsiaward@gmail.com ঠিকানায়।
এছাড়া, পুরস্কার দেওয়ার এই উদ্যোগ সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা

শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন। বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে কাকরাইলে চলমান আন্দোলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
অধ্যাপক ড.রইস উদ্দিন বলেন, আমরা এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার নিয়ে এসেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের ওপরে নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা এবং অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি কোনো ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। আমাদের অধিকার চাইতে আমাদের দাবি আদায় করতে এসেছি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন চলবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে না। দাবি আদায় করে আমরা ঘরে ফিরব।
তিনি বলেন, আমাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান—‘আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়’, ‘বাজেট কাটছাঁট চলবে না’, ‘হামলার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার বেশি কাকরাইলে অবস্থান করছে। অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হলেও আন্দোলন থেকে সরেনি কেউ। কেউ কেউ রাতভর রাস্তায় ঘুমিয়ে আজ সকালেও অবস্থান করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাম্য হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ইবি ছাত্রদল

ঢাবি ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য’র হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের দক্ষিণ গেট হতে একটি প্রতিবাদ মিছিল আরম্ভ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অনুষদ ভবনগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমবেত হয়।
এসময় তাদের ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ ‘আমার ভাই কবরে, ‘খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ উদ্দিন, নুর উদ্দিন, সাক্ষর , উল্লাস হোসেন, রোকোনুজ্জামান, আলামিন, রিফাত, তৌহিদুল, উৎস, আলী, রিয়াজ, মামুন, রায়হান, লিখন, সাদিক, তাপস প্রমুখ।
এসময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগ বা শিবির তো মরে না। শুধু ছাত্রদলের কর্মীকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন? এই দায় প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে ঢাবির ভিসি ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করা উচিত। সংস্কার সংস্কার খেলা করে নির্বাচন পিছিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে তাদের বিচার তো হচ্ছে না।’
সমাবেশে ইবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, গতকাল (১৩ মে) শুধু সাম্যকেই হত্যা করা হয়নি বরং ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যা করা হয়েছে। এ সরকার আবার নতুন করে ফ্যাসিস্টের মত চেপে বসতে শুরু করেছে। সরকার যদি অনতিবিলম্বে দোষীদের সনাক্ত করে বিচারের আয়ত্তায় না আনে তাহলে আমরা আবারো রাজপথে নামবো। ইবি সহ সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐ ফ্যাসিবাদের দোষরা এখনও তাদের স্ব স্ব অবস্থানে ফ্যাসিজমের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
তিনি ইবি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ফ্যাসিজমের ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দর সাথে রাজপথে ছিলাম। আমরা তখন দেখেছি অনিয়ম করে অমেধাবীদের দিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে এখনো তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। আওয়ামী লীগ যখন ফ্যাসিজম তখন থেকে অনেক ছাত্রলীগের অনেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি করছে। তাদেরকে এখনো বাদ দেয়া হয়নি। সর্বশেষ সাম্য হত্যার বিচার-সহ আগামী দিনে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশে এখন নিরাপত্তা ঘাটতি রয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যহত হয়ে যাচ্ছে আর উপদেষ্টা ড. ইউনূস যমুনায় আরামে আছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুন-খারাপি হচ্ছে আবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খুনি স্বৈরাচার সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদকে পার করে দিয়ে পরেরদিন নাটকের মঞ্চ তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নামে যে মামলা আছে তা বর্তমান ইন্টেরিম গভর্মেন্ট এখনও প্রত্যাহার করেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুটিকয়েক লোক নিয়ে গুপ্ত সংগঠন হলে রুমে রুমে গিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আমি ইবি প্রক্টরকেও জানাইছি এবং আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন তাদেরও অবহিত করেছি। আপনারা এসব অপতৎপরতা দেখবেন। সর্বোপরি সাম্য হত্যাকরীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাম্য হত্যায় ঢাবি সাদা দলের নিন্দা ও বিচার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে নৃশংসভাবে হত্যায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
বুধবার (১৪ মে) সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাবি ক্যাম্পাসের বাংলা একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, স্যার এ এফ রহমান হল শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সাদাদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এই নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। শাহরিয়ার আলম সাম্য’র হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
কাফি