রাজনীতি
ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ ইসলাম

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল। এর ফলে নববর্ষের যে অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশিষ্ট্য, সেটি ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন রোডে এনসিপির পহেলা বৈশাখ আয়োজন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এবার প্রথম হাসিনামুক্ত ও ফ্যাসিস্টমুক্ত বৈশাখ পালন করতে পারছি। আশা করবো, সামনের দিনে নববর্ষ জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের নবায়ন হোক চাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের নবায়ন শুরু হয়েছে। তবে রাষ্ট্র কাঠামো যদি একই থাকে তাহলে জুলাই বিপ্লব ব্যাহত হবে।
জুলাই আন্দোলন ব্যক্তির নয়, রাষ্ট্রের পরিবর্তনের জন্য জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এই আহ্বায়ক বলেন, যে সংস্কার চলছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার ও সংস্কার দেখতে চাই।
তিনি বলেন, এনসিপি গণপরিষদ নির্বাচনের এজেন্ডা নিয়ে সামনে এগোচ্ছে।
ফ্যাসিবাদের বিলোপে রাষ্ট্র সংস্কার চলমান থাকবে বলেও এ সময় জানান নাহিদ ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বুধবার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বুধবার (১৬ এপ্রিল) বৈঠক করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা। পরদিন (১৭ এপ্রিল) সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সংস্কারের সমাধান নির্বাচন: ফখরুল

বর্তমান সংস্কারের সমাধান নির্বাচন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সস্ত্রীক দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় ফখরুল বলেন, আশা করছি বাংলা সাল ১৪৩২ জাতির জন্য নতুন দিগন্ত নিয়ে আসবে। দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয় মন উদ্ভাসিত হবে নতুন সম্ভাবনার আনন্দে। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি এবং মনে করি অতীতের ধুলো-বালি ও ঝঞ্ঝাল উড়ে দিয়ে এ বৈশাখ আমাদের জন্য নতুন এক বাংলাদেশ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, আমরা একটা আলোচনার মধ্য দিয়ে, ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। নিঃসন্দেহে এই ঐক্য আমাদের মধ্যে সম্ভব হবে এবং আমরা সফল হবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগের মৃত্যু ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের মৃত্যু ঢাকায় এবং ভারতের দিল্লিতে দাফন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস হয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে।
তিনি বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা-এসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ, যা নষ্ট করার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে সব জাতি-ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে এসব সংস্কৃতি পালন করবে, এর মধ্যে ধর্ম চর্চাকে আনা যাবে না। যারা সংস্কৃতিকে নষ্ট করবে তাদের বিদায় করতে হবে।
এ সময় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে ভারতীয় সংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান জানান বিএনপি স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিগত ১৫ বছর নববর্ষ পালনেও ষড়যন্ত্র হয়েছে: রিজভী

বিগত ১৫ বছর পরিকল্পিতভাবে একটি দেশের সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর পরীবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুভ নববর্ষ উপলক্ষে এ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সতীর্থ স্বজন।
বিগত ১৫ বছর একটি পরিকল্পিতভাবে একটি দেশের সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতো। এমনকি এই পহেলা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হতো। এমনকি দাড়ি-টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো, দাড়ি-টুপি পরা সব মানুষ কি খারাপ? না।
জুলাই ছাত্রদলের কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন, তুমুল আন্দোলন চলছে, আমি কারাগারে। সেখান থেকে শুনছি, তারুণ্যের উদ্দীপনা, তেজ। পুলিশ বলছে, ‘গুলি করি একটা পড়ে যায়, আবার সেখানে এসে আরেকজন দাঁড়ায়’। এই উদ্দীপনা দিয়েছে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের গান, লেখা, অনেক কবির লেখনীর মাধ্যমে।
যার জন্য আমাদের ১৬ বছরের লড়াই, সেটি আমরা নিশ্চিত করি। সেই গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা নিয়ে কোনো টালবাহানা করা যাবে না। এই শুভ নববর্ষে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে দেওয়া। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেখা হচ্ছে, গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র হচ্ছে প্রবাহমান খরস্রোত নদীর মতো। এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই, আর যেখানে কর্তৃত্ববাদের জায়গা নেই সেখানেই গণতন্ত্র বয়ে যায়। সংস্কার হচ্ছে বয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টা এখন বিএনপিকে শত্রু ভাবছে, তারা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার বাদ দিয়ে কীভাবে গণতন্ত্রের পরিবর্তে সংস্কারকে ভাবছে, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।
বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, কবি রেজা স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচন হতে হবে যথা সময়ে, সংস্কার চলতে থাকবে: তারেক রহমান

সংস্কার চলতে থাকবে, নির্বাচন হতে হবে যথা সময়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সংস্কার কোনো ব্র্যাকেটবন্দি বিষয় নয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলতে থাকবে। কিন্তু নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনের সময় মতন।
রবিবার রাতে ‘৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংস্কারের পরে হওয়ার কথা বলছেন, তারাই এখন প্রার্থী ঘোষণা করছেন এমন মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, সকলের কাছে আমি একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, যারা বলছেন আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কি দেখছি। মুখে বলছেন পরে নির্বাচন কিন্তু তারা তো গিয়ে ঠিকই বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে বেড়াচ্ছেন, বিএনপি তো এটি করছে না।
এখন যারা আগে সংস্কারের কথা বলছেন, তাদের মধ্যে কতজন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন, সেই সময় রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছেন- সেসব প্রশ্নও তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বড় বড় জায়গায় বসে, এয়ারকন্ডিশনের ভেতরে বসে, বড় বড় দামি দামি অফিসে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছে। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছে, এরা সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে অর্থাৎ সরকার তাদের গাড়ি দিচ্ছে, তাদেরকে বেতন-বোনাস, ভাতা দিচ্ছে, তার ওপর তারা বসে সংস্কারের কথা বলছে।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দেশজুড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী যখন কারাবন্দী, লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং তারা যখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, সেই সময় বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো দেখছি, অনেক রাজনৈতিক দল আছে, কারও নাম বলব না, তাদের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন বিষয়ের খবর, তাদের সদস্যদের আপনারা দেখছেন, আকাশে বাতাসে কান পাতলেই আমরা শুনতে পাচ্ছি। বাট, কাউকে কি দেখেছেন, যারা অন্যায় করেছে, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? তারা তাদের অন্যায়কারী সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
বিএনপির লক্ষ্য এই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, এ কথা উল্লেখ করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আমার লক্ষ্য এই দেশের জন্য বেটার (আরও ভালো) কিছু করা। কিন্তু দল একা পারবে না। আপনাদের সকলকে নিয়ে এই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। কাজেই আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ যখন এগিয়ে আসবেন, তখনি আমাদের পক্ষে সম্ভব ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।