রাজনীতি
আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরতান্ত্রিক বা ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে আসবে না—এই পথ চিরতরে রুদ্ধ করতে হবে। এবার আমাদের সামনে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে সবাই মিলে একটি নতুন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির সংলাপে প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। জনগণ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেটির মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসকের পতন ঘটিয়েছে। হাজারো শহীদের রক্ত ও অসংখ্য আহত মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে।
নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় এনসিপির জন্ম। এই দলটি তরুণদের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এবং আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—ফ্যাসিবাদের অবসান ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা।
তিনি বলেন, এটি কেবল ক্ষমতা বদলের প্রশ্ন নয়, বরং রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা। আমরা চাই, এবারের অভ্যুত্থান যেন আর কোনোভাবেই অতীতের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি না হয়। জাতির ভেতরে যে আশার আলো জ্বলে উঠেছে, সেটিকে বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আমরা এনসিপিতে সংস্কার বলতে মৌলিক, রূপান্তরমুখী সংস্কার বুঝি—যা রাষ্ট্রের ভিত্তিকে আমূল বদলে দিতে সক্ষম। দীর্ঘদিন ধরে সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ হয়েছে। সংবিধানে একব্যক্তিকেন্দ্রিক ধারা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে যে-ই ক্ষমতায় আসুক, শাসনব্যবস্থায় স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা থেকেই গেছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “রাষ্ট্রের কাঠামো, সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সার্বিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া এই ফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে না। আমরা সেই দিকেই এগোচ্ছি।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সেগুলোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একমত হয়েছি। কিছু বিষয়ে আংশিক ভিন্নমত বা মতানৈক্য থাকলেও, সেগুলোর জন্য সংক্ষিপ্তভাবে আমাদের সুপারিশ পাঠিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি সর্বসম্মত জাতীয় সনদের দিকে এগোনো।”
শেষে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে জাতির প্রতি আমাদের সবচেয়ে বড় অঙ্গীকার—একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে সব জুলম নির্যাতনের প্রতিশোধ: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জুলুম করে বিএনপি জুলুমকারীদের প্রতিশোধ নিতে চায় না। তারা যা করেছে আমরা তা করতে চাই না।’ তিনি বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে সব জুলম নির্যাতনের প্রতিশোধ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুরের নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃত্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অদৃশ্য প্রতিপক্ষ ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে, তারাই বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ গঠনের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই এখন বিএনপির প্রধান কাজ। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে হলে তা বিএনপি করতে পারবে, দলের ওপর সাধারণ মানুষের যে আস্থা তা ধরে রাখতে হবে।
এসময় বিএনপির ৩১ দফা তৃণমূলের সবার কাছে পৌঁছে দিতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান।
এসময় তিনি আরও বলেন, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, শহীদ জিয়ার আমলে ‘পল্লী চিকিৎসা’ নামে একটা চিকিৎসা সেবা চালু ছিল। গ্রামে গ্রামে ঘুরে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো। ওইরকম একটা ধারণা নিয়ে আমরা যেতে চাচ্ছি। নাম কি দেব, এটা পরের ব্যাপার। পল্লী চিকিৎসা দিতে পারি অথবা হেল্থ কেয়ার দিতে পারি। এর আওতায় যারা কাজ করবে তারা ঘরে ঘরে যাবে।
তারেক রহমান বলেন, মানুষগুলো ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবে— কোন খাবার কিভাবে খেলে হার্টের অসুখ হবে না। কোন খাবার কিভাবে খেলে ডায়াবেটিস হবে না। বাসন-কোসন কিভাবে রাখলে ডায়রিয়া হবে না। এই বেসিক বিষয়গুলো তারা সচেতন করবে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা একটা ধারণা দেবে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে— কম সংখ্যক মানুষ যাতে অসুস্থ হয়। মানুষ তো বাড়ছে, বাজেট কত বাড়াবেন?
এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছি। ২০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা কিভাবে দেবেন? হিউজ বাজেটের ব্যাপার। আমেরিকাকে ধনী দেশ হিসেবে জানি। তাদেরও স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের হেল্থ ইন্স্যুরেন্স আছে। তারা ট্যাক্স থেকে স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটা অংশ কেটে রেখে দেয়। আমাদের দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ। বেশিরভাগ মানুষ সেলফ-এমপ্লয়েড। আমাদের দেশে এটা কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর শাহজাহানপুর পূর্ব থানা এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা-পূর্বক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হেলাল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকার দেশের জনগণকে শোষণ করেছে। জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শোষণের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সব সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যার কারণে জোট সরকারে থাকাকালীনও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, কারাগারে জুলুম-নির্যাতন চালানে হয়েছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিঃশেষ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ভারতের পরামর্শে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যা করে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ সেই পতিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে দেশ ছাড়া করেছে। সর্ববৃহৎ দল দাবি করা দল ক্ষমতা হারিয়ে এক মিনিট রাজপথে ঠিকতে পারেনি।
ড. হেলাল আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় না বসেও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে আছে। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি, যাবে না। তবে ষড়ষন্ত্র থেমে নেই। ভারত এখন আবার নতুন করে আরেকদলকে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কারণ ভারত জানে, সব দলকে কেনা গেলেও জামায়াতে ইসলামীকে কেনা যাবে না। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে ভারত একেকবার একেক দলের ঘাড়ে সোয়ার হয়।
তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশিষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, থানা কর্মপরিষদের সদস্য যথাক্রমে আবদুল খালেক, নাহিদ জামাল, আজিজ উদ্দিনসহ দায়িত্বশীল নেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কামরাঙ্গীরচরে জামায়াতের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা শুরু

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কামরাঙ্গীরচর উত্তর থানার উদ্যোগে স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ‘ফ্রি মেডিকেল সেন্টার’ উদ্বোধন করেছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ফ্রি মেডিকেল সেন্টারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামরাঙ্গীরচর উত্তর থানা আমীর ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা মো. নাজমুল হক। থানা সেক্রেটারী মহানগেরীর কর্মপরিষদের সদস্য ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমানের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বড়গ্রাম ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ও ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. সাজেদুল করিম সুজন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা বাইতুল মাল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, তারবিয়াত সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, পশ্চিম রসুলপুর ওয়ার্ড সভাপতি মিনহাজ ভুঁইয়া, সেক্রেটারি ডা. মো. খলিলুর রহমান,পূর্ব রসুলপুর ওয়ার্ড সভাপতি মো. মহসিন কবির, সেক্রেটারি মো. মহসিন বাবু, কলেজ ওয়ার্ড সভাপতি মো. আবু তাহের, সেক্রেটারি মো. ইয়াসিন, হুজুর পাড়া ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. ওমর ফারুক, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি শেখ মো. আশরাফ আলী প্রমুখ ।
প্রধান অতিথি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির অন্যতম একটি হচ্ছে সমাজ সেবা ও সমাজ সংস্কার। সমাজ সেবার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে মানবিক সহায়তা করে থাকে। এই সহায়তা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত প্রতিটি মানুষ সমানভাবে পেয়ে থাকে। এরই অংশ হিসেবে কামরাঙ্গীরচর এলাকার অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত সকল শ্রেনীপেশার লোকজনের জন্য ফ্রি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মেডিকেল সেন্টারে প্রতি রবিবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবে। ফলে বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণের মৌলিক সকল অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত হয়নি। যার কারণে জামায়াতে ইসলামী জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে সারাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন সামাজিক খাতে কাজ করে আসছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীকে অনুসরণ করে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমাজের কল্যাণে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান।
সভা শেষে ফ্রি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধনী দিনে শতাধিক নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সিইসির সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন, নিবন্ধনের সময়সীমা ও নির্বাচন কেন্দ্রিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীনের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে। প্রতিনিধি দলের আরও উপস্থিত থাকবেন দলের যুগ্ম আহবায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনূভা জাবীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমেরিকা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং, ভারতের মোদী এসে ধাক্কা দিয়ে কিছু করে যাবে না, যা করার আমাদের করতে হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীতে ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা বহুতবাদ এক হয়ে যুদ্ধ করেছি। তেমনি করে ২৪ সালে ছাত্রদের ওপর যখন গুলি চালায়, তখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে সবাই এক হয়েছিল সেভাবে এক হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের লোকের সংখ্যা ছিল সাত কোটি আর এখন ১৮ কোটি। সেই সময়ে আমাদের খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৮ লাখ মেট্রিক টন আর এখন খাদ্য ঘাটতি নেই বললেই চলে। আর এই খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করেছে দেশের কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীরা। যেটা আমরা মনে করি না, বুঝিও না।
তিনি বলেন, সবাই এখন ভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ট্যারিফ দিয়েছে তা দেশের জন্য একটু বিপদে পড়ার মতোই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বাড়তি শুল্ক দ্রুত সমাধান করতে না পারলে সমস্যা আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, গ্রামের যে মানুষগুলো ক্ষেত খামারে পরিশ্রম করে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে, যে নারী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনে কাজ করে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছে। আমরা যদি তাদেরকে নিয়ে না ভাবি, তাহলে কোনোভাবেই দেশে এগিয়ে যাবে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে তাদেরকে নিয়ে ভাবি। তবেই দেশ গিয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এইটুকু আশাবাদী আমি, আমরা সবাই যদি বিশ্বাস করি। দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরকে ভাবতে হবে।
তিনি আরো বলনে, সমস্যা থাকবে, সমাধানও হবে। ড. ইউনূস সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ড. ইউনূস সফল হবেন। আসুন আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।
কাফি