আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসাক দার।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইসাক দারের সফর স্থগিতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৭-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করতে পারছেন না। পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সফরের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতির কারণে আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করতে পারবেন না মর্মে ঢাকাকে অনুরোধ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় উভয়পক্ষের সম্মতিতে যত দ্রুত সম্ভব ইসাক দার ঢাকা সফর করবেন।
সম্প্রতি ঢাকা সফর করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। তার সফরকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর হওয়া পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়। ইসাক দারের সফরকে ঘিরে ঢাকা-ইসলামাবাদ শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইতোমধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং সংস্কৃতি খাতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করার প্রস্তুতিও চলছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, আগামী ২৮ এপ্রিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ইসাক দারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা ছিল। ওইদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খানের ঢাকা সফরের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। ওই সময় ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। ১০ বছরের ব্যবধানে ২০২২ সালের জুলাইয়ে সেই হিনা রাব্বানির ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তিনি তখন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু হিনা রাব্বানি ঢাকায় আসেননি।
তার ঢাকা সফর বাতিল হওয়ার কারণ হিসেবে তৎকালীন ঢাকার দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের ভাষ্য ছিল, ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগমুহূর্তে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা জুড়ে দিয়ে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করে। এ নিয়ে ওই সময় ঢাকার প্রতিক্রিয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় পাকিস্তান হাইকমিশনকে। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তান।
এ ছাড়া, ২০২১ সালে পাকিস্তানে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠকে অংশ নিতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের। কিন্তু শেষ সময়ে তিনি সফরটি বাতিল করেন। তার বদলে বৈঠকে পাঠানো হয় তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনকে। এর বাইরে ২০২২ সালের মার্চে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে ইসলামাবাদে দুই দিনব্যাপী ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনিও সফরে না গিয়ে তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিবকে পাঠান।

আন্তর্জাতিক
সৌদিতে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের কারণে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার ২২২ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৫৫১ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৬৬৫ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪ হাজার ৬ জন রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ২০ হাজার জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১২ হাজার ৯২০ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৬ জন। তাদের মধ্যে ইথিওপিয়ান ও ইয়েমেনি নাগরিকদের সংখ্যাই বেশি। পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ৩৩ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৮ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে ২৫ হাজার ৯২১ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ হাজার ৪১৯ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫০২ জন নারী।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
মরু অঞ্চলের দেশ সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।
আন্তর্জাতিক
ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না: খামেনি

ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানকে পরাধীন করার মার্কিন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন খামেনি। রোববার (২৪ আগস্ট) তেহরানের এক মসজিদে দেওয়া বক্তব্য পরে খামেনির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জুনের যুদ্ধ ইরানকে দুর্বল না করে বরং আরও শক্ত করেছে। খামেনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য হলো ইরানকে নিজের ইচ্ছামতো চালানো এবং ওয়াশিংটনের আনুগত্যে বাধ্য করা। কিন্তু ইরানি জাতি সেনাবাহিনী, সরকার ও ব্যবস্থার পাশে থেকে শত্রুদের শক্তিশালী আঘাত করেছে।”
বিদেশি শক্তিগুলো এখন ভেতর থেকে ইরানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। “শত্রুর মূল কৌশল হলো দেশে বিভেদ তৈরি করা। আমেরিকা ও ইসরায়েলের এজেন্টরা ইরানি সমাজে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে,” অভিযোগ করেন খামেনি। তিনি দেশের জনগণকে প্রশংসা করে বলেন, “আজ আল্লাহর অশেষ কৃপায় দেশ ঐক্যবদ্ধ। মতের অমিল থাকলেও যখন রাষ্ট্র ও শত্রুর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন জনগণ এক হয়ে যায়।”
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে জিম্মি সংকটের পর থেকে ইরান-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে। এরপর থেকে দেশটির ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। যদিও ইরান বারবার অস্বীকার করেছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে।
আগামী মঙ্গলবার ইরান ইউরোপের তিন দেশ—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তবে ইউরোপীয় শক্তিগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কোনো চুক্তিতে না পৌঁছালে আবারও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক
মিয়ানমারে ঐতিহাসিক রেলসেতু উড়িয়ে দিলো বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের একটি ঐতিহাসিক রেলসেতু বোমা হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। ঔপনিবেশিক আমলের বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে সেতু হিসেবে পরিচিত ওই সেতু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিদ্রোহীরা উড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে জান্তা।
রোববার মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্র একাধিক গোষ্ঠী বোমা হামলা চালিয়ে ঔপনিবেশিক আমলের একটি রেলসেতু ধ্বংস করেছে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধের কবলে রয়েছে। তখন থেকেই দেশটির জাতিগত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোটের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ্য মিন তুন এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঐতিহাসিক ‘গোকটেইক সেতু’ ধ্বংস করেছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৩৪ ফুট উঁচুতে অবস্থিত গোকটেইক রেলওয়ে সেতু মিয়ানমারের সবচেয়ে উঁচু সেতু। ১৯০১ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে চালুর সময় এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে ট্রেসেল সেতু।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, দেশটির মান্দালয় থেকে উত্তর শান অঙ্গরাজ্যকে রেলপথে সংযুক্ত করা এই সেতুটি আংশিকভাবে ধসে পড়েছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে টিএনএলএর মুখপাত্র লওয়ে ইয়াই উ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জান্তার বোমা হামলায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘‘আজ সকালে মিয়ানমার সেনারা ড্রোন ব্যবহার করে আমাদের ঘাঁটিগুলোতে হামলার চেষ্টা করে। তারা আমাদের বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। কিন্তু তাদের বোমা গোকটেইক সেতুতেও আঘাত হানে।’’
সম্প্রতি নাওংকিও ও কিয়াউকমি শহরে দেশটির জান্তা সৈন্য ও টিএনএলএর যোদ্ধাদের মাঝে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। যদিও গত জুলাইয়ে নাওংকিও শহর পুনর্দখলের দাবি করেছিল জান্তা।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ঢোকার সময় বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আটক

সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
কর্মকর্তাদের বরাতে ভারতীয় সংবামাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে বিএসএফ সদস্যরা ওই বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেন।
পরে প্রটোকল অনুযায়ী তাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
আন্তর্জাতিক
ফেডের সুদহার কমানোর ইঙ্গিতে সম্পদ বাড়ল শীর্ষ ধনীদের

ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে নতুন উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল সূচক বেড়েছে ৯০০ পয়েন্টের বেশি; এটি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন রেকর্ড। একই সঙ্গে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে প্রায় দেড় শতাংশ এবং নাসডাক সূচক প্রায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাওয়েলের সতর্ক আশাবাদী বক্তব্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করেছে। এক বছর আগেও তাঁর ‘কঠোর’ অবস্থানের কারণে চাপে পড়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা, কিন্তু এবার নমনীয় হওয়ার সংকেতে উল্টো ইতিবাচক সাড়া পড়েছে।
শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থানে স্বাভাবিকভাবে ধনীদের সম্পদমূল্য বেড়েছে। দেখে নেওয়া যাক, ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে কার সম্পদ কত বাড়ল:
১. ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য বেড়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি ডলার। টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার।
২. বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ওরাকলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি এলিসনের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৪৪০ কোটি ডলার। ওরাকলের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
৩. তৃতীয় স্থানে থাকা মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৫৪০ কোটি ডলার। মেটার শেয়ারের দাম বাড়ায় তাঁর সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৩০ কোটি ডলার।
৪. এদিকে চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭০ কোটি ডলার। অ্যামাজনের শেয়ারের দাম বাড়ায় তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬১০ কোটি ডলার।
৫. অ্যালফাবেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনও সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছেন। পঞ্চম স্থানে থাকা পেজের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৪৯০ কোটি ডলার। ফলে তাঁর মোট সম্পদমূল্য এখন ১৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
৬. ষষ্ঠ স্থানে থাকা ব্রিনের সম্পদমূল্য গতকাল বেড়েছে ৪৫০ কোটি ডলার। অ্যালফাবেটের শেয়ারমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদমূল্যও বেড়েছে। ফলে এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাঁর সম্পদমূল্য ১৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
৭. সপ্তম স্থানে থাকা এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াংয়ের সম্পদমূল্য বেড়েছে মোট ২৬০ কোটি ডলার। ফলে তাঁর সম্পদমূল্য এখন ১৫ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার।
৮. অষ্টম স্থানে থাকা সাবেক মাইক্রোসফট প্রধান স্টিভ বালমারের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের। ফলে তাঁর সম্পদমূল্য এখন ১৫ হাজার ৪৩৩০ কোটি ডলার।
৯. নবম স্থানে থাকা ফ্রান্সের এলভিএমএইচ প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট ও তাঁর পরিবারের সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ২৯০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে এলভিএমএইচের শেয়ার লেনদেন না হলেও বৈশ্বিকভাবে তার কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩ শতাংশের বেশি বাড়ায় তাঁদের সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯০ কোটি ডলার।
১০. দশম স্থানে থাকা বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের প্রধান ওয়ারেন বাফেটের সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ২৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বাজারের সার্বিক উত্থানে তাঁর সম্পদমূল্য এখন ১৪ হাজার ৬২০ কোটি ডলার।