রাজধানী
মসজিদের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আছে ফ্যাসিস্টের দোসর করিম গ্রুপ

মগবাজারের ঐতিহ্যবাহী দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট মসজিদটি ১৯৩২ সালের ওয়াকফকৃত ঢাকার সুপ্রাচীন এক মসজিদ। তবে মসজিদের জমি অবৈধ ও বেআইনিভাবে জোর করে দখল করে আছে বিগত ফ্যাসিস্ট পলাতক সরকারের দোসর করিম গ্রুপ। বিগত অবৈধ সরকারের পেশী শক্তির ব্যবহার করে ৯ বছর যাবত মসজিদটির জমি দখলে রেখেছে এই গ্রুপ। জমি ফিরে পেতে চাইলেই মসজিদ কমিটিকে প্রাণনাশ ও গুমের হুমকি দেয় ফ্যাসিস্ট পলাতক সরকারের পরিচয় দাতা করিম গ্রুপের লোকজন। তবে দখলকৃত জমির সরকারি খাজনা এখনো মসজিদ আদায় করে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ১৯৩২ সালের ওয়াকফকৃত ঐতিহ্যবাহী দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট মসজিদটির জমিদাতা শেখ দিলু বেপারী। মসজিদের সামনে বিশাল একটি পুকুর ও বিশাল ধানক্ষেত ছিলো। যা দীর্ঘদিন যাবত ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে মসজিদের কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ জমির ধান ও পুকুরের মাছ বিক্রি করে মসজিদের খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেম সাহেবদের বেতন দেওয়ার জন্য ওসিয়ত করে গিয়েছেন মসজিদের জমিদাতা শেখ দিলু বেপারী। তবে হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজের জন্য এই মসজিদের কিছু জায়গা একোয়ার বা অধিগ্রহণ করা হয়।
জানা গেছে, সরকার কর্তৃক একোয়ারকৃত জায়গা অধিগ্ৰহণের পর ডিসি অফিস কর্তৃক মসজিদের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যার পরিমাণ সোয়া ২৪ কাঠা জমি। তৎকালীন সময়ে হাতিরঝিল প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মেজর শাকিল মসজিদের জায়গায় অস্থায়ীভাবে প্রজেক্ট নির্মাতাদের থাকার অস্থায়ী আবাসন হিসেবে জায়গাটি ব্যবহার করার অনুমতি চায়। এক বছরের পর মসজিদের জায়গা মসজিদকে বুঝিয়ে দিবে এমন শর্ত থাকে। কিন্তু এক বছর পর মসজিদ কমিটি জায়গা ফিরিয়ে দিতে আবেদন জানালে তিনি তা মসজিদকে বুঝিয়ে দেয়নি। মেজর শাকিল প্রজেক্ট নির্মাণ শেষে বিগত সরকারের দ্বারা অর্থনৈতিক লেনদেনে প্রলুব্ধ হয়ে মসজিদের জায়গা অনৈতিকভাবে দখলদার করিম গুরুপের হাতে উঠিয়ে দেয়। বিগত অবৈধ সরকারের পেশী শক্তির ব্যবহার করে নয় বছর যাবত মসজিদের জমি অবৈধ ও বেআইনি ভাবে জোর করে দখল করে আছে বিগত ফ্যাসিস্ট পলাতক সরকারের পরিচয় দাতা করিম গ্রুপ।
সূত্র জানান, পলাতক সরকারের সঙ্গে করিম গ্রুপের সদস্যরাও এখন পলাতক আছে। কিন্তু তাদের পেশি শক্তি ব্যবহার করে পুরো হাতিরঝিলে চালিয়ে যাচ্ছে করিম গ্রুপের রমরমা ব্যবসা। পুরো হাতিরঝিলে লোকজন পারাপারের নামে নৌ বোট ব্যবসা, চক্রাকার বাস,রেস্টুরেন্ট সিন্ডিকেট, অবৈধভাবে জমি দখল তারা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। মসজিদের পাশের সোয়া চব্বিশ কাঠা জায়গায় রান্নাঘর বানিয়ে ওয়াকফকৃত সোয়া ২৪ কাঠা জায়গা তাদের দখলে রেখেছে।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গাটি মসজিদের বর্ধিত অংশের কাজের জন্য ব্যবহার্য হিসেবে মসজিদ কাজে লাগাবে। এই জায়গায় হবে কবর স্থান, নির্মাণ হবে মাদ্রাসা ও এতিমখানা। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মসজিদ কমিটি এলাকার সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদেরকে মসজিদের জায়গা ফিরিয়ে দিতে নোটিশ জানিয়ে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পূর্বে জায়গা ফিরে পেতে চাইলেই প্রাণনাশের ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছিল তারা। রাজউকের নাম ভাঙিয়ে এখনো তারা মসজিদের জায়গা মসজিদকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না। সেই সঙ্গে তাদের দখলদারিত্ব চালিয়ে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে হাতিরঝিলকে ঘিরে। তবে সরকারি খাজনা এখনো মসজিদ আদায় করে যাচ্ছে।
মসজিদ কমিটি বলছে, যুগ যুগ ধরে এই জায়গাটি মসজিদের ওয়াকফকৃত জায়গা। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মসজিদের এই জায়গা পুনরুদ্ধার করার এই দাবি মগবাজারের সকল মুসল্লিদের প্রাণের দাবি। আজ অবধি অবৈধ দখল দারেরা নানাভাবে টাকা খাইয়ে এখনো বুঝিয়ে দেওয়ার কোন আগ্রহ অনুমান করা যাচ্ছে না বিধায় সকল সচেতন মানুষের উচিত মসজিদের জায়গা ফিরে পেতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া।

