রাজনীতি
নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু তার আগে বিচার এবং সংস্কার সরকারকে দৃশ্যমান করতে হবে। এটার জন্য যেটুকু সময় পাওয়া প্রয়োজন, সরকার সে সময়টুকু পেতে পারে।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐক্যমত কমিমনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠকের মধ্যবর্তী বিরতীতে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি মনে করে অন্তরবর্তীকালীন সরকার যে এজেন্ডা-ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, বিচার এবং সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে। নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে কিন্তু তার আগে বিচার এবং সংস্কার কাজ সরকারকে দৃশ্যমান করতে হবে। এটার জন্য যেটুকু সময় পাওয়া প্রয়োজন, সরকার সে সময়টুকু পেতে পারে। কোনভাবেই কাজ ব্যাতিরেকে সময় পেতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সংবিধানের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সংবিধানের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বরং এখানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। তার মধ্য দিয়েই সাংবিধানকিভাবে স্বৈরতান্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ রয়েছে৷ আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলছি এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা বলছি। সেই প্রেক্ষাপটে কিভাবে সংবিধান পূনলিখন করা যায় এবং গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা নিয়ে কথা বলেছি।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিনাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা আজকে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সাথে বসেছি। সেখানে আমাদের অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৬৬ টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ১২৯ টির সাথে একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেগুলোর বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। মূলত এখন পর্যন্ত আমরা তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। প্রথম বিষয়টি হচ্ছে, প্রটেকশন অব সিটিজেন বা নাগরিকদের নিরাপত্তা। আমরা দেখেছি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরঙ্কুশ অধিকার নিশ্চিত হয়নি। সেসব বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছি। দ্বিতীয় বিষয় পিসফুল ট্রানজেকশন অব পাওয়ার বা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। আমরা দেখেছি যখনই রাষ্ট্রের পাওয়ার ট্রানজেকশনের সময় এসেছে তখনই দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর কিভাবে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। যাতে আমাদের অতীতের যেসব দুঃখ স্মৃতি যেগুলো রয়েছে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি আর না হয়। তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে, সংসদ স্থিতিশীলতার নাম করে আর্টিকেল ১৭ দিয়ে কন্ঠরোধ করে রাখা হয়েছে। সেটি নিয়ে কথা হচ্ছে। যেটির মধ্য দিয়ে আমরা একসাথে সংসদে স্থিতিশীলতা, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা আমাদের সংসদকে কিভাবে আরও বেশি কার্যকর করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় এলডি হলে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাব নিয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে রয়েছেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান। এনসিপির পক্ষ থেকে থেকে রয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসেল।

রাজনীতি
জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সার্জারি সম্পন্ন হয়। দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবির এই অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ওপেন হার্ট সার্জারি শেষে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব তথ্য দেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় জামায়াত আমিরের বাইপাস সার্জারি শুরু হয়। এ অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তার টিম। সার্জারি চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ডা. শফিকুর রহমানের সার্জারির আপডেট তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি সুস্থ রয়েছেন। এ মুহূর্তে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
পরে সার্জারির বিষয়ে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের দুটি ধমনিতে ৪টি বাইপাস করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে বাসায় যেতে পারবেন জামায়াত আমির। আগামী তিন দিনের মধ্যে আইসিইউ থেকে কেবিনে ট্রান্সফার করা হবে তাকে। এ ছাড়া আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক মাঠে ফিরতে পারবেন জামায়াত আমির।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জামায়াত আমির ইউনাইটেড বা ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে অপারেশন করিয়েছেন, সেটা মুখ্য নয়। উনি বাংলাদেশে অপারেশন করিয়েছেন সেটাই মুখ্য। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা যে রয়েছে, সেটির দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশের চিকিৎসকের মাধ্যমেই উন্নত চিকিৎসা স্বল্প খরচে করতে পারে।
এর আগে, ১৯ জুলাই ঢাকায় এক সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতের আমির। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩০ জুলাই করা হয় এনজিওগ্রাম। তাতে ধরা পড়ে তার হৃদপিণ্ডের পাঁচটি আর্টারিতে ব্লক। চিকিৎসকেরা বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও, দেশেই চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ডা. শফিকুর রহমান।
রাজনীতি
নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা আগামীকাল: এনসিপি

মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শেষে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আগামীকাল রোববার (৩ জুলাই) ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই ইশতেহার ঘোষণা করবেন। আজ শনিবার এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে সারা দেশ থেকে এনসিপির নেতাকর্মীদেরকে শহীদ মিনারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সমাবেশে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এনসিপির প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পোস্টের মন্তব্যের ঘরে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেন, এনসিপির মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিতে সারা দেশের বিভিন্ন জনপদ, গ্রাম, ও শহরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন দলটির নেতারা। শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, গৃহিণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভাবনা, তাদের চাওয়া-পাওয়া এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এনসিপির প্রতিশ্রুতিগুলো এই ইশতেহারে তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট যেখানে এক দফার ঘোষণা হয়েছিল, সেই শহীদ মিনারেই আগামী ৩ আগস্ট এক দফার ঘোষক নাহিদ ইসলাম এনসিপিকে নিয়ে আসছেন।
অনুষ্ঠানে ইশতেহার ঘোষণার পাশাপাশি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ’ বাস্তবায়নের দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে কর্মসূচিতে অংশ নিতে ৬৪টি জেলা থেকে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি। এ লক্ষ্যে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার সমন্বয় কমিটিকে নিজ নিজ অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি সফল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি
লোকাল বাসের অপেক্ষায় তারেক রহমান, নেটিজেনদের প্রশংসা

