জাতীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাতারের জোরালো ভূমিকা চান প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ওআইসিকে আরও সক্রিয় করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন শুরু করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কাতার তাদের কূটনৈতিক প্রভাব কাজে লাগাতে পারে।
আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে, কাতার জোরালোভাবে তাদের সংহতি প্রকাশ করে এ সংকট সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া ওআইসি দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তহবিল সংগ্রহ জোরদার ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে মত প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ-রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
মানবতা, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করতে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন আমরা নিশ্চিত করি, আজকের আলোচনা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে একটি অর্থবহ অংশীদারিত্বের সূচনা করে যা রোহিঙ্গা সংকটকে আমাদের যৌথ মানবিক অগ্রাধিকারগুলোর শীর্ষে রাখে এবং একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে একযোগে কাজ করে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং রোহিঙ্গাদের হতাশ করে তুলছে। ক্যাম্পগুলোতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বৃদ্ধি এবং অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা তাদের হতাশার স্পষ্ট চিহ্ন। এ সমস্যা যদি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে এটি পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ভূত নানা সংঘাতের কারণে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধীরে ধীরে রোহিঙ্গা সংকট থেকে সরে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের দাখিলকৃত ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জনের তালিকার মধ্যে মিয়ানমার সরকার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬ জনকে যাচাই করেছে এবং এর মধ্যে ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জনকে ‘মিয়ানমারে বসবাসকারী ব্যক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন’ আয়োজন করবে।
এ সম্মেলনে কাতারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনকে এ বৈঠকের আয়োজন এবং নীতিগত বিবৃতির বাইরে গিয়ে বাস্তবসম্মত সমাধান, জবাবদিহিতা ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক যুক্ত হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ কেবল মানবিক বিবেচনায় এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মনে করে, টেকসই প্রত্যাবাসনই হলো বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান।
ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এবং মিয়ানমারের জন্য গঠিত স্বাধীন তদন্ত সংস্থার (আইআইএমএম) চলমান উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ এবং রোম সংবিধির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো অপরাধের কোনোভাবেই শাস্তি এড়ানো উচিত নয়।
রোহিঙ্গাদের আস্থা ফেরাতে এবং রাখাইন রাজ্যে তাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার ও এর কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য দায়ী করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইসিজেতে দায়ের করা মামলাটি চলতি বছরের প্রথমার্ধে মেরিট পর্বে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইনি ফার্ম ফোলি হোয়াগ জানিয়েছে, প্রাথমিক, আপত্তি ও মূলপর্ব শেষ হওয়ার পর তারা আইসিজেতে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার শিকারদের ক্ষতিপূরণের আবেদন করবে।
গাম্বিয়া সরকার ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ওআইসি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে, যেখানে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে, যার পরিমাণ সাত লাখ ডলার।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান হিসেবে টেকসই প্রত্যাবাসনকেই বিবেচনা করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১ হাজার ৬৬২ জন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৬০৪ জন।
শুক্রবার (১৬ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৬০৪ জন। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬৬২ জনকে।
অভিযানে একটি ওয়ান শুটারগানও (এলজি) উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল নিক্ষেপ: ডিবি অফিসে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

রাজধানীর কাকরাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গত ১৪ মে রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি সেখানে অবস্থানরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপে বসেন। কিন্তু আলোচনা চলাকালে হঠাৎ এক পর্যায়ে তার দিকে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়। উপস্থিত সবাই মুহূর্তেই হতভম্ব হয়ে যান, তবে সৌভাগ্যক্রমে উপদেষ্টা গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হননি।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বোতল ছোঁড়ার পরপরই এক তরুণ দ্রুত ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। তার মুখ আংশিক স্পষ্ট হওয়ায় শনাক্তকরণ কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উড্ডয়নকালে খুলে গেলো বিমানের চাকা, ঢাকায় অবতরণ