রাজধানী
সোমবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। তীব্র যানজট পেরিয়ে গিয়ে যদি দেখতে পান সব দোকানপাট বন্ধ, তাহলে বিরক্ত লাগবে অন্যদিকে কাজও হবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১ ও ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টার সিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ী একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
রামপুরার মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া বাজার, আয়েশা-মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, দনিয়া তেজারত সুপার মার্কেট, আবেদীন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেট।
রাজধানী
ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি

বর্ষার আশীর্বাদে দূষণের তালিকা থেকে বেশ খানিকটা উন্নতি ঘটেছে রাজধানী ঢাকার। আজ রোববার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ছিল স্বাস্থ্যকর, যা নগরবাসীর জন্য একটি স্বস্তির খবর। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় আইকিউএয়ারের আপডেটে দেখা যায়, ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল মাত্র ৪৭। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৭৮তম।
একিউআই স্কোরে ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০-২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১-৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
রাজধানী
আজ যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বললো ডিএমপি

আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে ওই এলাকার আশপাশের সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ বিষয়ে আজ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরবাসীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামীকাল ৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে। যা বেলা ১১টায় শুরু হয়ে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলবে। অনুষ্ঠানমালার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো- ১১টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশনা, ২টা ২৫ মিনিট থেকে ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদযাপন, ৫টায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্পেশাল ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় আর্টসেল পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানমালা উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে প্রচুর জনসমাগম হবে। অনুষ্ঠান চলাকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে (খেজুর বাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত) যানবাহন চলাচল করানো সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় ঢাকা মহানগরবাসীকে উল্লিখিত এলাকার নিকটবর্তী সড়কগুলো এড়িয়ে চলাচল করার জন্য এবং কিছু পয়েন্টে ডাইভারশন মেনে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছে ডিএমপি।
ডাইভারশন পয়েন্ট এবং বিকল্প সড়ক
১. আড়ং ক্রসিং (মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত) : মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত অথবা মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেট হয়ে আগত খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহন আড়ং ক্রসিংয়ে বামে মোড় না নিয়ে সোজা দক্ষিণ দিকে ধানমন্ডি-২৭ এর পূর্ব প্রান্ত হয়ে মিরপুর রোডে চলাচল করবে।
এছাড়া মিরপুর রোডের দক্ষিণ দিক থেকে (সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে) আগত খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহন আড়ং ক্রসিংয়ে ডান দিকে মোড় না নিয়ে সোজা উত্তরে গিয়ে গণভবন ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে গমনাগমন করবে।
২. খেজুর বাগান ক্রসিং (মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পূর্ব প্রান্ত) : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ইন্দিরা রোড হয়ে আগত ধানমন্ডিগামী যানবাহন খেজুর বাগান ক্রসিংয়ে সোজা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে, এরপর বামে মোড় নিয়ে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিংয়ের বামে মোড় নিয়ে মিরপুর রোড হয়ে সোজা দক্ষিণে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।
তবে, অনুষ্ঠান চলাকালে যানজট/দুর্ভোগ এড়াতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ধানমন্ডি/মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনকে ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
৩. ফার্মগেট ক্রসিং : ফার্মগেট থেকে খেজুর বাগান/মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ/মিরপুর অভিমুখী যানবাহন ফার্মগেট থেকে বামে মোড় না নিয়ে সোজা বিজয় সরণি গিয়ে বামে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং/লেক রোড হয়ে চলাচল করবে।
৪. গণভবন ক্রসিং : মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিংয়ে সোজা দক্ষিণ দিকে যাওয়ার পরিবর্তে বামে মোড় নিয়ে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।
এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেট হয়ে খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহন আসাদগেট ক্রসিংয়ে ডানে মোড় না নিয়ে বামে মোড় নিয়ে এবং গণভবন ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
৫. আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা পর্যন্ত সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়কের ব্যবহার : মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে চলাচলকারী যানবাহনকে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা পর্যন্ত সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা : ৫ আগস্ট অনুষ্ঠানে নিজস্ব/ভাড়া করা যানবাহনসহ আগত দর্শনার্থীদের যানবাহনগুলো আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব যানবাহন চালকদের ৫ আগস্ট যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের নিকটবর্তী সড়ক এড়িয়ে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।
রাজধানী
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে ঢাকায় যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ড্রোন শো উপলক্ষ্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি বলছে, দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে প্রচুর জনসমাগম হবে। অনুষ্ঠান চলাকালীন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে (খেজুর বাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত) যানবাহন চলাচল করানো সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় ঢাকাবাসীকে কিছু এলাকার নিকটবর্তী সড়ক এড়িয়ে চলাচল করার জন্য এবং কিছু পয়েন্টে ডাইভারশন মেনে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরবাসীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামীকাল ৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে। যা বেলা ১১টায় শুরু হয়ে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলবে। অনুষ্ঠানমালার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ১১টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশনা, ২টা ২৫ মিনিট থেকে ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদযাপন, ৫টায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্পেশাল ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় আর্টসেল পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানমালা উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে প্রচুর জনসমাগম হবে। অনুষ্ঠান চলাকালীন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে (খেজুর বাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত) যানবাহন চলাচল করানো সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় ঢাকা মহানগরবাসীকে উল্লিখিত এলাকার নিকটবর্তী সড়কগুলো এড়িয়ে চলাচল করার জন্য এবং কিছু পয়েন্টে ডাইভারশন মেনে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
ডাইভারশন পয়েন্ট এবং বিকল্প সড়ক
১. আড়ং ক্রসিং (মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত) : মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত অথবা মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেট হয়ে আগত খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহন আড়ং ক্রসিংয়ে বামে মোড় না নিয়ে সোজা দক্ষিণ দিকে ধানমন্ডি-২৭ এর পূর্ব প্রান্ত হয়ে মিরপুর রোডে চলাচল করবে।
এছাড়া মিরপুর রোডের দক্ষিণ দিক থেকে (সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে) আগত খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহন আড়ং ক্রসিংয়ে ডান দিকে মোড় না নিয়ে সোজা উত্তরে গিয়ে গণভবন ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে গমনাগমন করবে।
২. খেজুর বাগান ক্রসিং (মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পূর্ব প্রান্ত) : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ইন্দিরা রোড হয়ে আগত ধানমন্ডিগামী যানবাহন খেজুর বাগান ক্রসিংয়ে সোজা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে মিরপুর রোড হয়ে সোজা দক্ষিণে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।
তবে, অনুষ্ঠান চলাকালীন যানজট/দুর্ভোগ এড়াতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ধানমন্ডি/মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনকে ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
৩. ফার্মগেট ক্রসিং : ফার্মগেট থেকে খেজুর বাগান/মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ/মিরপুর অভিমুখী যানবাহন ফার্মগেট থেকে বামে মোড় না নিয়ে সোজা বিজয় সরণি গিয়ে বামে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং/লেক রোড হয়ে চলাচল করবে।
৪. গণভবন ক্রসিং : মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিংয়ে সোজা দক্ষিণ দিকে যাওয়ার পরিবর্তে বামে মোড় নিয়ে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।
এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেট হয়ে খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহন আসাদগেট ক্রসিংয়ে ডানে মোড় না নিয়ে বামে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
৫. আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা পর্যন্ত সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়কের ব্যবহার : মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে চলাচলকারী যানবাহনকে আগামীকাল মঙ্গলবার আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা পর্যন্ত সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করেছে পুলিশ।
পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা : ৫ আগস্ট অনুষ্ঠানে নিজস্ব/ভাড়া করা যানবাহনসহ আগত দর্শনার্থীদের যানবাহনগুলো আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব যানবাহন চালকদের আগামী ৫ আগস্ট যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের নিকটবর্তী সড়ক এড়িয়ে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।
রাজধানী
ঢাকায় তিন সমাবেশ ঘিরে ১৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন

ঢাকায় তিনটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো ধরনের নাশকতা এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ।
রবিবার (৩ আগস্ট) ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, তিনটি সমাবেশ ঘিরে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মোট ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে সাদা পোশাকেও অনেকে দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখছি না।
আজ রোববার জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যদিকে শাহবাগে সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান চলছে।
এদিন দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ছাত্র সমাবেশ’ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যদিকে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে ১ থেকে ৪ আগস্ট প্রতিদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠান চলছে।