রাজনীতি
প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর শাহজাহানপুর পূর্ব থানা এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা-পূর্বক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হেলাল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকার দেশের জনগণকে শোষণ করেছে। জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শোষণের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সব সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যার কারণে জোট সরকারে থাকাকালীনও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, কারাগারে জুলুম-নির্যাতন চালানে হয়েছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিঃশেষ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ভারতের পরামর্শে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যা করে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ সেই পতিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে দেশ ছাড়া করেছে। সর্ববৃহৎ দল দাবি করা দল ক্ষমতা হারিয়ে এক মিনিট রাজপথে ঠিকতে পারেনি।
ড. হেলাল আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় না বসেও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে আছে। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি, যাবে না। তবে ষড়ষন্ত্র থেমে নেই। ভারত এখন আবার নতুন করে আরেকদলকে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কারণ ভারত জানে, সব দলকে কেনা গেলেও জামায়াতে ইসলামীকে কেনা যাবে না। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে ভারত একেকবার একেক দলের ঘাড়ে সোয়ার হয়।
তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশিষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, থানা কর্মপরিষদের সদস্য যথাক্রমে আবদুল খালেক, নাহিদ জামাল, আজিজ উদ্দিনসহ দায়িত্বশীল নেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
সঠিক বিচার হলে আ.লীগ করার কেউ থাকবে না: মামুনুল হক

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে অতীতের গণহত্যা ও গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের বিচার করতে হবে। বিচার শেষে যদি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বেঁচে থাকে, তবেই তাদের রাজনীতির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তবে বিশ্বাস করি, সঠিক বিচার হলে আওয়ামী লীগ পরিচালনার মতো কেউ অবশিষ্ট থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর খেলার মাঠ চত্বরে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, ১৯৭২ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ মুজিব দেশের জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারকে পদদলিত করেছিলেন। তার আমলে ভারতীয় ধর্মীয় মতবাদ আমদানি করে বাংলাদেশকে ভারতের শৃঙ্খলে বন্দি করা হয়। কিন্তু চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না।
এ সময় তিনি নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসলাম পরিপন্থী এসব সুপারিশ দ্রুত বাতিল করতে হবে। দেশের ৯০ শতাংশ নারী এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসা ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ও সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি আব্দুর রউফসহ অনেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জমিয়তের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক, মহাসচিব মঞ্জুরুল আফেন্দী

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
আজ (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের কাউন্সিলে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন দলের নবনির্বাচিত সহসভাপতি নাজমুল হাসান কাসেমী।
এছাড়াও সিনিয়র সহসভাপতি পদে আবদুর রব ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লোকমান মাজহারী দায়িত্ব পেয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
লুট করা টাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছে আ.লীগ: রিজভী

জনগণের টাকা লুট করে সেই টাকায় আবার নাশকতার পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় সমাজের বিপথগামীদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে অনৈতিকতা ও দুর্নীতিতে না জড়িয়ে, ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আদালত শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সহায়তা করেছেন। ফ্যাসিবাদের বিচারকদের বিচার হতে হবে। হিটলারের সহযোগী বিচারকদের যদি বিচার হতে পারে শেখ হাসিনার সহযোগী বিচারকদের কেনো হবে না।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে জনগণকে পেন্ডুলামের মতো দোল খাওয়ানো হচ্ছে। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।
এ সময় প্রশ্ন তুলে বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা কেন প্রত্যাহার হচ্ছে না?
সম্প্রতি আলোচনায় আসা একজন উপদেষ্টার এপিএসের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, ছাত্র উপদেষ্টার এপিএসের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ভয়ংকর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক আজ

সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই সভা শুরু হবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দলটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়, সভায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এর নেতৃত্বে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।
প্রতিনিধি দলে থাকবেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ সাবেক এমপি, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবে জামায়াতের প্রতিনিধি দলটি।
এর আগে, গত ২০ মার্চ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও দুই কক্ষের সংসদের দাবি জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয় জামায়াতে ইসলামী। সেসময় সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ বেশ কিছু বিষয়ে মতামতও দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় দরকার তা সরকারকে জামায়াত দিতে চায় বলেও জানান দলটির নেতারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে ৩ দফা বৈঠক করেছে বিএনপি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তারেক রহমানকে নিয়ে ‘দ্য উইকের’ কাভার স্টোরি

সংবাদভিত্তিক প্রখ্যাত সাপ্তাহিক সাময়িকী ‘দ্য উইক’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি (প্রচ্ছদ প্রতিবেদন) করেছে। প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ডেসটিনি’স চাইল্ড বা নিয়তির সন্তান।
এটি লিখেছেন ‘দ্য উইক’-এর নয়াদিল্লি ব্যুরো চিফ নম্রতা বিজি আহুজা।
‘৪ মে ২০২৫’ তারিখ দিয়ে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের ই-পেপার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন। এছাড়া বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও একই ই-পেপার শেয়ার দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সাময়িকীর প্রতিবেদন হওয়ায় এর লিংক দ্য উইকের ওয়েবসাইটে এখন পর্যন্ত মেলেনি।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি ভাঙার নানাচেষ্টা এবং দল টিকিয়ে রাখতে তারেক রহমানের নেতৃত্বের ভূমিকা তুলে ধরে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করলেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ‘দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় তারেক রহমান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে’, এক বিশ্লেষকের এমন বক্তব্য প্রতিবেদনে উদ্ধৃত হয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের পর আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে বিষয়ে ইঙ্গিত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে পরিবর্তন তারেক রহমানের সামনে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে তারেক রহমানের বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিষ্ঠা, মা খালেদা জিয়ার নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হওয়ার চেষ্টার মধ্যে ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান এখন তার মায়ের (বিএনপি প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া) পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন।
এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারকে (গণঅভ্যুত্থানে) সরিয়ে দেওয়ার পর বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। লন্ডনে থাকা তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন তা নিয়ে ঢাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।
দলকে সংগঠিত রাখতে তারেক রহমান নিয়মিত ভার্চুয়ালি সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেন। তৃণমূলেও তার সরাসরি যোগাযোগ আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় নামলে তার জীবনচক্রের পূর্ণতা সম্পন্ন হবে। আশা করা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমান রহমানই দলের মুখ হিসেবে আবির্ভূত হবেন।
প্রতিবেদনে তারেক রহমানের রাজনৈতিক পরিকল্পনা-প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে তার কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বলেন, তারেক ইতোমধ্যে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করেছেন।
ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন, চাকরিজীবী, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক বা শ্রমজীবী যেই হোন না কেন, আমরা তাদের সমান সুযোগ, ন্যায্য মজুরি এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দিতে চাই। আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতি গড়ে তুলতে তারেকের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে চাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় গিয়ে তারেক রহমান কতটা দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিতে সক্ষম হবেন সেদিকে নজর থাকবে সবার।
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ বিন আলী বলেন, (ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের নির্যাতনে) তিনি নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং সামরিক-প্রশাসনিক কর্তৃত্ব তার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়েছিল যে তিনি ভবিষ্যতে আর রাজনীতিতে জড়াবেন না। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল।
১৬ বছরের নির্বাসনকালে তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ক্ষতির শিকার হন (তিনি তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে হারান) এবং বহু আইনি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তবু তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী থেকে যান এবং দলকে একত্রিত রাখেন।
আসিফ বিন আলী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা চালালেও তারেক রহমান ও (বিএনপির মহাসচিব) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন।
তারেক রহমান তার তারুণ্যে ১৯৮৮ সালে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ১৯৯১ সালে দলের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেও পরে খুব সক্রিয় থাকেননি, যদিও সেবার বিএনপি সরকার গঠন করে। ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারে পুনরায় সক্রিয় হন এবং বিএনপি ওই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। এ সময় দলে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব তৈরি হয়। তবে মায়ের শাসনামলে (২০০১-২০০৬) তার বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ এবং সরকারে কোনো আনুষ্ঠানিক পদে না থেকেও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তারেক রহমানও তার মায়ের সঙ্গে বন্দী হন। ‘ওয়ান-ইলেভেন’ খ্যাত ওই সরকারের আমলে অনেক শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হন। তারেক রহমান ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য প্যারোলে লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি পান।
বিদেশে থাকাকালে তারেক রহমান ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে ওই পদে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে কথিত দুর্নীতির মামলায় তার মাকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আসিফ বিন আলী বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন, কারণ তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।