অর্থনীতি
বাংলাদেশে ডলারের প্রবাহ বাড়বে কমবে ঘাটতি: আইএমএফ

বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি কমবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার রাতে আইএমএফের প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, এপ্রিল, ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ায় সরকারের এ হিসাবে ঘাটতি কমবে। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও এ হিসাবে ঘাটতির মাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি মানেই হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে। ফলে সরকারকে ডলারের চাহিদা মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়। এতে রিজার্ভ কমতে থাকে। অন্যদিকে ডলারের দামও বাড়তে থাকে। যে কারণে চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিলেই ডলার সংকটের আগাম বার্তা হিসাবে গণ্য করা হয়। কিন্তু চলতি হিসাবে আট বছর ধরে ঘাটতি চললেও সরকার সতর্ক হয়নি। ওই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলার সংকটের কারণে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে চলতি হিসাবে ঘাটতি বেড়ে জিডিপির ৪ শতাংশে উঠেছিল। ওই সময়ে বৈশ্বিক মন্দার কারণে বাংলাদেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবে ঘাটতি কমে আসে। ওই অর্থবছরে ঘাটতি কমে জিডিপির ২ দশমিক ৬ শতাংশে নামে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা আরও কমে জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ নামে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বিকেএমইএর নতুন সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম

বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদের ২০২৫-২৭ মেয়াদে অফিস বেয়ারার্স পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাতেম। নির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফজলে শামীম এহসান। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অমল পোদ্দার, সহ-সভাপতি (অর্থ) পদে মোরশেদ সারোয়ার এবং পাঁচজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন প্রার্থীরা। এতে দেখা যায়- সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি (অর্থ) ও পাঁচজন সহ-সভাপতি মিলিয়ে মোট নয়টি অফিস বেয়ারার পদের জন্য নয়টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। নির্বাচন বোর্ড তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।
যেহেতু নয়টি পদের বিপরীতে নয়টিই মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে, সেহেতু আলাদা করে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব পদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচজন সহ-সভাপতির মধ্যে রয়েছেন মো. সামসুজ্জামান, গাওহার সিরাজ জামিল (চট্টগ্রাম), আশিকুর রহমান, ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ এবং মোহাম্মদ রাশেদ।
এছাড়া আগেই পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- মনসুর আহমেদ, আহসান খান চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, ইমরান কাদের তুর্য, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, এম. ইসফাক আহসান, আহেমদ নূর ফয়সাল, মো. আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, মহসিন রাব্বানি, শাহরিয়ার সাইদ, মোহাম্মদ শামসুল আজম, আব্দুল বারেক, মো. জামাল উদ্দিন মিয়া, নন্দ দুলাল সাহা, রতন কুমার সাহা, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াসিন, রাজীব চৌধুরী, ফৌজুল ইমরান খান, মোহাম্মদ সেলিম, মিনহাজুল হক, মামুনুর রশিদ, রাকিব সোবহান মিয়া, সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেড়েছে ডিমের দাম, কমেছে মুরগির

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিমের দাম ডজনে প্রায় ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তবে এসময়ে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এছাড়া বেশির ভাগ সবজির দামে চড়াভাব এখনো কাটেনি। তবে কিছু কিছু সবজি আগের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে রাজধানী রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন বাজারে প্রোটিনের সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল। এখন দাম বাড়ায় তাদের কেউ কেউ উষ্মা প্রকাশ করছেন। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এতদিন ডিম বিক্রি করে লোকসান করেছেন খামারিরা। এখন দাম কিছুটা বাড়লে সেটি খামারিদের জন্য ন্যায্য হবে।
মালিবাগ বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বর্ষার এ মৌসুমে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরও বেশি থাকতো। এ বছর অনেকদিন ধরে ডিমের দাম কম, খামারিরা লোকসান গুনছেন। অনেক খামার বন্ধও হয়ে গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন হিসাবে। পাড়া-মহল্লায় প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও এ দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এখন ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে কিছু কিছু দোকানে গরুর মাংস কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আগে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৭৮০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন অনেক বিক্রেতা। তবে দরদাম করে আগের দামে কেনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
পুরোনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমেছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেটের কেজি ৭০ টাকা। তবে ভালো মানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরোনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বাজারে এখন গ্রীষ্মের পটোল-ঢ্যাঁড়সের মতো সবজিগুলো অন্যসময়ের তুলনায় কম দামে কেনা যাচ্ছে। এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙে, কাকরোল, উস্তা, বেগুন ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমছে। তবে বাজার এখনো ওঠানামা করছে। বৃষ্টিতে সরবরাহ কমলে দাম বাড়ছে। এছাড়া প্রতিদিনই দামে কিছুটা হেরফের হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সর্বজনীন পেনশনের চাঁদার টাকা নিতে ১২ ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ

সর্বজনীন পেনশন স্কিমগুলোর রেজিস্ট্রেশন ও চাঁদার টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে আরও ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ সই করা হয়। ফলে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চাঁদার টাকা সংগ্রহে মোট ২৪টি ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউর সই হলো।
বৃহস্পতিবার নতুন করে ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ সই করার তথ্য জানিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে দেশীয় মালিকানাধীন সব ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন করে এমওইউ সই করা ১২টি ব্যাংক হলো- এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।
সচিবালয়ে অর্থ বিভাগ সভা কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও উপস্থিত থেকে নিজ নিজ ব্যাংকের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিনদিনের ব্যবধানে ফের কমলো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (১৬ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৩ মে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৪ মে থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ৩৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিকদার গ্রুপের রন হকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

করোনাকালীন সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৪০৪ কোটি টাকা উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সিকদার পরিবারের চার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৭ মে) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সিকদার পরিবারের মনোয়ারা সিকদার, পারভীন হক সিকদার, রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারকে আসামি করা হয়েছে। যারা ওই সময় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
এছাড়া সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মো. মোহসিন, রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইলের এমডি মঈন উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এভিপি মো. একরামুল হক, এসইভিপি ও ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক ভিপি মোহাম্মদ আবু রাশেদ নোয়াব, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম বুলবুল, সাবেক এমডি চৌধুরী মোশতাক আহমেদ ওরফে সিএম আহমেদ, সাবেক পরিচালক খলিলুর রহমান, পরিচালক জাকারিয়া তাহের, সাবেক পরিচালক মাবরুর হোসেন সাবেক পরিচালক মো. নায়মুজ্জামান ভুইয়া মুক্তা ও পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাদ মুসা হোমটেন্দ্র অ্যান্ড ফ্লথিং লিমিটেডের মালিক ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিন ও রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কর্ণধার মঈন উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র এবং অনুমোদনবিহীন প্রক্রিয়ায় প্রণোদনার ঋণ নেন। ব্যাংকের শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিচালকেরা প্রকৃত আর্থিক প্রয়োজন যাচাই না করেই করোনাকালীন সেটিমুলাস প্যাকেজের ঋণসহ রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে ৪০৪ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেন। এ অর্থ একাধিক লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর, ফ্লোর ক্রয়, আগের ঋণ পরিশোধ ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১১ মার্চ সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার, তার মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাদের পরিবারের ১৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এরআগে ৯ মার্চ রন হক সিকদার, তার মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের ৪২টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সিকদার গ্রুপের রন হক, তার মাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত।