রাজধানী
রোববার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আপনি হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনার পছন্দের কোন মার্কেটে যাবেন আজ। কিন্তু সেই মার্কেট খোলা আছে কিনা তা হয়তো জানেন না। তাই আগে জেনে নিন ঢাকার কোন মার্কেট আজ বন্ধ এবং খোলা রয়েছে। না হলে কষ্ট করে গিয়ে ফিরে আসতে হতে পারে।
মনে রাখাতে হবে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক রবিবার রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট, মার্কেট সাধারণত বন্ধ থাকে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ:
আগারগাঁও, তালতলা, শেরে বাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, ১১, ১২,১৩ ও ১৪; ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ীর একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট:
বিসিএস কম্পিউটার সিটি (আইডিবি), পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসী পল্লী, ইব্রাহীমপুর বাজার, রজনীগন্ধা মার্কেট, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ এবং ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোরান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ড সুপার মার্কেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি শিক্ষার্থীদের ৪ দফা: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) জুমার নামাজের পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনাইরাও।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহীন আহমেদ খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। নয়তো সাবেক-বর্তমান সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আরও জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান বলেন, সব দাবিই যৌক্তিক। দাবিগুলো আজকের নতুন কোনো দাবি নয়। অনেকদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানিয়ে আসছেন। তাই দাবিগুলোর পুরোটাই মেনে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, চার দফা দাবিতে তৃতীয়দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে তারা আজ কাকরাইল মোড়ে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার ভবনের যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
তাদের চার দফা হলো- ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
কাকরাইলে চলছে জবির আন্দোলন, জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়াতেই বাড়ছে তাদের সংখ্যা। প্রতিদিনের মতো আজও বাসভর্তি করে এসে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন জবি শিক্ষার্থীরা।
সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন রাজধানীর কাকরাইল এলাকা ঘুরে আন্দোলনের এমন চিত্র দেখা গেছে। পরে বেলা ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভর্তি করে এসে আন্দোলনে যোগ দেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিগত দুইদিনের মতো আজও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় ‘তুমি কে আমি কে, জবিয়ান জবিয়ান, ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে আজ তারা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান না নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন তারা। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রুবেল রানা বলেন, আমরা আপাতত জনগণের ভোগান্তি এড়াতে একপাশে এসে অবস্থান নিয়েছি। তবে আমাদের আরও শিক্ষার্থী আসছে। এরপর কাকরাইল মোড় অবরোধ করা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্যভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিংয়ে এলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের সংঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অনেকে।
সংঘর্ষের পর শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি আহত ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের ওপর পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচারণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে যাওয়া হবে না।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
আজও ঢাকার দুই স্থানে সড়ক অবরোধ, যাত্রীদের ভোগান্তি

রাজধানীর দুই স্থানে আরও সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। একদিকে কাকরাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো গুলিস্তানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন চলছে।
কাকরাইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে গতকাল বুধবার (১৪ মে) থেকেই। বিকেলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামনে অবরোধ কর্মসূচি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হলেও, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে আবারও অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ফলে সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে। কর্মজীবী মানুষ ও যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। কাকরাইল, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
সকাল ৯টা থেকে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী, উড়োজাহাজ ক্রসিং, বিজয় সরণি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মালিবাগ, কাকরাইল মোড়, গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় কোথাও তীব্র যানজট, কোথাও আবার ছিল যানবাহনের চরম চাপ।
দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সকালে ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার মানেই বাড়তি চাপ। এদিন এমনিতেই সড়কে তীব্র চাপ তৈরি হয়। তার মধ্যে আজকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থানে সড়কে যানচলাচল বন্ধ। যে কারণে সড়কে সকাল থেকেই চাপ। সে চাপ অধিকাংশ স্থানে যানজট তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, অফিসগামী যাত্রী, পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় বিভিন্ন পয়েন্টে ডাইভারশন করা হয়েছে। গুলিস্তান-মতিঝিল গন্তব্য হলে নীলক্ষেত নিউমার্কেট সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলামোটর-হেয়ার রোড দিয়ে ডাইভারশন করা হয়েছে। কাকরাইলের সড়ক ক্লিয়ার করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শুনছেন না। বরং আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। যানজট ভোগান্তিতে পড়া নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ও ডাইভারশন মেনে চলাচল অনুরোধ জানান তিনি।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। পাশাপাশি গুলিস্তান এলাকাও আংশিক অবরোধে রয়েছে। এই দুই স্থানে সড়ক বন্ধ থাকায় তার প্রভাব পড়েছে তেজগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়কে। বাড়তি যানবাহনের চাপে সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের সারি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ফোর্সও মাঠে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

কেনাকাটাসহ দৈনন্দিন নানা কাজে রাজধানীতে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যেতে হয়। কিন্তু পরিকল্পনা করে বাসা থেকে বের হলেও অনেক সময় পড়তে হয় বিপত্তিতে। কোথাও জরুরি কোনো কাজে গিয়ে দেখলেন সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ, তখন পড়তে হয় বিড়ম্বনায়; বরং নষ্ট হয় মূল্যবান সময়।
তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাইরে বের হওয়ার আগে আসুন জেনে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট বন্ধ।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে
মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাহজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলী, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশুপার্ক।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
মোহাম্মদপুর টাউন হল- মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপারমার্কেট, মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ্ আলী সুপারমার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, ফরচুন শপিংমল, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্তান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
নার্সিং শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, শাহবাগে যান চলাচল শুরু

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
বুধবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। শিক্ষার্থীরা কিছুটা প্রতিরোধ করতে চাইলে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আভি শেখ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা পুলিশের কাছে ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে সে সময়ও না দিয়ে লাঠিচার্জ করা হয়। এতে আমাদের অসংখ্য ভাই-বোন আহত হয়েছেন। এমনকি তিনজন এই মুহূর্তে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
তিনি আরও জানান, এখন আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছি। এখানে আমরা নিজেরা মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকেই তারা শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলেও শিক্ষার্থীরা তা ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।