অর্থনীতি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৯৮ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুর থেকে ৫৯৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪০ টাকা ব্যয়ে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এ এলএনজি আমদানি করা হবে।
এক কার্গো এলএনজি আমদানির পাশাপাশি ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩ লাখ ৫ হাজার ১৪৪ টাকা ভেরিশেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বিদেশ থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে চারটি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর এই এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২ দশমিক ৪৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় কবে ৫৯৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪০ টাকা।
সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বৃদ্ধির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’-এর অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স কনট্রাক্টর নিয়োগের লক্ষ্যে বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত ও অন্যান্য পরামর্শক সেবা প্রদানের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএলএফ কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, ইউএই-কে ২০ লাখ ২১ হাজার ১২৫ ডলারে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরবর্তীসময়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ বাড়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬২ ডলার ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলারের দাম ১২২ টাকা হিসাবে ব্যয় বাড়বে এক কোটি তিন লাখ পাঁচ হাজার ১৪৪ টাকা।
ভেরিয়েশনের কারণ হিসেবে জানা গেছে, বিশেষ বিধান আইনের অধীন চলমান ক্রয় কার্যক্রম স্থগিত করায় সিঙ্গেল সোর্স পদ্ধতিতে ঠিকাদার নিয়োগের বিড ডকুমেন্ট বাতিল হয়। পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জি-টু-জি (সরাসরি) ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগের বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা হয়। আবার পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে নিয়োগের জন্য বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা হয়।

অর্থনীতি
অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে ব্যয় থেকে উদ্বৃত্ত তৈরি করা: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আমাদের অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে ব্যয় থেকে উদ্বৃত্ত তৈরি করা– বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, আমরা ৪০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ। তা সত্ত্বেও কেন আমরা উদ্বৃত্ত হতে পারছি না? সম্পদের পর্যাপ্ততা বিবেচনা না করেই যদি আমরা অতিরিক্ত ব্যয় করি, তখন তো উদ্বৃত্ত আসবে না। নিজস্ব সক্ষমতায় ব্যয় থেকে উদ্বৃত্ত তৈরি করে আমাদের ভবিষ্যৎ শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ‘অটোমোবাইলস অ্যান্ড এগ্রো-মেশিনারি ফেয়ার ২০২৫-রোড টু মেইড ইন বাংলাদেশ’ মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদেরকে নিজস্ব সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যেতে হবে। পলিসি সাপোর্ট দিয়ে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব না। আমাদের দেশে গার্মেন্টস সেক্টর ছাড়া অন্য কোনো সেক্টর পলিসি সাপোর্ট নিয়ে কিছুই করতে পারেনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে আমাদের শিল্পের যে বৈশিষ্ট্য ছিল, এখন সেটি নেই। পূর্বে এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছিল। এখন সেটি নেই। আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান। প্যানেল আলোচক ছিলেন ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ, এফবিসিসিআই সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হামিম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদ, বারবিডা সভাপতি আব্দুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নাবিস্কো বাসস্ট্যান্ডের কাছে এডিসন প্রাইম ভবনে অবস্থিত বিসিআই অফিস ভবনের টপ ফ্লোরে দুই দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর)। এতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল এবং ১২টি শিল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান মেলার উদ্বোধন করেন।
অর্থনীতি
এবার জানুয়ারিতেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: অর্থ উপদেষ্টা

