জাতীয়
এক মাসে ২ বার সুখবর পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আগামী পহেলা মে, অর্থাৎ ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি রয়েছে। এরসঙ্গে যোগ হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার (২ ও ৩ মে)। এতে একইসঙ্গে টানা তিন দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবী-কর্মচারীরা।
এ ছাড়া একইমাসে আরও একবার ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১১ মে (রোববার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। এর আগে, শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ মে) সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। অর্থাৎ একই মাসে দুবার তিনদিন করে ছুটি পাচ্ছেন তারা।
এদিকে, যেসব অফিসের ছুটি তাদের নিজস্ব আইনকানুন দিয়ে চলে, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেগুলো নিজস্ব আইনকানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, গেল রোজার ঈদ উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার আগেই ৫ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল। পরে নির্বাহী আদেশে আরও একদিন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি কাটিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
জুবাইদার নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। সব ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার সকালে শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। দেশে ফিরে ধানমন্ডিতে নিজের বাবার বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ উঠবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
জানানো হয়েছে, জুবাইদা রহমানের আগমনকে ঘিরে ওই বাসায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ঘরের ভেতরে-বাইরে করা হচ্ছে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা, বসানো হয়েছে সিসিটিভি, নিশ্চিত করা হচ্ছে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, এমনকি বিকল্প বিদ্যুৎ-সরবরাহের জন্য জেনারেটরও।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির চারপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন সিএসএফ সদস্যরা, সঙ্গে থাকবেন পুলিশ সদস্যরাও।
তিনি আরও জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে যেন এলাকাবাসীর কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তার কথায়, নিরাপত্তার নামে মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না—এটা স্পষ্ট নির্দেশ।
জুবাইদা রহমানের যাতায়াত ও নিরাপত্তার জন্য পৃথক যানবাহনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার গত ৩০ মে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি দিয়ে জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। সেই চিঠিতে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় আর্চওয়ে ও পুলিশ পাহারার দাবি জানানো হয়। এর পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা মাহবুব ভবন পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থার খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করেন।
এখন ওই ভবনে বসবাস করছেন জুবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান ও তার পরিবার। জানা গেছে, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাফরুল থানায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সেই সাজা স্থগিত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক ২

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
রবিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে তার গাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন খান জানান, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে ওই দুজনকে আটক করা হয়। জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এক পর্যায়ে তার গাড়িটি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে হামলা চালায়। এতে তার গাড়ির গ্লাস ভেঙে তিনি আহত হন। পরে তিনি দ্রুত গাড়ি নিয়ে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে চলে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-ক্রাইম/উত্তর) মো. রবিউল হাসান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে হামলা চালায়। এতে তিনি আহত হন। তবে কে বা কারা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

আসন্ন ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, পশু আনা-নেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের হতদরিদ্র মানুষেরা, যারা এই চামড়া বিক্রির টাকার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই অব্যবস্থাপনার অবসান হওয়া প্রয়োজন।’
পশুর চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যাতে কোনো সিন্ডিকেটের বা অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হন।’
তিনি কোরবানির পশু পরিবহন ও হাটে বিক্রির সময় যাতে পশুর প্রতি কোনো নির্দয় আচরণ করা না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় তিনি চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ইটিপির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার উপরও জোর দেন।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটিতে আরো থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান সোহাগসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মামলার আবেদন করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
রোববার (৪ মে) শাহবাগ থানায় এই মামলার আবেদন জমা দেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর। তিনি বলেন, “আমরা একটি এজাহার পেয়েছি। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।”
উল্লেখ্য, উপাচার্য ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসএম কামরুল আহসান শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাশেদ খানকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমান মামলায় সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন রাশেদ।
এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ৮ ও ৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ছাত্রলীগের আনুমানিক ৫০০ জন নেতাকর্মী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, দমনপীড়ন করে, গুলি ছোড়ে এবং উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে অংশ নেয়। এই হামলায় লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর গুলিবিদ্ধ হন, যার ফলে তার যকৃত ও ফুসফুসে ক্ষতি হয় এবং এখনও শরীরের মধ্যে গুলিটি রয়ে গেছে।
রাশেদ খান দাবি করেন, ওই সময় ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন এবং তিনি নিজেও রাবার বুলেটে আহত হন। একই সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা—including সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক—ঢাবি ক্যাম্পাসের আশপাশে অবস্থান করছিলেন। তাদের শাহবাগ জাদুঘরের সামনে রাত দুইটায় দেখা যায়।
তিনি অভিযোগ করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও কলুষিত করতে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড, ছাত্রলীগ এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্মিলিতভাবে উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত ছিলেন।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির পাশাপাশি যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন:ঢাবির তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পরবর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল,সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ,ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন,
ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স,ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়,
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাকিব হাসান সুইম এবংমুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশিদের জন্য পুনরায় চালু হলো আমিরাতের ভিজিট ভিসা

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবারও ভিজিট (ভ্রমণ) ভিসা চালু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোববার (৪ মে) বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আলহামুদি জানান, টানা কূটনৈতিক যোগাযোগের ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত আমিরাত দূতাবাস প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের জন্য দলভিত্তিক (বাল্ক) ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যার ফলে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও জোরদার হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক এমপ্লয়মেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করেছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল সেক্টরের পেশাজীবীদের ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত লুৎফে সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এ সময় লুৎফে সিদ্দিকী ভিসা প্রক্রিয়ায় অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আলহামুদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৫০০ জন নিরাপত্তাকর্মীর ভিসা ইস্যু করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০ ভিসা অনুমোদন পেয়েছে, যা শিগগিরই ইস্যু করা হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্ভাব্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনার জন্য ‘টার্মস অব রেফারেন্স’-এ দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, চলতি মাসের শেষদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিসভার একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সফর করবে।