পুঁজিবাজার
অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির এক বছরের মধ্যে অফার মূল্যের নিচে নেমেছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের শেয়ার। লেনদেন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩৯ শতাংশ। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তালিকাভুক্তির আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, নানান নাটকিয়তার পরে কোম্পানিটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্ত করার পায়তারা করে প্রথম ধাপে ব্যর্থ হলেও ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় কোম্পানিটি ২৪ টাকা দরে প্রথম শেয়ার লেনদেন শুরু করে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শেয়ার দর নেমে এসেছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা যা শতকরা হিসেবে ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট কোম্পানিটির মালিকপক্ষ ২৪ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করলেও বর্তমানে মালিকপক্ষ চাইলেই ৬ টাকা কমে শেয়ার কিনতে পারে। এছাড়াও সরকারি ব্যাংকগুলোকে ৬৫টাকা দরে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ধরিয়ে দেয় কোম্পানিটি। সে হিসেবে সরকারি ব্যাংকগুলো শেয়ার প্রতি লোকসানে রয়েছে ৪৮ টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি ব্যাংকগুলো এতো উচ্চ মূল্যে কেন এবং কার স্বার্থে দুর্বল কোম্পানিটির প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা উচিৎ।
কারসাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ অর্থসংবাদকে বলেন, আমি বাহিরে আছি। এ বিষয়ে আগামীকাল কথা বলব।
এর আগে, রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকসহ পাঁচ ব্যাংকের ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগে বেস্ট হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জনতা ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ও এনসিসি ব্যাংক পিএলসি থেকে মোট ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করেছে। তার মধ্যে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকিং বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, কোম্পানিটি ২০২০ সালে আইন লঙ্ঘন করে সরকারি কোম্পানির তকমা দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। সে সময় প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে। ব্যাংকগুলো প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ৬৫ টাকায় ক্রয় করে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের শেয়ারের কারণে সরকারি কোম্পানি হিসাবে ফাঁকফোকর দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। কিন্তু গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখির কারণে সেই উদ্যোগে ব্যর্থ হয় কোম্পানিটি।
সূত্র জানায়, আগেরবার সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলো বেস্ট হোল্ডিংস কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির শেয়ার কিনেছেন বা মালিকানায় শরিক হয়েছেন শতাধিক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটিতে ওই সব ব্যক্তি ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংকের বিনিয়োগ আটকে আছে। তাই কোম্পানিটিকে দ্রুত বাজারে এনে ওই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ফেরত দিতে পুনরায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজটি যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সে জন্য আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলোয় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়েছিলো ৩৫ টাকা। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, আট-অফ মূল্য থেকে ৩০ শতাংশ কম দামে তথা ২৪ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হয়। এই কোম্পানিটির বাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেড। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, বুক বিল্ডিং পদ্ধিতিতে কাট অফ প্রাইস বেশি রাখার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন উপায় শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো। যা বেস্ট হোল্ডিংসের ক্ষেত্রেও অনৈতিক উপায়ে ইস্যু ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রুবায়েত-ই-ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থসংবাদকে জানান, হাসপাতালে আছি, পরে কথা বলব। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও অস্থিরতা কাটেনি। বাজারে এক দিন উত্থান হলে দুই দিন পতন হয়। এ ছাড়া এতগুলো কোম্পানিটির শেয়ারদর অফার মূল্যের নিচে থাকার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিগত সরকারের আমলে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নানা সংস্কারে হাত দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষ আস্থা পাচ্ছে না। এতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল। হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই, ২৪-ডিসেম্বর, ২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ৭৭ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
উত্তরা ব্যাংকের আয় বেড়েছে ১১৫ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি উত্তরা ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৬৮ পয়সা।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ৬৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ৫ টাকা ৮০ পয়সা ছিল।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনের ফলে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থায় যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহরূপ নিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্চেন্ট ব্যাংকাররা।
সোমবার (১২ মে) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। বিএমবিএ’র সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম (এফসিএমএ) সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ’র সভাপতি মাজেদা খাতুন। এতে বিএমবিএ’র সহ-সভাপতি, মহাসচিব, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারের প্রতি পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজকের এই সভায় পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি, আনরিয়ালাইজড লস এবং বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা অভিমত ব্যক্ত করেন যে, চলমান বাজার পরিস্থিতিতে নেগেটিভ ইক্যুইটি একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যা মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত চিঠিতে উল্লেখিত নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ের সময়সীমা ও কর্ম পরিকল্পনার উপর আলোচনা করেন এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি আগামী ৫ বছরের মধ্যে পর্যায় ক্রমে সমন্বয় করতে সময় বৃদ্ধির জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করার বিষয়ে সবাই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তে উপনিত হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিটি ব্যাংকের ইপিএস অপরিবর্তিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। সিটি ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৮ পয়সা। গত বছরও একই সময়ে ব্যাংকটির ৬৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত সময়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ১০ টাকা ৫৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ১০ টাকা ৬১ পয়সা ছিল।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৫ টাকা ৩৩ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মার্কেন্টাইল ব্যাংক বন্ডের কুপন রেট ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের অর্ধ বার্ষিক কুপন হার তথা সুদের হার ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংকটির বন্ডধারীদেরকে ১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে।
আজ সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত বন্ডের ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে কুপনের হার অনুমোদন করা হয়। বন্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আগামী ১৯ মে থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য আলোচিত হারে রিটার্ন পাবেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ইউনিটধারীরা। এটি এই বন্ডের চতুর্থ ধাপের কুপন। এই মেয়াদের শেষ দিন অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর যাদের কাছে আলোচিত বন্ড থাকবে, তারাই কেবল এই কুপন বা সুদ পাওয়ার যোগ্য হবেন।
আলোচিত বন্ডে ছয় মাস পর পর সুদ প্রদান করা হয়। এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের কুপন রেট ঘোষণা করা হয়েছিল, যা গত বছরের ১৯ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৮ মে পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রযোজ্য। এই কুপন বা সুদ প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ধারণে ১৮ মে রেকর্ড তারিখ ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইস্টার্ণ ব্যাংকের আয় বেড়েছে ৬ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৭ পয়সা।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ১২ টাকা ১৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ২ টাকা ১৪ পয়সা ছিল।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩১ টাকা ৩ পয়সা।
এসএম