রাজনীতি
নির্বাচনের আগে জামায়াত আমিরের তিন শর্ত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে। এই অবস্থায় দেশে নির্বাচন হওয়ার আগে তিনটি শর্ত পূরণ হতে হবে। মৌলিক সংস্কার, সহাবস্থানসহ নির্বাচনের শর্ত পূরণ করতে হবে। তা নাহলে নির্বাচনের কমিটমেন্ট ঠিক থাকবে কি না তা আল্লাহ ই জানেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে জামায়াত আমিরের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক কষ্টে যা এসেছে এতে তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর প্রধান হচ্ছে দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্য মৌলিক সংস্কার। আমরা তা সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছি। এসব পরিবর্তন ছাড়া কোনো নির্বাচন হলে তা গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি গঠন হবে না। এ নির্বাচন ও তাহলে পূর্বের মতো খারাপ নির্বাচন হবে। হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় এসেছে সেখানে এই পরিবর্তন খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, প্রথমত সংস্কারের প্রধান অংশীজন হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এতে যদি তারা সহযোগিতা করে তাহলে দ্রুত নির্বাচন করার পরিবেশ হবে। তারা যদি সহযোগিতা না করে যদি গতানুগতিক নির্বাচন হয় তাহলে আগের মতো নির্বাচন হবে। যার দায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। যাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। শহীদের আত্মা যাত্ব প্রশান্তি পায়।
তৃতীয়ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকতে হবে। যাতে এমন না হয়, আমি জিতে গেলেই নির্বাচন সুষ্ঠু ল, না জিতলে দুষ্ট এমন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এর জন্য সবার এনগেজমেন্ট প্রয়োজন। এটি সরকারের তরফ থেকেই হতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে হতে পারে, সিভিল সোসাইটির উদ্যোগেও হতে পারে।
জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের আগে শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্ত পূরণ ছাড়া মার্চ ফেব্রুয়ারি কোনো কিছু ঠিক থাকবে কি না নির্বাচনের কমিটমেন্ট ঠিক থাকবে কিনা তা আল্লাহ ই জানে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
সক্ষমতা যাচাইয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন: জামায়াত আমির

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় জনগণ ভোগান্তিতে রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের স্বদিচ্ছা ও সক্ষমতা যাচাইয়ে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন। এতে জনগণ বুঝতে পারবে ইসির সদিচ্ছা কতটুকু।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে মূল কর্তৃত্ব থাকবে নিম্নকক্ষের হাতে। এটি হবে বর্তমান পদ্ধতিতে, আর উচ্চকক্ষ হবে পিআর সিস্টেমে। উচ্চকক্ষ যদি পিআর সিস্টেমে হয় তাহলে নিম্নকক্ষ কেন হতে পারবে না। একই দেশে দুই পদ্ধতির প্রয়োজন কী? পৃথিবীর ৬২টি দেশ পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৬টি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। এ সুফল যদি তারা যুগ যুগ ধরে পেয়ে থাকে তাহলে এ সুবিধা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করা হবে?
