পুঁজিবাজার
আনলিমা ইয়ার্নের লোকসান বেড়েছে ৬৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারি প্রতি লোকসান বেড়েছে ৬৭ শতাংশ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৬৭ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ৭৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল মাইনাস ৯৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৫ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬ টাকা ২৬ পয়সা।
এসএম

পুঁজিবাজার
শেয়ার বিক্রি করবে এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের এনসিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা সোহেলী হোসেন ১ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২৩১টি শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে এই উদ্যোক্তার কাছে ব্যাংকটির ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩৫ টি শেয়ার আছে।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বর্তমান বাজার মূল্যে ব্লক মার্কেটে বিক্রয় করবেন এই উদ্যোক্তা।
কাফি
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সাকিবসহ ১৫ জনের নামে মামলা

পুঁজিবাজার থেকে ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মো. আক্তার হোসেন বলেন, তিনটি কোম্পানির শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগ কার্যক্রমে মার্কেট ম্যানিপুলেট করা হয়েছে। মার্কেট ম্যানিপুলেশনের সঙ্গে তিনি (সাকিব) জড়িত।
এর আগে গতকাল সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। সাকিব ছাড়াও অন্যান্য ১৪ আসামি হলেন— সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) ও তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান। এছাড়া আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজামকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক দ্রুত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ অভিপ্রায়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ১৭ ধারা) পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘনপূর্বক নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টসমূহে অসাধু, অনৈতিক ও অবৈধ উপায়ে ফটকা ব্যবসার মতো একাধিক লেনদেন, জুয়া ও গুজবের মাধ্যমে বাজারের কারচুপি করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার সংঘবদ্ধভাবে ক্রমাগত ক্রয়-বিক্রয়পূর্বক কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই শেয়ারসমূহে বিনিয়োগে প্রতারণাপূর্বক প্রলুব্ধ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তাদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎপূর্বক অস্বাভাবিক রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ বা প্রসিড অব ক্রাইম শেয়ার বাজার থেকে সংঘবদ্ধভাবে উত্তোলন করেছেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) কর্তৃক তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থের ২১ কোটি ১৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার উৎস গোপনের অভিপ্রায়ে লেয়ারিং করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। তিনি ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১২০বি/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় সাকিব আল হাসানের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে বলা হয়, আসামি মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) কর্তৃক শেয়ার বাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইস্যুরেন্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপারসের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করে বাজার কারসাজিতে যোগসাজশ করেন। সরাসরি সহায়তাপূর্বক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগে প্রতারণাপূর্বক প্রলুব্ধ করে তাদের ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অপরাধলব্ধ আয় হিসেবে শেয়ার বাজার হতে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন।
চলতি বছরের এপ্রিলে সাকিবের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়।
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি হয় দুদকের। এছাড়া হটলাইন-১০৬ উদ্বোধনকালেও সাকিবের সঙ্গে কাজ করে দুদক। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ২০২২ সালে সাকিবকে আর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর না রাখার কথা জানিয়েছিল দুদক।
কাফি
পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ৮ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর মোট ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৪ টি শেয়ার ৪৪ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৮ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
এদিন ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লাভেলোর ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার , দ্বিতীয় স্থানে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে জেমিনি সি ফুডের ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
দর পতনের শীর্ষে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬.৯৮ শতাংশ কমেছে। ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ৮৩ বারে ১ লাখ ৮৪ হাজার ২০০টি শেয়ার লেনদেন করেছে, যার বাজার মূল্য ৭ লাখ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা নূরানি ডাইংয়ের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬.৪৫ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ৬৩ বারে ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৯৯টি শেয়ার লেনদেন করেছে, যার বাজার মূল্য ৭ লাখ টাকা।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড, যার ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৬.২৫ শতাংশ কমেছে। ফান্ডটি ২ হাজার ৬০ বারে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮২৫টি ইউনিট লেনদেন করেছে, যার বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা।
তালিকায় থাকা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যালেন্স ফান্ড: ৫.০০ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং: ৪.৯২ শতাংশ, ঢাকা ডাইং: ৪.৫৫ শতাংশ পতন, এম আই ডাইং: ৪.৩০ শতাংশ, রতনপুর স্টিল: ৪.১৭ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিং: ৪.০৪ শতাংশ, তিতাস গ্যাস: ৩.৯৮ শতাংশ।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স ১২৮ বারে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯০টি শেয়ার লেনদেন করেছে, যার বাজার মূল্য ৭৩ লাখ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাহিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৬২ শতাংশ। কোম্পানিটি ৫২৯ বারে ১৬ লাখ ১২ হাজার ২০৭টি শেয়ার লেনদেন করেছে, যার বাজার মূল্য ৯৯ লাখ টাকা।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু এগ্রো, যার শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৮৭ শতাংশ। কোম্পানিটি ১ হাজার ৪১৭ বারে ৫৬ হাজার ৫১৬টি শেয়ার লেনদেন করেছে, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
তালিকায় থাকা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: সিলকো ফার্মা: ৫.৫২ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট: ৫.০০ শতাংশ, সোনার বাংলা: ৩.৮৩ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংক: ৩.০৯ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স: ৩.০৬ শতাংশ, সিলভা ফার্মা: ৩.০৬ শতাংশ, কে এন্ড কিউ: ২.৯৬ শতাংশ।