অর্থনীতি
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ হতে পারে: আইএমএফ

চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক–এপ্রিল ২০২৫’ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের যৌথ বসন্তকালীন সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হালনাগাদ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৬ সালে এই প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি চলতি অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিন্যাস করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
কয়েক দিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। সে তুলনায় আইএমএফ-এর অনুমান আরও কিছুটা কম।
এ বছর গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হতে পারে
অপরদিকে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত পূর্বাভাসে আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি থাকতে পারে ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং এশিয়া অঞ্চলের গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
প্রয়োজনীয় সংস্কারেই দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে: বিশ্বব্যাংক

বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে মধ্যমেয়াদে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং বিনিয়োগের অভাবের কারণে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশ থেকে কমে ৪.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে এবং চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরও কমে ৩.৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া বিনিয়োগের মন্থরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এখনো চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাহ্যিক খাতের চাপ কিছুটা কমেছে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার মনে করেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা জোরদার করতে এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রয়োজন। বাণিজ্য উন্মুক্ত করা, কৃষি খাতকে আধুনিকীকরণ এবং বেসরকারি খাতের গতিশীলতা বাড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর ফর বাংলাদেশ গেইল মার্টিন আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে বাণিজ্য সহজ করা এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বাড়াতে “সাহসী ও জরুরি সংস্কার” এর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ এর একটি অংশ। আঞ্চলিক এই প্রতিবেদনে ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশে নেমে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ একত্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে যেখানে প্রায়শই উচ্চ করের হার থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলের কর রাজস্ব অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় কম।
রাজস্ব বৃদ্ধি করে কীভাবে একটি কঠিন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশে স্থিতিশীলতা আনা যায় সে বিষয়েও প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এশিয়া অঞ্চলে এডিবির ৪০ বিলিয়ন ডলার উন্নয়ন সহায়তা

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বহুমাত্রিক উন্নয়ন প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। ২০২৪ সালে নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার এবং অংশীদারদের সহযোগিতায় অতিরিক্ত ১৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয় সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
কীভাবে এডিবি তার উন্নয়ন সহযোগী সদস্য দেশগুলোকে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে তা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা বলেন, আমাদের আর্থিক সক্ষমতা ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়ন প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রূপান্তর করছি।
তিনি বলেন, আমরা আরও সাশ্রয়ী, দক্ষ জ্বালানি ও পরিবহন ব্যবস্থায় অর্থায়ন করছি। এমন একটি গতিশীল বেসরকারি খাত গড়ে তুলছি যা উন্নতমানের কর্মসংস্থান তৈরি করে। আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল আগামীর ভিত্তি তৈরি করছি।
২০২৪ সালে এডিবি মোট ২৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের মাধ্যমে ঋণ, অনুদান, ইক্যুইটি বিনিয়োগ, গ্যারান্টি ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে, যা সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিতরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি খাতভিত্তিক প্রকল্প ও প্রোগ্রামের মাধ্যমে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে— যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এতে ১০ লাখ সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি, মূলধন বাজার উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক আরও জানায়, আগামী দশকে ব্যাংকটি তার কার্যক্রম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হবে। এছাড়া সংস্থাটির কৌশলগত কাঠামোতে বড় ধরনের হালনাগাদ এবং সবচেয়ে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ সদস্য দেশগুলোর জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে রেকর্ড পাঁচ বিলিয়ন ডলার পুনঃঅর্থায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০২৪ সালে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও উৎপাদনশীল ও সহনশীল করা, চরম আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং জীববৈচিত্র্য হ্রাস প্রতিরোধে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এডিবি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দিবে বিশ্বব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ১০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। ঋণের এই অর্থ দুটি প্রকল্পে ব্যয় করতে পারবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ ঋণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর ফর বাংলাদেশ গেইল মার্টিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশকে দেওয়া আর্থিক প্যাকেজের মধ্যে দুটি প্রধান প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে একটি ‘বে-টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’। ৬৫ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে এই মেগা প্রকল্পে। বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। এর ফলে বন্দরের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষমতা বাড়বে এবং পরিবহন খরচ ও সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই বন্দরের উন্নয়ন বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন গতি সঞ্চার করবে এবং প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। বৃহত্তর জাহাজ আগমনের সুবিধা তৈরি হওয়ায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হবে। এ ছাড়াও প্রকল্পটি নারী উদ্যোক্তা এবং বন্দর পরিচালনায় নারী কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
চুক্তির বাকি ২০ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে ‘স্ট্রেন্থেনিং সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর ইম্প্রুভড রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুশন, অ্যান্ড টার্গেটিং (এসএসপিআইআরআইটি)’ প্রকল্পে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ সরাসরি নগদ অর্থ ও জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে। এক্ষেত্রে যুব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি জাতীয় ডায়নামিক সোশ্যাল রেজিস্ট্রি তৈরি করা হবে, যা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, ক্ষুদ্রঋণ এবং পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অন্যষ্ঠানে ইআরডি শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং দেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা অর্জনে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের জলবায়ু স্থিতিশীলতা এবং একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আর বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি গেইল মার্টিন বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে থাকতে হলে বাংলাদেশকে তার জনসংখ্যার জন্য, বিশেষ করে প্রতি বছর শ্রমবাজারে প্রবেশকারী প্রায় ২০ লাখ যুবকের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। বাণিজ্য ও রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবচেয়ে দুর্বলদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থেকে উত্তরণে ও চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে একটি গেম-চেঞ্জার হবে বিশ্বব্যাংকের এই আর্থিক প্যাকেজটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে ডলারের প্রবাহ বাড়বে কমবে ঘাটতি: আইএমএফ

বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি কমবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার রাতে আইএমএফের প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, এপ্রিল, ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ায় সরকারের এ হিসাবে ঘাটতি কমবে। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও এ হিসাবে ঘাটতির মাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি মানেই হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে। ফলে সরকারকে ডলারের চাহিদা মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়। এতে রিজার্ভ কমতে থাকে। অন্যদিকে ডলারের দামও বাড়তে থাকে। যে কারণে চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিলেই ডলার সংকটের আগাম বার্তা হিসাবে গণ্য করা হয়। কিন্তু চলতি হিসাবে আট বছর ধরে ঘাটতি চললেও সরকার সতর্ক হয়নি। ওই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলার সংকটের কারণে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে চলতি হিসাবে ঘাটতি বেড়ে জিডিপির ৪ শতাংশে উঠেছিল। ওই সময়ে বৈশ্বিক মন্দার কারণে বাংলাদেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবে ঘাটতি কমে আসে। ওই অর্থবছরে ঘাটতি কমে জিডিপির ২ দশমিক ৬ শতাংশে নামে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা আরও কমে জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ নামে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একদিনের ব্যবধানে কমলো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার ভরিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস, যা আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হয়। সেই হিসেবে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম হবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৩ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২০ হাজার ৫১২ টাকা।
তবে দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮৪৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৭১৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা।