রাজনীতি
প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর শাহজাহানপুর পূর্ব থানা এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা-পূর্বক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হেলাল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকার দেশের জনগণকে শোষণ করেছে। জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শোষণের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সব সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যার কারণে জোট সরকারে থাকাকালীনও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, কারাগারে জুলুম-নির্যাতন চালানে হয়েছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিঃশেষ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ভারতের পরামর্শে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যা করে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ সেই পতিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে দেশ ছাড়া করেছে। সর্ববৃহৎ দল দাবি করা দল ক্ষমতা হারিয়ে এক মিনিট রাজপথে ঠিকতে পারেনি।
ড. হেলাল আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় না বসেও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে আছে। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি, যাবে না। তবে ষড়ষন্ত্র থেমে নেই। ভারত এখন আবার নতুন করে আরেকদলকে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কারণ ভারত জানে, সব দলকে কেনা গেলেও জামায়াতে ইসলামীকে কেনা যাবে না। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে ভারত একেকবার একেক দলের ঘাড়ে সোয়ার হয়।
তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশিষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, থানা কর্মপরিষদের সদস্য যথাক্রমে আবদুল খালেক, নাহিদ জামাল, আজিজ উদ্দিনসহ দায়িত্বশীল নেতারা।

রাজনীতি
শাহজাহানপুর কলোনীতে জামায়াতের উদ্যোগে সুপেয় পানি বিতরণ

শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনীতে লাইনে পানি না থাকায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শাহজাহানপুর পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত সুপেয় পানি বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশের চারদফা কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম হলো আত্ম মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়েজিত রাখা এরই অংশ হিসেবে শাহজাহানপুর কলোনীবাসীর মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যতদিন লাইনে পানি সরবরাহ না থাকবে জামায়াত ততদিন সুপেয় নিরাপদ পানি ওয়াসার মাধ্যমে সরবরাহ করে যাবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সৎ নেতৃত্ব আসলে সাধারণ মানুষের সকল সমস্যার সমাধান হবে। সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচনে সাহসী ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের যে অবসান ঘটেছে তার লক্ষ্যই ছিল গনতন্ত্র ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং অসংখ্য শিশু-কিশোর, ছাত্র-জনতার জীবন ও পঙ্গুত্বের বিনিময়ে অর্জিত এই বিপ্লব বা গন অভ্যুত্থানকে কোন চাঁদাবাজ দুর্নিতিবাজদের হাতে বিলিন হতে দেওয়া যাবে না।
আমরা দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
কলোনীর বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে জামায়াতের এমন উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানা স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর, ঢাকা মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মওলানা শরিফুল ইসলাম। থানা সূরা সদস্য আব্দুল খালেক, শাহাদাত হোসেন। শাহজাহানপুর পশ্চিম থানার সাবেক সেক্রেটারি ইবরাহিম খলিল মহসিন। ১২ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শ্রমিক নেতা মোশাররফ হোসেন চঞ্চল প্রমুখ।
রাজনীতি
সাত বিভাগীয় শহরে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি আজ

পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশের সাত বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী। এতে অংশ নেবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জামায়াতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবারের কর্মসূচিতে বরিশাল মহানগরে নেতৃত্ব দেবেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রংপুর মহানগরে থাকবেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগরে থাকবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
সিলেট মহানগরের নেতৃত্বে থাকবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ। এছাড়া রাজশাহী মহানগরে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, মোমেনশাহী (ময়মনসিংহ) মহানগরে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং খুলনা মহানগরে কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
ঘোষিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহানগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত।
জামায়াতের ৫ দাবিতে যা আছে
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা, দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
রাজনীতি
ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করাই অন্যতম দায়িত্ব: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা।
সেই লক্ষ্যে, আজকের ও আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে; গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করছে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে তিনি এ কথা লিখেন।
তারেক রহমান লিখেন, ইতোমধ্যে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাত হাজারেরও বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন; আবার অনেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন। বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই আবারও প্রমাণ হলো যে, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক, এবং আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যেসব মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদেরও ঠিক সেই একই মানদণ্ডে দাঁড় করাই। এভাবেই আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই; বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবলমাত্র ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না; বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে।
সময়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিএনপি সব সময়ই নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেন, আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে আমাদের নীতিমালা গড়ে উঠেছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে জাতি আরও এগিয়ে যায় এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক, সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লেখেন, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো আলাদা, তাই আমাদের পদক্ষেপগুলোকেও হতে হবে নতুনভাবে চিন্তা-নির্ভর। তবে আমরা ইতিহাসকে অস্বীকার করি না; বরং তার ভিত্তিতেই এগিয়ে যেতে চাই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন; জনগণের ক্ষমতায়নকে রাজনীতির কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে গণতন্ত্র ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গিয়েছেন। আজ আমরা তাঁদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছি নতুন যুগে; যেখানে সততা, তরুণ নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হবে রাষ্ট্রগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
নিজ ঐতিহ্যকে ধারণ করে, বিএনপি প্রাধান্য দিচ্ছে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যতমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথযাত্রাকে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেন, আমরা জানি, তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, তারা ফাঁকা বুলি চায় না। জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, তারা বিশৃঙ্খলা চায় না। আর বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ হোক একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সবশেষে সহকর্মী ও নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি, এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল। আমরা একসাথে প্রমাণ করবো যে, বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্খিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ।
রাজনীতি
ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ

জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানীতে আজ একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায়, আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন। দাবিগুলো হচ্ছে-
-জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
-অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা।
-বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
কোথায়, কখন, কোন দলের কর্মসূচি
জোহর নামাজের পর আজ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।।
আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে খেলাফত মজলিস। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।
একই সময়ে, একই জায়গায় মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল চারটায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
এ ছাড়া জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
রাজনীতি
বিক্ষোভের সময়সূচি পরিবর্তন করল জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির সময়সূচি পরিবর্তন করেছে। বিসিএস পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে আগামী ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি সকাল থেকে বিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, দেশবাসী এরই মধ্যে অবগত হয়েছেন যে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ দফা দাবির ভিত্তিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৮, ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল।
কিন্তু একই সময়ে বিসিএস পরীক্ষা থাকার কারণে বিভ্রান্তি ও ভোগান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে জামায়াত তাদের বিবৃতিতে জানায়, “এমতাবস্থায় বিসিএস পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল অবস্থান নিয়েছে। আমরা মনে করি, বিকেলে কর্মসূচি পালন করলে পরীক্ষার কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।”
ঘোষণায় আরও বলা হয়, এরই মধ্যে সারা দেশের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল বেলায় কোনোভাবেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা যাবে না। কর্মসূচি শুধুমাত্র বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে।
জামায়াত তাদের বিবৃতিতে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে শুভকামনা জানিয়ে বলেছে, “আমরা আন্তরিকভাবে দোয়া করছি, বিসিএস পরীক্ষার্থীরা যেন যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কর্মসূচি পরিবর্তন করে জামায়াত নিজেদের জনমুখী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছে।