পুঁজিবাজার
অতালিকাভুক্ত-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১০ শতাংশ চায় বিএসইসি

পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন, লাভজনক ও স্বচ্ছ কোম্পানি আনতে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান নূন্যতম ১০ শতাংশ করার অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠান বিএসইসি চেয়ারম্যান। চিঠির অনুলিপি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও অর্থ উপদেষ্টার একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরেই মৌলভিত্তিসম্পন্ন, লাভজনক ও স্বচ্ছ কোম্পানির অভাবে ভুগছে। এর ফলে বাজারের গভীরতা অত্যন্ত সীমিত, যা দীর্ঘমেয়াদে একটি কার্যকর ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনের পথে বড় বাধা। এই পরিস্থিতিতে দেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। বাংলাদেশে বহু লাভজনক দেশি ও বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে, যাদের ব্যবসা শক্তিশালী এবং আয়ও উল্লেখযোগ্য। তবে এসব কোম্পানির অধিকাংশই এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো: তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যের অভাব। ২০২৪ সালের অর্থ আইন-এর তফসিল ২, অনুচ্ছেদ খ-এর দফা ক-এর অ অনুযাযী বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বর্ণিত অনুচ্ছেদ ও দফার ক-এর ঈ-অনুযায়ী অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ (সংযুক্তি ১)। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারে এই ব্যবধান মাত্র ৫ শতাংশ। যা ভালো ও মৌলিকভাবে শক্তিশালী কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওযার ক্ষেত্রে আরও নিরুৎসাহিত করছে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তারা সাধারণত নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করে, সুশাসন মেনে চলে, এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে। করহারে ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে এই দায়িত্ববান আচরণকে পুরস্কৃত করা সম্ভব হবে এবং অন্যান্য ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করবে। ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে, কারণ ভারা টেকসই আয় ও সুশাসনের আশ্বাস পায়। এটি বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল করে এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ায়। এছাড়া ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমানও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। আপাতদৃষ্টিতে কর ছাড় মানেই রাজস্ব ঘাটতি মনে হলেও, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়লে ব্যবসার পরিধি ও করনির্ভরতা উভয়ই বাড়ে। কর আদায়ে স্বচ্ছতা বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে মোট রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়। অনেক উন্নয়নশীল ও মধ্য-আয়ের দেশ, যেমন মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত ইত্যাদি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কর সুবিধা দিয়ে সফলভাবে ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারমুখী করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে অধিকাংশ করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ তৈরি হলে ব্যাংক খাতের ওপর চাপ কমে আসবে ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস পাবে। অন্যদিকে বেশি সংখ্যক ও বৈচিত্র্যময় কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে বাজারের গুটি কয়েক কোম্পানির মূল্য ওঠানামার ওপর নির্ভরতা কমে যাবে। এতে সূচকের উঠানামায় অস্থিরতা হ্রাস পায়, যা বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক বার্তা দেয়।
দেশি-বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানিসমূহ যাতে পুঁজিবাজার হতে মূলধন উত্তোলনে উৎসাহিত হয় সেজন্য করসুবিধা প্রদান আবশ্যক যা প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ খরচ বহন করতে হয বিধায তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের মধ্যে উপরিল্লিখিত করহারের ব্যবধান পূর্বের ন্যায় সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই পদক্ষেপ পুঁজিবাজারে গুণগতমানসম্পন্ন কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে, বাজারকে অধিকতর শক্তিশালী, গতিশীল ও স্থিতিশীল করে তুলবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের আর্থিক খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
বিএসইসির কমিশনারকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিপরীতে ব্যাখা ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

গত রবিবার (১১ মে) অনলাইন বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ‘শেয়ার ব্যবসায় জড়িত বিএসইসির কমিশনার মোহসিন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিপরিতে ব্যাখা দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরীর সম্পর্কে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সংবাদ প্রতিবেদনে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী আইন লংঘন করে নিজ নামে শেয়ার ব্যবসা করছেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী বিএসইসিতে যোগদানের পূর্বেই ২০২১ সালে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে উক্ত বিও অ্যাকাউন্টটি খুলে ছিলেন। বিএসইসির চাকরিতে যোগদানের পর তিনি উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে কোন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ ক্রয় করেননি। গত ২০২৪ সালের জুন মাসে বিএসইসির চাকরিতে যোগদানের পর পরই তিনি উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে থাকা সকল শেয়ার বিক্রয় করা হয় এবং উক্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্রোকারকে নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। নির্দেশনা অনুযায়ী অপরাপর সকল শেয়ার বিক্রয় করা হয়েছে কিন্তু ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকার কারণে শুধু ‘বেক্সিমকো লিমিটেড’-এর শেয়ারসমূহ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি এবং একারণে সিডিবিএল উপ-আইন (Bye-laws)অনুযায়ী উক্ত বিও অ্যাকাউণ্যটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি মর্মে সংশ্লিষ্ট ব্রোকার তাকে অবহিত করেছে। বর্তমানে উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে ‘বেক্সিমকো লিমিটেড’-এর মোট ২২৩১টি শেয়ার রয়েছে যার বর্তমান বাজারমূল্য ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা। উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে উল্লেখিত ‘জিরো ওয়ান লিমিটেড’ ব্রোকারেজ হাউজটির সকল কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। অতএব, বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী শেয়ারব্যবসার সাথে জড়িত উল্লেখিত দাবিটি সত্য নয় এবং প্রকাশিত সংবাদ বাস্তব ভিত্তিক নয় বরং বিভ্রান্তিকর। সর্বোপরি মেসকল অভিযোগ ও সন্দেহপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মনগড়া। এধরণের বিভ্রান্তিকর-অসতা তথা ও আপত্তিকর বক্তব্য সম্বলিত সংবাদের মাধ্যমে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে আপনার সংবাদমাধ্যম কর্তৃক পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ত্রুটিপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও একপেশে তথা সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ বিএসইসি আশা করে না।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটি তৈরিতে সকল তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হয়েছে। এছাড়া ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলের তথ্য অনুসারে মোহসিন চৌধুরীর বিও অ্যাকাউন্ট সিএসইর ব্রোকারেজ হাউস ‘জিরো ওয়ান লিমিটেডে’ শেয়ার লেনদেনের ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান করেছে অর্থসংবাদ। একই সঙ্গে কমিশনের ব্যাখায় বলা হয় কমিশনার মোহসিন চৌধুরী যোগদানের পরপরই শেয়ার বিক্রি করেন কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী যোগদানের পূর্বেই বিও হিসাব বন্ধ করার বিধান রয়েছে। একই সাথে এবিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি, তাই প্রতিবেদনটি একপেশে বলার সুযোগ নেই। এছাড়াও কমিশনের ব্যাখ্যাতে প্রমাণিত যে তিনি যোগদানের পর শেয়ার বিক্রি করেছেন এবং এখনও বিও হিসাবটি বেক্সিমকোর শেয়ার ফ্লোরে থাকার কারণে বন্ধ হয়নি। সুতরাং প্রতিবেদনটিকে বানোয়াট বা ভিত্তিহীন বলার সুযোগ নেই।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিকদার ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছর ৮২ পয়সা ছিল (এডজাস্টেড)।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ২৮ পয়সা।
আগামী ২১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১০টায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ জুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার সংস্কারে বিদেশি এক্সপার্ট আনতে হলে রাশেদ মাকসুদকে কেনো রাখা হয়েছে?

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এরই মধ্যে সম্প্রতি পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে পুঁজিবাজার সংস্কারে বিদেশি এক্সপার্টদের আনাসহ পাঁচ নির্দেশনা দেয় প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার এ নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) প্রেসিডেন্ট এসএম ইকবাল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজার সংস্কারে বিদেশি এক্সপার্ট আনতে হলে রাশেদ মাকসুদকে কেনো রাখা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বড় বিনিয়োগের তথ্য গোপন করলো মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স

সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক কোম্পানি এক্সস্পিড ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের কোম্পানি মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি। নতুন প্রকল্পের এই চুক্তি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের কাছে গোপন করেছে কোম্পানিটি। অর্থাৎ মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই প্রকাশ করা হয়নি। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বড় অঙ্কের বিনিয়োগের তথ্য প্রকাশ না করে আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের তথ্য পিএসআই আকারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানিটি সম্প্রতি বিদেশি কোম্পানির সাথে চুক্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন খাতে যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এতে বড় বিনিয়োগ দেশে আসবে। তবে দেশের প্রাচীনতম ব্যবসায়ী পরিবার মাগুরা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েও বিনিয়োগকারীদের প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি। এতে করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কোম্পানি দুটি এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক যানবাহন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, শিল্প, রিয়েল এস্টেট, কৃষিভিত্তিক পণ্য, চেইন কোল্ড স্টোরেজ, সাইবার সিকিউরিটিসহ বেশ কিছু খাতে যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা, বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও উন্নত অবকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এক্সস্পিডের আনা বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞ পেশাদার টিম। প্রতিষ্ঠান দুটির যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের জমিতে স্মার্ট শিল্প পার্ক তৈরি করা হবে। এই শিল্প পার্কে থাকবে একীভূত উৎপাদন অঞ্চল, বন্ডেড লজিস্টিক হাব এবং বাণিজ্যিক ও আবাসিক কমপ্লেক্স। দেশে চিকিৎসা খাত উন্নয়নে কাজ করা হবে, গড়ে তোলা হবে অত্যাধুনিক হাসপাতাল। এ ছাড়া উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলাসহ আরও কিছু ব্যবসায়িক খাত নিয়ে কাজ করা হবে এই চুক্তির আওতায়।
এ বিষয়ে জানতে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের কোম্পানি সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন, এবিষয়টি আমার জানা নাই। সিআরও’র সাথে কথা বলেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম তথ্য গোপন রাখার বিষয়ে অর্থসংবাদকে বলেন, এই বিষয়ে আমি এখনো অবগত নই। সঠিক না হয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। তবে ইনসাইডার ট্রেডিং প্রভিশন বিধিমালা-২০২২ অনুযায়ী এটা প্রাইস সেনসেটিভ হলে সেভাবে ডিসক্লোজার করবে। এটা নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে বা পত্রিকায় আসলে সে অনুযায়ী ডিপার্টমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৮ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসময় লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, কোম্পানিটির ১৬ কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৮ হাজার টাকার।
১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এনআরবি ব্যাংক।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক , ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড , বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, এ বি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড , যমুনা ব্যাংক এবং কেডিএস এক্সেসরিস।
কাফি