রাজনীতি
লুট করা টাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছে আ.লীগ: রিজভী

জনগণের টাকা লুট করে সেই টাকায় আবার নাশকতার পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় সমাজের বিপথগামীদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে অনৈতিকতা ও দুর্নীতিতে না জড়িয়ে, ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আদালত শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সহায়তা করেছেন। ফ্যাসিবাদের বিচারকদের বিচার হতে হবে। হিটলারের সহযোগী বিচারকদের যদি বিচার হতে পারে শেখ হাসিনার সহযোগী বিচারকদের কেনো হবে না।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে জনগণকে পেন্ডুলামের মতো দোল খাওয়ানো হচ্ছে। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।
এ সময় প্রশ্ন তুলে বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা কেন প্রত্যাহার হচ্ছে না?
সম্প্রতি আলোচনায় আসা একজন উপদেষ্টার এপিএসের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, ছাত্র উপদেষ্টার এপিএসের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ভয়ংকর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
জমিয়তের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক, মহাসচিব মঞ্জুরুল আফেন্দী

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
আজ (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের কাউন্সিলে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন দলের নবনির্বাচিত সহসভাপতি নাজমুল হাসান কাসেমী।
এছাড়াও সিনিয়র সহসভাপতি পদে আবদুর রব ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লোকমান মাজহারী দায়িত্ব পেয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক আজ

সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই সভা শুরু হবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দলটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়, সভায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এর নেতৃত্বে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।
প্রতিনিধি দলে থাকবেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ সাবেক এমপি, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবে জামায়াতের প্রতিনিধি দলটি।
এর আগে, গত ২০ মার্চ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও দুই কক্ষের সংসদের দাবি জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয় জামায়াতে ইসলামী। সেসময় সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ বেশ কিছু বিষয়ে মতামতও দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় দরকার তা সরকারকে জামায়াত দিতে চায় বলেও জানান দলটির নেতারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে ৩ দফা বৈঠক করেছে বিএনপি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তারেক রহমানকে নিয়ে ‘দ্য উইকের’ কাভার স্টোরি

সংবাদভিত্তিক প্রখ্যাত সাপ্তাহিক সাময়িকী ‘দ্য উইক’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি (প্রচ্ছদ প্রতিবেদন) করেছে। প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ডেসটিনি’স চাইল্ড বা নিয়তির সন্তান।
এটি লিখেছেন ‘দ্য উইক’-এর নয়াদিল্লি ব্যুরো চিফ নম্রতা বিজি আহুজা।
‘৪ মে ২০২৫’ তারিখ দিয়ে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের ই-পেপার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন। এছাড়া বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও একই ই-পেপার শেয়ার দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সাময়িকীর প্রতিবেদন হওয়ায় এর লিংক দ্য উইকের ওয়েবসাইটে এখন পর্যন্ত মেলেনি।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি ভাঙার নানাচেষ্টা এবং দল টিকিয়ে রাখতে তারেক রহমানের নেতৃত্বের ভূমিকা তুলে ধরে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করলেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ‘দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় তারেক রহমান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে’, এক বিশ্লেষকের এমন বক্তব্য প্রতিবেদনে উদ্ধৃত হয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের পর আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে বিষয়ে ইঙ্গিত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে পরিবর্তন তারেক রহমানের সামনে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে তারেক রহমানের বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিষ্ঠা, মা খালেদা জিয়ার নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হওয়ার চেষ্টার মধ্যে ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান এখন তার মায়ের (বিএনপি প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া) পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন।
এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারকে (গণঅভ্যুত্থানে) সরিয়ে দেওয়ার পর বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। লন্ডনে থাকা তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন তা নিয়ে ঢাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।
দলকে সংগঠিত রাখতে তারেক রহমান নিয়মিত ভার্চুয়ালি সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেন। তৃণমূলেও তার সরাসরি যোগাযোগ আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় নামলে তার জীবনচক্রের পূর্ণতা সম্পন্ন হবে। আশা করা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমান রহমানই দলের মুখ হিসেবে আবির্ভূত হবেন।
প্রতিবেদনে তারেক রহমানের রাজনৈতিক পরিকল্পনা-প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে তার কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বলেন, তারেক ইতোমধ্যে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করেছেন।
ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন, চাকরিজীবী, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক বা শ্রমজীবী যেই হোন না কেন, আমরা তাদের সমান সুযোগ, ন্যায্য মজুরি এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দিতে চাই। আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতি গড়ে তুলতে তারেকের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে চাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় গিয়ে তারেক রহমান কতটা দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিতে সক্ষম হবেন সেদিকে নজর থাকবে সবার।
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ বিন আলী বলেন, (ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের নির্যাতনে) তিনি নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং সামরিক-প্রশাসনিক কর্তৃত্ব তার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়েছিল যে তিনি ভবিষ্যতে আর রাজনীতিতে জড়াবেন না। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল।
১৬ বছরের নির্বাসনকালে তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ক্ষতির শিকার হন (তিনি তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে হারান) এবং বহু আইনি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তবু তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী থেকে যান এবং দলকে একত্রিত রাখেন।
আসিফ বিন আলী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা চালালেও তারেক রহমান ও (বিএনপির মহাসচিব) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন।
তারেক রহমান তার তারুণ্যে ১৯৮৮ সালে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ১৯৯১ সালে দলের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেও পরে খুব সক্রিয় থাকেননি, যদিও সেবার বিএনপি সরকার গঠন করে। ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারে পুনরায় সক্রিয় হন এবং বিএনপি ওই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। এ সময় দলে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব তৈরি হয়। তবে মায়ের শাসনামলে (২০০১-২০০৬) তার বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ এবং সরকারে কোনো আনুষ্ঠানিক পদে না থেকেও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তারেক রহমানও তার মায়ের সঙ্গে বন্দী হন। ‘ওয়ান-ইলেভেন’ খ্যাত ওই সরকারের আমলে অনেক শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হন। তারেক রহমান ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য প্যারোলে লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি পান।
বিদেশে থাকাকালে তারেক রহমান ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে ওই পদে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে কথিত দুর্নীতির মামলায় তার মাকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আসিফ বিন আলী বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন, কারণ তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সক্ষমতা যাচাইয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন: জামায়াত আমির

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় জনগণ ভোগান্তিতে রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের স্বদিচ্ছা ও সক্ষমতা যাচাইয়ে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন। এতে জনগণ বুঝতে পারবে ইসির সদিচ্ছা কতটুকু।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে মূল কর্তৃত্ব থাকবে নিম্নকক্ষের হাতে। এটি হবে বর্তমান পদ্ধতিতে, আর উচ্চকক্ষ হবে পিআর সিস্টেমে। উচ্চকক্ষ যদি পিআর সিস্টেমে হয় তাহলে নিম্নকক্ষ কেন হতে পারবে না। একই দেশে দুই পদ্ধতির প্রয়োজন কী? পৃথিবীর ৬২টি দেশ পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৬টি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। এ সুফল যদি তারা যুগ যুগ ধরে পেয়ে থাকে তাহলে এ সুবিধা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করা হবে?
তিনি বলেন, সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশ জমা হয়েছে। কিন্তু যারা এ সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এদেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা যে যায়গায় সমাজকে নিতে চায় সেটা হতে দেওয়া হবে না। দেশে ফিরেই এটি বাতিলের জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান আমিরে জামায়াত।
জামায়াত আমির বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে বলেছি বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এ টাকা আমাদের জনগণের। পাচার হওয়া টাকা আমাদের ফেরত দিতে হবে। সেইসঙ্গে যেসব দুর্নীতিবাজরা আপনাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকেও বাংলাদেশের ফেরত পাঠাতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে কোনো শোষণ, জুলুম ও মানুষে মানুষে বৈষম্য থাকবে না। এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে আর আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না। একই বাংলাদেশে সবার একই অধিকার থাকবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে বিচারের বাণী নিভৃতে আর কাঁদবে না। যে বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশটি অবশ্যই হতে হবে আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে। আল কুরআন ও নবীজির সুন্নতের ভিত্তিতে। কুরআনের রাষ্ট্র কায়েম হলে অপরাধ করলে কেউ পার পাবেন না। ইনসাফের বাংলাদেশ কায়েম হলে বেশি বিচারেরও প্রয়োজন হবে না। দুই-চারটা রায় দেখলেই সবাই টের পেয়ে যাবে অপরাধ করলে কি ধরনের শাস্তি পেতে হবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্যের বাজার কিছু নিম্নমুখী থাকলেও বাজার এখন আবার উত্তপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলব, বাজারে নজর দেন। সমাজের শৃঙ্খলা বিনষ্টের যারা কারণ তাদেরকে পাকড়াও করুন।
মহানগর জামায়েতের আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অন্যতম মুখ ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল—‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
‘গড়বো মোরা ইনসাফের দেশ’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা দলটির চেয়ারম্যান হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন নিজেই, আর সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। দলটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর চেতনায় বিশ্বাসী এবং গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, রাজনীতি নতুন কিছু না। আমি অনেক দিন ধরেই জনসেবা করছি। এবার সেটা একটা সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে আনছি। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং দেশের ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন এ দলটিতে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাবেক আমলা ও সমাজকর্মীরা রয়েছেন বলে জানান এক সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক। তার দাবি, বিদ্যমান দলগুলোর প্রতি জনআস্থা কমে যাওয়ায় দেশের মানুষ বিকল্প নেতৃত্বের সন্ধান করছে, আর ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির নাম উপস্থাপন করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
জানা গেছে, নতুন এই দলটিতে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র করা হয়েছে গোলাম সারোয়ার মিলনকে। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে- রফিকুল হক হাফিজ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান, রেহানা সালাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এম এ ইউসুফ, সৈয়দা আজিজুন নাহার, গোলাম মেহরাজ, ব্রিগ্রেডিয়া জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম এবং নির্মল চক্রবর্তীকে।
নির্বাহী কমিটিতে আরও রয়েছেন : সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আল আমিন রাজু, অ্যাডভোকেট শিউলি সুলতানা রুবী, নাজমুল আহসান, জামাল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেন লিটু।
দলটির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পেয়েছেন নূরুল কাদের সোহেল, সহ-সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন ও ফাতেমা বেগম।