চলতি বছর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে দেরি হলেও আগামী শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ রবিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছর বই ছাপানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল নভেম্বর মাসে। এবার শিক্ষার্থীরা যেন জানুয়ারি মাসেই নতুন বই পায়, সে জন্য সেপ্টেম্বর মাসে কার্যাদেশ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে বাকিগুলো সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেওয়া হবে। সম্ভবত, আগামী সপ্তাহেও বৈঠক হবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে ১ জানুয়ারি নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। তবে এসব বিষয় আরও ভালোভাবে যাচাই করার জন্য বলা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এর আগে যারা কাজ পেয়েছিল, তাদের ছাপানো বইয়ের মান কেমন ছিল, কাগজ কেমন ছিল; এবং কারা একাধিক কাজ পাচ্ছে, একচেটিয়া হচ্ছে কি না—এসব খতিয়ে দেখতে আরেকটু যাচাই-বাছাই করা হবে। আজ বই কেনার যে প্রস্তাব ছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, অনিয়মের সংবাদ মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে, তাদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে তিন মাস দেরি হয়েছিল, সাংবাদিকেরা এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার জানুয়ারি মাসেই বই তুলে দেওয়া হবে। অনিয়মের তালিকায় কতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে বই ছাপানোর কাজ দেওয়া হবে এবং কবে সেই সিদ্ধান্ত হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অর্থনীতি
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদের মুখে চট্টগ্রাম বন্দরে সম্প্রতি বাড়ানো শুল্ক ও বিভিন্ন সেবার মাশুল এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে আয়োজিত একটি কর্মশালায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এক মাসের স্থগিতাদেশের পর নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং বে-টার্মিনালের মতো বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন্দরের খরচ বাড়ানোটা জরুরি ছিল। তবে এই সাময়িক স্থগিতাদেশ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপ কিছুটা কমাবে।
কর্মশালায় অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বর্ধিত শুল্ক কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার এবং কিছু চার্জ কমানোর দাবি জানান। তারা বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত শুল্কের কারণে, রপ্তানিকারকদের টিকে থাকতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। তারা আরও বলেন, বন্দরের সেবার মান বা সক্ষমতা না বাড়িয়েই বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলো (আইসিডি) ৪০-৪৫% চার্জ বাড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে যৌথ টাস্কফোর্স গঠন এবং আইন সংস্কারের প্রস্তাবও দেন তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দরটি বর্তমানে তার ধারণক্ষমতার বাইরে পরিচালিত হচ্ছে। এটি এখনও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল এবং সীমিত গভীরতার কারণে আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কনটেইনার দ্রুত খালাস, কাস্টমস প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়করণ এবং আগামী পাঁচ বছরের সম্ভাব্য বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে আইন সংস্কারের ওপর জোর দেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান জানান, বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলামযোগ্য কনটেইনারগুলো এই মাসেই তালিকাভুক্ত করে দ্রুত নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, তিনি সাবেক সংসদ সদস্যদের ফেলে রাখা ৩০টি গাড়ি সরকারি পরিবহন পুলে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান।
কর্মশালায় জানানো হয়েছে, লজিস্টিকস পারফরম্যান্স, বাণিজ্য ব্যয় এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দক্ষতার দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দর এখনও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দরগুলোর তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ৮ পরামর্শ

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা আনতে আটটি পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট বা আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারের তৈরি বাজেট কাঠামোই মূলত অনুসরণ করছে। আগের সরকারের বাজেট কাঠামো বদলায়নি অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সরকার অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা বাড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।
এবার দেখা যাক আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা আনতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কী কী পরামর্শ দিয়েছে।
১. বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা।
২. বাজেট নথি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রস্তুত করা।
৩. নির্বাহী কার্যালয়ের ব্যয় আলাদাভাবে দেখানো।
৪. বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রকাশ করা।
৫. আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বাজেটের পূর্ণাঙ্গ তথ্য যেন তারা পায়, সেই ব্যবস্থা করা।
৬. নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করা, যেখানে প্রস্তাবনা ও বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
৭. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ–সংক্রান্ত চুক্তির মূল তথ্য প্রকাশ করা।
৮. সরকারি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করা।
প্রতিবেদনে আরও যা আছে
মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের সরকার নির্বাহী বাজেট প্রস্তাব ও প্রণীত বাজেট অনলাইনে সাধারণ জনগণের জন্য প্রকাশ করেছে। তবে বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রকাশ করেনি। তারা মনে করছে, বাজেটের তথ্য সাধারণভাবে নির্ভরযোগ্য হলেও আন্তর্জাতিক মান অনুসারে হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের ঋণ বা দেনার পরিমাণ কত, তা বাজেটে প্রকাশ করা হতো। বাজেট নথিতে সরকারের পরিকল্পিত ব্যয়, রাজস্ব আয়সহ প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে অর্জিত আয় দেখানো হলেও একাধিক দিক থেকে তথ্য অসম্পূর্ণ ছিল। বিশেষ করে নির্বাহী বিভাগের ব্যয় আলাদা করে দেখানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বরাদ্দ ও আয় প্রকাশ করা হলেও রাজস্ব ও ব্যয়ের সম্পূর্ণ হিসাব পাওয়া যায়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সরকারি নিরীক্ষক সংস্থা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পুরো হিসাব যাচাই করতে পারেনি। কিছু সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করছে, প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্বতন্ত্র নয়।
প্রাকৃতিক সম্পদ খাতের চুক্তি ও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত মানদণ্ড অনুসরণ করা হলেও সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সব প্রক্রিয়া উন্মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে করেছে। সেই সঙ্গে আগের সরকারের নেওয়া চলমান ও আগের সব সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি স্থগিত করেছে।
অর্থনীতি
দুর্গাপূজায় হিলি স্থলবন্দরে ৮ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিনগুলোতে পানামা পোর্ট অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দূর্গাপূজায় ভারত অভ্যন্তরে অনেক আনুষ্ঠানিকতা থাকে যার কারণে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৮ দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৮ দিন বন্ধের পর ৪ অক্টোবর থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত অন্য দিনগুলোতে কাস্টমসের কার্যক্রম সচল থাকবে এবং চাইলে আমদানিকারকরা বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য খালাস করতে পারবেন। সব ধরনের সহযোগিতা তাদেরকে করা হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, দূর্গাপূজায় ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে তারা যাতায়াত করতে পারে।