জাতীয়
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমাদের সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সব সময়ই পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে, বিশেষ করে সার্ক কাঠামোর মধ্যে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন জোরদারে যুব ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা অনেকদিন ধরে একে অপরকে হারিয়ে ফেলেছি, সম্পর্ক স্থবির ছিল। সেই বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এবং ডিসেম্বর মাসে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছিল, যা দ্বিপক্ষীয় অগ্রগতিতে সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক মঞ্চ যেমন সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮ এ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
এ সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অতীতের কিছু সমস্যা থাকলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত পারস্পরিক সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানো। আমাদের নিজ নিজ বাজারে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের কাজে লাগানো উচিত। প্রতিবারই সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না।
তিনি বলেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসায়িক পর্যায়ে যোগাযোগ এবং সব পর্যায়ে সফর বিনিময় প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন বাংলাদেশ সফর (এপ্রিলের শেষে) দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফসহ অন্যরা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের এফপিসিসিআইর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
কাফি

জাতীয়
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন দুর্গাপূজা চলাকালে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালীমন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে থাকে, যা মাজার বা মন্দিরের মতো উপাসনালয়কে অপবিত্র করার চেষ্টা করে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করে বা অপবিত্র করতে চায়, তাদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই, তারা কেবল অপরাধী।
পূজামণ্ডপ ও মন্দিরগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দিয়ে খালিদ হোসেন বলেন, এটি রাতের বেলা হামলা বা ঢিল ছোড়ার মতো ঘটনা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছে।
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করে হটলাইন চালু রাখা হয়েছে, যাতে কোনো আশঙ্কা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা পাওয়া যায়। তিনি স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে দুর্গাপূজায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি ধর্ম অবমাননা বা অন্য কোনো অপরাধ করেন, তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ওই ব্যক্তির, কোনো সম্প্রদায়ের নয়। তিনি আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবার প্রথম এবং শেষ ঠিকানা। সাম্প্রদায়িক বিভেদ যারা তৈরি করে, তাদের মানবিকতা বোধ থাকে না। একজন মানুষের ধর্মীয় পরিচয় জানার চেয়ে তার মানবিক পরিচয় জানাটা বেশি জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি রোল মডেল হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করবে।
মতবিনিময় সভায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিতসহ মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
নিউইয়র্কে হামলার ঘটনায় সরকারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি বিমানবন্দরে বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের ওপর ‘হামলা’র ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত সোমবার নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাসহ রাজনৈতিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর উদ্দেশ্যমূলক হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সহযোগী এবং সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই নিন্দনীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে গড়ে ওঠা বিধ্বংসী ও সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক স্পষ্ট ও মর্মান্তিক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। এই বিধ্বংসী রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের সফরের সময় সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করেছিল। জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রতিনিধি দলটিকে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট ভিভিআইপি গেট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একটি বিশেষভাবে সুরক্ষিত পরিবহন ইউনিটে ওঠানো হয়েছিল। তবে, অপ্রত্যাশিত এবং শেষ মুহূর্তের ভিসা-সম্পর্কিত জটিলতার কারণে প্রতিনিধি দলটিকে পথ পরিবর্তন করে বিকল্প পথে অগ্রসর হতে হয়।
বিমানবন্দরে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ভিভিআইপি প্রবেশাধিকার এবং নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দুঃখজনকভাবে সেই অনুরোধ রাখেনি। এর ফলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন।
ঘটনার পরপরই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে দ্রুত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমাদের জানানো হয়েছে যে ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বর্তমানে ঘটনাটির আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলমান।
এ ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রতিনিধি দলের সব সদস্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদেশে তার প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক ঘনিষ্ঠ এবং অবিচ্ছিন্ন সমন্বয় রেখে যাচ্ছে।
আমরা দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রতি আমাদের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা, তা বাংলাদেশের ভেতরে হোক বা এর সীমানার বাইরে হোক, কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় যথাযথ আইনি ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয়
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
প্রধান উপদেষ্টা আজ নিউইয়র্ক সফরের দ্বিতীয় দিনে অন্তত ১০টি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর বেলা ১১টায় বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের রাণী ম্যাক্সিমার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি অংশ নেবেন ‘ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট (এফ৪ডি): ১৩তম বার্ষিক অফিশিয়াল ফার্স্ট লেডিস লাঞ্চন’-এ।
বিকাল ২টা ৪৫ মিনিটে তিনি যোগ দেবেন ‘সামাজিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে অর্থায়ন: সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতাদের বৈঠক’ শীর্ষক এক আলোচনায়। সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প আয়োজিত এক সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করবেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছান। সফরের প্রথম দিন জাতিসংঘ সদর দফতরে বেলজিয়ামের রাণী মথিল্ড প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এছাড়া বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশদ্ভুত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতীয়
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি

ভূমিকম্প মোকাবিলায় ইতালির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে আগ্রহী বাংলাদেশ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করতে একমত পোষণ করেছে উভয় দেশ।
ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে প্রস্তাব দিলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের (বীর প্রতীক) আগ্রহের কথা জানান।
তারা উভয়ে দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ও ইতালি একসঙ্গে কাজ করবে বলে উভয়ে একমত পোষণ করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতালির সহযোগিতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। বিশেষত ভূমিকম্প মোকাবিলায় ইতালির অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ইতালিকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবেও উল্লেখ করেন।
এছাড়া সাক্ষাতে দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় এবং ইতালির দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
রবিবার থেকে সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইসি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সংলাপ শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সংলাপের প্রথম ধাপেই শিক্ষাবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ইসির সম্মতির পর আমন্ত্রিতদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। আনঅফিসিয়ালি বলতে পারি ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সুশীল সমাজ, শিক্ষক, নারী নেত্রী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। পূজা ও ছুটির দিন বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে এসব আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সংলাপ শুরুর এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন আগে অংশীজনদের চিঠি দেওয়া হবে। শুরুতে সুশীল সমাজ, নারী সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপ হবে।
নির্বাচনে অংশীজনদের সঙ্গে ইসির বসার বিষয়ে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছিলেন, রোডম্যাপে চলতি মাসের শেষ দিকে সংলাপে বসার কথা বলা হয়েছে। তাই এই মাসের শেষ দিকে বসার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫১টি। এ ছাড়া নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চায় কমিশন।