তিনি বলেন, সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশ জমা হয়েছে। কিন্তু যারা এ সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এদেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা যে যায়গায় সমাজকে নিতে চায় সেটা হতে দেওয়া হবে না। দেশে ফিরেই এটি বাতিলের জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান আমিরে জামায়াত।
জামায়াত আমির বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে বলেছি বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এ টাকা আমাদের জনগণের। পাচার হওয়া টাকা আমাদের ফেরত দিতে হবে। সেইসঙ্গে যেসব দুর্নীতিবাজরা আপনাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকেও বাংলাদেশের ফেরত পাঠাতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে কোনো শোষণ, জুলুম ও মানুষে মানুষে বৈষম্য থাকবে না। এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে আর আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না। একই বাংলাদেশে সবার একই অধিকার থাকবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে বিচারের বাণী নিভৃতে আর কাঁদবে না। যে বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশটি অবশ্যই হতে হবে আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে। আল কুরআন ও নবীজির সুন্নতের ভিত্তিতে। কুরআনের রাষ্ট্র কায়েম হলে অপরাধ করলে কেউ পার পাবেন না। ইনসাফের বাংলাদেশ কায়েম হলে বেশি বিচারেরও প্রয়োজন হবে না। দুই-চারটা রায় দেখলেই সবাই টের পেয়ে যাবে অপরাধ করলে কি ধরনের শাস্তি পেতে হবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্যের বাজার কিছু নিম্নমুখী থাকলেও বাজার এখন আবার উত্তপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলব, বাজারে নজর দেন। সমাজের শৃঙ্খলা বিনষ্টের যারা কারণ তাদেরকে পাকড়াও করুন।
মহানগর জামায়েতের আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অন্যতম মুখ ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল—‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
‘গড়বো মোরা ইনসাফের দেশ’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা দলটির চেয়ারম্যান হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন নিজেই, আর সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। দলটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর চেতনায় বিশ্বাসী এবং গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, রাজনীতি নতুন কিছু না। আমি অনেক দিন ধরেই জনসেবা করছি। এবার সেটা একটা সংগঠিত কাঠামোর মধ্যে আনছি। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং দেশের ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন এ দলটিতে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাবেক আমলা ও সমাজকর্মীরা রয়েছেন বলে জানান এক সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক। তার দাবি, বিদ্যমান দলগুলোর প্রতি জনআস্থা কমে যাওয়ায় দেশের মানুষ বিকল্প নেতৃত্বের সন্ধান করছে, আর ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির নাম উপস্থাপন করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
জানা গেছে, নতুন এই দলটিতে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র করা হয়েছে গোলাম সারোয়ার মিলনকে। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে- রফিকুল হক হাফিজ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান, রেহানা সালাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এম এ ইউসুফ, সৈয়দা আজিজুন নাহার, গোলাম মেহরাজ, ব্রিগ্রেডিয়া জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম এবং নির্মল চক্রবর্তীকে।
নির্বাহী কমিটিতে আরও রয়েছেন : সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আল আমিন রাজু, অ্যাডভোকেট শিউলি সুলতানা রুবী, নাজমুল আহসান, জামাল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেন লিটু।
দলটির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পেয়েছেন নূরুল কাদের সোহেল, সহ-সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন ও ফাতেমা বেগম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে সব জুলম নির্যাতনের প্রতিশোধ: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জুলুম করে বিএনপি জুলুমকারীদের প্রতিশোধ নিতে চায় না। তারা যা করেছে আমরা তা করতে চাই না।’ তিনি বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে সব জুলম নির্যাতনের প্রতিশোধ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুরের নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃত্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অদৃশ্য প্রতিপক্ষ ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে, তারাই বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ গঠনের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই এখন বিএনপির প্রধান কাজ। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে হলে তা বিএনপি করতে পারবে, দলের ওপর সাধারণ মানুষের যে আস্থা তা ধরে রাখতে হবে।
এসময় বিএনপির ৩১ দফা তৃণমূলের সবার কাছে পৌঁছে দিতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান।
এসময় তিনি আরও বলেন, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, শহীদ জিয়ার আমলে ‘পল্লী চিকিৎসা’ নামে একটা চিকিৎসা সেবা চালু ছিল। গ্রামে গ্রামে ঘুরে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো। ওইরকম একটা ধারণা নিয়ে আমরা যেতে চাচ্ছি। নাম কি দেব, এটা পরের ব্যাপার। পল্লী চিকিৎসা দিতে পারি অথবা হেল্থ কেয়ার দিতে পারি। এর আওতায় যারা কাজ করবে তারা ঘরে ঘরে যাবে।
তারেক রহমান বলেন, মানুষগুলো ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবে— কোন খাবার কিভাবে খেলে হার্টের অসুখ হবে না। কোন খাবার কিভাবে খেলে ডায়াবেটিস হবে না। বাসন-কোসন কিভাবে রাখলে ডায়রিয়া হবে না। এই বেসিক বিষয়গুলো তারা সচেতন করবে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা একটা ধারণা দেবে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে— কম সংখ্যক মানুষ যাতে অসুস্থ হয়। মানুষ তো বাড়ছে, বাজেট কত বাড়াবেন?
এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছি। ২০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা কিভাবে দেবেন? হিউজ বাজেটের ব্যাপার। আমেরিকাকে ধনী দেশ হিসেবে জানি। তাদেরও স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের হেল্থ ইন্স্যুরেন্স আছে। তারা ট্যাক্স থেকে স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটা অংশ কেটে রেখে দেয়। আমাদের দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ। বেশিরভাগ মানুষ সেলফ-এমপ্লয়েড। আমাদের দেশে এটা কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর শাহজাহানপুর পূর্ব থানা এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা-পূর্বক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হেলাল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকার দেশের জনগণকে শোষণ করেছে। জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শোষণের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সব সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যার কারণে জোট সরকারে থাকাকালীনও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, কারাগারে জুলুম-নির্যাতন চালানে হয়েছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিঃশেষ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ভারতের পরামর্শে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যা করে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ সেই পতিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে দেশ ছাড়া করেছে। সর্ববৃহৎ দল দাবি করা দল ক্ষমতা হারিয়ে এক মিনিট রাজপথে ঠিকতে পারেনি।
ড. হেলাল আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় না বসেও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে আছে। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি, যাবে না। তবে ষড়ষন্ত্র থেমে নেই। ভারত এখন আবার নতুন করে আরেকদলকে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কারণ ভারত জানে, সব দলকে কেনা গেলেও জামায়াতে ইসলামীকে কেনা যাবে না। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে ভারত একেকবার একেক দলের ঘাড়ে সোয়ার হয়।
তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশিষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, থানা কর্মপরিষদের সদস্য যথাক্রমে আবদুল খালেক, নাহিদ জামাল, আজিজ উদ্দিনসহ দায়িত্বশীল নেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কামরাঙ্গীরচরে জামায়াতের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা শুরু

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কামরাঙ্গীরচর উত্তর থানার উদ্যোগে স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ‘ফ্রি মেডিকেল সেন্টার’ উদ্বোধন করেছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ফ্রি মেডিকেল সেন্টারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামরাঙ্গীরচর উত্তর থানা আমীর ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা মো. নাজমুল হক। থানা সেক্রেটারী মহানগেরীর কর্মপরিষদের সদস্য ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমানের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বড়গ্রাম ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ও ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. সাজেদুল করিম সুজন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা বাইতুল মাল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, তারবিয়াত সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, পশ্চিম রসুলপুর ওয়ার্ড সভাপতি মিনহাজ ভুঁইয়া, সেক্রেটারি ডা. মো. খলিলুর রহমান,পূর্ব রসুলপুর ওয়ার্ড সভাপতি মো. মহসিন কবির, সেক্রেটারি মো. মহসিন বাবু, কলেজ ওয়ার্ড সভাপতি মো. আবু তাহের, সেক্রেটারি মো. ইয়াসিন, হুজুর পাড়া ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. ওমর ফারুক, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি শেখ মো. আশরাফ আলী প্রমুখ ।
প্রধান অতিথি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির অন্যতম একটি হচ্ছে সমাজ সেবা ও সমাজ সংস্কার। সমাজ সেবার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে মানবিক সহায়তা করে থাকে। এই সহায়তা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত প্রতিটি মানুষ সমানভাবে পেয়ে থাকে। এরই অংশ হিসেবে কামরাঙ্গীরচর এলাকার অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত সকল শ্রেনীপেশার লোকজনের জন্য ফ্রি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মেডিকেল সেন্টারে প্রতি রবিবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবে। ফলে বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণের মৌলিক সকল অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত হয়নি। যার কারণে জামায়াতে ইসলামী জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে সারাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন সামাজিক খাতে কাজ করে আসছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীকে অনুসরণ করে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমাজের কল্যাণে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান।
সভা শেষে ফ্রি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধনী দিনে শতাধিক নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।