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লোকাল বাসে চড়ার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন সাধারণ যাত্রীর মতোই লোকাল বাসে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়লে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে দেখা যায়, লন্ডনের শহরের উত্তরে এক নিরিবিলি বাসস্টপে অপেক্ষমাণ একজন মধ্যবয়সী তারেক রহমান। হাতে মোবাইল, পরনে হালকা নীল শার্ট, খাকি রঙের প্যান্ট, আর পায়ে সাধারণ একজোড়া স্নিকার্স। তিনি বসে আছেন জনসাধারণের জন্য নির্ধারিত লাল বেঞ্চে। কিছুক্ষণ পরেই এসে থামে একটি লাল ডাবল-ডেকার বাস। মানুষজনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওঠে পড়েন সেই বাসে—কোনো নিরাপত্তা রক্ষী, ঝলমলে প্রটোকল বা গাড়ির বহর নেই। একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তার এই সাধারণ জীবনযাপন তাকে প্রশংসা এনে দিয়েছে।
জানা গেছে, ছবিগুলোর মধ্যে নিউ ভিক্টোরিয়া হসপিটাল বাসস্টপেজ থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা যায় তিনি সাধারণ যাত্রীর মতো লোকাল বাসের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন, সময় কাটাচ্ছেন নিজের মোবাইল ফোনে কিছু একটা পড়ে। একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তার গণপরিবহন ব্যবহারের এই দৃশ্য নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এই ছবিগুলোর কমেন্টে দেখা যায়, অনেকেই দেখছেন এক ধরনের ‘অ্যান্টি-ভিআইপি’ রাজনীতির বার্তা হিসেবে। যেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নেতাদের জন্য আলাদা গেট, নিরাপত্তা বলয় ও বিলাসবহুল বাহনই নিয়ম—সেখানে একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা সাধারণ বাসে যাতায়াত করছেন, তা নিঃসন্দেহে এক ভিন্ন বার্তা বহন করে।
নেটিজেনরা বলছেন, এ ধরনের আচরণ শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার ব্যক্তিগত নম্রতার পরিচায়ক নয়, বরং এটা তার নেতৃত্বদানের দর্শনেরও প্রতিফলন—যেখানে রাষ্ট্রনায়ক ও জনগণের মাঝে কোনো প্রাচীর থাকে না।
ছবিগুলো শেয়ার করা হয়েছে বিএনপির ফেসবুক পেইজেও। সেখানে লেখা হয়েছে- সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত তারেক রহমান। যুক্তরাজ্যে বসবাসকালীন সময়ে কোনো ভিআইপি সুবিধা গ্রহণ না করে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাচল করেন সাধারণ মানুষের মতোই।
রাজনীতি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে এখনও সুস্পষ্ট ঘোষণা পাইনি: সালাহউদ্দিন

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা পাইনি বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই সনদের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সুপারিশ সবাই গ্রহণ করেছে। সেই সুপারিশগুলো একত্র করে জুলাই সনদ প্রণীত হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদে যেসব সুপারিশ থাকবে সেগুলো ২ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন বলে সব রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রতি দিয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এ ব্যাপারে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি চেয়েছিল। আমরা সেটা করেছি। এটা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান, আইন ও বিধিবিধানের যেসব সংশোধনী প্রয়োজন হবে, সেগুলো আমরা করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের ৮২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টি বাদে বাকি সবগুলোতে বিএনপি একমত হয়েছে। ১১৫টি প্রস্তাবে ভিন্নমত দিয়েছে।
এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাঁধা দেখছে না বিএনপি। আশা করছি সরকার দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দেবে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বেই বিগত ১৬ বছর ধরে বিরোধী দলগুলো আন্দোলন চালিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি শহিদ, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার, মামলা-হামলার শিকার হয়েছে বিএনপি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি এ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বারবার বিএনপিকেই এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। বাকশালের পরেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বিএনপির হাত ধরে। এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের পরেও দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বিএনপির হাত ধরে। এবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি।
এর আগে, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত শাহ আহমদ শফী ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব প্রয়াত জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সালাহউদ্দিন আহমদ ও নজরুল ইসলাম খান।
রাজনীতি
সংসদে অবশ্যই শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

সংসদে অবশ্যই শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দিন পাটওয়ারী।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাসীরউদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও মজুরি ঠিক না করে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি সংসদে অবশ্যই শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানের পর এই সরকারও শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গত কয়েক দশকে মালিক-শ্রমিকের মধ্যে দালাল এসেছে। অভ্যুত্থানের পর একটি দলের দুজন মহারথি বন্দর-ট্রাকস্ট্যান্ডে গড ফাদার হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এই মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, এনসিপির শ্রমিক উইংয়ে নতুন করে ৯২ জন যোগ দিয়েছেন।
কাফি