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর চাকা খুলে নিচে পড়ে যায় বিমানের। এসময় বিমানটিতে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল। পরে তা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা বিমান থেকে নিরাপদে নেমে এসেছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে ওড়ার পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। পরে দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। চাকার বিষয়টি কী হয়েছিল সেটি বিমানের ইঞ্জিনিয়াররা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন।
যাত্রীরা নিরাপদে নেমে এসেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এসময় বিমানটিতে পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন বিল্লাল।
এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) ফ্লাইটটি।
উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান, তিনি জরুরি অবতরণ করতে চাচ্ছেন। পাইলটের বার্তা পাওয়ার পরপরই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিষিদ্ধ সংগঠনে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এজাজ

হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে নিষিদ্ধ এই সংগঠনে জড়িতের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজেরর বিরুদ্ধে। সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
ফেসবুকে পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরে যেন আরেকটি ছায়া সরকার পরিচালিত হচ্ছে, যার অগ্রভাগে রয়েছে অন্তত ৬ জন ব্যক্তি, বেশ সুকৌশলে এরা সরকারের ভেতর প্রবেশ করেছে। যেসব উপদেষ্টা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে আপনারা হরহামেশাই মুখরোচক গল্প শুনে অভ্যস্ত তারা কেউই এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট নেই। বরং আপনাদের কাছে ওইসব ছাইপাঁশ গল্প প্রচারই করা হয় সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব ব্যক্তিদের সামনে এনে বিতর্কিত করে আপনাদের ব্যস্ত রাখার জন্যে। উদ্দেশ্য ১৪ জনের বিশেষ দলটি বা ছোটন গ্যাং যেন নিভৃতে তাদের কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল করতে পারে।
আজকে উন্মোচন করা হবে ছোটন গ্যাং এর অন্যতম সদস্য এবং সরকারের ভেতর চতুরতার সাথে স্থান করে নেয়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. এজাজের পরিচয়।
মো. এজাজ, নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতাদের একজন। তিনি ছাত্র জীবনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, ২০০২ সাল থেকে হিজবুত তাহরীরের সাথে জড়িত হন। এই সংগঠনের কাজ করতে গিয়ে কমপক্ষে দু’বার গ্রেফতার হন তিনি।
২০১৪ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ইস্যু করা সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি স্মারক পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ নামক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের তালিকায় এই মো. এজাজের অবস্থান ছিলো পঞ্চম। একই বছর নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে মো. এজাজ সহ আরো আটজ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১)(ক)(৩)/২৫/ঘ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় কিছুদিন আটক থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও একই নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে তৎপর থাকে এজাজ।
৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১০ নভেম্বর ২০২৪ এজাজ সহ তার অন্য সহযোগীদের মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়। মো. এজাজ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে বের করতে বিভিন্নভাবে দেনদরবার করা শুরু করেন।
ছোটন গ্যাং এর সাথে আগে থেকেই পরিচয় থাকার সুবাদে এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সরাসরি সুপারিশে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আবির্ভূত হন মো. এজাজ। জানা যায় এই পদের জন্যে পর্দার আড়ালে থেকে তদবির করেন একজন নারী উপদেষ্টা।
বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সাথে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে সরকার পক্ষ থেকে মো. এজাজকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আগে কোন রকমের নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অর্থসংবাদকে বলেন, আমার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা বিত্তিহীন। যেই ডকুমেন্টস গুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে এগুলো আমি বিশ্বাস করিনা। আমার ফেসবুকে দেখেন আমি এ বিষয়ে লিখেছি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমানবাহিনী প্রধান

ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
শুক্রবার (১৬ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ইতালি বিমানবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল লুকা গোরেট্টির আমন্ত্রণে ৮-৯ মে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান অ্যারোস্পেস পাওয়ার কনফারেন্স (এএসপিসি) ২০২৫-এ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা অংশগ্র নেন।
এছাড়া বিমানবাহিনী প্রধান ইতালির সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘লিওনার্দো এস.পি.এ.’র আমন্ত্রণে লিওনার্দো ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শন করেন।
বিমানবাহিনী প্রধানের এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, যা পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারিত করবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিমানবাহিনী প্রধান সরকারি সফরে ইতালির উদ্দেশ্যে গত ৭ মে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।