জাতীয়
নির্বাচনে ব্যালট পেপারসহ ছাপা খরচ ৩৬ কোটি টাকা

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য মুদ্রণকাজে দুই লাখ ৩০ হাজার রিম কাগজ লাগবে। এতে ব্যয় ধরা হয়ে হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার বেশি।
ইসি সূত্রগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেস) থেকে এ চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আরও কয়েকটি বৈঠকের পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) আখতার আহমেদ বলেন, বিজি প্রেসের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছে, ব্যালট পেপারসহ সব মুদ্রণকাজ সম্পন্ন করতে তিন মাসের মতো সময় লাগবে। আমরা বলেছি, চার মাস সময় নেন। এক্ষেত্রে তারা সবকিছু হিসাব-নিকাশ করে পরবর্তী বৈঠকে আমাদের জানাবেন।

জাতীয়
ভোটের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি ইসির

নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গণমাধ্যকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী, ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপনকক্ষের ভেতরে ছবি তোলা যাবে না।
বুধবার (২৩ জুলাই) ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫ জারি করা হয়।
ইসি বলছে, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এ সাংবাদিক নীতিমালা অনুযায়ী দেশের অনুমোদিত প্রিন্ট, টেলিভিশন, নিউজ পোর্টাল, আইপিটিভি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিদেশি সাংবাদিকদের কার্ড ও গাড়ির স্টিকার দেবে। এজন্য নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সাংবাদিক পাস কার্ড, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার দেবে ইসি সচিবালয় ও রিটার্নিং অফিসার।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ নীতিমালা জারি করলেও স্থানীয় সরকারের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই নীতিমালা প্রয়োজ্য হবে বলেও জানিয়েছে ইসি।
কী করা যাবে, কী করা যাবে না
> বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন; পরে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন।
> গোপনকক্ষের ছবি তোলা যাবে না।
> একসঙ্গে দুটির বেশি মিডিয়া ভোটকক্ষে যাবে না; ১০ মিনিটের বেশি থাকতে পারবে না।
> ভোটকক্ষে সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
> ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
> ভোটকেন্দ্রে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে করতে হবে।
> ভোট গণনার সময় থাকতে পারবে, ছবি তোলা যাবে; কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার নয়।
> ভোটকক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
কাফি
জাতীয়
পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আমাদের আয়োজন ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা, সেজন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। এতে করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে ঐক্যটা দৃশ্যমান হতো। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি ১৩ রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার। তা না হলে তারা এটাকে সুযোগ মনে করছে।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া সব দল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও গণঐক্য অটুট রাখার বিষয়ে সমর্থন জানান। তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে ও ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে আরও নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় সভা আয়োজনের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির তানিয়া রব, ১২ দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রুহিন হোসেন প্রিন্স ও গণফোরামের মিজানুর রহমান অংশ নেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা গতকাল রাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কাফি
জাতীয়
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায়

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি মেডিকেল টিমকে সহায়তা করতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চোং সি জ্যাক ঢাকায় এসেছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিনগত রাতে তাকে শাহজালাল আন্তার্জাতিক বিমানবন্দরে রিসিভ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি মেডিকেল টিমকে সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার উদ্দেশে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. চোং সি জ্যাক বাংলাদেশে এসেছেন। তার এই আগমন চিকিৎসা সহায়তার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) আরও তিনজন বিশিষ্ট প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তারা হলেন: সিং হেলথের সিনিয়র ডিরেক্টর বিজয়া রাও, পুন লাই কুয়ান, লিম ইউ হান জোভান।
এই সফরের উদ্দেশ্য মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদার করা এবং দ্বিপাক্ষিক স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
জাতীয়
ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য দেখতে চান প্রধান উপদেষ্টা

ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, সেটা আরও বেশি দৃশ্যমান হলে ভালো হয়। আপনারা ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো প্রশ্নে হোক বা গঠনমূলক কোনো কর্মসূচিতে যদি একসঙ্গে থাকেন এবং সেটা যদি মানুষ দেখে, তাহলে মানুষের মধ্যে একটা স্বস্তির ভাব আসবে। এটা দেখে অনেক বেশি মানুষ খুশি হবে এবং দেশের মানুষ সেটা চায়।’
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় চারটি রাজনৈতিক দল– বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতাদের এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা চার বড় রাজনৈতিক দলকে ডেকেছিলেন। আলোচনা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।
আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে স্পষ্ট জানিয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে তাদের মধ্যে কোনো মতভিন্নতা নেই, কোনো বিরোধ নেই। ফ্যাসিবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ বা মতভিন্নতা নেই।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন রাজনীতির মাঠে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা মাঝেমাঝে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি। এর মানে এটা নয় যে, তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তারা আমাদের রাজনৈতিক সহযোগী।’ রাজনীতির মাঠে এ ধরনের কিছু কথাবার্তা মাঝেমাঝে বলা হবে। এর থেকে কোনোভাবেই ধারণা করা উচিত নয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে আমাদের মধ্যে কোনো রকম ফাটল আছে।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি শক্ত অবস্থান নেওয়ায় কথা বলেছে। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আমাদের সুষ্ঠুভাবে অগ্রসর হওয়া উচিত।
জাতীয়
চার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ৯টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম মেম্বার অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। আহতদের অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে কেন্দ্র মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষোভ করে মাইলস্টোন ও আশপাশের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রায় ৯ ঘণ্টা সেখানে তারা অবরুদ্ধ থাকেন।
অন্যদিকে মাইলস্টোন এবং এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে সচিবালয়ে। সেখানে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সচিবালয় থেকে বের করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র গুলিস্তান ও সচিবালয় এলাকায় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্য অনেককে এই সংঘাতে অংশ নিতে দেখা যায়।
কাফি